গল্পপোকা_ধারাবাহিক_গল্প_প্রতিযোগিতা_সেপ্টেম্বর_২০২০

অচেনা_অভ্যাসে

পর্ব - ৩ (ছেলে দেখা) লেখা : শঙ্খিনী

দিন কয়েকের মধ্যেই শায়লা বেগম ঘটক লাগিয়ে মেয়ের সুযোগ্য দুই পাত্রের সন্ধান পেয়ে গেলেন। যদিও এদের ছবি দেখে মোটেও সুযোগ্য মনে হচ্ছে না অরুর কাছে। একজনের না-কি ব্যাংক ভরা টাকা, আরেকজনের ঘটভরা বুদ্ধি।

সকাল দশটা, অরু বসে আছে এক নামিদামি রেস্টুরেন্টে। শায়লা বেগম ঠিক করে দিয়েছেন, “দশটা থেকে এগারটা পর্যন্ত এক ছেলের সঙ্গে দেখা করবি। এগারটা থেকে বারোটা পর্যন্ত আরেকজনের সঙ্গে। দুই ঘন্টার মামলা।”

     শায়লা বেগমের এই অদ্ভুত পরিকল্পনা শুনে অরু বলে, “এক ঘন্টার পরেও যদি কেউ উঠতে না চায়, তখন কী করবো?”
    “উঠতে না চাইলেও উঠতে হবে, সময়ের দাম আছে না!”

অরুর সামনে যে ছেলেটি বসে আছে তার নাম রাফসান খান। এই ছেলেটিরই ব্যাংক ভরা টাকা। গাত্রবর্ণ, ধবধবে সাদা। চুলগুলো ছোট ছোট। গলায় সোনার চেন, হাতে সোনার আংটি। সে যে ধনী পরিবারের ছেলে, এটা বোঝাতেই বোধ হয় এতগুলো অলংকার পরে বসে আছে। ব্যাপারটা অরুর মোটেও পছন্দ হয়নি। ছেলেটার আরও একটা ব্যাপার আছে যা অরুর পছন্দ হয়নি। সেটা হলো তার উচ্চতা।ছেলেমানুষের এত কম উচ্চতা থাকবে, এটা কেমন কথা! যদিও উচ্চতায় তো আর তার কোনো হাত নেই।

    রাফসান স্বাভাবিক গলায় বলল, “কিছু অর্ডার দিচ্ছেন না যে?”
    “দিবো।”
    “বিলের চিন্তা করতে হবে না, আই উইল টেক কেয়ার অফ দ্যাট।”

অরুর হাত পা শক্ত হয়ে আসছে। এই মুহূর্তে ছেলেটাকে কষে একটা চড় মারতে পারলে ভালো হতো। তবুও বহুকষ্টে নিজেকে সামলে

    ভদ্রভাবে বলল, “বিলের জন্য না, আসলে আমার ক্ষুধা নেই।”
    “ও আচ্ছা।”
    “তা আপনি কী করেন?”
    “গাজীপুরে আমার বাবার তিনটা ফ্যাক্টরি আর নারায়নগঞ্জে দুইটা। ঢাকার মধ্যে আরো একটা ফ্যাক্টরি করার চিন্তাভাবনা আছে।”
    “আপনার বাবার কয়টা ফ্যাক্টরি আছে না আছে তা জেনে আমি কী করবো? আপনি কী করেন?”
    “বাবার এতগুলো ফ্যাক্টরির মালিকানা তো ভবিষ্যতে আমরা তিন ভাই-ই পাবো।”
    “ও।”

অরুর গা ঘিনঘিন করে উঠলো। বাবার ফ্যাক্টরির মালিক - এটা একটা মানুষের পরিচয় কিভাবে হতে পারে?

    রাফসান আবার বলল, “আপনি কী করেন?”
   “সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ওপর মাস্টার্স পরছি।”
   “ইঞ্জনিয়ার?”
   “হুঁ।”
   “ইঞ্জনিয়ারিংয়ে আজকাল ভাত আছে না-কি? বিয়ের পর আপনাকে আমাদের গাজীপুরের একটা ফ্যাক্টরির দায়িত্ব দিতে দেবো।”
   অরু বিড়বিড় করে বলল, “তোর মতো ছাগলকে আমি কেন, কেউ বিয়ে করবে না।”
  “কিছু বললেন?”
  “হ্যাঁ বলেছি!”
  “আচ্ছা আপনার হাতের ঘড়িটা কোত্থেকে নিয়েছেন?”
  “জানি না, গিফট পেয়েছি।”
  “যে গিফট দিয়েছে তার রুচি মোটেই ভালো না। জিনিসটা নন ব্র্যান্ডেড। এইযে আমার হাতে যে ঘড়িটা দেখেছেন, এটা নিয়েছিলাম পাতায়া থেকে। নয় হাজার ইউএস ডলার, ক্যান ইউ বিলিভ দিস।”

ছেলেটাকে আর এক মুহূর্তও সহ্য করতে পারবে না অরু। এদিকে এক ঘন্টাও প্রায় হয়ে এলো।

   রাফসান আবার বলল, “আমার কিন্তু আপনাকে বেশ পছন্দ হয়েছে। আপনারও নিশ্চয়ই আমাকে পছন্দ হয়েছে। আমাদের ফ্যামিলিতে এবার তাহলে...”
  ছেলেটাকে থামিয়ে দিয়ে কঠিন গলায় অরু বলল, “আমার তো আপনাকে পছন্দ হয়নি। আর শুনুন, আঠারো উনিশ বছর লেখাপড়া করে নিজের যোগ্যতায় চাকরি পাওয়ার মধ্যে একটা আনন্দ আছে। সেই চাকরিতে ভাত থাকুক আর না থাকুক, আনন্দ ঠিকই থাকে। বাবার ব্যাবসা সামলে সেই আনন্দ আপনি কোনো দিন পাবেন না। আর এই যে ঘড়িটা দেখেছেন, এটা নয় হাজার ডলারের না। নিউ মার্কেটের সামনে থেকে কেনা আড়াইশ টাকার ঘড়ি। এই আড়াইশ টাকার ঘড়িতেই আমি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।”

রাফসান স্তম্ভিত হয়ে গেল। অরু যে একসঙ্গে এতগুলো কড়া কথা শুনিয়ে দেবে, ভাবতেই পারেনি কখনো।

    অরু আবার বলল, “আপনি মানুষটা না বড্ড ফাঁপা। মেয়েরা ফাঁপা মানুষ পছন্দ করে না। আপনি এখন আসতে পারেন। আর বিলের চিন্তা করতে হবে না। আই উইল টেক কেয়ার অফ দিস।”

সঙ্গে সঙ্গে রাফসান উঠে চলে গেল। ছেলেটাকে এতগুলো কঠিন কঠিন কথা বলতে পেরে বেশ শান্তি লাগছে অরুর। এর পরের জনের সঙ্গেও এমন কঠিন গলায় কথা বলতে হবে।

প্রায় মিনিট দশেক পর হাজির হলো আরেক ছেলে। এই ছেলের ঘট ভরা বুদ্ধি, নাম অর্ক। ছেলেটার মুখের গঠন খানিকটা শিয়ালের মতো। এলোমেলো চুল, চোখে ভারী চশমা, মুখভর্তি দাড়ি, ঢিলেঢালা পাঞ্জাবি। আবার হাতে একটা বই, রবীন্দ্রনাথের ‘লিপিকা’।

অরুর চোখে মুখে বিরক্তির ছাপ। একটা মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে এসেছে, একটু সেজেগুজে আসবে না!

     অরু গম্ভীর গলায় বলল, “আপনি অর্ক?”
      “হ্যাঁ। আপনি?”

‘আপনি?’ মানে কী? পরিবার থেকে বায়োডাটা পড়িয়ে পাঠানো হয়নি? ছাগল কোথাকার!

     অরু গলার স্বর যথাসম্ভব স্বাভাবিক রেখে বলল, “অরুণিমা।”
     “অ-রু-ণি-মা! শব্দটার অর্থ জানেন?”
     “আমার নামের অর্থ আমি জানবো না কেন?” 
     “বলুন তো কী?”

অরুণিমা শব্দটার অর্থ লালচে রঙ। অরু খুব ভালো করে জানে। কিন্তু সেটা কি ছেলেকে বলতে হবে কেন? এখানে নিশ্চয়ই ক্লাস টেস্ট চলছে না।

    অরু বলল, “আমরা বরং কাজের কথায় আসি? আপনি কী করেন?”
    “আমি বই পড়ি। বইকে ভালোবাসি, আমার পুরো জীবনটাই বইকে ঘিরে।”

অর্ক যখন কথাগুলো বলছিল তখন অরু বেশ অন্যমনস্ক ছিল।

      “কী ভালোবাসেন? বই?”
      “হ্যাঁ।”
      অরু বিড়বিড় করে বলল, “আমি তো ভেবেছিলাম বউ।”

অরুর ধারনা ভুল ছিল। এই ছেলের ঘটে এক ফোঁটাও বুদ্ধি নেই, যা আছে তার নাম জ্ঞান। জ্ঞান এবং বুদ্ধি এক জিনিস নয়। অতিরিক্ত বুদ্ধিমান মানুষের সঙ্গে জীবন কাটানো যায়, কিন্তু অতিরিক্ত জ্ঞানী মানুষের সঙ্গে যায় না।

     অরু বলল, “আপনি বরং এক কাজ করুন। বইকেই ভালোবাসুন। বিয়ে টিয়ে করলে কিন্তু বইয়ের প্রতি এই ভালোবাসা কমে যাবে!”
     “বলছেন?”
     “হুঁ।”
     “তাহলে আমি উঠি হ্যাঁ?”
     “অবশ্যই।”

ছেলেটা উঠে দ্রুত ভঙ্গিতে চলে গেল। অরুর ধারনা আজ পৃথিবীর সবথেকে অপদার্থ দুই যুবকের সঙ্গে দেখা হয়েছে। এদেরকে যে কী মনে করে মা পছন্দ করেছে কে জানে!

রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে এক রিকশায় চড়ে বসলো অরু। হ্যান্ডব্যাগ থেকে মোবাইল বের করে ফোন করলো বৃত্তকে। বৃত্তের গলা শুনে মনে হচ্ছে মাত্র ঘুম থেকে উঠেছে।

     অরু বলল, “কই তুই?”
     বৃত্ত বিরক্ত গলায় বলল, “এই সাত সকালে একটা মানুষ নিজের বাসা ছাড়া কোথায় থাকে?”
    “সাত সকাল? সাড়ে বারোটা বাজে এখন।”
   “আমার জন্য সাত সকালই।” 
   “আচ্ছা শোন, তুই কি আজকে একটু দেখা করতে পারবি?”
   “অসম্ভব! একটাই মাত্র ছুটির দিন, আজকে আমি ঘর থেকে বের হতে পারবো না। তুই বাসায় চলে আয়।”
   “আমারও ইচ্ছা করছে না। এতক্ষণ রেস্টুরেন্টে বসে থেকে আমি টায়ার্ড।”
   “ও আচ্ছা আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম! কেমন হলো তোর ছেলে দেখা?”
   “আর ছেলে দেখা!”
   “কেন দুজনেই রিজেক্ট করেছে না-কি?”
   “আমি দুজনকে রিজেক্ট করেছি।”
   “সে কী! কেন?”
   “একজনের ভালোবাসা নয় হাজার ডলারের ঘড়ি আরেকজনের ভালোবাসা বই। এরা আমার জন্যে না।”
   “ভুল করলি।”
   “কেন?”
   “দুজনের মধ্যে একজনকে পছন্দ করলে তোর বিয়েটা অন্তত হয়ে যেত। এখন তোকে বিয়ে করবে কে?”

নিজের কথায় বৃত্ত নিজেই হো হো করে হেসে উঠলো। বৃত্তের হাসি শুনে অরুর বিরক্তি আরো বেড়ে গেল।

    অরু শুকনো গলায় বলল, “আমি কিন্তু ঠাট্টা করার মতো পরিস্থিতিতে নেই বৃত্ত।”
    “ঠাট্টা করছি না তো। আই অ্যাম সিরিয়াস।”
    “শোন, তোর সঙ্গে কথা বলতে আর ভালো লাগছে না। আমি রাখলাম।”

বাড়ির সামনে রিকশা থাকতেই অরু দেখতে পেলো, তাদের বাগানের দোলনাটায় বসে মনসুর সাহেব দোল খাচ্ছেন।

অরুদের বাগানটা তেমন আহামরি কিছু নয়। শায়লা বেগমের শখের জিনিস। দু একটা ফুলের গাছ রয়েছে তবে, পাতাবাহার আর মরিচ গাছের সংখ্যাই বেশি।

গত বছর হঠাৎ এদিন স্টিলের এক বিশাল দোলনা নিয়ে মনসুর সাহেব বাড়ি ফিরলেন। দোলনাটাকে না-কি বাগানে রাখবেন।

    অরু অবাক গলায় বলেছিল, “হঠাৎ কোনো কারন ছাড়া দোলনা আনতে গেলে কেন?”
    মনসুর সাহেব বেশ আগ্রহ নিয়ে বললেন, “শোন তাহলে। আজ এক কাজে গিয়েছিলাম পান্থপথ। সেখানে এক ফার্নিচারের দোকানের দিকে চোখ পড়ল। দোকানের নাম, ‘পিতা-মাতা ফার্নিচারস’। বাবা মায়ের প্রতি কী মধুর ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ! ভালোবাসাকে সম্মান জানাতেই ওই দোকান থেকে দোলনাটা কিনে আনলাম!”

শায়লা বা অরু কেউই এই দোলনায় বসে না। শুধুমাত্র মনসুর সাহেবের অতি পছন্দের বস্তু এটি।

অরু এগিয়ে এসে বাবার সামনে দাড়ালো।

   মনসুর সাহেব হাসিখুশি ভঙ্গিতে বললেন, “কিরে মা কোথায় গিয়েছিলি?”

অরুর ‘ছেলে দেখা’ সম্পর্কে মনসুর সাহেব কিছুই জানেন না। যেহেতু কোনো ছেলেকে পছন্দ হয়নি, তাই এখন এ ব্যাপারে তাকে জানানোর কোনো অর্থ নেই।

    অরু বলল, “এইতো! তুমি না সারাজীবনের জন্য ফুফুর বাসায় চলে গিয়েছিলি? চলে এলে?”
    “হ্যাঁ! না এসে উপায় আছে? তোর ফুফুর রান্না এ পৃথিবীর মধ্যে সবথেকে বিশ্রী। ওই রান্না খেয়ে থাকা যায়?”
   “শুধু খাবারের সমস্যা হয়েছে বলে চলে আসলে? আমাদের মিস করোনি?”
   “আর মিস!”
   “মা কোথায়?”
   “রান্নাঘরে!”
   “রান্নাঘরে কথাটা এত আগ্রহ নিয়ে বললে কেন?”
   “যে কাজের জন্যে এসেছি, সেটা করছে। আগ্রহ নিয়ে বলবো না?”
   “বাবা?”
   “হুঁ?”
   “মার হাতের রান্না তোমার কাছে অমৃত, তাই না?”

মনসুর সাহেব জবাব দিলেন না। এই প্রশ্নের জবাব আশা করাটাও উচিত না। তাই অরু লম্বা লম্বা পা ফেলে বাড়ির ভিতর চলে গেল।

রান্নাঘরের বাইরে অরুকে দেখেই উৎসাহ নিয়ে তার দিকে এগিয়ে গেলেন শায়লা বেগম।

  চোখ দুটো বড় বড় করে বললেন, “কিরে? কী হলো?”
   অরু বিরক্ত গলায় বলল, “কী আবার হবে?”
   “কাউকে পছন্দ হলো?”
   “না।”
   “না? কেন?”
   “আচ্ছা মা এসব ছেলে তুমি কোত্থেকে পাও বলো তো! একটার থেকে আরেকটা বেশি অপদার্থ।”
  “বড়লোকটাকেও পছন্দ হয়নি?”
  “বড়লোকটাকে তো বিশেষ করে পছন্দ হয়নি!”
  শায়লা শুকনো গলায় বললেন, “থাক! অসুবিধা নেই। পৃথিবীতে ছেলের অভাব আছে না-কি? ঘটক সাহেব ফোন করেছিলেন বুঝলি! আরেকটা ছেলের সন্ধান পেয়েছে। ওর সঙ্গে সোমবার দেখা করতে যাবি।”
  “বলো কী? আবার?”

আজ সোমবার। অরু সেই একই রেস্টুরেন্টে বসে আছে। তার সামনে যে ছেলেটা বসে তার নাম সিফাত। চেহারা ভদ্রলোকের মতো। এ পর্যন্ত অরুর সঙ্গে যে দুএকটা কথা হয়েছে, তাতে তাকে খুব একটা খারাপ লাগছে না।

    সিফাত ভদ্রভাবে বলল, “আপনি সিনেমা দেখেন?”
    “হুঁ।”
    “কোনটা বেশি পছন্দ, ইংলিশ না হিন্দি?”
    “বাংলা।”
    “ও।”
    “কেন? আপনি বাংলা সিনেমা সিনেমা পছন্দ করেন না?”
    “না। পছন্দ করার মতো কিছু থাকলে তো পছন্দ করবো।”
    “বাংলা সিনেমা মানেই কিন্তু সস্তা প্রেম, মারপিট, চৌধুরী সাহেবের শত্রুতা নয়। একটু খুঁজে বের করলেই মানসম্মত ভালো সিনেমা দেখতে পারবেন।”
    “ও! আচ্ছা, তো আপনার ভবিষ্যত পরিকল্পনা কী?”
    “আগে মাস্টার্স কমপ্লিট করি। তারপর দেখা যাবে।”
   “মানে আপনি চাকরি করবেন?”
   “হুঁ! এমনভাবে জিজ্ঞেস করলেন যেন, চাকরি করাটা মহাপাপ।”
   “না মানে...”
   “না মানে কী?”
   “দেখুন, কথা বাড়ানোর আগে বলে রাখি যে আমাদের ফ্যামিলিতে মেয়েদের বাইরে কাজ করাটা স্বাভাবিক চোখে দেখা হয় না। আমার কোনো আপত্তি নেই, কিন্তু ফ্যামিলি... বুঝতেই তো পারছেন।”

কথাটা শুনে অরুর সমস্ত শরীর আগুনের মতো জ্বলে উঠলো। বেটাকে এই মুহুর্তে থাপড়াতে পারলে ভালো হতো। রেস্টুরেন্ট না হলে এর মধ্যে নির্ঘাত দু একটা চড় খেয়েও ফেলতো।

অরু বহুকষ্টে নিজেকে সামলে উঠে দাড়ালো।

    সিফাত অবাক গলায় বলল, “কোথায় যাচ্ছেন?”
    অরু কঠিন গলায় বলল, “আমি স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক। কোথায় যাবো, কী বলবো, কখন চাকরি করবো - এগুলো সম্পূর্ণ আমার সিদ্ধান্ত, আমার। এখানে কারও হস্তক্ষেপ তো আমি মানবো না।”
    “আপনি ভুল বুঝেছেন, আসলে ব্যাপারটা কিন্তু...”
    “আমি ভুল বুঝবো না ঠিক বুঝবো সেটাও আমার সিন্ধান্তের মধ্যে পড়ে।”

অরু লম্বা লম্বা পা ফেলে রেস্টুরেন্টের বাইরে চলে গেল। বাসায় গিয়ে মাকে কয়েকটা কড়া কড়া কথা না শোনানো পর্যন্ত শান্তি হচ্ছেনা।

(চলবে)

2
$
User's avatar
@Mdemon456 posted 3 years ago

Comments