হিংসুটে মেয়ে পর্ব-৪
শুভ তখন নিশির কপালে হাত দিয়ে দেখে তার শরীরের তাপমাত্রা খুব বেশি বেড়ে গেছে।
শুভ তখন ভাবে হয়তো সকালের থাপ্পড়ের জন্য এমন অবস্থা হয়ছে।
শুভ তখন শুয়া থেকে উঠে জল পট্টি দিয়ে গায়ে কম্বল টেনে দিয়ে শুভ পাশে শুয়ে পরে।
কতক্ষণ পরে আরো বেশি কাপাকাপি করতেছে।
শুভ তখন কোনো উপায় না পেয়ে নিশিকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে।
জড়িয়ে ধরার কতক্ষণ পরে নিশির কাঁপন কমার পরে শুভ সে তার বালিশে এসে শুয়ে পরে।
সকাল হওয়ার পরে নিশি চোখ খুলে তাকিয়ে দেখে তার মাথায় জলপট্টি দেওয়া।
নিশি তখন শুয়া থেকে উঠে ফ্রেশ হয়।
নিচে যাওয়ার পরে
-তোকে এমন দেখাচ্ছে কেন?(নিশির মা)
-শরীর খারাপ লাগছে
-শরীর খারাপ নাকি ঐ ছোট লোকের বাচ্চা কিছু বলছে?
-নাহ মা
-তাহলে কি হয়ছে বল?
-বলছিনা শরীর খারাপ লাগছে
-নিশির মা তখন নিশির কাছে এসে কপালে হাত দিয়ে দেখে শরীর তাপমাত্রা একট বাড়তি
-জ্বর উঠছে নাকি?
-হুমম
-এই ডক্টরকে খবর দেও(নিশির বাবাকে উদ্দেশ্য করে)
-আমাকে বলছো কেনো?
-তোমাকে বলবনা তো কি বাড়ির কেয়ার টেকার কে বলবো?
-ওর এখন হাজবেন্ড আছে সো, ওর হাজবেন্ডের সাথে করে হসপিটালে পাঠাও
-ডক্টর কি এখানে আসবেনা?
-জ্বরের কেইস নিয়ে ভালো কোনো ডক্টর আসবেনা, তাই শুভরে দিয়ে হসপিটালে পাঠাও
-নিশির মা তখন শুভকে ডেকে ঘুম থেকে উঠিয়ে নাস্তা করিয়ে হসপিটালে পাঠায়।
গাড়ি তার নিজস্ব গতিতে চলছে।
গাড়ি চলাকালীন নিশি তার অজান্তে শুভর কাধে মাথা রাখে।
শুভ তখন নিশির দিকে চেয়ে মনে মনে ভাবে এত সুন্দর মেয়েটা এমন কেন?
ও কি এমন না করলে পারে না?
ঘুম অবস্থায় কত সুন্দর লাগছে,যেনো কোন এক পরী আমার কাধে মাথা দিয়ে ঘুমোচ্ছে।
এভাবে ভাবতে ভাবতে গাড়ি হসপিটালের কাছে যাওয়ার পরে শুভ নিশিকে ডাক দেয়। নিশি চোখ খুলে তাকিয়ে দেখে সে শুভর কাধে মাথা রেখে আছে।
নিশি তখন সাথে সাথে মাথা উঠিয়ে নেয়।
হসপিটাল থেকে ডাক্তার দেখিয়ে বাড়িতে আসার পরে
-কিরে মা ঔষধ দিছে?
-হুম,মা আমার ভালো লাগছেনা
রুমে গিয়ে শুয়ে থাকি
-আচ্ছা আর কোনো সমস্যা হলে বলিস কিন্তু
-আচ্ছা
কয়েকদিন পরে সুস্থ হওয়ার পরে।
একদিন খাবার টেবিলে
-বিয়ে হওয়ার পরে তো দেখছি দুজনের পড়ালেখা-ই কমে গেছে(বাবা)
-দুজনই তখন চুপ করে থাকে
-কাল থেকে ভার্সিটিতে যাবা
-তখন দুজনই সহমত পোষণ করে।
পরেরদিন সকালে দুজন ঘুম থেকে উঠার পরে রেডি হয়ে ভার্সিটির উদ্দেশ্যে দুজনই এক গাড়িতে উঠে।
-আমাদের যে বিয়ে হয়ছে এটা যাতে কেউ না জানে(নিশি)
-কেনো?
-এমনি
-আমি কোনো কথা নিজের পেটে পোষে রাখতে পারি না
-পারতে হবে
-ভার্সিটিতে গিয়েই সবাইকে বলে দিব
-প্লিজ
-শুভ তখন চুপ হয়ে গাড়ির জানালা দিয়ে বাহিরের দিকে তাকিয়ে থাকে
-আমাদের মধ্যে যা হয়ছে সেটার জন্য আমি কোনরকম মেন্টালি প্রস্তুত ছিলাম না
-আমি ছিলাম?
-তুমি তো এটা-ই চাইছো
-তুমি কি চাইছিলে?
-নিশি তখন চুপ করে থাকে
-তুমি আর তোমার মা যেই নাটক সাজাইছিলা সেটার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম?
তুমি আমার ওপরে এত ক্ষিপ্ত কেনো?
আমি কি তোমার কোনরকম ক্ষতি করছি?
তোমার নামে কারো কাছে কোনকিছু বলছি?
-নাহ সেটা কি বলছি নাকি?
-তাহলে আমার ওপরে তোমার কিসের এত রাগ?
সেই ছোট থেকে যখন মা-বাবা মারা গেছে তখন থেকে তুমি আর তোমার মা আমার পিছনে এভাবে লাগছো কেনো?
-আচ্ছা এই সবকিছুর জন্য আমি ক্ষমা চাচ্ছি, প্লিজ এটা ভার্সিটিতে জানাইয়ো না।
গাড়ি ততক্ষণে ভার্সিটির গেইটের কাছে এসে পরে।
শুভ তখন কোনকিছু না বলে গাড়ি থেকে নেমে ফ্রেন্ডদের সাথে চলে যায়।
-দোস্ত এতদিন আসলিনা কেনো?(শুভর বেস্ট ফ্রেন্ড রাতুল, কিছুটা জোকার টাইপের)
-এমনিতে কিছু সমস্যা ছিলো
-কি সমস্যা?
-বিয়ের জন্য কিছু ঝামেলা গেছে
-কার বিয়ে?
-আমার
-কিহহহহহ(অবাক হয়ে)
-হ্লার পু হ্লা, তুই বিয়ে করলি আর আমাকেই জানালিনা?
-আরে শোণ না
-ভাবিরে দেখাবিনা?
-মন চাইলে দেইখা আয়
-চল এখন তোর বাসায় যাব
-কেনো?
-বউ দেখবো
-ভার্সিটিতেই আছে
-মানে?
-হুমম
-কে সে?
-আছে একজন
-নাম কি?
-নাম বলা যাবে না
-নীলা নাকি?(ভার্সিটির ভাবওয়ালি)
-নাহ
-তো কে?
-নিশি
-শালা এতক্ষণ জোকস মারাইছোছ?
-সত্যি
-বিনোদন একটু কম দে
-শুভ তখন মোবাইল থেকে বিয়ের ছবি রাতুলকে দেখায়।
-এই ছবি দেখে রাতুল চোখ বড় বড় করে শুভর দিকে তাকিয়ে আছে
-কিরে এমনে কি দেখতাছোছ?
-মামু আমি কি স্বপ্নে আছি?
-শুভ তখন শরীরের সব শক্তি হাতের কবজিতে এনে একটা থাপ্পড় দেয়
-ওমাহহহহ
-এখন বুঝেছিস স্বপ্ন নাকি সত্যি?
-এটা কেমনে সম্ভব
-পরে বুঝিয়ে বলবো,এখন ক্লাসে চল
-আমার ট্রিট টা?
-ক্লাসের শেষে আর হ্যা শোণ এই বিয়ের ব্যাপার যাতে অন্য কেউ না জানে
-ওকে।
ক্লাস শেষ করে গাছের নিচে বসে প্রায় সবাই আড্ডা দিচ্ছে,এমন সময় একটা মেয়ে হাতে ফুল নিয়ে শুভর কাছে এসে হাত দিয়ে ফুলটা বাড়িয়ে দেয়,
শুভ তখন ................
Next....
SH Sanjid
well article