আমার_আসক্তি_যে_তুমি
Part_38
Writer_Asfiya_Islam_Jannat
.
🍁
কানে কিছু পড়ার শব্দ কানে আসতেই আমি পিছনে ঘুরি। তখন দেখি কেউ একটা লোহার রড নিয়ে আমার দিকে আঘাত করতে চলেছে। আমি সাথে সাথে এক চিৎকার দিয়ে ভয়ে হাত সামনে নিয়ে চোখ দুটো বন্ধ করে ফেলি।
অতঃপর কোন সারা শব্দ না পেয়ে ধীরে ধীরে চোখ খুলতে শুরু করি। সামনে তাকিয়ে দেখি কেউ নেই। আমি অবাক হয়ে চারদিক দেখতে লাগলাম৷ না কেউ নেই।
.
-- এইটা কিভাবে সম্ভব? মাত্রই তো এইখানে একজন ছিল। তাহলে কি ওইটা আমার মনে ভুল ছিল।
.
তখনই দরজা ঠেলে আরিশা ওয়াশরুমে আসে। আর আমার কাছে এসে বলে,
.
-- কিরে! হয়নি তোর। ভাইয়া তোকে কখন থেকে খুঁজছে। তারাতারি আয়!
.
-- হুম হয়ে গিয়েছে। কিন্তু..
.
-- কি কিন্তু মিন্তু লাগিয়ে দিয়েছিস। তারাতারি আয় না বইন।
.
-- হুম চল।
তারপর হাটা শুরু করি আর বার বার আশে পাশে চোখ বুলাতে থাকি। কেন যেন মনে হচ্ছে এইখানে কেউ আছে।
.
.
🍁
.
রিয়ানের কাছে আসতেই রিয়ান সকলের নজরে ফাকি দিয়ে আমাকে রিসোর্টের উপরতলার একটি রুমে নিয়ে আসে। আমি হাবলার মত তারদিকে তাকিয়ে থাকি। বুঝার চেষ্টা করি আসলে তিনি করতে কি চাচ্ছেন। কিন্তু তাতে আমি ব্যর্থ হয়ে তাকে জিজ্ঞেস করি,
.
-- এইখানে আমাকে কেন এনেছেন?
.
-- আমাদের ফিউচার বাচ্চাদের নাম ঠিক করতে। শান্ত চাহনিতে।
.
এই কথাটা শুনার সাথে সাথে আমার কাশি উঠে যায়। রিয়ান টেবিলে থাকা পানির বোতলটা আমায় এগিয়ে দেয়। আমি তারাতারি পানিটা খেয়ে ফেলি। তারপর তার দিকে তাকাই। তার চাহনি এখনো শান্ত। আমার বুঝতে আর দেরি নি যে রিয়ান আমার এই কথা প্রচন্ড রেগে গিয়েছে। আমি স্মিত হেসে বলি,
.
-- ইয়ে মানে! আপনাকে না আজকে অনেক বান্দর থুরি সুন্দর লাগছে।
.
আমার এমন কথায় রিয়ান মাথায় হাত দিয়ে বলে,
.
-- তোমার কিছু হবে না। ইউ আর জাস্ট ইম্পসিবল।
.
-- হুহ!
বলে চারদিকে চোখ বুলিয়ে দেখতে থাকি। বেশ সাজানো গুছানো রুমটি।
তখন হুট করেই রিয়ান আমার হাত ধরে টান দিয়ে তার একদম কাছে নিয়ে আসে। আমি এইবার তার দিকে বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে থাকি। রিয়ান এইবার আলতো হাতে আমার কোমর জড়িয়ে ধরে আর আমার কানের সামনে মুখ এনে বলে,
.
-- আমার কাছে আসলে কেন খালি পালাই পালাই করো। আমাকে পছন্দ নয় নাকি আমার স্পর্শগুলোকে।
.
-- ততেমন ককিছু ননা! পপ্লিজ ছছাড়ুন।
.
-- এতো তারা কিসের? যে কাজ করতে তোমায় এইখানে এনেছি তা তো আগে করে নি।
.
-- মমমানে!
.
রিয়ান কিছু না বলে আমার দিকে ঝুঁকে আসে। রিয়ানকে ঝুঁকে আসতে দেখেই আমি সাথে সাথে চোখ বন্ধ করে ফেলি।
রিয়ান পাশের টেবিল হতে হলুদের কোটা থেকে হাল্কা হলুদ উঠিয়ে আমার গালে ছুঁয়ে দেয়।
গালে তরল জাতীয় কিছু অনুভব করাতেই চট করে চোখ খুলে ফেলি। তারপর গালে হাত দেখি হলুদ। আমি এইবার বিষ্ময়কর চোখে তার দিকে তাকিয়ে থাকি। সে আবার আমার কানে সামনে এসে ধীর কন্ঠে বলে,
.
-- তোমাকে সর্বপ্রথম হলুদ দেওয়ার অধিকার শুধুই আমার। নিজের রিয়ুপাখিকে হলুদকুড়িতে পরিনত হতে সর্বপ্রথম দেখার অধিকারটাও আমার। আর আমি আমার অধিকার কাউরো সাথে শেয়ার করি না। এই বলে রিয়ান সরে আসে।
.
আমি এইবার মুচকি হেসে হলুদের কোটা থেকে হলুদ নিয়ে রিয়ানের গালে ছুঁয়ে দেই। তারপর মুচকি হেসে বলি।
.
-- তাহলে আপনাকেও সর্বপ্রথম হলুদ দেওয়ার অধিকারও আমার।
.
-- হুহ!
.
.
🍁
.
স্টেজের মধ্যে বসে আছি। একেক করে সকলেই এসে হলুদ ছুঁয়ে দিচ্ছে। একটু আগেই আরিশা আর রিংকি এসে আমায় ভূত বানিয়ে দিয়ে দৌড়ে পালিয়েছে। আমি রাগে ফুসতে ফুসতে টিস্যু দিয়ে সেগুলো মুছতে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। আর রিয়ান আমায় দেখে মুচকি হাসতে শুরু করে। আমি এইবার চোখ গরম করে তার দিকে তাকাই।
.
.
আরিশা দৌড়াতে গিয়ে সিয়ামের সাথে ধাক্কা খায়। সিয়াম আরিশাকে দেখে দুষ্টু হাসি দেয় তারপর হলুদ মাখা হাতটা ধরে ওর গালে লাগিয়ে দেয়। আরিশা বড় বড় চোখ করে সিয়ামের দিকে তাকিয়ে বলে,
.
-- এইটা কি করলেন?
.
-- শুনেছি যে বউয়ের গায়ের লাগানো হলুদটা যদি কোন কুমারী মেয়েকে লাগিয়ে দেওয়া হয় তাহলে তার বিয়ে খুব তারাতারি হয়ে যায়। এর মানে তোমার আমার বিয়েও খুব জলদি হয়ে যাবে। মুচকি হেসে।
.
-- আপনি! আপনি না অনেক বড় একটা অসভ্য।
এই বলে আরিশা দৌড়ে পালায়।
.
.
রিংকি হলুদ মাখা দুই হাতে ওয়াশরুমের সামনে দাড়িয়ে আছে। গেটটা খুলতেই পারছে না সে। আশে পাশে কেউ নেইও যে বলবে। তখনই ওয়াশরুমের দরজা খুলতে শুরু করে। রিংকি তা দেখে খুশি হয়ে দ্রুত পায়ে ওয়াশরুমের ভিতরে যেতে নিলে ওর হাত দুটো কাউরো বুকের মধ্যে গিয়ে ঠেকে আর ওর হাতের হলুদ তার জামাতে লেগে যায়। রিংকি তা দেখে বলে,
.
-- সরি সরি আসলে আমি দেখি নি। বলে মুখ উঁচু করতেই দেখে ইশানকে।
ইশান ভ্রু কুচকিয়ে বলে,
.
-- হোয়াট দ্যা হেল! দেখে চলতে পারো না?
.
-- না পারি না।
.
-- তুমি কোন দিন ঠিক মত জবাব দিতে পারো না তাই না? Such a mannerless person.
.
-- কি বললা?? সাহস তো কম না এখনই আমার সরি ফিরত দিন। আপনার মত ব্রিটিশ বান্দর আমার সরি এর যোগ্য না।
.
ইশান এই কথায় রেগে গিয়ে রিংকির হাত ধরে ওর গালে হলুদ লাগিয়ে দিয়ে বলে,
.
-- ট্যাক ইউর সরি ব্যাক। ইউ নিডেড দিস মোর দ্যান মি।
.
-- ইউউউ!!
ব্যাস লেগে গেল আবার তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ।
.
.
🍁
.
বিছানায় শুতেই শরীরটা ছেড়ে দেয়। সকল ক্লান্তি এসে ভীড় করে দুই নয়ন জুড়ে। আজ সারাদিনের যে পরিমান দখল গিয়েছে তা বলার বাহিরে।
আরিশা আর রিংকি পাশেই মরার মত ঘুমাচ্ছে। ওদের দুইজনের দেখাদেখি এখন যেন ঘুমের নেশাটা একদম আঁকড়ে ধরে। তাই এইবার নিজের নয়ন দুটো আর খোলা রাখতে না পেড়ে তলিয়ে যাই ঘুমের রাজ্যে।
.
.
সকালে আরিশা আর রিংকির চেঁচামেচিতে ঘুমটা ভেঙে যায়। পিটি করে চোখ খুলে তাদের দিকে তাকাই। তারপর আরমোড় ভেঙে বিছানা থেকে উঠে ওদের দিকে ভালো মত করে তাকাই। তাকিয়ে যা দেখি তাতে আমি হা হয়ে থাকি।
.
.
চলবে
রাত ১২ টার আগে আরেকটা পর্ব দেওয়ার চেষ্টা করবো। তা না হলে ১২ টার পরে। কিন্তু আজ আরেকটা পর্ব পাবেন তা সিউর।
রি-চেক করি নি তাই ভুল ত্রুটিগুলো ক্ষমার চোখে দেখবেন।
আমার_আসক্তি_যে_তুমি
Part_38
Writer_Asfiya_Islam_Jannat
. 🍁 কানে কিছু পড়ার শব্দ কানে আসতেই আমি পিছনে ঘুরি। তখন দেখি কেউ একটা লোহার রড নিয়ে আমার দিকে আঘাত করতে চলেছে। আমি সাথে সাথে এক চিৎকার দিয়ে ভয়ে হাত সামনে নিয়ে চোখ দুটো বন্ধ করে ফেলি। অতঃপর কোন সারা শব্দ না পেয়ে ধীরে ধীরে চোখ খুলতে শুরু করি। সামনে তাকিয়ে দেখি কেউ নেই। আমি অবাক হয়ে চারদিক দেখতে লাগলাম৷ না কেউ নেই। . -- এইটা কিভাবে সম্ভব? মাত্রই তো এইখানে একজন ছিল। তাহলে কি ওইটা আমার মনে ভুল ছিল। . তখনই দরজা ঠেলে আরিশা ওয়াশরুমে আসে। আর আমার কাছে এসে বলে, . -- কিরে! হয়নি তোর। ভাইয়া তোকে কখন থেকে খুঁজছে। তারাতারি আয়! . -- হুম হয়ে গিয়েছে। কিন্তু.. . -- কি কিন্তু মিন্তু লাগিয়ে দিয়েছিস। তারাতারি আয় না বইন। . -- হুম চল। তারপর হাটা শুরু করি আর বার বার আশে পাশে চোখ বুলাতে থাকি। কেন যেন মনে হচ্ছে এইখানে কেউ আছে। . . 🍁 . রিয়ানের কাছে আসতেই রিয়ান সকলের নজরে ফাকি দিয়ে আমাকে রিসোর্টের উপরতলার একটি রুমে নিয়ে আসে। আমি হাবলার মত তারদিকে তাকিয়ে থাকি। বুঝার চেষ্টা করি আসলে তিনি করতে কি চাচ্ছেন। কিন্তু তাতে আমি ব্যর্থ হয়ে তাকে জিজ্ঞেস করি, . -- এইখানে আমাকে কেন এনেছেন? . -- আমাদের ফিউচার বাচ্চাদের নাম ঠিক করতে। শান্ত চাহনিতে। . এই কথাটা শুনার সাথে সাথে আমার কাশি উঠে যায়। রিয়ান টেবিলে থাকা পানির বোতলটা আমায় এগিয়ে দেয়। আমি তারাতারি পানিটা খেয়ে ফেলি। তারপর তার দিকে তাকাই। তার চাহনি এখনো শান্ত। আমার বুঝতে আর দেরি নি যে রিয়ান আমার এই কথা প্রচন্ড রেগে গিয়েছে। আমি স্মিত হেসে বলি, . -- ইয়ে মানে! আপনাকে না আজকে অনেক বান্দর থুরি সুন্দর লাগছে।
. আমার এমন কথায় রিয়ান মাথায় হাত দিয়ে বলে, . -- তোমার কিছু হবে না। ইউ আর জাস্ট ইম্পসিবল। . -- হুহ! বলে চারদিকে চোখ বুলিয়ে দেখতে থাকি। বেশ সাজানো গুছানো রুমটি। তখন হুট করেই রিয়ান আমার হাত ধরে টান দিয়ে তার একদম কাছে নিয়ে আসে। আমি এইবার তার দিকে বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে থাকি। রিয়ান এইবার আলতো হাতে আমার কোমর জড়িয়ে ধরে আর আমার কানের সামনে মুখ এনে বলে, . -- আমার কাছে আসলে কেন খালি পালাই পালাই করো। আমাকে পছন্দ নয় নাকি আমার স্পর্শগুলোকে। . -- ততেমন ককিছু ননা! পপ্লিজ ছছাড়ুন। . -- এতো তারা কিসের? যে কাজ করতে তোমায় এইখানে এনেছি তা তো আগে করে নি। . -- মমমানে! . রিয়ান কিছু না বলে আমার দিকে ঝুঁকে আসে। রিয়ানকে ঝুঁকে আসতে দেখেই আমি সাথে সাথে চোখ বন্ধ করে ফেলি। রিয়ান পাশের টেবিল হতে হলুদের কোটা থেকে হাল্কা হলুদ উঠিয়ে আমার গালে ছুঁয়ে দেয়। গালে তরল জাতীয় কিছু অনুভব করাতেই চট করে চোখ খুলে ফেলি। তারপর গালে হাত দেখি হলুদ। আমি এইবার বিষ্ময়কর চোখে তার দিকে তাকিয়ে থাকি। সে আবার আমার কানে সামনে এসে ধীর কন্ঠে বলে, . -- তোমাকে সর্বপ্রথম হলুদ দেওয়ার অধিকার শুধুই আমার। নিজের রিয়ুপাখিকে হলুদকুড়িতে পরিনত হতে সর্বপ্রথম দেখার অধিকারটাও আমার। আর আমি আমার অধিকার কাউরো সাথে শেয়ার করি না। এই বলে রিয়ান সরে আসে। . আমি এইবার মুচকি হেসে হলুদের কোটা থেকে হলুদ নিয়ে রিয়ানের গালে ছুঁয়ে দেই। তারপর মুচকি হেসে বলি। . -- তাহলে আপনাকেও সর্বপ্রথম হলুদ দেওয়ার অধিকারও আমার। . -- হুহ! . . 🍁 . স্টেজের মধ্যে বসে আছি। একেক করে সকলেই এসে হলুদ ছুঁয়ে দিচ্ছে। একটু আগেই আরিশা আর রিংকি এসে আমায় ভূত বানিয়ে দিয়ে দৌড়ে পালিয়েছে। আমি রাগে ফুসতে ফুসতে টিস্যু দিয়ে সেগুলো মুছতে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। আর রিয়ান আমায় দেখে মুচকি হাসতে শুরু করে। আমি এইবার চোখ গরম করে তার দিকে তাকাই। . . আরিশা দৌড়াতে গিয়ে সিয়ামের সাথে ধাক্কা খায়। সিয়াম আরিশাকে দেখে দুষ্টু হাসি দেয় তারপর হলুদ মাখা হাতটা ধরে ওর গালে লাগিয়ে দেয়। আরিশা বড় বড় চোখ করে সিয়ামের দিকে তাকিয়ে বলে, . -- এইটা কি করলেন? . -- শুনেছি যে বউয়ের গায়ের লাগানো হলুদটা যদি কোন কুমারী মেয়েকে লাগিয়ে দেওয়া হয় তাহলে তার বিয়ে খুব তারাতারি হয়ে যায়। এর মানে তোমার আমার বিয়েও খুব জলদি হয়ে যাবে। মুচকি হেসে। . -- আপনি! আপনি না অনেক বড় একটা অসভ্য। এই বলে আরিশা দৌড়ে পালায়। . . রিংকি হলুদ মাখা দুই হাতে ওয়াশরুমের সামনে দাড়িয়ে আছে। গেটটা খুলতেই পারছে না সে। আশে পাশে কেউ নেইও যে বলবে। তখনই ওয়াশরুমের দরজা খুলতে শুরু করে। রিংকি তা দেখে খুশি হয়ে দ্রুত পায়ে ওয়াশরুমের ভিতরে যেতে নিলে ওর হাত দুটো কাউরো বুকের মধ্যে গিয়ে ঠেকে আর ওর হাতের হলুদ তার জামাতে লেগে যায়। রিংকি তা দেখে বলে, . -- সরি সরি আসলে আমি দেখি নি। বলে মুখ উঁচু করতেই দেখে ইশানকে। ইশান ভ্রু কুচকিয়ে বলে, . -- হোয়াট দ্যা হেল! দেখে চলতে পারো না? . -- না পারি না। . -- তুমি কোন দিন ঠিক মত জবাব দিতে পারো না তাই না? Such a mannerless person. . -- কি বললা?? সাহস তো কম না এখনই আমার সরি ফিরত দিন। আপনার মত ব্রিটিশ বান্দর আমার সরি এর যোগ্য না। . ইশান এই কথায় রেগে গিয়ে রিংকির হাত ধরে ওর গালে হলুদ লাগিয়ে দিয়ে বলে, . -- ট্যাক ইউর সরি ব্যাক। ইউ নিডেড দিস মোর দ্যান মি। . -- ইউউউ!! ব্যাস লেগে গেল আবার তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ। . . 🍁 . বিছানায় শুতেই শরীরটা ছেড়ে দেয়। সকল ক্লান্তি এসে ভীড় করে দুই নয়ন জুড়ে। আজ সারাদিনের যে পরিমান দখল গিয়েছে তা বলার বাহিরে। আরিশা আর রিংকি পাশেই মরার মত ঘুমাচ্ছে। ওদের দুইজনের দেখাদেখি এখন যেন ঘুমের নেশাটা একদম আঁকড়ে ধরে। তাই এইবার নিজের নয়ন দুটো আর খোলা রাখতে না পেড়ে তলিয়ে যাই ঘুমের রাজ্যে। . . সকালে আরিশা আর রিংকির চেঁচামেচিতে ঘুমটা ভেঙে যায়। পিটি করে চোখ খুলে তাদের দিকে তাকাই। তারপর আরমোড় ভেঙে বিছানা থেকে উঠে ওদের দিকে ভালো মত করে তাকাই। তাকিয়ে যা দেখি তাতে আমি হা হয়ে থাকি। . .
চলবে
রাত ১২ টার আগে আরেকটা পর্ব দেওয়ার চেষ্টা করবো। তা না হলে ১২ টার পরে। কিন্তু আজ আরেকটা পর্ব পাবেন তা সিউর। রি-চেক করি নি তাই ভুল ত্রুটিগুলো ক্ষমার চোখে দেখবেন।