মিথ্যা অপবাদে অপরাধী
পার্ট ঃ ১৮
Abdullah Nur Nishat
।
।
।
অনুষ্ঠানের লরে আমরা ৩ জন চলে আসলাম। তারপর দুদিন আমরা বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ঘুরলাম। তার মধ্যে---- tinside lido এটা সমুদ্রের তীরবর্তী অবস্থিত (ভৌগোলিক অবস্থানঃ50.3631°N 4.142389°W), Portmeirion, Lake Windermere,
Fingal's Cave, আরো কয়েকটা জাইগাই ঘুরলাম।
।
আজকে ক্লান্ত থাকায় শপিং এ যায়নি তাই কালকে শপিং এ যাবো ঠিক করলাম।
পরেরদিন-
এলড্রিনের কাছ থেকে জানতে পারলাম covent garden নামে যে শপিংমলটা আছে ওটা ভালো আর সব কিছু পাওয়া যাবে।তাই আমরা রেডি রওনা হলাম মার্কেটের উদ্দেশ্যে।
।
আমি অল্প কিছু কিনলাম বাবা-মার জন্য কিছু কিনে নিলাম আর এলড্রিনো কিছু কিনলো।
।
অপরদিকে জয়ের জন্য অনেক কিছু কিনা লাগলো বিয়ে বলে কথা 🙄😂।
কিন্তু টাকা আমি দিলাম।(বাবা আসার আগেই আমাকে একটা কার্ড দিয়েছিলেন)
।
সকালে শপিং এ গিয়েছিলাম আর শপিং এর মাঝে লাঞ্চটা মার্কেটের একটা রেস্টুরেন্টে করলাম। এদিকে শপিং করে বাসায় আসতে রাত হয়ে গেলো।রাতের খাবার খেয়ে নিলাম।
।
পরেরদিন আমরা চলে আসবো তাই এলড্রিনকে বিদায় দিয়ে আমাদের প্রাইবেট জেটে উঠে পড়লাম।
।
আর প্লেন বাংলাদেশে ল্যান্ড করলো রাত ১১ টায়। আমি আর জয় আমাদের জিনিসপত্র নিয়ে গিড়িতে বসলাম।(ড্রাইভার আমাদের নিতে এসেছিলো)
।
জয় গেলো তাদের গাড়ি করে আর আমি আমাদের।আমি বাসায় গিয়ে দেখলাম মা-বাবা বসে আছেন আর আমার ছোট বোন আগেই ঘুমিয়ে গেছে তাই উনাদের জন্য আনা জিনিসপত্র আমি দিয়ে দিলাম।
পরেরদিন সকালে --
-- ভাইয়া আমার জন্য চকলেট কই(আমার ছোট বোন বা মাহি)
-- আনিনাই (মজা করেল
-- যাও তোমার সাথে কথা নাই(মাহি)
-- ওলে আমার মিষ্টি বোন্টা রাগ করছে(আমি)
-- তোমার সাথে কথা বলবো না(মাহি)
তখন আমি ওর জন্য আনা চকলেট আর ড্রেস ওকে দিলাম তখনি পাগলিটা আমার গলা জড়িয়ে ধরল।
-- আমি তোমাকে এত্তগুলা ভালোবাশি 😁(মাহি)
-- 🥰(আমি)
এভাবে ভালোমতো দিন কাটতেছিলো কিছুদিন skip করা যাক। আজ জয়ের বিয়ে আমাকে যেতে হবে ওর সাথে।জয়দের বাড়ি ভালো মতো সাজানো হয়েছে। বড়লোক বলে কথা। বাসার সামনে অনুষ্ঠানের জন্য স্ট্রেস বানানো হয়েছে।
নিলাকে ইনভাইট করেছিলো কিন্তু ও হানিমনে গেছে 🙄🙈 তাই আসতে পারেনি।
জয় বিয়ের ড্রেস পরেছে আর আমি পড়েছি একটা নিল পাঞ্জাবি সাথে একটা ব্লেজার, প্যান্ট আর চুল গুলো স্পাইক করা হাতে হাতঘড়ি। এক কথায় মেয়েদের ক্রাশ খাওয়ার মতো(বাস্তবে আমি চুল একটু বড়ও করতে পারি না 😭)
।
জয় আর আমি ওর BMW তে আর পিছনে অন্যগুলোতে আছে জয়ের কিছু ফ্রেন্ড আর আত্নীয় স্বজন।
।
প্রায় ২ ঘন্টা জার্নি করার পর আমরা মারিয়াদের বাদায় আসলাম। ওদের বাড়ি ভালো মতো সাজানো। জয় সহ আমরা গাড়ি থেকে নামলাম। বড়পক্ষের জন্য গেট ধরা হলো আমি আর জয় সামনে
-- গেট ছাড়তে হলে ১০,০০০ টাকা লাগবে নাহলে গেট ছাড়া হবে না।(কনেপক্ষের কয়েকজন)
-- আমরা ১৫,০০০ টাকা দিয়ে দিলাম তারা তো অনেক খুশি আর গেটটা ছেড়ে দিলো। আমরা গিয়ে সঠিক জায়গায় বসে পড়লাম। এর মধ্যেই অনেকে আসলো বরকে দেখতে ---
কিছুক্ষন পরে খেয়াল করলাম করলাম কয়েকজন মেয়ে আসতেছে তাদের মধ্যে একজনকে দেখে আমি অভাকের চরম পর্যায়ে। সে আর কেউ নয় কেননা সে জান্নাত।
তখন আমি ভাবতে থাকলাম জান্নাত যদি আসে তাহলে কি তার বাবা মা আছে কিনা?
(আমি দুঃখিত কালকে আমি বলেছিলাম আমার মামা বাবা নানা মারা গিয়েছিলো।তাই এটা চেইঞ্জ করতে পারছিনা।আপবারা ধরে নেন জান্নাত আমার মামাতো বোন তবে আপন না। নাহলে অবেকটুকু চেঞ্জ করতে হবে। আমার জান্নাতের কথা মনেই ছিলো না।আপনারা কেউ বলেনও নাই 😁)
আর জান্নাত সহ মারিয়ার বান্ধুবিরা যখন আমাদের এখানে আসলো তখন জান্নাত আমাকে দেখে অভাক তবে কিছু বলেনি।
আপনারা তো বলবেন জান্নাত এখানে কিভাবে আসলো - আসলে জান্নাত মারিয়ার খালাতো বোন। জান্নাত একাই এসেছে কিন্তু সাথে তার বাবা মা আসেনি। এজন্য আমি বলেছিলাম মারিয়াকে আগে কখনো দেখেছি।
।
আরো একটি কথা জান্নাত ১ সপ্তাহ ও মারিয়ার বান্ধুবিরা 1 দিন আগে এসেছে তাই ওদের সাথে পরিচিতি হয়ে গিয়েছে।
।
এখন গল্পে ফিরি।জয় তার জায়গায় বসে আছে আর তার সাথে আমি ও তার বন্ধুরা। ওরা এসে আমাদের সাথে গল্প শুরু করলো একে একে পরিচিত হলাম। তবে জান্নাতকে দেখলাম অনেকটা চুপ কিরে আছে আবার আগের থেকে অনেকটা শুকিয়ে গেছে।দেখতে দেখতে বিয়েটা হয়ে গেলো। আর কনেপক্ষ থেকে মারিয়ার সাথে অর ২-৩ জন বান্ধুবি ও জান্নাত এসেছে। জয়দের আসায় আসার পরে কিছুক্ষন আড্ডা দিলাম।
-- জয় আমি বাসায় চলে যাবো (আমি)
-- কেন? (জয়)
-- আমি একপাশে গিয়ে জান্নাতের কথা বললাম। আগে থেকে সে সব জানতো তাই বেশি কিছু বলার প্রয়োজন বোধ করেনি। আমি যখন চলে আসবো তখন তখন জান্নাত ডাক দিয়েছিলো কিন্তু আমি না শোনার ভান করে ওখান থেকে চলে আসি।
বিয়ের সব কিছু শেষ হওয়ার ১ মাস পর---
(এর মাঝে জয় মারিয়াকে নিয়ে আমাদের বাসায় এসেছিলো)
।
আজকে জয় আর মারিয়া ঘুরতে গেছে জান্নাতদের বাসায়। জয় আগে থেকে সব জানতো কিন্তু কিছু বলেনি।
একান্ত একটা নিরিবিলি জায়গা। যেখানে শুফহু মারিয়া আর জান্নাত--
-- মারিয়া এই চিঠিটা রাখ আজ থেকে ১ সপ্তাহ পরে এটা তুই আবিরকে দিবি। এর আগে দিবি না। কথা দে তুই এটা খুলেও দেখবি না।(জান্নাত)
-- আচ্ছা ঠিক আছে। তবে(মারিয়া)
-- তবে কি?(জান্নাত)
-- তুই কি আবিরের প্রেমে পড়ে গিয়েছিস নাকি😂(মারিয়া)
-- হুম পড়েছি (হাসিমুখে বলল যেন মারিয়া কিছু বুঝতে না পারে)
-- আচ্ছা😂(মারিয়া)
।
2 দিন পরে মারিয়ারা চলে আসলো ঢাকাতে। মারিয়া যদি ভুলে যায় তাই---
-- এই চিঠিটা নেও কালকে আবিরকে দিয়ে দিও।জান্নাত দিয়েছে তবে খুলে দেখো না। মনে করে দিয়ে দিবে(মারিয়া)
-- জয় কিছুটা বুঝতে পারলেও হ্যা বলে চিঠি টা নিয়ে নিলো।
পরেরদিন--
ভুলে জয় চিঠিটা বাসায় রেখে চলে যায় অফিসে। জয় যখন অফিসে আসে তখন
-- কিরে কি খবর(জয়)
-- এইতো ভালোই।(আমি)
জয়ের চিঠির কথা মনে পড়ে গেলো পকেটে হাত দিয়ে দেখে চিঠিটা বাসায় রেখে এসে পরেছে। তাই কথা না বাড়িয়ে যে যার কাজের দিকে পা বাড়ালো।
।
একদিন পর আজকে জয় আমাকে চিঠিটা দেয়।
-- এখ পড়া লাগবে না বাসায় গিয়ে পড়িস। (জয়)
-- আচ্ছা ঠিক আছে। (আমি)
।
সেদিন বাসায় এসে যখন আমি চিঠিটা পিরলাম তখন নিজের কাছে মনে হচ্ছে আমি এতোদিন ভুল ছিলাম। যা চিঠিটা পড়ে আমার বুঝতে বাকি রাইলো না আমাকে বাড়ি থেকে বের করতে ভাইয়ার একটা প্ল্যান ছিলো এটা। অপরদিকে জান্নাতের প্রতি আমার যতটা ঘৃণা ছিলো তা এখন নিজের প্রতি ভুল বোঝা কাজ করছে। আপনারা কিছু বুঝছেন না ---
এখন বোঝা লাগবে না ওটা পরে বলবো---
এর মাঝে আজকে নাঈমের ফাইনাল পরিক্ষা শেষ হয়েছে। আজকে আমি জয়দের কম্পানিতে আমার স্থানে নাইমকে বসিয়ে দিবো। যেই ভাবাসেই কাজ। যে কারণে একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলো। যেখানে সকল কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন--
অনুষ্ঠানে যাওয়া যেতে পারি৷ 🙄--
।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করছে দুজন।একজন মেয়ে অন্যজন ছেলে।
।
-- আপনারা জানেন এই কম্পানিতে একজন নতুন ম্যানেজার নিয়োগ করা হবে আর আগের ম্যানেজার চাকুরী ছেড়ে দিবেন (মেয়েটা)
-- এই কারণে প্রধান অতিথি মানে জয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন।(ছেলেটা)
-- আমি আমাদের প্রধান অতিথিকে মঞ্চে আসার জন্য অনুরোধ করছি(মেয়েটা)
।
এর পর জয় মঞ্চে যায়। আর সকলে হাতে করতালি দেয়।
-- আপনারা জানেন আবির বা আব্দুল্লাহ এখান থেকে চাকুরি ছেড়ে দেবে। এর পিছনে অবশ্য একটা কারণ বিদ্যমান। কেননা সে এখানে চাকুরী ছেড়ে তার নিজের প্রতিষ্ঠানে সিও হবে। আর আপনাদের মাঝে আসবে একজন নতুন ম্যানেজার। আমি নাঈম বা আপনাদের নতুন ম্যানেজারকে মঞ্চে আসার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। আর হ্যা সে আপনাদের তগেকে ছোট হলেও তাকে আমিরা ঠিক্নভাবে সিলেক্ট করেছি এতে আপনাদের কোনো সমস্যা হবে বলে আমার মনে হয় না।(জয়)
।
এরপর নাঈম মঞ্চে উঠে। মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে--
--- আশা করি আপনারা ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আমি এখানে কাজ করার সুযোগ পেয়ে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। আর হ্যা আমি আলনাদের সবার থেকে বয়সে ছোট তবুও আমাকে এখানে নেওয়া হয়েছে আশা করি আপনারা আমাকে কাজে সাহায্য করবেন। আমি আমার সর্বত্র দিয়ে কম্পানির সুনাম আগলে রাখার চেষ্টা করবো। আপনারাও আপনাদের দায়িত্বে পিছুপা হাটবেন না। (নাঈম)
এই বলে নাঈম তার বক্তব্য শেষ করলো।এবার--
-- এবার আপনাদের মাঝে বিদায়ি বক্তব্য দিবেন আপনাদের ম্যানেজার বা আবির। আমি তাকে মঞ্চে আসার জন্য অনুরোধ করছি। (ছেলেটা)
।
তখন ধির পায়ে আমি মঞ্চের দিকে এগিয়ে যেতে থাকলাম। মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে---
(আমি মঞ্চে আসার আগেই সকল কর্মকর্তার করতালির শব্দ কানে ভেসে আসলো।)
-- আপনাদের সাকলকে আমার পক্ষ থেকে জানায় শোভেচ্ছা ও অভিনন্দন৷ আশা করি সকলে ভালো আছেন আমিও আপনাদের দোয়াই ভালো আছি। (আবার বইলেন না আমরা দোয়া করলাম কবে 🤣🤣)
আমার বিদায়টা চির বদায় নয় আমি মাঝে মাঝে আসবো। আপনারা আমাকে যেমনটা সাহায্য করেছেন আশা করি নাঈম কে সেভাবে সাহায্য করবেন। আপনারা তাকে আমার মতই ভাবেন আমি যেমনটা আলনাদের সাথে থেকে কাজ কররেছি আপবারা তার সাথে সেভাবে কাজ করবেন। সে আপনাদের আমার মতই সাপোর্ট করবে আমাদের কাছে পড়ালেখার মুল্যটা খুব বেশি নয়। আমিরা মুল্য দেয় তার আচার আচরন, তার ব্যবহারবিধি। সে জদি খুব বেশি অভিজ্ঞ নাও হয় তবুও তাকে নেওয়া হবে। আর হ্যা আমরা চাইলেই ভালো অভিজ্ঞ একজন নিতে পারি তবে সে যে ভালো হবে নাকি খারাপ হবে তার কোনো গ্যারান্টি নেয়। নাঈমের সাথে পুর্ব পরিচিতির জন্য তাকে এই পদটা দিয়েছি যে কিনা আপনাদের হয়ে কাজ করতে পারবে। আমি আমার বক্তব্য আর বড় করতে চাই না। আশা করি আমার বক্তব্যটা বুঝতে পেরেছেন। বিদায়।
।
তখন দেখলাম সকলে চুপ হয়ে আছে। ১ মে যখন নাইমকে দেখেছিলো হয়তো অনেকে মান্তে পারেনি আর এখন আমার কথা শুনে সকলে চুপ করে আছে।
।
এরপর শুরু হয় নৃত্যা-নুষ্ঠান। দিনশেষে আমি আমার বাড়িতে। বাবা বলেছেন কালকে আমাকে উনার অফিসে সবার সাথে পরিচয় করে দিবেন এবং কালকে কয়েকজনকে নতুন করে চাকুরি দিবেন আর ওতার দায়িত্ব আমাকে দিয়েছেন।
পরেরদিন----
।
কেটা পরেরদিন ই থাকুক মানে আগামি কালকে বাকি অংশের অপেক্ষা 🥰)
।
।
।
।
to be continue 💝
মিথ্যা অপবাদে অপরাধী পার্ট ঃ ১৮ Abdullah Nur Nishat । । । অনুষ্ঠানের লরে আমরা ৩ জন চলে আসলাম। তারপর দুদিন আমরা বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ঘুরলাম। তার মধ্যে---- tinside lido এটা সমুদ্রের তীরবর্তী অবস্থিত (ভৌগোলিক অবস্থানঃ50.3631°N 4.142389°W), Portmeirion, Lake Windermere,
Fingal's Cave, আরো কয়েকটা জাইগাই ঘুরলাম। । আজকে ক্লান্ত থাকায় শপিং এ যায়নি তাই কালকে শপিং এ যাবো ঠিক করলাম। পরেরদিন- এলড্রিনের কাছ থেকে জানতে পারলাম covent garden নামে যে শপিংমলটা আছে ওটা ভালো আর সব কিছু পাওয়া যাবে।তাই আমরা রেডি রওনা হলাম মার্কেটের উদ্দেশ্যে। । আমি অল্প কিছু কিনলাম বাবা-মার জন্য কিছু কিনে নিলাম আর এলড্রিনো কিছু কিনলো। । অপরদিকে জয়ের জন্য অনেক কিছু কিনা লাগলো বিয়ে বলে কথা 🙄😂। কিন্তু টাকা আমি দিলাম।(বাবা আসার আগেই আমাকে একটা কার্ড দিয়েছিলেন) । সকালে শপিং এ গিয়েছিলাম আর শপিং এর মাঝে লাঞ্চটা মার্কেটের একটা রেস্টুরেন্টে করলাম। এদিকে শপিং করে বাসায় আসতে রাত হয়ে গেলো।রাতের খাবার খেয়ে নিলাম। । পরেরদিন আমরা চলে আসবো তাই এলড্রিনকে বিদায় দিয়ে আমাদের প্রাইবেট জেটে উঠে পড়লাম। । আর প্লেন বাংলাদেশে ল্যান্ড করলো রাত ১১ টায়। আমি আর জয় আমাদের জিনিসপত্র নিয়ে গিড়িতে বসলাম।(ড্রাইভার আমাদের নিতে এসেছিলো) । জয় গেলো তাদের গাড়ি করে আর আমি আমাদের।আমি বাসায় গিয়ে দেখলাম মা-বাবা বসে আছেন আর আমার ছোট বোন আগেই ঘুমিয়ে গেছে তাই উনাদের জন্য আনা জিনিসপত্র আমি দিয়ে দিলাম। পরেরদিন সকালে -- -- ভাইয়া আমার জন্য চকলেট কই(আমার ছোট বোন বা মাহি) -- আনিনাই (মজা করেল -- যাও তোমার সাথে কথা নাই(মাহি) -- ওলে আমার মিষ্টি বোন্টা রাগ করছে(আমি) -- তোমার সাথে কথা বলবো না(মাহি) তখন আমি ওর জন্য আনা চকলেট আর ড্রেস ওকে দিলাম তখনি পাগলিটা আমার গলা জড়িয়ে ধরল। -- আমি তোমাকে এত্তগুলা ভালোবাশি 😁(মাহি) -- 🥰(আমি) এভাবে ভালোমতো দিন কাটতেছিলো কিছুদিন skip করা যাক। আজ জয়ের বিয়ে আমাকে যেতে হবে ওর সাথে।জয়দের বাড়ি ভালো মতো সাজানো হয়েছে। বড়লোক বলে কথা। বাসার সামনে অনুষ্ঠানের জন্য স্ট্রেস বানানো হয়েছে। নিলাকে ইনভাইট করেছিলো কিন্তু ও হানিমনে গেছে 🙄🙈 তাই আসতে পারেনি। জয় বিয়ের ড্রেস পরেছে আর আমি পড়েছি একটা নিল পাঞ্জাবি সাথে একটা ব্লেজার, প্যান্ট আর চুল গুলো স্পাইক করা হাতে হাতঘড়ি। এক কথায় মেয়েদের ক্রাশ খাওয়ার মতো(বাস্তবে আমি চুল একটু বড়ও করতে পারি না 😭) । জয় আর আমি ওর BMW তে আর পিছনে অন্যগুলোতে আছে জয়ের কিছু ফ্রেন্ড আর আত্নীয় স্বজন। । প্রায় ২ ঘন্টা জার্নি করার পর আমরা মারিয়াদের বাদায় আসলাম। ওদের বাড়ি ভালো মতো সাজানো। জয় সহ আমরা গাড়ি থেকে নামলাম। বড়পক্ষের জন্য গেট ধরা হলো আমি আর জয় সামনে -- গেট ছাড়তে হলে ১০,০০০ টাকা লাগবে নাহলে গেট ছাড়া হবে না।(কনেপক্ষের কয়েকজন) -- আমরা ১৫,০০০ টাকা দিয়ে দিলাম তারা তো অনেক খুশি আর গেটটা ছেড়ে দিলো। আমরা গিয়ে সঠিক জায়গায় বসে পড়লাম। এর মধ্যেই অনেকে আসলো বরকে দেখতে --- কিছুক্ষন পরে খেয়াল করলাম করলাম কয়েকজন মেয়ে আসতেছে তাদের মধ্যে একজনকে দেখে আমি অভাকের চরম পর্যায়ে। সে আর কেউ নয় কেননা সে জান্নাত। তখন আমি ভাবতে থাকলাম জান্নাত যদি আসে তাহলে কি তার বাবা মা আছে কিনা? (আমি দুঃখিত কালকে আমি বলেছিলাম আমার মামা বাবা নানা মারা গিয়েছিলো।তাই এটা চেইঞ্জ করতে পারছিনা।আপবারা ধরে নেন জান্নাত আমার মামাতো বোন তবে আপন না। নাহলে অবেকটুকু চেঞ্জ করতে হবে। আমার জান্নাতের কথা মনেই ছিলো না।আপনারা কেউ বলেনও নাই 😁) আর জান্নাত সহ মারিয়ার বান্ধুবিরা যখন আমাদের এখানে আসলো তখন জান্নাত আমাকে দেখে অভাক তবে কিছু বলেনি। আপনারা তো বলবেন জান্নাত এখানে কিভাবে আসলো - আসলে জান্নাত মারিয়ার খালাতো বোন। জান্নাত একাই এসেছে কিন্তু সাথে তার বাবা মা আসেনি। এজন্য আমি বলেছিলাম মারিয়াকে আগে কখনো দেখেছি। । আরো একটি কথা জান্নাত ১ সপ্তাহ ও মারিয়ার বান্ধুবিরা 1 দিন আগে এসেছে তাই ওদের সাথে পরিচিতি হয়ে গিয়েছে। । এখন গল্পে ফিরি।জয় তার জায়গায় বসে আছে আর তার সাথে আমি ও তার বন্ধুরা। ওরা এসে আমাদের সাথে গল্প শুরু করলো একে একে পরিচিত হলাম। তবে জান্নাতকে দেখলাম অনেকটা চুপ কিরে আছে আবার আগের থেকে অনেকটা শুকিয়ে গেছে।দেখতে দেখতে বিয়েটা হয়ে গেলো। আর কনেপক্ষ থেকে মারিয়ার সাথে অর ২-৩ জন বান্ধুবি ও জান্নাত এসেছে। জয়দের আসায় আসার পরে কিছুক্ষন আড্ডা দিলাম। -- জয় আমি বাসায় চলে যাবো (আমি) -- কেন? (জয়) -- আমি একপাশে গিয়ে জান্নাতের কথা বললাম। আগে থেকে সে সব জানতো তাই বেশি কিছু বলার প্রয়োজন বোধ করেনি। আমি যখন চলে আসবো তখন তখন জান্নাত ডাক দিয়েছিলো কিন্তু আমি না শোনার ভান করে ওখান থেকে চলে আসি। বিয়ের সব কিছু শেষ হওয়ার ১ মাস পর--- (এর মাঝে জয় মারিয়াকে নিয়ে আমাদের বাসায় এসেছিলো) । আজকে জয় আর মারিয়া ঘুরতে গেছে জান্নাতদের বাসায়। জয় আগে থেকে সব জানতো কিন্তু কিছু বলেনি। একান্ত একটা নিরিবিলি জায়গা। যেখানে শুফহু মারিয়া আর জান্নাত-- -- মারিয়া এই চিঠিটা রাখ আজ থেকে ১ সপ্তাহ পরে এটা তুই আবিরকে দিবি। এর আগে দিবি না। কথা দে তুই এটা খুলেও দেখবি না।(জান্নাত) -- আচ্ছা ঠিক আছে। তবে(মারিয়া) -- তবে কি?(জান্নাত) -- তুই কি আবিরের প্রেমে পড়ে গিয়েছিস নাকি😂(মারিয়া) -- হুম পড়েছি (হাসিমুখে বলল যেন মারিয়া কিছু বুঝতে না পারে) -- আচ্ছা😂(মারিয়া) । 2 দিন পরে মারিয়ারা চলে আসলো ঢাকাতে। মারিয়া যদি ভুলে যায় তাই--- -- এই চিঠিটা নেও কালকে আবিরকে দিয়ে দিও।জান্নাত দিয়েছে তবে খুলে দেখো না। মনে করে দিয়ে দিবে(মারিয়া) -- জয় কিছুটা বুঝতে পারলেও হ্যা বলে চিঠি টা নিয়ে নিলো। পরেরদিন-- ভুলে জয় চিঠিটা বাসায় রেখে চলে যায় অফিসে। জয় যখন অফিসে আসে তখন -- কিরে কি খবর(জয়) -- এইতো ভালোই।(আমি) জয়ের চিঠির কথা মনে পড়ে গেলো পকেটে হাত দিয়ে দেখে চিঠিটা বাসায় রেখে এসে পরেছে। তাই কথা না বাড়িয়ে যে যার কাজের দিকে পা বাড়ালো। । একদিন পর আজকে জয় আমাকে চিঠিটা দেয়। -- এখ পড়া লাগবে না বাসায় গিয়ে পড়িস। (জয়) -- আচ্ছা ঠিক আছে। (আমি) । সেদিন বাসায় এসে যখন আমি চিঠিটা পিরলাম তখন নিজের কাছে মনে হচ্ছে আমি এতোদিন ভুল ছিলাম। যা চিঠিটা পড়ে আমার বুঝতে বাকি রাইলো না আমাকে বাড়ি থেকে বের করতে ভাইয়ার একটা প্ল্যান ছিলো এটা। অপরদিকে জান্নাতের প্রতি আমার যতটা ঘৃণা ছিলো তা এখন নিজের প্রতি ভুল বোঝা কাজ করছে। আপনারা কিছু বুঝছেন না --- এখন বোঝা লাগবে না ওটা পরে বলবো--- এর মাঝে আজকে নাঈমের ফাইনাল পরিক্ষা শেষ হয়েছে। আজকে আমি জয়দের কম্পানিতে আমার স্থানে নাইমকে বসিয়ে দিবো। যেই ভাবাসেই কাজ। যে কারণে একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলো। যেখানে সকল কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন-- অনুষ্ঠানে যাওয়া যেতে পারি৷ 🙄-- । অনুষ্ঠান পরিচালনা করছে দুজন।একজন মেয়ে অন্যজন ছেলে। । -- আপনারা জানেন এই কম্পানিতে একজন নতুন ম্যানেজার নিয়োগ করা হবে আর আগের ম্যানেজার চাকুরী ছেড়ে দিবেন (মেয়েটা) -- এই কারণে প্রধান অতিথি মানে জয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন।(ছেলেটা) -- আমি আমাদের প্রধান অতিথিকে মঞ্চে আসার জন্য অনুরোধ করছি(মেয়েটা) । এর পর জয় মঞ্চে যায়। আর সকলে হাতে করতালি দেয়। -- আপনারা জানেন আবির বা আব্দুল্লাহ এখান থেকে চাকুরি ছেড়ে দেবে। এর পিছনে অবশ্য একটা কারণ বিদ্যমান। কেননা সে এখানে চাকুরী ছেড়ে তার নিজের প্রতিষ্ঠানে সিও হবে। আর আপনাদের মাঝে আসবে একজন নতুন ম্যানেজার। আমি নাঈম বা আপনাদের নতুন ম্যানেজারকে মঞ্চে আসার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। আর হ্যা সে আপনাদের তগেকে ছোট হলেও তাকে আমিরা ঠিক্নভাবে সিলেক্ট করেছি এতে আপনাদের কোনো সমস্যা হবে বলে আমার মনে হয় না।(জয়) । এরপর নাঈম মঞ্চে উঠে। মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে-- --- আশা করি আপনারা ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আমি এখানে কাজ করার সুযোগ পেয়ে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। আর হ্যা আমি আলনাদের সবার থেকে বয়সে ছোট তবুও আমাকে এখানে নেওয়া হয়েছে আশা করি আপনারা আমাকে কাজে সাহায্য করবেন। আমি আমার সর্বত্র দিয়ে কম্পানির সুনাম আগলে রাখার চেষ্টা করবো। আপনারাও আপনাদের দায়িত্বে পিছুপা হাটবেন না। (নাঈম)
এই বলে নাঈম তার বক্তব্য শেষ করলো।এবার-- -- এবার আপনাদের মাঝে বিদায়ি বক্তব্য দিবেন আপনাদের ম্যানেজার বা আবির। আমি তাকে মঞ্চে আসার জন্য অনুরোধ করছি। (ছেলেটা) । তখন ধির পায়ে আমি মঞ্চের দিকে এগিয়ে যেতে থাকলাম। মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে--- (আমি মঞ্চে আসার আগেই সকল কর্মকর্তার করতালির শব্দ কানে ভেসে আসলো।) -- আপনাদের সাকলকে আমার পক্ষ থেকে জানায় শোভেচ্ছা ও অভিনন্দন৷ আশা করি সকলে ভালো আছেন আমিও আপনাদের দোয়াই ভালো আছি। (আবার বইলেন না আমরা দোয়া করলাম কবে 🤣🤣) আমার বিদায়টা চির বদায় নয় আমি মাঝে মাঝে আসবো। আপনারা আমাকে যেমনটা সাহায্য করেছেন আশা করি নাঈম কে সেভাবে সাহায্য করবেন। আপনারা তাকে আমার মতই ভাবেন আমি যেমনটা আলনাদের সাথে থেকে কাজ কররেছি আপবারা তার সাথে সেভাবে কাজ করবেন। সে আপনাদের আমার মতই সাপোর্ট করবে আমাদের কাছে পড়ালেখার মুল্যটা খুব বেশি নয়। আমিরা মুল্য দেয় তার আচার আচরন, তার ব্যবহারবিধি। সে জদি খুব বেশি অভিজ্ঞ নাও হয় তবুও তাকে নেওয়া হবে। আর হ্যা আমরা চাইলেই ভালো অভিজ্ঞ একজন নিতে পারি তবে সে যে ভালো হবে নাকি খারাপ হবে তার কোনো গ্যারান্টি নেয়। নাঈমের সাথে পুর্ব পরিচিতির জন্য তাকে এই পদটা দিয়েছি যে কিনা আপনাদের হয়ে কাজ করতে পারবে। আমি আমার বক্তব্য আর বড় করতে চাই না। আশা করি আমার বক্তব্যটা বুঝতে পেরেছেন। বিদায়। । তখন দেখলাম সকলে চুপ হয়ে আছে। ১ মে যখন নাইমকে দেখেছিলো হয়তো অনেকে মান্তে পারেনি আর এখন আমার কথা শুনে সকলে চুপ করে আছে। । এরপর শুরু হয় নৃত্যা-নুষ্ঠান। দিনশেষে আমি আমার বাড়িতে। বাবা বলেছেন কালকে আমাকে উনার অফিসে সবার সাথে পরিচয় করে দিবেন এবং কালকে কয়েকজনকে নতুন করে চাকুরি দিবেন আর ওতার দায়িত্ব আমাকে দিয়েছেন। পরেরদিন---- । কেটা পরেরদিন ই থাকুক মানে আগামি কালকে বাকি অংশের অপেক্ষা 🥰) । । । । to be continue 💝