দুর্বল_মাইন্ডের_কেউ_গল্পটা_পড়বেন_না। 😥😥
সম্পর্কের দীর্ঘ দেড় বছর পর গত রাতে দুইজনে সিদ্ধান্ত নিলাম দেখা করার। মজার এবং ভয়ংকর ব্যাপার হচ্ছে আমরা দেখা করতে কোন পার্ক বা উদ্যানকে বেছে নিইনি, . আমি বেছে নিয়েছি আমার নায়িকার বাড়ি! আর এর চেয় ভয়ংকর ব্যাপার হচ্ছে সময়টা রাত ১২:০০ টার পর। পাঠক নিশ্চয় বুঝতে পারছেন ব্যাপারটা মোটেও সুবিধার মনে হচ্ছে না? আমার নায়িকার নাম স্নিগ্ধা। . এমন নয় যে আমি তাকে কখনো দেখিনি বা দেখি না। আমাদের প্রায় দেখা হয় রাস্তা-ঘাটে। কিন্তু এই দেখা শুধু চোখাচোখিতে সীমাবদ্ধ। অনেক কথা বলি আমরা চোখেচোখে। . তারপরও কেমন যেন একটা অতৃপ্তি কাজ করে সর্বদা। আমাকে কোন পার্কে বা সুন্দর কোন জায়গায় সময় দেবার মত যথেষ্ট সময় স্নিগ্ধার নেই। . রিলেশনের শুরুতেই আমাকে শর্ত দিয়েছে। যে যেদিন আমাদের সম্পর্কের কথা কেও জানবে সেইদিন-ই সম্পর্কের সমাপ্তি!
কি আজব শর্ত!! . আর সেই ভয়ে কখনো তাকে বলতে পারি না যে তোমাকে নিয়ে একটু ঘুরতে যাব। আমার অনেক ইচ্ছা আমি আমার ভালবাসার মানুষটার হাতটা ধরে পাশাপাশি হাঁটব। . দেখা করা নিয়ে অবশ্য এই মুহূর্তে আমার মাঝে অনেক কৌতুহল আর ভয় কাজ করছে। কৌতুহল হচ্ছে এই প্রথম আমি তাকে খুব কাছ থেকে দেখতে পারব। . আর ভয় পাচ্ছি যে ব্যাপারটা যথেষ্ট রিস্কি, কিভাবে যাব? তবে ভয় থেকে কৌতুহলটা কাজ করছে বেশী। অলরেডি আমি মনে মনে প্লান করা শুরু করে দিয়েছি... . আমার প্রথম কাজ ওর জন্য কিছু গিফটের ব্যাবস্থা করা। কিন্তু আমি এই ব্যাপারে যথেষ্ট অনভিজ্ঞ! ছোট বোনের সাহাজ্য নিলাম। . দুপুরে আমরা দুইজন বেরিয়ে পরলাম সপিং সেন্টারের উদ্দেশ্যে। মেয়েদের পছন্দ নিয়ে আমার কোন আইডিয়া নেই,তবুও অনেক দোকান ঘুরে "ব্লু লেডি" ব্রান্ডের একটা পারফিউম আর একটা সো পিস নিলাম। . অতঃপর ফুলের দোকান থেকে এক গুচ্ছ গোলাপ ফুল কিনলাম। ফুলগুলো হাতে নিলাম আর বাকিটা চোট্ট একটা প্যাকেট করলাম। . ফুল গুলো নিয়ে একটু বিপদে পরলাম,কারন আমাদের দেখা করার কথা রাতে,কিন্তু এখন প্রচন্ড রৌদ্র দুপুর! এই অবস্থায় থাকলে ফুলগুলো অবশ্যই তার সতেজতা হারাবে..। . দুইজন মিলে বুদ্ধি করে অনেক লুকিয়ে বাড়িতে এসে ফ্রিজে রেখে দিলাম। এখন বিকাল। অধীর আগ্রহ,কবে সে সময় আসবে। . সন্ধ্যায় স্নিগ্ধাকে ফোন দিলাম, আর শুরু করলাম আষাড়ি গল্প.... সন্ধা ৭ট,৮টা,৯টা..... চলছে অবিরাম... আজকের দিন, সন্ধা সব কিছুই থেমে আছে। খুব টের পাচ্ছি প্রতিটা সেকেন্ড। ঘরির কাটা ১২ টা ছুঁই ছুঁই... . কিন্তু আমি এখনো ঠিক করতে পারলাম না কিভাবে শুরু করব! স্নিগ্ধার বাসা আমার বাসা থেকে ৫-৭ মিনিটের পথ হেঁটে যেতে। সমস্যা হচ্ছে, . আমি তার বাসা ভাল করে চিনি না, শুধু জানি এই বাসাটাই স্নিগ্ধাদের বাসা ,কিন্তু ভিতরে কি? কিভাবে যেতে হয় কিচ্ছু জানি না! . আগে কখনো যাই নি। আমি স্নিগ্ধাকে ব্যাপারটা বললাম। সে আমাকে অভয় দিল -সমস্যা নেই তুমি আস আমি গেইটে অপেক্ষা করছি। -আন্টি-আংকেল, বাকিরা ঘুমিয়েছে? -হুম। . -আমার না খুব ভয় করছে! -আরে,আমি আছি তো। -যদি কেও দেখে ফেলে? কেলেংকারী হয় যাবে কিন্তু...। -যা হবার তাই হবে, এত ভয় পাও কেন হা? -আচ্ছা আমি আসছি তুমি গেইটে দাড়াও। ফুল আর ছোট্ট প্যাকেট নিয়ে রওনা দিলাম। . চাঁদনি রাত সাথে অজানা ভয়! ওর বাসার খুব কাছে চলে আসলাম। যতই বাসার কাছে যাচ্ছি, ততই ভয়টা বাড়ছে।বার বার নিজের কাছে একটা প্রশ্ন ঘুরছে- আমি কি কোন ভুল করতে চলেছি? . এই মুহূর্তে আমি তার বাসার সামনে এবং আমি মনে মনে তাকে খুঁজছি। দুর থেকে গেইটের ওপাশে তাকে দেখলাম। চাঁদের আলোতে আমি তার মুখটা দেখতে পেলাম, . একটা কালো রংএর জামা গায়ে। সে আমাকে দেখেই গেইট টা একটু খুলে দিয়ে একটা হাসি দিল। আমি কিছুটা সময়ের জন্য স্টেচু হয়ে গেলাম। . তার হাসি আর চাঁদের আলো ,কি এক অপরুপ সৌন্দর্য!!! আমি বাকরুদ্ধ। সে আমাকে ইশারা দিল ভিতরে আসতে, আর আমি মনে মনে চিন্তা করতে থাকলাম আমার দেখা সবচেয়ে সুন্দর একটা দৃশ্যের কথা যা একটু আগে দেখলাম। . আমি ভয়ে ভয়ে একটু একটু করে সামনে এগুতে থাকলাম। যখন গেট ক্লোজ করে ভিতরে আসলাম তখন অতিরিক্ত ভয়ে আমি রীতিমত কাঁপতে শুরু করলাম। আশে পাশে কি কিচ্ছু দেখছিনা শুধু রোবটের মত তার পিছু পিছু হাঁটছি। . ইচ্ছা করছে তার হাতটা ধরে হাঁটি কিন্তু সে আমার একটু সামনে, আমাকে গাইড করে নিয়ে যাচ্ছে। বুঝতে পারছি আমার কাঁপুনি আস্তে আস্তে বাড়ছে . সাথে নিঃশ্বাস ও ভারি হচ্ছে। আচ্ছা সে কি আমার মত এমন ফিল করছে? জানতে ইচ্ছা করছে। তার রুমের সামনে এসে দাড়ালাম। সে হালকা করে রুমের দরজাটা খুলে ভিতরে প্রবেশ করল সাথে আমিও। সে আমাকে ইশারা করে বলল আমি যেন জুতা রুমের ভিতরে রাখি। . আশ্চর্য! এই অবস্থায় ওর মাথা ঠিক কাজ করছে। আর আমি সব গুলিয়ে ফেলছি। অতিরিক্ত কাঁপুনির ফলে আর দাড়িয়ে থাকতে পারলাম না! প্যাকেটটা টেবিলে রেখে ধপাস্ করে খাটের উপর বসে পরলাম।কথা বেরুচ্ছে না। পানির পিপাসা পাচ্ছে খুব। . পাশের রুম থেকে এই রুম এ হালকা আলো আসছে যেটা ওকে ভালো করে দেখতে যথেষ্ট না। সে আমার পাশে এসে চুপ করে বসল। আমি তার দিকে অপলক তাকিয়ে আছি। কাঁপা হাতে ফুলগুলো তাকে দিলাম। সে নিল... . ফুলটা হাতে নিয়ে সে নাকে ধরল। আমি তাকিয়ে তাকিয়ে ওর প্রত্যেকটা মুভমেন্ট খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে দেখছি। আমার কাঁপার ব্যাপারটা মনে হয় সে বুঝতে পেরেছে। . সে আমার হাতে হাত রাখল আর মৃদু একটা চাপ দিয়ে বলল- -আমি আছিতো এত ভয় কিসের? আমি অবাক হয়ে তার দিকে তাকালাম!এই প্রথম বুঝতে পালাম তার ভিতরে বিন্দু মাত্র ভয় কাজ করছেনা। . অথচ তার ভয় কাজ করার কথা কারন এত রাত,আমরা দুইজন একসাথে একরুমে,সবচেয়ে বড় কথা এটা তার বাসা আর আমি আগুন্তুক!! আমরা যা-ই করি কিন্তু ব্যাপারটা কেও জানতে পারলে প্রথমে নিগেটিভ চিন্তা করবে বেশী। . আমার মাথা কাজ করছে না। এত সাহস ও পেল কোথায়। ওর আর আমার ভাব-সাব দেখে মনে হচ্ছে ও ছেলে আর আমি মেয়ে এবং সে আমার বাসায় এসেছে দেখা করতে রাতে,একা!! ভাবা যায়??? . এদিকে আমার কি হল? ওর ছোট একটা কথায় দুনিয়ার সব সাহস আমার কাছে চলে আসল। কাঁপুনি একদম বন্ধ! আমি কিছু একটা বলতে চাইলাম,ওমনি সে আমার মুখে আঙ্গুল দিয়ে ফিসফিস করে বলল -আস্তে কথা বল,পাশের রুমে বাবা-মা ঘুমাচ্ছে। . আমি আর স্নিগ্ধা এক দম মুখোমুখি।ওর নিঃশ্বাসের শব্দটাও শুনতে পাচ্ছি। খুব ইচ্ছা হচ্ছে ওকে একটু জরিয়ে ধরতে। কিন্তু বিশাল জরতা আর লজ্জা কাজ করছে আমার মাঝে। . লজ্জা-শরমের মাথা খেয়ে আচমকা ওর কপালে চুমু খেতে গিয়ে ভুল করে ওর চোখে চুমু খেয়ে ফেললাম! স্নিগ্ধা ব্যাপারটা বুঝতেই পরে ওর কপালটা আমার ঠোটে ছুঁইয়ে দিল!! . আমি ওর প্রত্যাকটা কাজে বার বার আশ্চর্য হচ্ছি! আমি আমার মোবাইলের ডিসপ্লের ব্রাইটনেস সর্বোচ্চ করে ওর মুখের দিকে ধরলাম। -কি?মোবাইল দেখাচ্ছ? -না,আমি তোমাকে দেখছি! . এই প্রথম আমি তাকে এতকাছ থেকে দেখছি! ওর মুচকি হাসি,ওর ফিসফিসিয়ে কথা বলা,ওর অঙ্গভঙ্গি। -দেখা শেষ? -না। . -অনেক হয়েছে,এবার যাও। -মানে কি?এই আসলাম এখনি চলে যাব? -হুম,বাবা-মা যে কোন সময় আসতে পারে কিন্তু। -ভয় পাই না।দেখ,আমি জানি না এভাবে আর আমাদের দেখা হবে কি না?এত কাছ থেকে তোমাকে দেখতে পারার সৌভাগ্য হবে কি না? যদি এই দেখা-ই আমাদের শেষ দেখা হয়? -কি বলছ এসব? -প্লিজ আজকের মত আমাকে তোমাকে দেখার সুযোগটা থেকে আমাকে বঞ্চিত কর না। ওমনি ও আমাকে জরিয়ে ধরল! . আমি দাড়িয়ে ওকে শক্ত করে জরিয়ে ধরলাম। সবকিছু কেমন যেন একটা ঘোর। প্রিয়মানুষটাকে জরিয়ে ধরার মাঝে এত সুখ এত আনন্দ এই প্রথম আমি উপলব্দি করতে পারছি। আমার অজান্তেই চোখ দিয়ে পানি পরছে! স্নিগ্ধা হয়তো ব্যাপারটা লক্ষ করেনি। . এই মুহূর্তে ওর দুই পা আমার দুই পায়ের উপরে। আমরা হালকা দুলছি,অনেকটা সফট মিউজিক সহ কাপলদের ড্যান্স করার মত। আমি আরো শক্ত করে ওকে জরিয়ে ধরলাম। মিষ্টি একটা সুবাস আসছিল তার কাছ থেকে। . জীবনে এতটা আনন্দ, এতটা সুখ আগে কখনো উপলব্দি করি নি! মনে হচ্ছে আমার পৃথিবী আমি পেয়ে গেছি! সময়টা এখানে থমকে যাক- এইখানে, এইভাবে... আমি বাকিটা জীবন জরিয়ে রাখতে চাই আমার পৃথীবিটাকে,আমার বুকে। . স্নিগ্ধার কথায় সম্বিত ফিরে পেলাম- -প্লিজ রাজ,,অনেক হয়েছে,এই বার যাও। ও আমাকে দরজা খুলে সাহাজ্য করছে চলে যেতে। এইবার আমি বলেই ফেললাম যে-আমি যাব না,আমি তোমাকে ছেরে কোত্থাও যাবো না। . স্নিগ্ধা এই কথা শুনে অনেক অবাক হয়ে আমার দিকে তাকাল! -প্লিজ তুমি এখন যাও, যে কোন সময় কেও দেখে ফেলতে পারে। অনেকটা করুন ভাবেই বলল। আমি চলে যাচ্ছিলাম হঠৎ আবার তার কাছে আসলাম.. -রাজ,,,আবার কি হলো? -স্নিগ্ধা,,আমার একটা কথা রাখবে? -কি? -আমার ডান পাশে এসে একটু দাড়াবে? -কেন? -আসো-ই না প্লিজ। -ওকে,এইতো আসলাম। . ওমনি আমি তার বাম হাতটা আমার ডান হাতটা দিয়ে ধরলাম।ওর পাঁচ আঙ্গুল আমার পাঁচ আঙ্গুলের ভিতরে। -কি করছ কি? -আমার অনেক দিনের সখ তোমার হাতটা ধরে তোমার পাশাপাশি হাঁটব। -তাই? -হুম,চল একটু হাঁটি। -এইখানে? -হুম . আমরা দুইজন রুমে একটু পায়চারি করলাম। পাঠকদের আমি আমার অনুভুতির কথা বলে বোঝানো অসম্ভব। যাদের সৌভাগ্য হয়েছে প্রিয় মানুষটার হাত ধরে হাঁটার তারাই ব্যাপারটা বুঝতে পারবে। . রুমের বাইরে স্নিগ্ধা দাড়িয়ে আছে,আর আমি চলে যাচ্ছি... বার বার ফিরে তাকাচ্ছি। আমি আমার পৃথিবীটাকে রেখে চলে যাচ্ছি। অনবরত পানি পরছে চোখ দিয়ে। যতক্ষন না ও রুমে ঢুকল ততক্ষন আমি অন্ধকার থেকে তাকে দেখছিলাম। . ফিরে যাচ্ছি একিই রাস্তা দিয়ে।নিজেকে আগে কখনো এতটা একা,অসহায় অনুভব করিরি যতটা এখন মনে করছি। আমার টি-শার্ট এ সেই মিষ্টি গন্ধটা এখনো লেগে আছে। . সবকিছু অর্থহীন মনে হচ্ছে। আমি হাঁটছি অথচ আমার পাশে সে নেই! . এতক্ষন আমি আপনাদের প্রায় দেড় বছর পূর্বের অভিজ্ঞতা শেয়ার করলাম.... বর্তমানে আমার স্নিগ্ধা আর আমার নেই! এই কিছু দিনে অনেক ঘটনা ঘটে গেল! এখন সে অন্য কাওকে জরিয়ে ধরে, অন্য কারো বুকে মাথা রাখে, অন্য কারো হাত ধরে বলে যে-ভয় পেও না,আমি আছি তো! . আমি যখন লিখছি তখন খুব পানি পরছে চোখ দিয়ে, হা আমি কাঁদছি! অনেক কাঁদছি, যে কান্নার কোন শব্দ নেই.... আমি এই জন্য কাঁদছি না যে সে আজ আমার পাশে নেই কিংবা সে আজ অন্য কারো! . আমি কাঁদছি তার সাথে কাটানো আমার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর মুহূর্ত গুলোর জন্য!!! যতটুকু জানতে পেরেছি আমি নাকি তার যোগ্য ছিলাম না তাই এমনটা করেছে। . এমন ও হতে পারে যে আমাকে তার কোন এক সময় ভালোলাগত যেটা সময়ের বিবর্তনে হারিয়ে গেছে। . আমি এতটাই হতভাগা যে সে আমার কাছে শেষ বিদায় টুকুও নেয় নি! হয়ত আমার সে যোগ্যতাটুকুও ছিল না! . যাই হোক অন্তত্য পক্ষে শেষ কিছু কথা আমি তার কাছ থেকে আশা করেছিলাম, অনেকটা মৃত্যুর পূর্বে শেষ চাওয়া একফোটা পানির মত! . তার কাছে আমার সম্পর্কের মৃত্যু মানেই তো আমার মৃত্যু! আজকাল "যোগ্যতার" প্রশ্নে অনেক সুন্দর সুন্দর সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়। আমি বলি অন্য কথা- "যারা ভালবাসতে জানে তারা কখনো অযোগ্য হয় না! . অযোগ্য হয় তারাই,যারা এটা বুঝতে পারে না!" খুব আফসোস হয় নিজের জন্য, আরো অনেক প্রশ্ন। কেন এমন হল? কি দোষ আমার? কেও যদি আমার সামনে বলে যে ভালবাসা নেই . তখন আমি আমার গল্পটা শুনিয়ে দিই আর প্রশ্ন করি কেন এমন হল আমার সাথে? আমি তো ভালবাসতাম তবে? কারো কাছ থেকে উত্তর পাই নি! এখন আর খোদার কাছে নিজের জন্য আর কিছু চাইনা। . এমন কি আমার প্রিয় মানুষটাকে পর জন্মে পাবার আশাও করি না। কারন যাকে পৃথিবীতে ভালবেসে জয় করতে পারিনি তাকে কেন আবার পরজনমে টানাটানি করব? . অনেক দোয়া করি তার জন্য। দোয়া করতে হাত তুলতে হয় না, এই যে আমি এখন কাঁদছি আর মনে মনে বলছি আল্লাহ তুমি তাকে অনেক সুখে রেখ......এটা দোয়া নয় কি? আমি তাকে ক্ষমা করে দিয়েছি। . যদি আল্লাহ তাকে ক্ষমা না করে তবে শেষ বিচারে আল্লাহ যেন আমাকে তার পক্ষ নিয়ে ওকালতি করার সুযোগ দেয়। আর আমি সেই বিচারে তাকেই জয়ি দেখতে চাই শুধু একটা কারনে-
"আমি তাকে অনেক ভালবাসতাম" 😥😥 ....... 💖💙💚💛💓 , গল্পটা কেমন লাগলো কমেন্ট কোরে জানাতে ভুলবেন ন
....
great writer carry on