গল্প:#আনস্মার্ট_মেয়ে
Part... . .(1)
আয়না কান্নাভরা অভিমানী চোখ
নিয়ে এক নিঃশ্বাসে নিলয়কে
"ভালবাসি" বলে ফেললো! কিন্তু
মেয়েটা লজ্জা আর ভয়ে চোখ
তুলতে
পারছে না। এমন সময় নিলয় বললো,
.
"কি বললে তুমি? ভালবাসো?
আমাকে?"
.
"হু...."
1নিজের চেহারাটা আয়নাতে
দেখছো
কখনও? তোমাকে নিয়ে দাঁড়াবো
কোথায়?"
.
"ভালবাসতে চেহারা লাগে?"
.
"ভালবাসতে সবই লাগে, টাকা
পয়সা, রুপ
লাবণ্য সবই লাগে.."
.
"তুমি কি মনে কর তোমার ক্লাসের
ওই
সুন্দরী ঢঙ্গি মেয়েগুলো তোমাকে
ভালবাসবে? কখনও না!"
.
"তুমি যাও তো নিজের টাইপের
কিছু
খুজে নাও। ফেয়ার এন্ড লাভলী
মাখো
প্রতিদিন, যেদিন চেহারা ঠিক
হবে
সেদিন এসো।"
.
এমন সময় নিলয়ের এক বান্ধবী এসে
বললো,
"কিরে তুই এখানে কি করিস?" নিলয়
তখন
অট্টো হাসি দিয়ে বললো, "দোস্ত
শোন
শোন, আয়না আমাকে প্রপোজ করছে
তাই
ওকে বুঝাচ্ছি ওর ভালবাসার বয়স হয়
নি।"
.
আয়না সেখানে আর থাকলো না!
স্বাভাবিক পায়ে হেটে চলে
গেল! এখন
সে কাঁদার জায়গা খুঁজছে। কোথায়
গেলে একটু শান্তি পাবে সেই
স্থান
খুঁজছে! কারণ আয়না এখন বাসায়
যাবে
না। গেলেই মা বাবার কাছে ধরা
পরে
যাবে! এখন ক্যাম্পাস থেকে অনেক
দুরে
চলে এসেছে সে! বিশাল বট
গাছের
নিচে বসে কাঁদছে সে! সে যাকে
এত
আপন ভাবে সেই আজ তাকে এত বড়
কষ্ট
দিল! ভেবেই কেঁদে যাচ্ছে সে!
.
আয়না, নিম্নবিত্ত আর মধ্যবিত্তের
মাঝামাঝি পরিবারের মেয়ে।
মায়াবী মেয়েটা ফ্যাশন নামের
বিষয়টা কি জানে না। আসলে ওর
মত
মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের
ডিকশনারিতে বিলাসিতা শব্দটা
নেই।
আছে সুখে থাকার অভিনয় করে
দুঃখকে
ঢেকে রাখা। বাবার অবস্থা যখন
ভাল
ছিল তখন জমি কিনে একটা পাঁকা
বাড়ি
করেছিলেন যার ফলে বাসা ভাড়া
দেয়ার ঝামেলা থেকে আয়নার
পরিবার বেঁচে গিয়েছে! আর্থিক
অবস্থা এখন আগের চেয়ে অনেক
খারাপ।
মা বাবা প্রতিনিয়ত বিয়ের কথা
বলছে
কিন্তু সে মানা করে দেয়। নিজের
হাত
খরচ চালানোর জন্য তিন চারটা
টিউশনি
করে দুইটা ছাগল আর দুই জোড়া কবুতর
কিনেছে। ছাগল যা দুধ দেয় আর
কবুতর যখন
বাচ্চা প্রসব করে তখন যদি কেউ
বাচ্চা
কিনতে চায় তাহলে বিক্রি করে
দেয়।
তবে কবুতরের বাচ্চা বিক্রি করার
সময়
সে খুব দুঃখ পায়! কারণ
বাচ্চাগুলোকে
আয়না নিজেই ওদের মায়ের কাছ
থেকে আলাদা করে দেয়!
নিজেকে
অনেক স্বার্থপর মনে হয় তখন ওর! তবে
এবার সে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যাই
হোক
আর কোন কবুতরের বাচ্চাকে সে
বিক্রি
করবে না!
নিলয়, মা বাবার একমাত্র সন্তান!
অনেক
আদরের আর ওকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন
তাদের। কিন্তু নিলয় কে দেখে
মনে হয়
না সে তার মা বাবার স্বপ্ন পুরণ
করতে
পারবে। বাবার স্বপ্ন ছিল ছেলে
অনেক
বড় ডাক্তার হবে, সারা দেশ
নিলয়কে
একনামে চিনবে! কিন্তু নিলয়ের
সেদিকে কোন খেয়াল নেই!
নিলয়ের
পরিবারের অবস্থা খুবই ভাল। বাবা
একজন
শিল্পপতি আর মা অ্যাডভোকেট!
আর
ছেলে মা বাবার টাকা এখানে
সেখানে বাজে বন্ধুদের জন্য
উড়িয়ে
দেয়! ছেলে যখন ডাক্তার হতে
পারলো
না তখন অন্তত বাবার প্রতিষ্ঠানটার
দেখাশোনা করুক,কিন্তু সেটাও
নিলয়
করবে না! বাইক আর বি.এম.ডাব্লিউ
নিয়ে রাস্তা দাপিয়ে বেড়ানো
তার
নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে!
.
আয়না চুপচাপ বাড়ি এসে হাত মুখ
ধুয়ে
কবুতরের কাছে চলে গেল।
কবুতরগুলোকে
সকালে খাবার দেয় নি তাই এখন
খাবার দিচ্ছে! পানি পাল্টিয়ে
ভাল
বিশুদ্ধ পানি দিল। কবুতরের
বাকবাকুম
শব্দে অনেক ভাল লাগছে। হঠাৎই
সে
ভাবতে লাগলো, "আমি কি দেখতে
এতই
খারাপ যে আমাকে আজ এত অপমান
করলো?" এমন সময় আয়নার মা রান্নার
কাজে সাহায্য করার জন্য
আয়নাকে
ডাকে।
.
রাত্রে খাওয়া শেষ করে বাসার
ছাদে
বসে শুধু নিলয়ের কথা ভাবছে। কেন
নিলয় এমন করলো! এমন আচরণ তো
আয়নার
পাবার কথা ছিল না। ক্যাম্পাসে
নিলয়ের প্রতিটা কথা আর ওর সুন্দরী
বান্ধবীর ভেংচি কাঁটা
চেহারাটা
চোখের সামনে ভেসে উঠটেই
কেঁদে
ওঠে সে! কিছুক্ষণ থাকার পর রুমে
চলে
যায় সে।
.
নিলয় সেই রাত ১১টা থেকে টিনার
সাথে কথা বলছে! দুইটা শব্দ বলার পর
বিশ
বাক্যের হাসি হাসে টিনা! নিলয়
আর
কি করবে, সেও টিনার সাথে
ছাগলের
তিন নম্বর বাচ্চার মত হাসতে
থাকে!
শুধুশুধু টাকা খরচ যাকে বলে। টিনা
বললো, "কাল তাহলে ক্যাফেতে
দেখা
করি?" নিলয় বাধ্য ছেলের মত
টিনার
কথায় সম্মতি জানালো!
.
পরেরদিন, রেস্টুরেন্টে দেখা করে
ওরা!
বেশ ব্যয়বহুল রেস্টুরেন্ট! কলসী
থেকে
পানি ঢালার মত করে টাকা খরচ
করে
যাচ্ছে নিলয় অথচ ভাবছেও না
টাকাগুলো ওর বাবা খুব কষ্টে
রোজগার
করেছেন। রেস্টুরেন্ট থেকে বের
হয়ে
টিনাকে বাসায় পৌছে দিয়ে
ফিরছিল এমন সময় আয়নার সাথে
দেখা হয়
নিলয়ের! আয়না হাসিমুখে বললো,
"একটা কথা বলতে চাই, সময় হবে
শোনার?" নিলয় অতি অহংকারী
ভাব
নিয়ে বললো, "বল, শুনি....!" "মাথার
চুলগুলো ঠিকভাবে আঁচড়ে নিও,
এতে
তোমাকে ভাল দেখায় না। আর
বেসলেট
গুলো তোমার হাতে বড্ড বেমানান
লাগে। ওগুলো ফেলে দিও..." নিলয়
তিরস্কারের হাসি দিয়ে বললো,
"মেনি মেনি থ্যাংকস মাই
কেয়ারটেকার....!" আয়না আবারও
বললো,
"তোমার বাবার মুখের দিকে
একবার
তাকিয়ে দেখ, তোমার সকল ভুল
বুঝতে
পারবে। আসি।" আয়নার কথাগুলাকে
কোন প্রকার গুরুত্ব দিল না নিলয়।
.
আয়না বাসায় ফিরে প্রতিদিনের
মত
কবুতরগুলোকে খেতে দিল। ছাগল
গুলো
কোথায় আছে তারও ঠিক নেই!
ক্যাম্পাস
থেকে ফেরার পথে নিলয় আর
টিনাকে
রেস্টুরেন্ট থেকে বের হতে দেখে
সে!
সে!
সেখানে নিলয়ের জন্য দারিয়ে
থাকে
আয়না। সে জানে নিলয় এপথ
দিয়েই
ফিরে আসবে। আয়না বেশি কষ্ট
পায় যখন
নিলয় ওর কথা গুলোর তিরস্কার করে।
মরে
যেতে ইচ্ছে করে তার! তবুও বেঁচে
আছে
ওর মা বাবার জন্য। কারণ আয়নার
বিয়ে
হয়ে গেলে সে তার মা বাবার
দেখাশোনা করতে পারবে না!
নিলয়ের সেই তাচ্ছিল্য করা
বারবার
আয়নার চোখের সামনে ভেসে
উঠছে!
কি পরিমাণ কষ্টে আছে সে তা
বুঝতে
দিচ্ছে না কাউকে। দিন দিন
চোখের
নিচে কালো দাগ বসে যাচ্ছে!
মা
বাবা এটা খেয়াল করলেন।
আয়নাকে
এব্যাপারে বললে সে বলে
ক্যাম্পাসে
ইদানীং পড়ার খুব চাপ দিচ্ছে!
আয়না
সিদ্ধান্ত নিল সে নিলয়ের কোন
খোজ
খবর রাখবে না! অনেক কষ্ট হচ্ছিল এ
সিদ্ধান্ত নিতে! তবুও সে নিলয়ের
কোন
খেয়াল রাখবে না। মা বাবা
যতদিন
আছে ততদিন তাদের সেবা করে
যাবে।
আজকের পর্ব শেষ,,,,,,,,,,,,
গল্প:#আনস্মার্ট_মেয়ে
Part... . .(1)
আয়না কান্নাভরা অভিমানী চোখ নিয়ে এক নিঃশ্বাসে নিলয়কে "ভালবাসি" বলে ফেললো! কিন্তু মেয়েটা লজ্জা আর ভয়ে চোখ তুলতে পারছে না। এমন সময় নিলয় বললো, . "কি বললে তুমি? ভালবাসো? আমাকে?" . "হু...." 1নিজের চেহারাটা আয়নাতে দেখছো কখনও? তোমাকে নিয়ে দাঁড়াবো কোথায়?" . "ভালবাসতে চেহারা লাগে?" . "ভালবাসতে সবই লাগে, টাকা পয়সা, রুপ লাবণ্য সবই লাগে.." . "তুমি কি মনে কর তোমার ক্লাসের ওই সুন্দরী ঢঙ্গি মেয়েগুলো তোমাকে ভালবাসবে? কখনও না!" . "তুমি যাও তো নিজের টাইপের কিছু খুজে নাও। ফেয়ার এন্ড লাভলী মাখো প্রতিদিন, যেদিন চেহারা ঠিক হবে সেদিন এসো।" . এমন সময় নিলয়ের এক বান্ধবী এসে বললো, "কিরে তুই এখানে কি করিস?" নিলয় তখন অট্টো হাসি দিয়ে বললো, "দোস্ত শোন শোন, আয়না আমাকে প্রপোজ করছে তাই ওকে বুঝাচ্ছি ওর ভালবাসার বয়স হয় নি।" . আয়না সেখানে আর থাকলো না! স্বাভাবিক পায়ে হেটে চলে গেল! এখন সে কাঁদার জায়গা খুঁজছে। কোথায় গেলে একটু শান্তি পাবে সেই স্থান খুঁজছে! কারণ আয়না এখন বাসায় যাবে না। গেলেই মা বাবার কাছে ধরা পরে যাবে! এখন ক্যাম্পাস থেকে অনেক দুরে চলে এসেছে সে! বিশাল বট গাছের নিচে বসে কাঁদছে সে! সে যাকে এত আপন ভাবে সেই আজ তাকে এত বড় কষ্ট দিল! ভেবেই কেঁদে যাচ্ছে সে! . আয়না, নিম্নবিত্ত আর মধ্যবিত্তের মাঝামাঝি পরিবারের মেয়ে। মায়াবী মেয়েটা ফ্যাশন নামের বিষয়টা কি জানে না। আসলে ওর মত মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের ডিকশনারিতে বিলাসিতা শব্দটা নেই। আছে সুখে থাকার অভিনয় করে দুঃখকে ঢেকে রাখা। বাবার অবস্থা যখন ভাল ছিল তখন জমি কিনে একটা পাঁকা বাড়ি করেছিলেন যার ফলে বাসা ভাড়া দেয়ার ঝামেলা থেকে আয়নার পরিবার বেঁচে গিয়েছে! আর্থিক অবস্থা এখন আগের চেয়ে অনেক খারাপ। মা বাবা প্রতিনিয়ত বিয়ের কথা বলছে কিন্তু সে মানা করে দেয়। নিজের হাত খরচ চালানোর জন্য তিন চারটা টিউশনি করে দুইটা ছাগল আর দুই জোড়া কবুতর কিনেছে। ছাগল যা দুধ দেয় আর কবুতর যখন বাচ্চা প্রসব করে তখন যদি কেউ বাচ্চা কিনতে চায় তাহলে বিক্রি করে দেয়। তবে কবুতরের বাচ্চা বিক্রি করার সময় সে খুব দুঃখ পায়! কারণ বাচ্চাগুলোকে আয়না নিজেই ওদের মায়ের কাছ থেকে আলাদা করে দেয়! নিজেকে অনেক স্বার্থপর মনে হয় তখন ওর! তবে এবার সে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যাই হোক আর কোন কবুতরের বাচ্চাকে সে বিক্রি করবে না! নিলয়, মা বাবার একমাত্র সন্তান! অনেক আদরের আর ওকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন তাদের। কিন্তু নিলয় কে দেখে মনে হয় না সে তার মা বাবার স্বপ্ন পুরণ করতে পারবে। বাবার স্বপ্ন ছিল ছেলে অনেক বড় ডাক্তার হবে, সারা দেশ নিলয়কে একনামে চিনবে! কিন্তু নিলয়ের সেদিকে কোন খেয়াল নেই! নিলয়ের পরিবারের অবস্থা খুবই ভাল। বাবা একজন শিল্পপতি আর মা অ্যাডভোকেট! আর ছেলে মা বাবার টাকা এখানে সেখানে বাজে বন্ধুদের জন্য উড়িয়ে দেয়! ছেলে যখন ডাক্তার হতে পারলো না তখন অন্তত বাবার প্রতিষ্ঠানটার দেখাশোনা করুক,কিন্তু সেটাও নিলয় করবে না! বাইক আর বি.এম.ডাব্লিউ নিয়ে রাস্তা দাপিয়ে বেড়ানো তার নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে! . আয়না চুপচাপ বাড়ি এসে হাত মুখ ধুয়ে কবুতরের কাছে চলে গেল। কবুতরগুলোকে সকালে খাবার দেয় নি তাই এখন খাবার দিচ্ছে! পানি পাল্টিয়ে ভাল বিশুদ্ধ পানি দিল। কবুতরের বাকবাকুম শব্দে অনেক ভাল লাগছে। হঠাৎই সে ভাবতে লাগলো, "আমি কি দেখতে এতই খারাপ যে আমাকে আজ এত অপমান করলো?" এমন সময় আয়নার মা রান্নার কাজে সাহায্য করার জন্য আয়নাকে ডাকে। . রাত্রে খাওয়া শেষ করে বাসার ছাদে বসে শুধু নিলয়ের কথা ভাবছে। কেন নিলয় এমন করলো! এমন আচরণ তো আয়নার পাবার কথা ছিল না। ক্যাম্পাসে নিলয়ের প্রতিটা কথা আর ওর সুন্দরী বান্ধবীর ভেংচি কাঁটা চেহারাটা চোখের সামনে ভেসে উঠটেই কেঁদে ওঠে সে! কিছুক্ষণ থাকার পর রুমে চলে যায় সে। . নিলয় সেই রাত ১১টা থেকে টিনার সাথে কথা বলছে! দুইটা শব্দ বলার পর বিশ বাক্যের হাসি হাসে টিনা! নিলয় আর কি করবে, সেও টিনার সাথে ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার মত হাসতে থাকে! শুধুশুধু টাকা খরচ যাকে বলে। টিনা বললো, "কাল তাহলে ক্যাফেতে দেখা করি?" নিলয় বাধ্য ছেলের মত টিনার কথায় সম্মতি জানালো! . পরেরদিন, রেস্টুরেন্টে দেখা করে ওরা! বেশ ব্যয়বহুল রেস্টুরেন্ট! কলসী থেকে পানি ঢালার মত করে টাকা খরচ করে যাচ্ছে নিলয় অথচ ভাবছেও না টাকাগুলো ওর বাবা খুব কষ্টে রোজগার করেছেন। রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে টিনাকে বাসায় পৌছে দিয়ে ফিরছিল এমন সময় আয়নার সাথে দেখা হয় নিলয়ের! আয়না হাসিমুখে বললো, "একটা কথা বলতে চাই, সময় হবে শোনার?" নিলয় অতি অহংকারী ভাব নিয়ে বললো, "বল, শুনি....!" "মাথার চুলগুলো ঠিকভাবে আঁচড়ে নিও, এতে তোমাকে ভাল দেখায় না। আর বেসলেট গুলো তোমার হাতে বড্ড বেমানান লাগে। ওগুলো ফেলে দিও..." নিলয় তিরস্কারের হাসি দিয়ে বললো, "মেনি মেনি থ্যাংকস মাই কেয়ারটেকার....!" আয়না আবারও বললো, "তোমার বাবার মুখের দিকে একবার তাকিয়ে দেখ, তোমার সকল ভুল বুঝতে পারবে। আসি।" আয়নার কথাগুলাকে কোন প্রকার গুরুত্ব দিল না নিলয়। . আয়না বাসায় ফিরে প্রতিদিনের মত কবুতরগুলোকে খেতে দিল। ছাগল গুলো কোথায় আছে তারও ঠিক নেই! ক্যাম্পাস থেকে ফেরার পথে নিলয় আর টিনাকে রেস্টুরেন্ট থেকে বের হতে দেখে সে! সে! সেখানে নিলয়ের জন্য দারিয়ে থাকে আয়না। সে জানে নিলয় এপথ দিয়েই ফিরে আসবে। আয়না বেশি কষ্ট পায় যখন নিলয় ওর কথা গুলোর তিরস্কার করে। মরে যেতে ইচ্ছে করে তার! তবুও বেঁচে আছে ওর মা বাবার জন্য। কারণ আয়নার বিয়ে হয়ে গেলে সে তার মা বাবার দেখাশোনা করতে পারবে না! নিলয়ের সেই তাচ্ছিল্য করা বারবার আয়নার চোখের সামনে ভেসে উঠছে! কি পরিমাণ কষ্টে আছে সে তা বুঝতে দিচ্ছে না কাউকে। দিন দিন চোখের নিচে কালো দাগ বসে যাচ্ছে! মা বাবা এটা খেয়াল করলেন। আয়নাকে এব্যাপারে বললে সে বলে ক্যাম্পাসে ইদানীং পড়ার খুব চাপ দিচ্ছে! আয়না সিদ্ধান্ত নিল সে নিলয়ের কোন খোজ খবর রাখবে না! অনেক কষ্ট হচ্ছিল এ সিদ্ধান্ত নিতে! তবুও সে নিলয়ের কোন খেয়াল রাখবে না। মা বাবা যতদিন আছে ততদিন তাদের সেবা করে যাবে। আজকের পর্ব শেষ,,,,,,,,,,,,