গল্পপোকা_ধারাবাহিক_গল্পপ্রতিযোগীতা_সেপ্টেম্বর_২০২০
গল্প_তুমিও_কি_ফুল_হয়ে_ঝড়ে_যাবে?
লেখিকা_অন্তরা_ইসলাম
পর্ব-২
নিঝুম - কি করছিস? আমার হাত ছার।(শ্রাবণের কাছ থেকে হাত ছাড়িয়ে)
শ্রাবণ - না তোকে আমাকে কথা দিতে হবে।নাহলে আমার মরা মুখ দেখবি।(জোর করে হাত ধরে)
নিঝুম - (হাত ছাড়িয়ে জোরে একটা চড় দিলাম)
তুই কী পাগল হয়ে গেছিস?
শ্রাবণ - তুই আমাকে মারলি ঝুম!(গালে হাত দিয়ে কান্না মিশ্রিত কন্ঠে)
নিঝুম - সরি...শ্রাবণ।আমি তোকে মারতে চাই নি।কিন্তু তুই এমন কেন করলি বল তুই জানিস না তুই আমার কলিজা। আমি আর কখনো সিগারেট খাব না প্রমিজ।(শ্রাবণকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে - করতে)
শ্রাবণ - হয়েছে, আমার খিদা লাগছে। (চোখের জল মুছতে - মুছতে)
নিঝুম - ঠিক আছে, চল।
রাতে খেয়ে ঘুমিয়ে পরলাম।
সকালে আমার তারাতাড়ি ওঠার অভ্যাস।প্রতিদিন কফির মগ হাতে ছাদে দাড়িয়ে সূর্য দেখার মজাই আলাদা। তারপর ফুল গাছে জল দিয়ে দিনের সুন্দর একটা সূচনা করি।কিন্তু এখানে ফুল গাছ ও নেই আর আম্মু ছাদে ও যেতে নিষেধ করেছে। তাই এখন বেলকনিতে বসেই কফি খেলাম, আর ভাবছি বিকালে শ্রাবণকে সাথে নিয়ে ফুল গাছ কিনতে যাবো। আমার রুমের বেলকনিটা ভালোই বড় অনেক গুলো ফুল গাছের টব রাখা যাবে।কফির মগ রাখতে কিচেনের দিকে যাচ্ছি তখনই কলিং বেল বেজে উঠল...
নিঝুম - কাকে চাই? (সামনে দাঁড়ানো মহিলাকে জিজ্ঞেস করলাম)
মহিলা - আমি বীণা। চিটাগাং থেকে এসেছি,আপনি কী নিঝুম আফা?
নিঝুম - হ্যা, আমি নিঝুম। কিন্তু আপনাকে তো ঠিক চিনলাম না।
বীণা - আমাকে আপনার বাবা-মা পাঠিয়েছে।
নিঝুম - আচ্ছা, আপনি দাঁড়ান আমি আম্মুকে জিজ্ঞেস করছি।(আম্মুকে কল দিতে - দিতে বললাম)
মা - হ্যালো, নিঝুম। কেমন আছিস মা?
নিঝুম - ভালো আছি আম্মু। তুমি কেমন আছো?
মা - হ্যা ভালো আছি। তা এত সকালে কল দিয়েছিস কেন?
নিঝুম - আম্মু তুমি কি বীণা নামে কাউকে পাঠিয়েছো?
মা - হ্যা, রে তোরা দু'জন তো রান্না করতে পারিস না ও সব করে দেবে তোদের আর ঝামেলা পোহাতে হবে না।
নিঝুম - আচ্ছা, ঠিক আছে।( বলেই কল কেটে দিলাম)
বীণা - আফা ভিতরে আসমু?
নিঝুম - তোমার আইডি কার্ড আছে?
বীণা - এই নেন আফা।
নিঝুম - ঠিক আছে, ভিতরে আসো।এই দিকে রান্নাঘর, ওইটা তোমার থাকার ঘর।এখন যাও ফ্রেশ হয়ে নাস্তা বানাও আম...( নলার আগেই)
শ্রাবণ - কি রে কার সাথে কথা বলছিস?
নিঝুম - ও বীণা, আমাদের এখানে কাজ করবে।
শ্রাবণ - এত সকালে তুই কাজের লোক কোথায় পেলি? ( ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করল)
নিঝুম - আম্মু পাঠিয়েছে।
শ্রাবণ - ও তাই বল,আচ্ছা আমার জন্য কফি বানাও তো আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।
নিঝুম - একসাথে রেডি হয়ে নিস কলেজের জন্য বেড়োবো।
নাস্তা করে কলেজের জন্য গাড়ি নিয়ে বেরোলাম। কলেজে এসে ক্লাস খুঁজে পাচ্ছি না,তাই শ্রাবণ একটা ছেলেকে জিজ্ঞেস করল...
শ্রাবণ - এই যে ভাইয়া,এখানে ফাস্ট ইয়ারের ক্লাসটা কোন দিকে?
অগ্নি - এই যে মিস,এখানে কেউ কারো ভাইয়া হয় না বুঝলে।বায় দ্যা ওয়ে,আমি অগ্নি। ( শ্রাবণের দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে)
নিঝুম - নিজের হাতটাকে কন্ট্রোলে রাখুন আর একটা কথা মাইন্ডটাকে ফ্রেশ করুন তাহলে মনে হয় হাতটা এমনিতেই সুধরে যাবে। (শ্রাবণের হাত ধরে টেনে নিয়ে এলাম)
ওইদেখ নোটিশ বোর্ড ওখানে দেখে আয় শ্রাবণকে দেখিয়ে বললাম। তারপর ক্লাসে গিয়ে...
শ্রাবণ - হাই,আমি শ্রাবণী।তোমার নাম কী?
তমা - আমি তমা। তুমি কি এখানে নিউ?
শ্রাবণ - হুম,আর ও আমার বেস্টফেন্ড নিঝুম।
তমা - হাই,নিঝুম।
নিঝুম - হ্যালো, তমা।
ওইদিকে...
অর্ঘ্য - কি রে পানি আনতে এতোক্ষণ লাগে, আর কোন মেয়েকে পটাতে বললে তো সারাজীবন লাগবে। ( বলেই হাসতে লাগলো)
আকাশ - কাকে পটানোর কথা হচ্ছে?
ইশা - নিশ্চয়ই আমাকে।
অগ্নি মাথায় হাত দিয়ে বললো আল্লাহ বাঁচাও।
ইশা - কেন?
দ্বীপ - কারণ যে তোমাকে পটানোর কথা ভাববে সে নির্ঘাত পাবনা ফেরোত।
ইশা - কি হচ্ছে এগুলো, দ্বীপ?
আকাশ - কেন? তোমাকে পচানো, বুঝনা নাকি।
বলেই সবাই হাসতে লাগলো। আর ইশা রাগী লুকে দ্বীপের দিকে তাকিয়ে চলে গেল। তারপর অগ্নি একটু আগের ঘটনাটি দ্বীপকে বললো।
দ্বীপ - চিন্তা করিস না, একটু পরেই তো দেখা হচ্ছে তখনই নাম জেনে নিস এখন ক্লাসে চল।( বলেই সবাই ক্লাসে চলে গেল)
ওইদিকে...
শ্রাবণ, নিঝুম, তমা ও তার বান্ধবীদের সাথে পরিচয় করলো। তারপর ক্লাসে স্যার এসে পাঁচ মিনিটের একটা লেকচারে তার পরিচয় দিয়ে চলে গেলেন।এরপর একদল ছেলেমেয়ে ক্লাসে আসলো।
অর্ঘ্য - হাই, ফেন্ডস।আমরা তোমাদের সিনিয়র ব্যাচ।আমি অর্ঘ্য,ও ইশা,আকাশ, অগ্নি, আর ও দ...( কি রে দ্বীপ কোথায়? ফিসফিস করে জিজ্ঞেস করল আকাশকে)
শ্রাবণ - ওইটা দেওয়াল। আপনি মনে হয় দেখতে পাননি।( বলতেই সবাই হাসতে শুরু করল)
আকাশ - এই তোমার নাম কি? তুমি জানো না সিনিয়রদের সাথে কিভাবে কথা বলতে হয়?
শ্রাবণ - আমার নাম ইশরাত জাহান শ্রাবনী।আর আমি খ...
দ্বীপ - একটু বেশি কথা বলো, আমরা সেটা বুঝজে পারছি।( বলেই সবাই হাসতে লাগলো)
নিঝুম - আজ আর ক্লাস হবে না বাসায় চল।( বলেই শ্রাবণের হাত ধরে বেড়িয়ে এলাম)
অগ্নি - কি রে দ্বীপ কী দেখছিস?
অর্ঘ্য - মামা পরী দেখছে।
দ্বীপ -...
চলবে...
( সবাই প্লিজ বলবে কিন্তু কেমন হচ্ছে। আর ভুল গুলো ধরিয়ে দিবে প্লিজ)
গল্পপোকা_ধারাবাহিক_গল্পপ্রতিযোগীতা_সেপ্টেম্বর_২০২০
গল্প_তুমিও_কি_ফুল_হয়ে_ঝড়ে_যাবে?
লেখিকা_অন্তরা_ইসলাম
পর্ব-২
নিঝুম - কি করছিস? আমার হাত ছার।(শ্রাবণের কাছ থেকে হাত ছাড়িয়ে)
শ্রাবণ - না তোকে আমাকে কথা দিতে হবে।নাহলে আমার মরা মুখ দেখবি।(জোর করে হাত ধরে)
নিঝুম - (হাত ছাড়িয়ে জোরে একটা চড় দিলাম) তুই কী পাগল হয়ে গেছিস?
শ্রাবণ - তুই আমাকে মারলি ঝুম!(গালে হাত দিয়ে কান্না মিশ্রিত কন্ঠে)
নিঝুম - সরি...শ্রাবণ।আমি তোকে মারতে চাই নি।কিন্তু তুই এমন কেন করলি বল তুই জানিস না তুই আমার কলিজা। আমি আর কখনো সিগারেট খাব না প্রমিজ।(শ্রাবণকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে - করতে)
শ্রাবণ - হয়েছে, আমার খিদা লাগছে। (চোখের জল মুছতে - মুছতে)
নিঝুম - ঠিক আছে, চল।
রাতে খেয়ে ঘুমিয়ে পরলাম।
সকালে আমার তারাতাড়ি ওঠার অভ্যাস।প্রতিদিন কফির মগ হাতে ছাদে দাড়িয়ে সূর্য দেখার মজাই আলাদা। তারপর ফুল গাছে জল দিয়ে দিনের সুন্দর একটা সূচনা করি।কিন্তু এখানে ফুল গাছ ও নেই আর আম্মু ছাদে ও যেতে নিষেধ করেছে। তাই এখন বেলকনিতে বসেই কফি খেলাম, আর ভাবছি বিকালে শ্রাবণকে সাথে নিয়ে ফুল গাছ কিনতে যাবো। আমার রুমের বেলকনিটা ভালোই বড় অনেক গুলো ফুল গাছের টব রাখা যাবে।কফির মগ রাখতে কিচেনের দিকে যাচ্ছি তখনই কলিং বেল বেজে উঠল...
নিঝুম - কাকে চাই? (সামনে দাঁড়ানো মহিলাকে জিজ্ঞেস করলাম)
মহিলা - আমি বীণা। চিটাগাং থেকে এসেছি,আপনি কী নিঝুম আফা?
নিঝুম - হ্যা, আমি নিঝুম। কিন্তু আপনাকে তো ঠিক চিনলাম না।
বীণা - আমাকে আপনার বাবা-মা পাঠিয়েছে।
নিঝুম - আচ্ছা, আপনি দাঁড়ান আমি আম্মুকে জিজ্ঞেস করছি।(আম্মুকে কল দিতে - দিতে বললাম)
মা - হ্যালো, নিঝুম। কেমন আছিস মা?
নিঝুম - ভালো আছি আম্মু। তুমি কেমন আছো?
মা - হ্যা ভালো আছি। তা এত সকালে কল দিয়েছিস কেন?
নিঝুম - আম্মু তুমি কি বীণা নামে কাউকে পাঠিয়েছো?
মা - হ্যা, রে তোরা দু'জন তো রান্না করতে পারিস না ও সব করে দেবে তোদের আর ঝামেলা পোহাতে হবে না।
নিঝুম - আচ্ছা, ঠিক আছে।( বলেই কল কেটে দিলাম)
বীণা - আফা ভিতরে আসমু?
নিঝুম - তোমার আইডি কার্ড আছে?
বীণা - এই নেন আফা।
নিঝুম - ঠিক আছে, ভিতরে আসো।এই দিকে রান্নাঘর, ওইটা তোমার থাকার ঘর।এখন যাও ফ্রেশ হয়ে নাস্তা বানাও আম...( নলার আগেই)
শ্রাবণ - কি রে কার সাথে কথা বলছিস?
নিঝুম - ও বীণা, আমাদের এখানে কাজ করবে।
শ্রাবণ - এত সকালে তুই কাজের লোক কোথায় পেলি? ( ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করল)
নিঝুম - আম্মু পাঠিয়েছে।
শ্রাবণ - ও তাই বল,আচ্ছা আমার জন্য কফি বানাও তো আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।
নিঝুম - একসাথে রেডি হয়ে নিস কলেজের জন্য বেড়োবো।
নাস্তা করে কলেজের জন্য গাড়ি নিয়ে বেরোলাম। কলেজে এসে ক্লাস খুঁজে পাচ্ছি না,তাই শ্রাবণ একটা ছেলেকে জিজ্ঞেস করল...
শ্রাবণ - এই যে ভাইয়া,এখানে ফাস্ট ইয়ারের ক্লাসটা কোন দিকে?
অগ্নি - এই যে মিস,এখানে কেউ কারো ভাইয়া হয় না বুঝলে।বায় দ্যা ওয়ে,আমি অগ্নি। ( শ্রাবণের দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে)
নিঝুম - নিজের হাতটাকে কন্ট্রোলে রাখুন আর একটা কথা মাইন্ডটাকে ফ্রেশ করুন তাহলে মনে হয় হাতটা এমনিতেই সুধরে যাবে। (শ্রাবণের হাত ধরে টেনে নিয়ে এলাম)
ওইদেখ নোটিশ বোর্ড ওখানে দেখে আয় শ্রাবণকে দেখিয়ে বললাম। তারপর ক্লাসে গিয়ে...
শ্রাবণ - হাই,আমি শ্রাবণী।তোমার নাম কী?
তমা - আমি তমা। তুমি কি এখানে নিউ?
শ্রাবণ - হুম,আর ও আমার বেস্টফেন্ড নিঝুম।
তমা - হাই,নিঝুম।
নিঝুম - হ্যালো, তমা।
ওইদিকে...
অর্ঘ্য - কি রে পানি আনতে এতোক্ষণ লাগে, আর কোন মেয়েকে পটাতে বললে তো সারাজীবন লাগবে। ( বলেই হাসতে লাগলো)
আকাশ - কাকে পটানোর কথা হচ্ছে?
ইশা - নিশ্চয়ই আমাকে।
অগ্নি মাথায় হাত দিয়ে বললো আল্লাহ বাঁচাও।
ইশা - কেন?
দ্বীপ - কারণ যে তোমাকে পটানোর কথা ভাববে সে নির্ঘাত পাবনা ফেরোত।
ইশা - কি হচ্ছে এগুলো, দ্বীপ?
আকাশ - কেন? তোমাকে পচানো, বুঝনা নাকি।
বলেই সবাই হাসতে লাগলো। আর ইশা রাগী লুকে দ্বীপের দিকে তাকিয়ে চলে গেল। তারপর অগ্নি একটু আগের ঘটনাটি দ্বীপকে বললো।
দ্বীপ - চিন্তা করিস না, একটু পরেই তো দেখা হচ্ছে তখনই নাম জেনে নিস এখন ক্লাসে চল।( বলেই সবাই ক্লাসে চলে গেল)
ওইদিকে... শ্রাবণ, নিঝুম, তমা ও তার বান্ধবীদের সাথে পরিচয় করলো। তারপর ক্লাসে স্যার এসে পাঁচ মিনিটের একটা লেকচারে তার পরিচয় দিয়ে চলে গেলেন।এরপর একদল ছেলেমেয়ে ক্লাসে আসলো।
অর্ঘ্য - হাই, ফেন্ডস।আমরা তোমাদের সিনিয়র ব্যাচ।আমি অর্ঘ্য,ও ইশা,আকাশ, অগ্নি, আর ও দ...( কি রে দ্বীপ কোথায়? ফিসফিস করে জিজ্ঞেস করল আকাশকে)
শ্রাবণ - ওইটা দেওয়াল। আপনি মনে হয় দেখতে পাননি।( বলতেই সবাই হাসতে শুরু করল)
আকাশ - এই তোমার নাম কি? তুমি জানো না সিনিয়রদের সাথে কিভাবে কথা বলতে হয়?
শ্রাবণ - আমার নাম ইশরাত জাহান শ্রাবনী।আর আমি খ...
দ্বীপ - একটু বেশি কথা বলো, আমরা সেটা বুঝজে পারছি।( বলেই সবাই হাসতে লাগলো)
নিঝুম - আজ আর ক্লাস হবে না বাসায় চল।( বলেই শ্রাবণের হাত ধরে বেড়িয়ে এলাম)
অগ্নি - কি রে দ্বীপ কী দেখছিস?
অর্ঘ্য - মামা পরী দেখছে।
দ্বীপ -...
চলবে... ( সবাই প্লিজ বলবে কিন্তু কেমন হচ্ছে। আর ভুল গুলো ধরিয়ে দিবে প্লিজ)