২৬ বছর বয়সী লিজা হোটেল রুমে বসে অপেক্ষা করছে তার দেবর ও তার পার্টনার শাওনের জন্য। এর প্রায় ৩০ মিনিট পর আসলো শাওন।

--কিরে তোর আসতে এতোক্ষন লাগে?(লিজা)

--সরি ভাবি,, বাইকের তেল শেষ হয়ে গেছিলো।(শাওন)

--ওওও……… আচ্ছা নে তারাতারি শুরু কর। আজ বেশি সময় নাই। তোর ভাই বাসায় এসে না দেখলে সন্দেহ করবে।(লিজা)

--আচ্ছা ঠিক আছে...(শাওন)

--শুন কাপর সব খুলবি না,,এমনি কর।(লিজা)

--ওকে ভাবি.!(শাওন)

--ওকে, আচ্ছা এগুলো বলা বাদ দিয়ে তারাতারি শুরু কর।(লিজা)

কথাটা বলেই বিছানায় শুয়ে পরলো লিজা। আর সুতে সুতে লিজা আর বললো,,

--সিমা কোথায়?

--বাইরে বসে আছে।

অতঃপর লিজা এবং শাওন তাদের কাজ শুরু করলো। চলে গেলো পাপের দুনিয়ায়। নিজেদের দেহের চাহিদা মেটাতে।

প্রায় ১৫ মিনিট পর...

--ঐ তোর হয়েছে?

--হুমমম ভাবি।

--আচ্ছা সর, ওঠ আমার ওপর থেকে।

--আর একটু থাকো না পপ্লিজ ভাবি?

--তোকে সুখ দিতে গিয়ে আমি আমার সংসার ভাঙ্গতে পারব না। সর.... (একটা ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলো শাওনকে লিজা) তাতারপর নিজের কাপড় ঠিক করতে করতে লিজা বললো...

--আমি গেলাম,, আর শুন বার বার কল করবি না কইলাম। তোর ভাইয়া মাঝে মাঝে ফোন হাতে নেয়। যদি ধরা পরি তাহলে আমাকে আর পাবি না।

--না না ঠিক আছে ভাবি। আমি তোমাকে হারাতে পারবো না।

এই বলে লিজা নিজের বোরখা পরে রুম থেকে বেড়িয়ে সিমাকে ডেকে নিয়ে হোটেল ত্যাগ করে। লিজা বাইরে এসে একটা সিনজি ধরে বাসার দিকে রওনা হয় সিমাকে সাথে নিয়ে। আসলে সিমা হলো লিজার বাসার কাজের মেয়ে। যাকে লিজা নিজের বোনের মতো দেখে আর বিশ্বাস ও করে তাই ওকে সাথে নিয়ে নিজের ইচ্ছা মতো পর পুরুষের সাথে নিজের চাহিদা মেটায় লিজা।

(এই সিমার আরও একটা চরিত্র আছে যেটা এই গল্প পরে আপনারা জানতে পারবেন)

এদিকে শাওন এখনো হোটেল রুমেই বসে আছে। যেখানে এতোক্ষন নিজের চাহিদা মিটালো দুজনে।

আর শাওন বসে বসে ভাবছে লিজা ভাবির কিসের অভাব? টাকা? সম্পত্তি? স্বামির ভালোবাসা? ওর তো ৩ বছরের একটা মেয়েও আছে। আর আমার তো মনে হয় সাদিক ভইয়া ওর কোন চাওয়াই আপর্ণ রেখেছে। তাহলে কেন?

এসব ভাবতে ভাবতে ঘড়ির দিকে শাওন তাকিয়ে দেখে ৩.৪৬ মিনিট। ওরে বাবারে রে বলে উঠে দাড়ায় শওন। আজ প্রাইভেট মিস হবে বলে মনে হয়। হোটেল থেকে বেড়িয়ে এসে বাইক নিয়ে চলে যায় শাওন। এদিকে প্রায় ১৫ মিনিট পর বাসার সামনে চলে আসে লিজা। তারপর সিনজি ভারা দিয়ে লিজা সিমাকে বললো।

--কি রে সিমা তোর ভাইয়া আবার আসে নাই তো?

--মনে হয় আসে নাই ভাবি। আসলে তো বাইরে গাড়ি থাকতো।

--হুম আচ্ছা তারাতারি চল।

অতঃপর লিজা বাসায় এসে গোসল করে ফ্রেস হয়ে সোফায় বসে টিভি দেখছে। এমন সময় শিপন এর ফোন। লিজা প্রথমে ধরলো না। কিন্তু শিপন ও নাছর বান্দা ফোন দিয়েই যাচ্ছে। অতঃপর কলটা রিসিভ করলো লিজা।

--কি বলবি তারাতারি বল (লিজা)

--কলটা ধরতে এতো দেরি হলো কেন ভাবি? জানতে পারি?

--আমি কি তোর বউ যে তোকে সব বলতে হবে? আজাইরা পেচাল বাদ দিয়ে কেন কল করেছিস সেটা বল।

--কাল একটু দেখা করতে পারবে?

--না কাল হবে নাহ।

--কেন?

--আমার সমস্যা আছে। আর মনে রাখিস আমি কোন পতিতা না যে তুই ডাকলি আর আমি চলে আসব। আমার সংসার আছে। সব কিছু মেইনটেন করে চলতে হয় আমার।

--তো কবে দেখা করবে?

--দেখি………………টুটু কলটা কেটে দিলো লিজা।

তারপর সিমাকে এক কাপ চা দিয়ে যেতে বলে আবারো টিভি দেখায় মনো্যোগ দিলো লিজা। সামিরাকে কোলে নিয়ে। (অহ্ সামিরা হচ্ছে লিজার মেয়ে) লিজার পছ্দের সিরিয়াল বলে কথা।

--এই নিন ভাবি চা।

--হুমমম,, তোর কাজ শেষ?

হাত বাড়িয়ে চা নিয়ে।

--হুমমম ভাবি।

--আচ্ছা তো বস এখানে টিভি দেখি।

--হুমমম ভাবি..

বলেই ফ্লোরে বসে পড়লো সিমা।

--আরে সোফায় বস না। এখন কি তোর ভাইয়া আছে।

তারপর সোফায় বসতে বসতে সিমা বলল।

--কেমনে আপনি একসাথে দুইজনকে সামাল দেন ভাবি? শাওন শিপন দুজন প্রেমিক বলেই একটা শ্বাস ছাড়লো সিমা।

তারপর লিজা একটা হাসি দিয়ে বললো।

--দুই জন কোথায় রে, তিন জন,, তোর ভাইয়া আছে না?

--হুমমমমমম,,,,, একটা আবারো দীর্ঘগশ্বাস ছাড়লো সিমা। আর মনে মনে ভাবছে আমি একটাকেই সামাল দিতে পারি না। আর ওনি তিন টা!!!

বিকাল ৫টা। গাড়ির হর্ন শুনে তারাতারি করে সোফা থেকে উঠে পরে সিমা। সিমার কান্ড দেখে মুসকি একটা হাসি দিলো লিজা আর বললো।

--এতো ভয় করিস তোর ভাইয়াকে?

--হুমমম ভাবি অনেক।

তহলে আমাকে যে এসবে সাহায্য করিস যদি জানতে পারে?

--সিমা চুপচাপ……………

--কি ব্যাপার লিজা কি করছো? আমার মামুনি সামিরা কেমন আছো?

বলেই ধপ করে সোফায় বসে পরলো সাদিক,অনেক ক্লান্ত সে।

--এইতো টিভি দেখছি আজ কি খুব বেশি ক্লান্ত? আর তোমার অফিস তো ৪ টা বাজে শেষ হয়। তাহলে মাঝে মাঝে ৫-৫:৩০ এমনকি কোন দিন ৬ বাজেও বাসায় আসো কেন?(লিজা)

--হুমমম অনেক কাজ থাকে তাই।

--আচ্ছা যাও ওপরে যাও গিয়ে ফ্রেসহয়ে নাও আর বাহানা দিতে হবে না।(লিজা)

তারপর লিজা নাস্তা রেডি করছে।

আর এদিকে ওকে বলেই ওপরের দিকে হাটা দিলো সাদিক।

--যা সিমা তোর ভাইয়াকে নাস্তা দে।(লিজা)

--ওকে ভাবি,, যাচ্ছি।

এদিকে সাদিক ওপরে গিয়ে ফ্রেস হয়ে নিলো। তারপর নাস্তার টেবিলে আসলো।

--কি রে সিমা নাস্তা রেডি?

--হুমম ভাইয়া বসুন দিচ্ছি।

তারপর নাস্তা সেরে সাদিক নিচে লিজার কাছে চলে আসে।

--নাস্তা করছো?

--হুমমমম করলাম.!!

--আচ্ছা সন্ধা তো হয়ে এলো বাজারে যাবা না?

--নাহ আজ যাব না.! যা আছে তাই দিয়ে সিমাকে চালিয়ে নিতে বলো।

এভাবেই দুজনে গল্প করতে করতে অনেটা সময় কেটে গেলো। এখন রাত ১০ টা। লিজা ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে এসে নাইট ড্রেস পড়ছে আর সাদিককে দেখছে সাদিক বসে ল্যাপটপে নিজের কাজ করছে। তারপর লিজা সাদিককে পিছন থেকে জরিয়ে ধরে বলল।

--আর কতো অফিসের কাজ করবা? ঘরে যে বউ আছে সেটা ভুলে গেছো?

সাদিক নিজের কাজ রেখে লিজাকে হ্যাচকা একটা টান দিয়ে বিছানায় চেপে ধরলো আর বলল

--না ভুলি নাই...

বলেই লিজার ঠোটে নিজের ঠোট ডুবিয়ে দিলো। লিজাও নিজের স্বামির সোহাগ চোখ বন্ধ করে উপভোগ করছে। এভাবে প্রায় ১০ মিনিট চলতে থাকলো। তারপর হঠাৎ টেবিলে রাখা লিজার ফোটের মেসেজ টোন টা বাজতেই দুজনে চোখ সেদিকে গেলো………… . . . চলবে………………♥♥ . গল্প :- চাহিদা পর্ব :- ০১ Kabbo Ahammad . . গল্পটা কেমন হয়েছে অবশ্যই জানাবেন। বিতর্কিত মন্তব্য থেকে বিরত থাকুন প্লিজ।

2
$
User's avatar
@Mdemon456 posted 4 years ago

Comments