রোমান্টিক_অত্যাচার

Part_19

উনি কোনো কথা বলছেন না।সুধু কান্না করছেন আমাকে জরিয়ে ধরে।

রিয়াঃ আমি তাকে আবার জিঙ্গাস করলাম।প্লিজ আপনি কান্না না করে বলুন কি হয়েছে।

রিয়াদ ঃ আপু হাসপাতালে( কান্না করতে করতে)

রিয়াঃ কি? কি হয়েছে আপুর ( অনেক টা অবাক হয়ে) ( আমার ও প্রায় কান্না আসার অবস্থা)

রিয়াদ ঃআপু বাড়িতে হঠাৎ করে অজ্ঞান হয়ে গেছে।এখন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

রিয়াঃ তাহলে তো আমাদের এখনি হাসপাতালে যেতে হবে।চলুন আমরা তারা তারি হাসপাতালে যাই।

রিয়াদ ঃ হে চলো।

আমরা বেরিয়ে পরলাম হাসপাতালে যাওয়ার উদ্দেশ্য।আসার সময় মা বাবা কে সব কিছু বলে এলাম।মা বাবা ও সাথে আসতে চেয়েছিলো।কিন্তু আমি মানা করেছি।রাস্তায় বেশি জেম না থাকায় ৩০ মিনিটের মধ্যেই হাসপাতালে চলে এলাম।উনি গাড়ি থেকে নেমে দৌড়াগে লাহলেন। আমি ও তার পিছনে পিছনে গেলাম।

রিসিপশনে একটি মেয়ে কে উনি জিঙ্গেস করলেন।

রিয়াদঃ তানিয়া নামের পেসেন্ট একটু আগে এসেছিলো সে কতো নামবার কেবিনে।

মেয়েটি ঃ ****--

রিয়াদ ঃ আবার দোড়াতে লাগলাম। আপুর কেবিনের পাশে চলে এলাম।এসে দেখি আকাশ ভাইয়া। আকাশ ভাইয়া আপুর কি হয়েছে।

আকাশ ঃ আমি ও ভালো ভাবে বলতে পারছি না।তানিয়া আজ সকাল থেকেই বমি করছিলো।আমি বলেছিলাম ও ডাক্তারে কাছে যেতে।কিন্তু ও না করে দিলো।তাই আমি অফিসে চলে যাই।

একটু আগে রহিম আমাকে ফোন করে বলল তানিয়া নাকি অজ্ঞান হয়ে গেছে।

রিয়াদ ঃ আপনি যখন যানতেন আপুর শরীর খারাপ তাহলে অফিসে কেনো গেলেন।আপুর যদি কিছু হয় না তাহলে আমি আপনার কি হাল করবো তা আমি ও যানি না( আকাশ ভাইয়ার কলার টা ধরে।)

রিয়াঃ উনি আমাকে একা ফেলেই চলে গেলেন দৌড়াতে দৌড়াতে।আমি ও তার পিছনে ছুটলাম।তানিয়া আপুর কেবিনের সামনে চলে গেলাম।যেয়ে দেখি উনি আকাশ লুচু টার কলার চেপে ধরে রেখেছেন।আমি তাদের ছারানোর চেষ্টা করলাম।

রিয়াঃ কি করছেন কি আপনি।এটা হসপিটাল। তাছাড়া আপু এখন অসুস্থ তাই এরকম ভাবে নিজে রা নিজেদের মধ্যে জামেলা করবেন না।উনাকে ছাড়িয়ে আনলাম।এনে বসালাম আমি ও তার পাশে বসলাম।

রিয়াদ ঃ যানো রিয়া বাবা মা মারা যাওয়ার পর আপুই আমাকে বাবা মার মতো ভালোবেসেছে।কখনো আমাকে একটু কষ্ট ও পেতে দেয়নি।আপু ছাড়া তো আমার আর কেউ নেই।যদি আপুর কিছু হয়ে যায় তাহলে আমি যে খুব একা হয়ে যাবো( কেদে কেদে)

রিয়াঃ (আমি কি বলবো বুঝতে পারছি না.আমারি তো খুব কান্না পাচ্ছে। কিন্তু এখন কান্না করা যাবে না।আমি কান্না করলে উনাকে কে সামলাবে।)আপনি এরকম ভাবে ভেঙ্গে পরছেন কেনো।দেখবেন আপুর কিচ্ছু হবে না।প্লিজ আপনি কান্না থামান।( বলেই ওনাকে বুকে জরিয়ে নিলাম)উনি তবু ও কান্না করছে।

কিছু খন পর ডাক্তার কেবিন থেকে বেরিয়ে আসলেন।

আমরা সবাই ডাক্তারের কাছে ছুটে গেলাম।

রিয়াদ ঃ আপু এখন কেমন আছে।ও ঠিক হয়ে যাবে তো।ওর কি হয়েছে।

ডাক্তার ঃ কিছু হয়নি তবে কিছুদিন পর হবে।

রিয়াদঃ কিছু দিন পর হবে মানে।আপুর কি হয়েছে( চিন্তিত ভাব নিয়ে)

ডাক্তার ঃ বলবো সব কিছুই বলবো।আগে সবাই কে মিস্টি খাওয়ান তারপর।

রিয়াঃ আমরা সবাই চিন্তায় মরছি আর আপনি মিস্টি নিয়ে পরে আছেন।

ডাক্তার ঃ চিন্তা করার কি আছে।আপনাদের জন্য খুশির খবর আছে।পেসেন্ট মা হতে চলেছে।

রিয়াদ ঃ আপু মা হতে চলেছে( মুহুর্তেই কান্না হাসিতে পরিনত হলো।)

রিয়াঃ সত্যি আপু মা হবে। আমাদের ঘরে ছোট বাবু আসবে(😊😊😊)

ডাক্তার ঃ হুম।

রিয়াদ ঃ আমরা কি আপুর সাথে দেখা করতে পারি।

ডাক্তার ঃ অবশ্যই।আরেক টা কথা রোগি কে পুরো পুরি রেস্টে রাখবেন বেবি না হওয়া পর্যন্ত।উনার শরীর খুবি দূর্বল।

রিয়াদঃ ঠিক আছে ডাক্তার। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। (😊😊😊)কেবিনের মধ্যে ডুকবো তখনি রিয়া আমাকে থামিয়ে দিলো।

রিয়াঃ এখন আমাদের যেতে হবে না।আকাশ ভাইয়া আপনি যান আপুর কাছে।

আকাশ ঃ হুম।কেবিনের ভেতর যাচ্ছি। তানিয়া কে আমি একদমি সহ্য করতে পারি না।কিন্তু আজ যখন শুনলাম তানিয়া মা হবে আমি হবো বাবা।তখন কেনো যেনো মনের মধ্যে খুব শান্তি লাগছে।আজ মনে হচ্ছে জীবনে সবচেয়ে বড় পাওয়া পেলাম।নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখি মানুষ মনে হচ্ছে (😊😊😊)

রিয়াদঃ তুমি আমাকে ভেতরে যেতে দিলে না কেনো।

রিয়াঃ আপনার কোনো দিনই কি বুদ্ধি হবে না।একজন মেয়ে যখন মা হওয়ার কথা যানতে পারে।তখন সে তার বর কেই প্রথম এই খুশির খবর টা যানাতে চায় আর নিজের পাশে চায় বুঝলেন।

রিয়াদ ঃ হুম বুঝলাম।যানো রিয়া আজ আমি খুব খুশি।আমি মামা হবো এটা জানার পর আমার কি প্রকারের ভালো লাগছে তা তোমাকে বলে বোঝাতে পারবো না।

রিয়াঃ আজ আমি ও খুব খুশি।আমি ও তো মামি হবো তাই না।আমাদের বাড়িতে ছোট্ট একটা বাবু আসবে।আমি ওর সাথে অনেক মজা করবো।(😊😊😊)

আকাশ ঃ কেবিনের ভেতরে যেয়ে দেখি তানিয়া চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছে।আমি ওর বেডের পাশে যেয়ে হাটু গেরে বসলাম।ওর হাত টা ধরলাম।আমার হাতের ছোয়া পেয়ে ও চোখ দুটো খুললো।

তানিয়াঃ তুমি কখন এলে।এসে আমাকে ডাকবে না।বসতে বসতে।

আকাশ ঃ এই তুমি উঠে বসছো কেনো।ডাক্তার তোমাকে বেবি হওয়া না পর্যন্ত পুরো পুরি রেস্টে থাকতে বলেছে।বসতে হবে না তোমার। শুয়ে পরো।

তানিয়াঃ ঠিক আছে আমি শুয়ে পরছি।আমি মা হবো শুনে তুমি খুশি হও নি।

আকাশ ঃ খুশি হবো না কেনো।আজ আমি খুব খুশি।আমি বাবা হবো, আর তুমি হবে মা।আমাদের ছোট একটা বেবি হবে।আমি ওকে নিয়ে সারাদিন খেলবো।তোমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

তানিয়াঃ কেনো।

আকাশ ঃএই যে আজ তুমি আমাকে কতো বড় খুশির খবর টা দিলে তাই।+😊😊😊( তানিয়ার কপালে একটি চুমু দিলাম)

তানিয়া ঃ আপনাকে খুশি করতে পেরে আমি ও অনেক খুশি।

রিয়াদঃআকাশ ভাইয়া তো অনেক খন হলো ভেতরে গেছে। এবার তো যেতে পারি নাকি।

রিয়াঃ হে চলুন।

আপুর কেবিনের দরজা নোক করে।

রিয়াঃ আমরা কি আসতে পারি(😊😊)

তানিয়া আপুঃ তোমাদের আবার অনুমতি নিতে হয় নাকি আসো।

রিয়াদঃ congress আপু।

তানিয়া আপুঃ thanks.

রিয়াঃ congress আপু। তোমার তো এখন প্রোমশন হচ্ছে ।তুমি বউ থেকে মা হতে চলেছে।(😊😊😊)

তানিয়া আপুঃ চিন্তা করো না তুমি ও খুব তারা তারি প্রোমশন পাবে।

রিয়াঃ আপুর কথা শুনে কিছু টা লজ্জা পেলাম।উনার দিকে তাকাল।

রিয়াদ ঃ দিলাম একটা চোখ টিপ।

রিয়াঃ চোখ নামিয়ে ফেললাম।

রিয়াদ ঃ হে আপু টা তো পাবেই।(😆😆😆)তা ও খুব তারা তারি।( আকাশ ভাইয়া কে শুনানোর জন্য)

রিয়াঃ উনার মুখে কি কিছুই আটকায় না।বড় আপুর সামনে ও এগুলো বলতে হয়।এদিকে আমি যে লজ্জায় মরে যাচ্ছি।

আকাশ ঃ (দিলো তো ভালো মুড টা খারাপ করে। ওদের এসব নেকামি দেখে ঘা টা জ্বলে যাচ্ছে।) রিয়াদ আমি বরং গাড়ি টা বের করি তুমি ওদের নিয়ে এসো। বাড়ি যেতে হবে তো।

রিয়াদ ঃ ঠিক আছে আপনি গাড়ি বের করেন আমি আপু আর রিয়া কে নিয়ে আসতেছি।

আকাশ বেরিয়ে গেলো।

রিয়াঃ আপু আপনি আসতে আসতে উঠুন আমাকে ধরে।

তানিয়া আপুঃ আরে না আমি একাই পারবো।

রিয়াঃ আপু ডাক্তার বলেছে আপনাকে সাবধানে চলতে। যদি একটু এদিক থেকে ঐ দিক হয় তাহলে বাবুর ক্ষতি হবে।তাই বলছি আমাকে ধরে উঠবেন বেস।

তানিয়া আপুঃ ঠিক আছে আমার পিচ্ছি বুড়ি।+😊😊 রিয়াঃ (😊😊)

রিয়াদ ঃ আমারা গাড়ির সামনে চলে এলাম।ঠিক তখনি আমার মনে পরলো ডিভর্সের পেপার টা রিয়া দের বাড়িতে ফেলে এসেছি।।যদি কেউ দেখে নেয় তাহলে তো সর্বনাশ হয়ে যাবে।আমার এখনি যেয়ে পেপার টা নিয়ে আসতে হবে।

রিয়াদ ঃ রিয়া শুনো।

রিয়াঃ জ্বি বলেন।

রিয়াদ ' ঃ আমি তোমাদের বাড়িতে জরুরি একটা ফাইল রেখে এসেছি ভুলে।আমি ঐ ফাইল টা নিয়ে আসি। তুমি বরং আপুর সাথে বাড়িতে চলে যাও।

রিয়াঃ ঠিক আছে।

রিয়াদ ঃ আর শোনো।

রিয়াঃ বলেন।

রিয়াদ ঃ আমি আসা না পর্যন্ত আপুর সাথেই বসে থাকবে।

রিয়াঃ ঠিক আছে।

গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পরলাম রিয়া দের বাড়ির উদ্দেশ্যে।ডিভর্সের পেপার টা নিয়ে বাড়িতে চলে আসলাম।

রুমের ভেতর

রিয়াঃ আপনার হাতে ঐ টা কিসের কাগজ।

রিয়াদ ঃ (আমি তো এক প্রকার ভয় পেয়ে গেলাম(). না না,,, মানে প্রজেক্টের কাগজ।

রিয়াঃ(+ কাগজ টার কথা জিগ্যেস করতেই উনি কিরকম যেনো ভয় পেয়ে গেলেন,আমি ও তেমন একটা গুরুত্ব দিলাম না)ও আচ্ছা।অনেক রাত হয়েছে আসুন ঘুমিয়ে পরি।

রিয়াদ ঃ হুম।

সকাল বেলা,,,,

রিয়াদ ঃ ঘুম টা ভেঙ্গে গেলো কিছু একটা পরার শব্দে। ঘুম ঘুৃম চোখে তাকিয়ে দেখি ফুলের টপ টা পরে গেছে বাতাসের কারনে।অনেক বেলা হয়েছে সূর্যের আলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে। ঘড়ির দিকে তাকালাম ১১ টা বাজে। omg৷ আজ অনেক লেট হয়ে গেছে।রিয়া এখনো নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে।

রিয়া এই রিয়া জলদি উঠো।

রিয়াঃ উফ বিরক্ত করবেন না তো।একটু ঘুৃমাতে দিন। কাল সারা রাত ঘুমাতে দিয়েছেন আপনি।এখন ঘুমান তো।( উনাকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে)

রিয়াদ ঃ ঠিক আছে তুমি ঘুমালে ঘুমাও আমাকে তো ছারো।

রিয়াঃ আমি জানি আপনি উঠলে আমাকে ও জোর করে উঠাবেন।তাই আমি আপনাকে ছারছি না।

রিয়াদ ঃ তুমি উঠবে না সিউর তো।

রিয়াঃ হে আমি উঠবো না ১০০% সিউর।( বলতে দেরি হলে ও চিমটি দিতে দেরি হলো না।উনি আমার পেটে খুব জোরেই চিমটি দিলেন।আমি লাফ দিয়ে বিছানা থেকে উঠলাম)

রিয়াঃ আউচ,,,,(😡)

রিয়াদ ঃ এখন তো ঠিকি উঠলে।আসলে তোমরা মেয়েরা না সহজ কথা বুঝো না।

রিয়াঃ তাই বলে এমন ভাবে চিমটি দিবেন।দেখেন তো চিমটি দেওয়ার জায়গা টা কি রকম লাল হয়ে গেছে(😞😞)

রিয়াদ ঃ আচ্ছা ঠিক আছে আদর করে দিলাম। এবার ফ্রেস হয়ে এসো? ( চিমটি দেওয়া জায়গা টায় চুমু দিয়ে,)

রিয়াঃ না আমি যাবো না(😡😡😡)

রিয়াদ ঃ তুমি যাবে নাকি আমি কোলে করে নিয়ে যাবো।

রিয়াঃ না না আমিই যাচ্ছি। এই বলে ওয়াস রুমে দৌড় দিলাম। একটু পর ওয়াস রুম থেকে রেডি হয়ে বেরিয়ে এলাম।বেরিয়ে দেখি উনি ও রেডি হয়ে গেছে।

রিয়াঃ আচ্ছা আমরা সবাই যদি চলে যাই তাহলে আপু কে কে দেখবে।আমি থেকে যাই না আপুর সাথে।

রিয়াদ ঃ কোনো ধরকার নেই।আমি আকাশ ভাইয়া কে বলে দিয়েছি আজ থেকে উনি অফিসে যাবেন না।আকাশ ভাইয়াই আপুর দেখা শুনা করবে।তাছাড়া তুমি নিজেই তো নিজের খেয়াল রাখতে পারো না আপুর কি খেয়াল রাখবে।

রিয়াঃ আপনি এরকম রা বলতে পারলেন।(😞😞😞)

রিয়াদ ঃ এতো কথা না বলে তারা তারি বের হও।কয়টা বেজেছে দেখেছো।

রিয়াঃ ঘরির দিকে তাকালাম। সত্যিই তো অনেক লেট হয়ে গেছে।আর কথা বারালাম না বেরিয়ে পরলাম দুজন।আসার সময় আপু কে দেখে আসলাম।।

রিয়াদ ঃ রিয়া তুমি অফিসের ভেতরে যাও। আমি গাড়ি টা পার্ক করে আসতেছি।

রিয়াঃ ঠিক আছে।অফিসের ভেতর চলে আসলাম।এসেই তমার সাথে দেখা।ও এসেই আমাকে জরিয়ে ধরলো।

তমাঃ এতো দিন পর অফিসের কথা মনে পরলো।অফিসের মধ্যে একটি মানুষ যে তোমায় মিস করে এটা যানো না।

রিয়াঃ হুম যানি তো। আমি ও তো তাকে অনেক মিস করেছি।সত্যি তোমাকে আমি অনেক অনেক মিস করেছি।

তমাঃ হুম বুঝেছি।তো বাবার বাড়ি তে দিন গুলো কেমন কাটলো।

রিয়াঃ খুব ভালো। তোমাকে ধন্যবাদ।

তমাঃ কেনো?

রিয়াঃ ঐ দিন বললে না বাবা আমাকে মেনে নেবে।ঠিক ঐ দিনই তো মেনে নিলো তাই(😊😊)।

তমাঃ তুমি কি যানো অফিসের সবাই বলাবলি করছে তোমার আর স্যারের মধ্যে কিছু চলছে।

রিয়াঃ সবাই এসব বলছে কেনো।

তমাঃ তুমি যেদিন অফিসে আসো না সেদিন স্যার ও তো আসে না।তাছাড়া তুমি যে প্রতি দিন স্যারের গাড়ি দিয়ে অফিসে আসো সেটা অনেকেই দেখেছে।

রিয়াঃ ও দেখলে দেখুক আমরা তো স্বামী স্তী তাই না।

রিয়াঃ হুম।আমি একটা কথা বলি।

রিয়াঃ হে বলো।

তমাঃ আমার মনে হয় এবার তোমাদের সবাই কে বলে দেওয়া উচিত যে তোমরা দুজন স্বামী স্তী।

রিয়াঃ হে বলবো।আরো কিছু দিন যাক তারপর।

তমাঃ ঠিক আছে।আর শুনো।আমাকে একটা কাজ করে দিবে।

রিয়াঃ হে বলো কি কাজ।

তমাঃ এই ফাইল টা আকাশ স্যার কে দিয়ে সাইন করিয়ে আনবে প্লিজ।

রিয়াঃ আকাশ স্যার তো আজ আসবে না।

তমাঃ কেনো?

রিয়াঃ তোমাকে তো একটা কথা বলতেই ভুলে গেছি।আমি মামি হবো(😊😊)

তমাঃ মানে তানিয়া আপু পেগনেন্ট।

রিয়াঃ হুম.সেই জন্যই তো আজ আকাশ ভাইয়া আসবে না।

তমাঃ তাহলে তো এবার তোমার সিরিয়াল।

রিয়াঃ আমার সিরিয়াল মানে?

তমাঃ তানিয়া আপুর তো বাবু হবে।তোমার টা কবে হবে।

রিয়াঃ ( ওর কথায় কিছুটা লজ্জা পেলাম)

তমাঃ আমার কাছে লজ্জার কি আছে।আমি তোমার ফ্রেন্ড তাই না(😆😆)

রিয়াঃ খুব তারা তারিই হবে।(🙈🙈🙈)

তমাঃ ওমা তাই নাকি।

রিয়াঃ হুম।আমি এখন যাই পরে কথা বলবো।চলে আসলাম নিজের কেবিনে।

তমাঃ লজ্জা পেয়েছে বদ হয়।(😆😆😆)

বিয়াঃ উফ সব জায়গায় সুধু আমিই কেনো লজ্জা পাই বুঝি না।উনি ও তো বিয়ে করেছেন। কিন্তু উনি তো লজ্জা পান না।

বসে বসে কাজ করছি এমন সময় ফোন টা বেজে উঠলো।

রিয়াঃ হ্যালো।

রিয়াদ ঃ আমার কেবিনে আসো।

রিয়াঃ ঠিক আছে আসতেছি।চলে গেলাম তার কেবিনে।

হে বলিন কি বলার জন্য ডেকেছেন।

রিয়াদ ঃ ও হে যে জন্য তোমাকে ডেকেছি।তুমি আমার জন্য,,,,,,

বাকিটা বলতে পারলো না। তার আগেই কে যেনো দরজা নোক করলো।পিছনে তাকিয়ে দেখি রিমি আপু।

রিমিঃ স্যার আসবো।

রিয়াদ ঃ হে আসো।

রিমি আপুঃ আকাশ স্যার তো নেই তাই এই ফাইল গুলো তে আপনার সিগনেচার লাগবে।( কিছু ফাইল দেখিয়ে।).

রিয়াদ ঃ ঠিক আছে দেও।

রিয়াঃ ( আমি যে এখানে দাড়িয়ে আছি এটা যেনো উনি ভুলেই গেছে।আমার তো খুব রাগ হচ্ছে। ()স্যার আপনি আমাকে কেনো ডেকেছেন দয়া করে বলবেন।(রাগি মুড নিয়ে)

রিয়াদ ঃ দেখতে পারছো না আমি কাজ করছি। তুমি বরং একটু পরে এসো।আমিই তোমাকে ডেকে নিবো।তুমি এখন তোমার কেবিনে যাও।

রিয়াঃ কিছু বললাম না।রেগে চলে আসলাম কেবিনে।কি পেয়েছে টা কি উনি।যখন যা ইচ্ছে তাই করবে।মন চাইলে ডাকবে আবার বের ও করে দিবে।রিমি আপু এসেছে বলে আমাকে বের করে দিলো কেবিন থেকে।আকাশ লুচু টার মতো উনি ও লুচু( কেবিনে বসে একা একা বক বক করছিলাম।ঠিক ঐ সময় আবার উনি ফোন দিলেন।এমনি তো রেগে আছি। তারওপর ফোন দিয়েছে)

ফোন টা রিসিব করলাম।

রিয়াঃ কি হয়েছে ফোন করেছেন কেনো(।রাগি গলায়)

রিয়াদ ঃ আমার জন্য একটা কফি নিয়ে এসো।

রিয়াঃ একবার তো ডেকে নিয়ে বের করে দিলেন। এখন আবার কেনো ডাকছেন।আমি আসতে পারবো না।😡😡😡

রিয়াদঃ বুঝতে পেরেছি তুমি রাগ করেছো।আসলে তখন রিমি কেবিনে চলে আসলো তাই তোমাকে চলে যেতে বলেছিলাম।প্লিজ রাগ না করে এখন কফি টা নিয়ে আমার কেবিনে আসো।

ফোন টা রেখে দিলাম

রিয়াঃ কি পেয়েছে কি টা উনি একবার বের করে দিয়ে এখন আবার কফি নিয়ে যেতে বলছে।আমি তার চাকর নাকি।দারান আজ আপনাকে এমন কফি খাওয়া যা আপনি জীবনে ও ও ভুলতে পারবেন না।( মাথায় একটা দুষ্টু বুদ্ধি এলো)

যেই ভাবা সেই কাজ চলে গেলা অফিসের কিচেনে।উনার জন্য খুব সুন্দর করে কফি বানালা।সুধু চিনির জায়গায় অনেক গুলা মরিচের গুরা দিলাম( 😊😊😊)আমাকে অপমান করা।নিন এবার বুঝুন মজা।

উনার কেবিনে চলে আসলাম।

রিয়াঃ নিন আপনার কফি(😊😊)

রিয়াদঃ ধন্যবাদ। তুমি কি এখনো রাগ করে আছো আমার উপর।

রিয়াঃ আরে না আমি কি আপনার উপর রাগ করতে পারি।নিন কফি টা তারা তারি খেয়ে নিন না হলে কফিটা ঠান্ডা হয়ে যাবে।(😊😊😊)

রিয়াদ ঃ বাহ আজ এতো ভালোবাসা আমার উপর আসলো কোথা থেকে।

রিয়াঃ জাহান্নাম থেকে এসেছে।এতো কথা না বলে তারা তারি খান তো কফি টা(😡😡😡)

রিয়াদ ঃ আমি একা একা খাবো নাকি।তুমি ও আমার সাথে খাও।

রিয়াঃ আরে না না।এটা সুধু আপনার জন্য স্পেশাল ভাবে বানিয়ে এনেছি।আপনি খান।

রিয়াদ ঃ ঠিক আছে বলে কফিতে এক চুমুক দিলাম।কফিতে চুমুক দিয়ে মনে হচ্ছে আমি কফি না মরিচ খাচ্ছি। আমার তো জ্বান বেরিয়ে আসার অবস্থা। আরেক চুমুক দিলে হয়তো আমি মরেই যাবো।এতো মরিচ কেউ দেয়।

রিয়ার দিকে তাকালাম ও মিটিমিটি হাসছে।

রিয়াঃ কফিতে এক চুমুক দিয়েই ওনার একি অবস্থা হয়েছে।পুরো বাংলার পাচের মতো মুখটা বানিয়েছে।উনার মুখ দেখে আমার খুব হাসি পাচ্ছে। এবার উনি বুঝবেন আমাকে অপমান করলে তার পরিনতি কি হয়(😊😊😊)

রিয়াদ ঃ তার মানে রিয়া এই কাজ টা করেছে।ঠিক আছে আমি ও কফি টা না রেখে খেতে লাগলাম সব টা।

রিয়াঃ উনার চোখ মুখ পুরো লাল হয়ে গেছে।তবু ও উনি কফি খেয়েই যাচ্ছে। উনার চোখ দিয়ে পানি পরছে জ্বালের কারনে।উনি করছে টা কি।আমি উনাকে বাধা দিলাম।

রিয়াঃ আপনি কি করছেন এটা।এতো জ্বাল কেউ খায়।প্লিজ আর খাবেব না রেখে দিন।কিন্তু উনি আমার কোনো কথা শুনলেন না পুরো কফি টা খেয়েই মগ টা নিচে রাখলেন।উনার চোখ দুটো দিয়ে অনবরত পানি পরছে। মুখটা পুরো লাল হয়ে গেছে।

হঠাৎ করে উনি চেয়ার থেকে উঠে দারালেন আর আমার দিকে এগুতে লাগলেন।আমি তো খুব ভয় পেয়ে গেলাম।উনি কি এখন আমাকে মারবেন।

রিয়াঃ আপনি এরকম ভাবে আমার দিকে এগুচ্ছেন কেনো।( পিছনের দিকে যেতে যেতে) উনি কিছুই বলছেন না।সুধু আমার দিকে এগুচ্ছেন। আমার তো ভয়ে জান বেরিয়ে আসবে এমন অবস্থা। পিছাতে পিছাতে দেয়ালের সাথে আটকে গেলাম।আর পিছাতে পারলাম না।উনি এগুতে এগুতে আমার একদম কাছে চলে এলেন।এসে আমার গাল দুটো ধরলেন তার হাত দিয়ে।তারপরই হটাৎ করে তার ঠোঁট দুটো দিয়ে চেপে ধরলেন আমার ঠোঁট। অনেক জোরেই চেপে ধরেছেন আমাকে, যার কারনে আমি খুব বেথা পাচ্ছি। নিজে কে ছাড়ানোর অনেক চেষ্টা করলাম।কিন্তু তার শক্তি সাথে পেরে উঠলাম না।ঠিক কতো খন এমন ভাবে ছিলাম বলতে পারবো।কিছুখন পর বুঝতে পারলাম উনি আমাকে হালকা ভাবে ধরেছেন। এই সুযোগে আমি তাকে ধাক্কা দিয়ে দূরে সরিয়ে দিলাম।আমি হাপাচ্ছি, ঠোঁট দুটো খুব জ্বালা করছে।মনে হচ্ছে আমিই মরিচের গুরো গুলো খেয়েছি।উনার থেকে একটু দূরে সরে দারালাম।

রিয়াঃ আপনি কি মানুষ।একটি মানুষ কখনো এমন করতে পারে।সব সময়ই কি সব কিছু জোর করে করতে হবে।আরো অনেক কথা শুনালাম।কিন্তু উনি কথা বললেন না সোজা নিজের চেয়ারের দিকে এগুতে লাগলেন।উনার ঠোঁট দুটো ও অনেক টা লাল হয়ে আছে।আর চোখ দুটো তো একে বারে ঘারো লাল দেখাচ্ছে।

আমি রাগ দেখিয়ে কেবিন থেকে বেরিয়ে আসতে নিলাম। তখনি কিছু একটা পরে যাওয়ার শব্দ শুনলাম।সাথে সাথে পিছনে তাকালাম।পিছনে তাকিয়ে আমি যা দেখলাম তাতে তো আমার হাত পা কাপছে।উনি ধপ করে চেয়ারে বসে পরলেন।ওনার পুরো শরীর দিয়ে ঘাম বেয়ে পরতেছে,পুরো শরীর কেমন যেনো লাল রংয়ের দেখাচ্ছে।ফ্লোরের মধ্যে একটি গ্লাস ভেঙ্গে পরে আছে।আমি দৌড়ে উনার কাছে গেলাম।উনি সুধু ছটপট করছেন।

উনার এমন অবস্থা দেখে আমি খুব ভয় পেয়ে গেলাম।

চলবে।।।।।।।।

রোমান্টিক_অত্যাচার

part_20

উনার এমন অবস্থা দেখে আমি খুব ভয় পেয়ে গেলাম।আমি উনার হাত টা ধরে বলতে লাগলাম।।

রিয়াঃ আপনার কি হয়েছে আপনি এমন করছেন কেনো।?(…😭😭😭)

রিয়াদ ঃ জ্বাল,,,,,,,,,

রিয়াঃ হে জ্বাল কি হয়েছে।উনার নিশ্বাস নিতে খুব কষ্ট হচ্ছে আমি সেটা খুব ভালো করেই বুঝতে পারছি।উনি ঠিক মতো কথা ও বলতে পারছেন না।আমার তো ভয়ে হাত পা কাপছে।এখন কি করি উনাকে নিয়ে।বিপদের মধ্যে মাথায় কিছুই আসতেছে না।এদিকে উনার ছটপটানি ও বেরে গেছে।

হঠাৎ করে তানিয়া আপুর বলা কথা টা মনে পরে গেলো।তানিয়া আপু সেদিন বলেছিলো উনাদের পার্সনাল ডাক্তার আছে।তারা কেউ অসুস্থ হলে ঐ ডাক্তার কেই খবর দেয়।তাহলে নিশ্চয়ই উনার মোবাইলে ডাক্তারের নামবার থাকবে।

উনার পকেট থেকে মোবাইল টা বের করে ডাক্তার খুজে ফোন দিলাম।ফোন দিয়ে অফিসে আসতে বললাম।এদিকে উনি সুধু ছটপট করতেছে।পুরো শরীর লাল হয়ে গেছে।আমি উনার শার্ট টা খুলে বাতাস করতে লাগলাম। ফুল পাওয়ারে এসি চলছে, তবু ও উনি খুব ঘামতেছেন,তা দেখে আমি কান্না করে দিলাম।একটু পর ডাক্তার আসলো। ডাক্তার উনাকে দেখছে।

ডাক্তার।ঃ আপনি উনার কি হন।

রিয়াঃ ঃ ( কিছু না ভেবেই বলে দিলাম) আমি উনার ওয়াইফ।

ডাক্তারঃ আপনি কি যানতেন উনার জ্বালে এলার্জি আছে।

রিয়াঃ না তো।

ডাক্তার ঃ অতিরিক্ত জ্বাল খাওয়ার কারনে উনার এরকম টা হয়েছে।আপনি ঠিক সময়ে আমাকে ডেকেছেন। তাই কিছু হয় নি।আগের বার এরকম টা যখন হয়েছিলো তখন হসপিটালে নিতে হয়েছিলো।আমি উনাকে ঔষধ দিয়ে দিয়েছি। চিন্তার কোনো কারন নেই। ঠিক মতো বিশ্রাম নিলেই উনি ঠিক হয়ে যাবে।আর একটা কোথা সব সময় খেয়াল রাখবেন উনি জ্বাল যেনো না খায়।আমি আজ চলি।

রিয়াঃ ঠিক আছে।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

ডাক্তার চলে গেলো।আমি সোফায় বসে আছি আর উনি আমার কোলে মাথা দিয়ে সুয়ে আছে।আমি উনার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি আর ভাবছি আজ যা কিছু হলো সবটাই আমার জন্য।আমার জন্য উনি কষ্ট পেলেন।কেনো যে তখন কফিতে মরিচের গুরো মিশাতে গেলাম(😞😞)

৩০ মিনিট পর

রিয়াঃ আমি উনার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি।ঐ সময় উনি চোখ খুলেন। আমি উনাকে জিগ্যেস করলাম এখন কেমন লাগছে।

রিয়াদ ঃ ভালো।বলেই উঠতে চাইলাম।

রিয়াঃএই একদম উঠবেন না।এখানেই শুয়ে থাকুন।ডাক্তার বলেছে আপনাকে বিশ্রাম নিতে।

রিয়াদ ঃ এখন শুয়ে থাকলে কি চলবে।আমার অনেক কাজ আছে। সরো প্লিজ।তাছাড়া অফিসের কোনো স্টাফ যদি দেখে ফেললে তোমারি সমস্যা। তুমি তো চাও না কেউ আমাদের বিয়ের ব্যাপারে জানুক।

রিয়াঃ একটা কথা ও বলবেন না বলে দিলাম।আর আমার কথা আপনার ভাবতে হবে না।চুপ চাপ শুয়ে থাকুন।একটা কথা বলুন তো আপনি কি পাগল? ( রাগি মুড নিয়ে)

রিয়াদ ঃ আমি পাগল হতে যাবো কেনো।

রিয়াঃ আপনি যদি পাগল না হন তাহলে জ্বালে যে আপনার এলার্জি এটা যেনো ও কফি পুরো টা কেনো খেলেন।

রিয়াদ ঃ আমি তো ভেবেছিলাম আমার জন্য মিস্টি রেডি তাই এতো টা জ্বাল খেয়েছি।( ওর ঠোঁট গুলোর দিকে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে()

রিয়াঃ( উনার কথা শুনে কিছু টা লজ্জা পেলাম() আপনি আসলেই পাগল।আপনার এই অবস্থার জন্য আপনি নিজেই দায়িই।

রিয়াদ ঃ আমি কেনো দায়িই হবো।তুমিই তো আমাকে মরিচের গুরো দিয়ে কফি টা খাওয়ালে।আবার মিস্টি টা ও ঠিক ভাবে খেতে দিলে না।ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলে।তখন যদি মিস্টি টা ঠিক ভাবে খেতে দিতে তাহলে আমার কি এরকম টা হতো।

রিয়াঃ ও এখন সব দোষ আমার।আমি কি যানতাম নাকি জ্বালে আপনার এলার্জি আছে।তাছাড়া আপনি সব সময় আমাকে এরকম ভাবে কিস কেনো করেন।যত্যসব(😡😡😡)

রিয়াদঃ কেমন স্ত্রী তুমি যে স্বামীর কিসে এলার্জী হয় এটা ও যানো না।

রিয়াঃ কিছু বলতে যাবো তার আগেই কে যেনো কেবিনের দরজা টা নোক করলো।আমি তো ঘাবরে গেলাম।কেউ যদি আমাদের এরকম অবস্থায় দেখে ফেলে তাহলে কি ভাববে।যদি ও বা আমরা স্বামী স্ত্রী। তবু ও আমাদের বেপারে তো কেউ এখন পর্যন্ত কিছু যানে না।উনার মাথা টা কোল থেকে নামিয়ে উঠে দারাতে নিলাম।কিন্তু উনি দারাতে দিলেন না।

রিমিঃ আকাশ স্যার না থাকাতে আমার জন্য অনেক টা ভালোই হয়েছে।তাই তো এখন রিয়াদ স্যারের সাথে সময় কাটাতে পারি।(😊😊😊)অবশ্য রিয়াদ স্যার কে একদিন না একদিন নিজের করেই নিবো যে করেই হক না কেনো।তখন তো সারা জীবনই তার সাথে সময় কাটাতে পারবো(😊😊😊) এসব ভাবতে ভাবতে রিয়াদ স্যারের কেবিনের দিকে যাচ্ছি। মন টা খুব ভালো আজ কে।কেবিনের মধ্যে ঢুকে গেলাম।ঢুকে যা দেখতে পেলাম তাতে আমার হাসি খুশি মুখ টা নিমিশেই শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেলো।

রিয়াদ স্যার রিয়ার কোলে মাথা দিয়ে শুয়ে আছে।উনার শার্টের বোতাম গুলো ও সব খোলা।রিয়া ওর হাত দিয়ে রিয়াদ স্যারের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।আমার তো রাগে পুরো শরীর জ্বলছে।নিজে কে আর আটকে রাখতে পারলাম না।খুব জোরেই বলে ফেললাম।

রিমিঃ এখানে এসব কি হচ্ছে? (😡😡😡)

রিয়াদ ঃ ও রিমি তুমি কখন এলে।আর এসবের কথা বলছো।আসলে একটু আগে হঠাৎ করে মাথা টা ঘুরে গিয়েছিলো তাই শুয়ে আছি।

রিয়াঃ ( কি ঢং করছে এখন।মনে হচ্ছে উনি যানেনি না যে রিমি মেডাম যে এসেছে।বলতেই হবে উনি কিছু পারুক আর না পারুক অভিনয় টা খুব ভালো পারে)(😡😡😡)

রিমিঃ মাথা টা ঘুরছিলো মানে।এখন কেমন লাগছে ( উনার মাথার কাছে যেয়ে, মাথায় হাত বুলিয়ে।)

রিয়াদ ঃ আগের চেয়ে বেটার।

রিমিঃ ও।রিয়া তুমি এখানে কি করছো।তোমার কি কোনো কাজ নেই।(😡😡)

রিয়াঃ না আসলে স্যার যখণ অসুস্থ হয়ে পরলো তখন স্যার একা ছিলো।তাই স্যারের সাথে এতো খন ছিলাম।

রিমিঃ ও আচ্ছা। এখন তুমি তোমার কেবিনে যেতে পারো। আমি স্যার কে দেখছি।

রিয়াঃ ( উনাকে দেখবে মানে কি।আমার বর আমি দেখবো।যেই কিছু বলতে যাবো তার আগেই আমার বর টা বলল()

রিয়াদঃ রিমি তুমি বরং তোমার কেবিনে যাও।রিয়া আমার পাশে থাকুক।

রিমিঃ আমি কেনো যাবো স্যার ও যাক না। ওর তো কাজ আছে।তাছাড়া ও ছোট মানুষ আপনার ঠিক মতো খেয়াল রাখতে পারবে না।

রিয়াদ ঃ দেখ রিমি আকাশ ভাইয়া যেহেতু অফিসে নেই।তাই উনার পরিবর্তে তোমাকেই সব কিছু সামলে রাখতে হবে।আর তুমি রিয়ার কাজের কথা বলছো তো।ও তো এখন ওর কাজই করছে।তাছাড়া তুমি ওকে যত টা ছোট ভাবছো ও কিন্তু ততটা ছোট না।ঠিক বলছি না রিয়া।( বলেই রিয়া কে চোখ টিপ মারলাম)😊😊

রিয়াঃ আমি উনার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকালাম।

রিমিঃ ওদের কাজ গুলো দেখে আমার তো রাগ চরম পর্যায় উঠে গেলো।স্যার যে ওকে চোখ টিপ দিলো এটা ও দেখলাম।(😡😡😡)

রিয়াদ ঃ তুমি কি কোনো কাজের জন্য এখানে এসেছিলে।

রিমিঃ না(😡😡😡)

রিয়াদ ঃ তাহলে এখন তুমি যেতো পারো।

রিমি ঃ চলে এলাম।ওদের দুজনের প্রতি আমার অনেক আগেই সন্দেহ ছিলো।আজ তো পুরো সিউর হলাম ওদের দুজনের মধ্যে কিছু একটা চলছে।সব দোষ ঐ রিয়ার। কয়েক দিন ধরে এসেই স্যার কে পটিয়ে ফেলল।আমার কাছ থেকে স্যার কে কেরে নিতে চাচ্ছে। আর চুপ করে থাকলে চলবে না ওর একটা বেবস্থা করতেই হবে।

এদিকে

রিয়াঃতখন আমি উঠে যেতে চাইলাম কিন্তু আপনি উঠে যেতে দিলেন না কেনো।আপনার জন্য সব সময় আমি কেনো লজ্জায় পরবো।( 😡😡😡)

রিয়াদ ঃ তুমিই তো তখন বললে আমার রেস্টের প্রয়োজন।আমি যখন উঠতে চেয়েছিলাম তখন তুমি উঠতে দিয়েছিলে। তাই আমি ও তোমাকে উঠতে দেই নি হিসাব বরাবর।(😊😊😊)

রিয়াঃ 😡😡😡😡

সন্ধাহ সময়

রিয়াঃ এখন আপনার কেমন লাগছে।বাড়িতে যেতে পারবেন তো।আমি কি রহিম কে ফোন করে এখানে আসতে বলবো।

রিয়াদ ঃ যেতে পারবো না কেনো অবশ্যই পারবো।আমি তো সেই কখন ভালো হয়ে গেছি।সুধু মাএ তোমার কোলে শুয়ে থাকবো বলে উঠি নি (😊😊😊)

রিয়াঃ ?তার মানে আপনি এতো খন অভিনয় করছিলেন।সুধু সুধু আমার পা দুটো বেথা করলাম।আগে যদি যানতাম না আপনি অভিনয় করতেছেন তাহলে আপনাকে লাথি মেরে নিচে ফেলে দিতাম(😡😡😡)

রিয়াদ ঃ কি বললে। তুমি আমাকে লাথি মারতে পারবে?( রাগি মুড নিয়ে)

রিয়াঃ( ওপস আমি বলতে বলতে এটা কি বলে ফেললাম)সরি আমি ভুল করে বলে ফেলেছি।আসলে আমার যখন রাগ উঠে তখন কাকে কি বলছি মনে থাকে না।আমাকে মাফ করে দিন।😞😞

রিয়াদ ঃ ঠিক আছে এবারের মতো মাফ করলাম।চলো এখন বাড়ি যাওয়া যাক।( ছোফা থেকে উঠতে উঠতে)

রিয়াঃ এই দারান দারান দারান। সত্যি করে বলুন তো আপনি এখন পুরো পুরি সুস্থ কিনা।আমার কিন্তু ভয় করছে।সত্যি করে বলুন।আপনি চাইলে আজ রাতে আমরা অফিসেই থাকতে পারি।

রিয়াদ' ঃ(এখন এই মেয়ে টা কে কি করে বুঝাই) তোমার বিশ্বাস হচ্ছে না তো।

রিয়াঃ না সন্দেহ হচ্ছে।

রিয়াদ ঃ ঠিক আছে বিশ্বাস করতে হবে না। এই বলে ওকে কোলে তুলে নিলাম।এবার বিশ্বাস হয়েছে তো।

রিয়াঃ এই কি করছেন আমি তো পরে যাবো। আমাকে নামান প্লিজ। হে আমি বিশ্বাস করেছি আপনি পুরো পুরি সুস্থ।

রিয়াদ ঃ এতো খনে বুঝলে তাহলে।চলো বাসায় যাওয়া যাক।

রিয়াঃ হুম😞😞😞

গাড়িতে দুজন উঠলাম।

রিয়াদঃ দুপুরে তো কিছু খাওনি বদ হয়।

রিয়াঃ হুম।আপনি ও তো খাননি।

রিয়াদ ঃ তাহলে চলো রেস্টুরেন্টে যেয়ে ডিনার টা করে নি।

রিয়াঃ ধরকার নেই এখন তো বাড়িতেই যাচ্ছি। সুধু টাকা নষ্ট করে লাভ কি।

রিয়াদ ঃ তোমাকে টাকার চিন্তা করতে বলেছি কি।

রিয়াঃ তবু ও কোনো ধরকার নেই।আপনি বাড়িতে চলুন।

রিয়াদ ঃ ঠিক আছে।

দুজনে বাড়িতে চলে আসলাম।

রিয়াঃ চলুন তানিয়া আপুর সাথে দেখা করে আসি।তারপর না হয় ডিনার করবো।

রিয়াদ ঃ হে চলো।

তারপর দুজনে তানিয়া আপুর রুমে চলে গেলাম।

রিয়াদ ঃ আপু আসবো?

তানিয়া আপুঃ তোদের কত বার বলবো আমার ঘরে আসতে অনুমতি নেওয়ার ধরকার নেই।সোজা চলে আসবি।

রিয়াদ ঃ হুম( ঘরে ঢুকতে ঢুকতে)

রিয়াঃ তানিয়া আপুর রুমে ঢুকে দেখি উনি বিছানায় সুয়ে আছে।আর উনার বিছানার কোনে আকাশ লুচু টা লুঙ্গি পরে কিছু একটা পরিষ্কার করছে।

রিয়াদ ঃ আপু তুমি কেমন আছো।কোনো প্রবলেম হয়নি তো।

(আপনারা যদি গল্পটা আগে আগে পড়তে চাইলে আমার আইডিতে যান, আরো কয়েকটি পর্ব বেশি পোস্ট করা আছে, সময়ের কারনে গ্রুপে করতে একটু দেরি হয়) তানিয়া আপুঃ আমি খুব ভালো আছি।তোর দুলাভাই তো আমাকে বিছানা থেকেই উঠতে দিচ্ছে না।আজ সারা টা দিন আমাকে ছোট বাচ্চাদের মত দেখা শুনা করেছে।যানিস ও আমাকে আজ লান্চ টা পর্যন্ত নিজ হাত দিয়ে করিয়ে দিয়েছে।

রিয়াঃ বাহ বাহ লুচু টা এক দিনেই এতো ভালো হয়ে গেলো।ভালো হবেই না বা কেনো লুচু টা তো বাবা হতে চলেছে।

রিয়াদ ঃ আকাশ ভাইয়া আপনি নিচে বসে এগুলো কি করছেন।

তানিয়া আপুঃ আর বলিস না ভাই ও আমাকে একটু আগে খাইয়ে দিচ্ছিলো। তখনি আমার বমি এসে পরে আর আমি বমি করে দেই।বমি ওর শার্ট পেন্টের উপরে ও পরেছে । এগুলোই পরিষ্কার করছে।

রিয়াঃ তারমানে লুচু টা এতোখন যাবত বমি পরিষ্কার করছিলো লুঙ্গি পরে।লুচু টার এমন অবস্থা দেখে আমার খুব হাসি পাচ্ছে।😹😹😹

তবু ও নিজেকে অনেক কষ্টে সামলালাম।

এগুলো সব লুচু গিরি করার শাস্তি (😆😆😆)লুচু টা কোনো কথা বলছে না।সুধু মাথা নিচু করে কাজ করে যাচ্ছে। (😹😹)

রিয়াদ ঃ আকাশ ভাইয়া এগুলো কেনো পরিষ্কার করবে।রহিম কে ডেকে দিলেই তো ও পরিষ্কার করে দিয়ে যেতো।

তানিয়া আপুঃ ওর শরীর টা ভালো নেই তাই আজ আসেনি।

রিয়াদ ঃ তাই বলো।

তানিয়া আপুঃ তকে তো একটা কথা জিগ্যেস করতেই ভুলে গেছি।দুপুরে ডাক্তার আংকেল বলল তর শরীর টা নাকি খারাপ হয়ে গেছিলো।কি হয়েছিলো রে ভাই তর( অনেক টা চিন্তিত হয়ে)

রিয়াদ ঃ আরে আপু তুমি সুধু সুধু চিন্তিত হচ্ছো কেনো।আমি তো মিস্টি খেতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পরেছিলাম।

তানিয়া আপুঃ মিস্টি খেতে গিয়ে অসুস্থ হয়েছিস মানে?( অনেক টা অবাক হয়ে)

রিয়াঃ তার কথা শুনে তো আমি পুরো অবাক।সব জায়গায় আমার ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলে এখন আপুর সামনে ও আমার ইজ্জতের ফালুূদা করতে চাইছে।উনাকে এখনি থামাতে হবে। নাহলে আমার ইজ্জত শেষ।

রিয়াদ ঃ রিয়া কে কিস,,,,,,,,, ,

রিয়াঃ উনাকে আর কিছু বলতে দিলাম না।তার আগেই মুখটা চেপে ধরলাম।

তানিয়া আপুঃ রিয়া কে কি,ভালো করে বল।।

রিয়াঃ আপু তেমন কিছু না।আপনার ভাই বলতে চাইছেন উনি মিস্টি খেতে গিয়ে ভুলে জ্বাল খেয়ে ফেলেছেন। তাই না( উনার দিকে রাগি চোখে তাকিয়ে,দেখলাম উনি কিছু বলছেন না।তাই দিলাম চিমটি।এবার মাথা নাড়িয়ে হে বলল।)

রিয়াঃ আপু আমারা বরং এখন রুমে যাই। আপনি রেস্ট নিন।( এখনো উনার মুখ চেপে ধরে আছি)

তানিয়া আপুঃ ঠিক আছে।

উনাকে টেনে ঘরে নিয়ে আসলাম।

রিয়াঃ আপুর সামনে এগুলো কি বলতে চেয়েছিলেন( চোখ রাঙ্গিয়ে)

রিয়াদ ঃ যা ঘটেছিলো তাই বলতে চেয়েছিলাম।

রিয়াঃ এসব কথা কেউ বড় আপু কে বলে নাকি গাধা।

রিয়াদ ঃ যাহ বাবা সত্যি কথা ও কি তাহলে বলা যাবে না।

রিয়াঃ না বলবেন না।অসহ্য, নির্লজ্জ একাটা লোক।ওয়াস রুমে চলে গেলাম।

রিয়াদ ঃ 😆😆😆

ডিনার করার পর দুজনে রুমে বসে আছি।

রিয়াঃ তানিয়া আপু তো চলে যাবে তাই না।

রিয়াদ ঃ হুম।

রিয়াঃ তানিয়া আপু চলে গেলে আপনি তো অনেক কষ্ট পাবেন।তবু ও কেনো আপু কে মালোশিয়া তে পাঠাবেন।

রিয়াদ ঃ;কি করবো বলো,ঐ খানে ও তো কাউকে ধরকার কাজ গুলো সামলানোর জন্য।

2
$
User's avatar
@Mdemon456 posted 4 years ago

Comments