রাগি_স্যারের_রোমান্টিক অত্যাচার

লেখিকা_Smily_Queen

Part:1

মারিহা:Good morningআম্মু।(গল্পের নায়িকা।)

মালিহা বেগম:Good morning.(নায়িকার মা।)

মারিহা:আব্বু কোথায় আম্মু?

মালিহা বেগম:অফিসে নাকি জরুরি একটা কাজ পড়ে গেছে।তাই আজকের একটু তাড়াতাড়ি চলে গেছেন।কিন্তু তুই এতো তারাতারি ঘুম থেকে উঠলি কিভাবে!!!

মারিহা:আসলে আম্মু আজকের নাকি আমাদের কলেজে একজন নতুন টিচার আসবে।প্রধান শিক্ষক বলছে উনি নাকি খুবই রাগি।যদি আমার সাথে রাগ দেখায় তাহলে ওই রাগি গেরিলার চুল ছিঁড়ে হাতে দিয়া দিমু।

মালিহা বেগম:অবশেষে মনে হয় তোকে ঠিক করার জন্য আল্লাহ্ই উনাকে পাঠিয়েছেন।

মারিহা:আম্মু তুমিও শুরু করলা??

মালিহা বেগম:তাড়াতাড়ি খা।লে ইট হয়ে যাবে তো।

মারিহা:সত্যিই তো।অনেকটা লেইট হয়ে গেল।আমি বরং তাড়াতাড়ি নাস্তাটা সেরে ফেলি।

মালিহা বেগম:আরে আস্তে আস্তে খা।

মারিহা:মা আমি গেলাম।

মালিহা বেগম:একটু এদিকে আয়।কালো টিকা দিয়ে দেই।আজকের যে আমার মেয়েটাকে ভারি মিষ্টি লাগছে।

মারিহার গায়ের রং দুধে আলতা,চোখ দুটি টানা টানা ,ঠোঁট দুটি যেন গোলাপের পাপড়ি ,ঠোঁটের ডানদিকে একটা তিল।যা ওর সৌন্দর্য আরো বাড়িয়ে দেয়।আজকে একটা নীল গাউন পরেছে,সাথে নীল রঙের চুরি,চোখে গাড় করে কাজল,ঠোঁটে হাল্কা গোলাপি রঙের লিপস্টিক।দেখতে ছোট্ট একটা পুতুলের মতো লাগছে।এবার গল্পে ফিরে যাওয়া যাক।

মারিহা :তুমিও না মা।এখন আসি মা।বাই।

মালিহা বেগম:দেখেশুনে যাবি।

কলেজে মারিহা:Good morning all friends.

নীল:Good morning.

আকাশ:Good morning.

নীলা:Good morning.

মারিহা :কীরে,তোদের মুখ এমন শুকিয়ে আছে কেন?

নীল:আজ যেই নতুন টিচার আসছে সে হলো আশার আপন ভাই।বাকিটা আশার কাছ থেকে শুনে নে।

আশা হলো মারিহার বেস্ট ফ্রেন্ড।

মারিহা :আশা কি হয়েছে রে।তোর ভাই আসবে বলে এতো ভয় পাচ্ছিস কেন?আমি তো জানতাম তোর ভাই আমেরিকা থাকে??

আশা:ভাইয়া দুই দিন আগেই দেশে ফিরেছে আর এখানে জয়েন দিয়েছে।

মারিহা:তো এতে ভয় পাওয়ার কি আছে হাতির মাসি?

আশা:আমার ভাইকে তুই চিনিস না।আমার ভাই অল্পতেই খুব রেগে যান।একবার আমার ব্যাগে একটা লাভ লেটার পেয়েছিল।তারপর এমন একটা চড় দিয়েছিল আমার নাক থেকে রক্ত বের হয়ে আমি সেখানেই জ্ঞান হারায়।তার কয়েকদিন পর ভাইয়া আমেরিকা চলে যায় ।

মারিহা:আল্লাহ্ !!!নিজের বোনকে মেরে ডায়নোসরটা এই অবস্থা করছে তাহলে আমাকে তো মেরেই ফেলবে। (মনে মনে বললো)

চলবে

2
$
User's avatar
@Mdemon456 posted 4 years ago

Comments