ভালোবাসি

লেখিকা :মিমি পার্ট :৪+৫ নিল ভাইয়া দৌড়ে একে আমাকে জরিয়ে ধরে চিৎকার করে বলতে লাগল কি হইছে আমার জানপাখি টার।।।আর কিছু শুনতে পারলাম না। তাঁর আগে ই আমার চোখ জোরা ঝাপসা হয়ে এলএলো।।।।

চোখ খুলে দেখি আমি হসপিটালের বেডে।।।।ওমা তাকিয়ে দেখি সবাই আমার পাশে দারিয়ে আছে।।মিহির তো আমাকে জরিয়ে ধরে কান্না শুরু করল।।। আম্মু তোমার কি হইছে।।।। তুমি অনেক ব্যাথা পাইছ তাই না।।। আমি:না বাবা আমি ঠিক আছি।।।।।।খেয়াল করে দেখলাম আমার কপালে ব্যন্ডেজ করা।।।হাতে ব্যন্ডেজ করা।।।তার মানে সত্যি অনেক বড় ধাক্কা ই দিছিল চোর টা।।।। আপু:তুই ঠিক আছিস ত? আমি :একদম ঠিক আছি।।।।। এত চিন্তা করার কিছু নাই।।। আশেপাশে তাকিয়ে দেখলাম নিল ভাইয়া নাই।।আর অনি ও নাই।।তার মানে ওরা এক সাথে আছে।।।যত্তসব 😏 তারপর ই মনে পরল নিল ভাইয়া আমাকে জরায় ধরছে।।।আর জানপাখি ও বলছে।।।।।নাউজুবিল্লাহ তার মানে😵😵 ছিঃ ছিঃ এসব কেমনে কি।। উনি তো আমাকে দেখতে ই পারে না।।।তাইলে কি আমি ভুল শুনছি।।।নাকি 😭 সুজন :অই কি এত ভাবছিস বল তো? আমি:কিছু না।।।।। কিচ্ছু হিসাব মিলছে না।।।।অই দিন আমার ঘরে যে আইসা আমার সাথে ওই অসভ্যতামি টা করছে তার পারফিউম এর গন্ধ আর নিল ভাইয়ার পারফিউমের গন্ধ ও এক রকম ছিলো।।। কোন হিসাব মিলছে না।।।ওই ডেবিল টাও তো আমাকে জান পাখি বইলা ডাকে।। আর আজ ও নিল ভাইয়া একি ভাবে জানপাখি বলল।।।। উফ মাথা পুরা হ্যাং হইয়া যাইব।।।আমার।। নিল ভাইয়া রুম এ ডুকল।।।কিন্তু আমার দিকে একবার তাকালেন ও না।।।।কিন্তু দেখলাম নিল ভাইয়ার চোখ ফুলে আছে।।যেনো অনেকক্ষন ধরে কান্না করছেন।।।। কিন্তু ওনার আবার কান্না করার কি আছে??? ডাক্তার :আপনারা সবাই বাহিরে যান ওনাকে রেষ্ট নিতে দিন।।।। আমি:তোমরা সবাই বাড়ি চলে যাও।।।আমি একা বারি চলে আসতে পারব।।। আপু :বেশি পাকনামি করা লাগবে না।।নিল এর কাজ আছে এখানে ও বিকালে তোকে বারি দিয়ে আসবে।।। আমি:আমি একাই চলে যেতে পারব।।তোরা সবাই বারি যা।।আপু দুলাভাই আজকে ই আসছে।।ওরা তো অনেক টায়ার্ড তুই বাড়ি যা ওদের নিয়ে।। বড় আপু:আমাদের নিয়া চিন্তা করা লাগবে না।।। তুই সুস্থ হ আগে।।।। আমি:হুম মিহির আমাকে চুমু খেয়ে চলে গেল।।। সাথে সবাই ই চলে গেলো।।কিন্তু সুজন বলল ও থাকবে কিন্তু মেজো আপু ওকে জোর করে নিয়ে গেলো।।।।।।।।।।।আমি কিছু ক্ষন এর জন্য ঘুমাব বলে ঠিক করলাম।।।ভাবতেই চোখ জুরে ঘুম নেমে আসল।।।।।ঘুম এর ওষধ এর জন্য ই এমন হলো।।। ঘুম এর মাঝে অনুভব করলাম কেউ আমার মাথা তার বুকে নিয়ে নিঃশব্দে কাঁদছে।।। তার চোখ এর পানি আমার উপর পরছে।।।।আমাকে সে চুমুতে চুমুতে ভরিয়ে দিচ্ছে।। কিন্তু ঘুম এর জন্য চোখ খুলতে পারলাম না।।।।বিকালে ঘুম থেকে উঠে হসপিটাল থেকে চলে আসলাম।।।। হসপিটাল থেকে বাহিরে এসে বাসের জন্য দারিয়ে আছি।। আমার সামনে একটা গাড়ি এসে দাড়াল।। গাড়ির দড়জা খুলে দিল নিল ভাইয়া।। বলল ভিতরে বসো।।।আমি না শুনার মতো করে চলে আসছিলাম।।।কিন্তু ভাইয়া আমাকে জোর করে ফ্রন্ট সিট এ বসিয়ে দিলো।।।।পরে সে নিজেও এসে বসে গাড়ি স্টার্ট দিল।।।।।গাড়ি চলছে আপন গতিতে।।।। দুজনের মধ্যে ই নিরবতা।।। হঠাৎ আমার ফোন বেজে উঠল।। তাকিয়ে দেখি সুজন ফোন করছে।।।।ফোন টা রিসিভ করতে ই সুজন বলল ভাই তোদের গ্রামে আছি।।।।কিন্তু পুকুরে নামছিলাম মাছ দরতে।। কিন্তু তোদের পুকুরের মাছ গুলা এত সয়তান যে আমাকে পুরা পুকুর গুরাইছে।।।।। আমি:😅😅😅তুই দরবি মাছ।।।তা কি দিয়া মাছ দরতে নামছিলি শুনি।। সুজন :মাছ ধরতে আবার কিছু লাগে নাকি।।খালি হাতে ই ধরতে পারি😏 আমি:😂😂 তারপর ওর যত বকবকানি।। আর সাথে কেমন ফিল করছি এখন ঠিক আছি কিনা।।ব্লা ব্লা ব্লা।।।।খেয়াল করলাম নিল ভাইয়া গাড়ির স্পিড বারায় দিছে।।। আর ওনার চোখ লাল হইয়া গেছে।।।ওনার যে মাজে মাজে কি হয় আল্লাহ জানে।।।জিন টিন আবার ধরে নাকি🌚।।।।। হঠাৎ করে ওনি আমার ফোন টা টান দিয়া বাহিরে ফালায় দিছেন।।আমি ত রাগে জিদে 😠😠।।।এটা কি হইল।।। নিল ভাইয়া গাড়ি থামাইয়া এক টান দিয়া উনার বুকে নিয়া ফালাইছেন।।।আমি উনার দিকে তাকাইয়া কিছু জিজ্ঞেস করমু কি,আমি ত ভয়ে পুরা জান যায় যায় অবস্থা।। তাও সাহস নিয়া বললাম কি হইছে কি সমস্যা আপনার আমার ফোন ফালাইয়া দিছেন কেন?😠😡 উনি বুক থেকে আমাকে টেনে তুলে আমার গাল চেপে ধরলেন।।।।আমার তো ব্যাথায় চোখ এ পানি চইলা আসছে।।। নিল:ডাফার মেয়ে একটা ছেলেদের সাথে তোমার কি এত কথা।।।অই সুজন তোমার কি লাগে?কয়টা রিলেশন করো।।।। আমি তো কান্নার জন্য কথা ই বলতে পারছি না।।।কাপা কাপা গলায় বললাম - কি বলছেন ভাইয়া আপনি এসব।।।আর আমি ১০০ টা রিলেশন করলে ই আপনার কি?কথাটা বলতেই উনি আমার ধাক্কা মেরে উনার বুক থেকে ফেলে দিলেন।।।আমি তো পাশের সিটে গিয়ে পরলাম।।আর চোখ বন্ধ করে কান্না করতে লাগলাম।।।।ভাইয়া ভাবল আমি সেন্স হারাইছি।।।।ভাইয়া আমার কাছে এসে জোরে জোরে জানপাখি বইলা ডাকতে লাগল।।আমি ভাইয়ার মুখে ডানপাশের শুইনা।।।আর চোখ খুললাম না।।সেন্স হারানোর অভিনয় করলাম।।।আমি আসলে দেখতে চাইছিলাম সেই অজানা ডেভিল টা আসলে ভাইয়া কিনা এদিকে নিল তো পুরা পাগল হয়ে গেছে।।।। জানপাখি বলে চিৎকার করছে।।।প্লিজ জানপাখি চোখ খুল।।আমি সরি বুঝতে পারি নাই।।।আমার জানপাখি টা কে আমি নিজের হাতে কষ্ট দিলাম।।।জানপাখি প্লিজ চোখ খুল। প্লিজ জানপাখি।।।।।। আমি বেশ বুজতে পারলাম ভাইয়া কাদছে।।।ভাইয়া আমাকে তার বুকে নিয়ে কাদছে।।।।তার মানে ওই ডেভিল টা ভাইয়া ই।।।।কিন্তু ভাইয়া ত আমাকে দেখতে পারে না।।তাহলে???

ভাইয়া আমার চোখ এ মুখে পানি ছিটালে ই আমি চোখ খুলে ফেলি।।।।।ভাইয়া বলে ডাক দিতেই ভাইয়া আমার চোখ এ মুখে চুমুতে চুমুতে ভরিয়ে দেয়।।।।ভাইয়া বলতে শুরু করে জানপাখি আমি সরি।।।।অনেক ব্যাথা পাইছো তাই না।।।বলে আবার আমার মুখে চুমুতে চুমুতে ভরিয়ে দেয়।।। ভাইয়া আমাকে জরিয়ে ধরে কাদতে থাকে।।। ভাইয়ার কান্না দেখে আমি কয়েক মূহুতের জন্য নিজের অতিত টা ই ভুলে গিয়েছিলাম।।।।নিজের অতিত এর কথা মনে পরতেই ভাইয়া কে ধাক্কা দিয়ে দুরে সরিয়ে দিলাম।।।ভাইয়া অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।।।আমি ভাইয়া কে বলতে শুরু করলাম।।।আপনার সাহস হয় কি করে আমার সাথে এমন করার।।। ভাইয়া:চুপ আমি:আমি বারি যাব।।। ভাইয়া চুপচাপ গাড়ি চালাতে লাগল।।। আমরা বারি চলে আসলাম।।।আমি গাড়ি থেকে নামতে যাব তার আগে ই ভাইয়া আমাকে টান দিয়ে তার বুকে জরিয়ে ধরে বলল,জানপাখি তুমি নিশ্চয়ই বুজে গেছ সব কিছু।।।বলে ই আমার গালে চুমু খেলেন। আমি তো পুরাই ফ্রিজড।।।। কেমন একটা অনুভূতি।।। নিজের যত্ন নিবা।।।আর সুজন এর সাথে কম মিশবা।।।বলে ই আমাকে ছেরে দিলেন।।আমি তো দৌড়ে বারি এসে নিজের ঘরের দরজা লাগিয়ে ভাবতে লাগলাম।।।আমি যত বার ই নিল ভাইয়ার দিকে তাকাই অদ্ভুত একটা জিনিস খেয়াল করি।।।।আমার খুব পরিচিত চোখ সেই কথা বলা।।।আর আজ খেয়াল করলাম আমি যখন সেন্সলেস হওয়ার নাটক করছিলাম।।। তখন ভাইয়ার হাইপার হয়ে যাওয়া।।। সব আমার পরিচিত।।।।। কিন্তু ভাইয়ার সাথে কিভাবে তার এত মিল।।।।।হয়তো মিল আছে কারণ পৃথীবিতে এক রকম দেখতে ত ৭ জন মানুষ হয় তাই।।।দরজায় কড়া নড়তে ই তাকিয়ে দেখি আম্মু খাবার নিয়ে আসছে।।।।খাবার টা টেবিলে রেখে বলল, দেখে সুনে চলতে পারস না।।কি অবস্থা করছস নিজের দেখ।।।তোর আব্বু শুনলে তো তোকে ই আগে বকব নাকি। আমি:হুম।।। তোমাদের তো মনে হয় যা হয় সব আমি ইচ্ছে করে ই করি।।।আমি তো সব সময় ই অন্যায় করি।। আম্মু :সুজন ছেলে টার কথা তোর আপু আর আব্বুর মুখে শুনছি।। কিন্তু আজ দেখলাম ছেলে টা সত্যি অনেক ভালো।।। মিশুক (সুজন আমার আব্বুর বন্ধু র ছেলে।। তাই আব্বু ওর সাথে বন্ধুত্ব থাকলে ও কিছু বলে না।।না হয় ত আমার পড়া লেখা ই বন্ধ করে দিত।কোনো ছেলের সাথে আমার বন্ধুত্ব আছে শুনলে।।।আব্বু এসব পছন্দ করে না।।তাই সুজন অনায়াসে ই আমাদের বারি আসতে পারছে।।।।) আমি:হুম।।। আম্মু :তুর আব্বু ও খুব খুশি হইছে সুজন আসায়। আমি:জানি তো।আব্বু র বন্ধুর ছেলে তো তাই খুব ভালো। আর অন্য কেউ হইলে তো।।।। আম্মু:খাবার টা খেয়ে নে।।আর ঔষধ টাও খেয়ে নিস।।।আমার মেলা কাজ পরে আছে যাই।। (চলবে)

3
$
User's avatar
@Mdemon456 posted 3 years ago

Comments