দেশি ঘি' বানানোর সঠিক পদ্ধতি জেনে নিন
অনেকেই দাদি বা নানিকে নিজ হাতে খাটি দেশি ঘি বানাতে দেখেছেন। কিন্তু সময়ের আবর্তে পড়ে এখন আর সে ধরনের ঘি বানাতে দেখা যায় না। বাজার থেকে ঘি কিনে খেতেই আগ্রহী বর্তমান প্রজন্ম। কিন্তু বাজারের ঘি যে কতখানি খাঁটি তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। আর তাই বাড়িতে ঘি বানিয়ে নিতে পারলে তা যেমন খাঁটি মানের নিশ্চয়তা দেয় তেমন স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো হয়। এ লেখায় রয়েছে ঘি বানানোর সঠিক উপায়। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে এনডিটিভি।
গরুর দুধ দিয়ে দেশি ঘি বানাতে হয়। এটি দোকান থেকে কেনা ঘিয়ের তুলনায় কোনো অংশেই কম স্বাদের হয় না। ঘি ব্যবহার করে শুধু খাবারই নয় তা নানা চিকিৎসাতেও ব্যবহৃত হয়। বাজারে যেসব ঘি পাওয়া যায় তা দীর্ঘদিন সংরক্ষণের জন্য প্রিজারভেটিভসহ নানা উপকরণ ব্যবহৃত হয়। তাই দোকান থেকে ঘি না কিনে বরং বাড়িতে তৈরি করে নেওয়াই ভালো।
দেশি ঘি বানাতে প্রচুর দুধ প্রয়োজন হয়। এ ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, দুধের বাড়তি সর থেকেই ঘি তৈরি হয়। তাই দুধ প্রয়োজন অনুযায়ী খেতে কোনো সমস্যা হয় না।
যেভাবে বানাবেন দেশি ঘি
১. প্রতিদিন দুধ ফোটানোর পর ৩-৪ ঘণ্টা রেখে দেবেন। দুধ এ সময় নড়াচড়া করবেন না।
২. দুধের ওপর যে সর পড়বে তা সাবধানে সংগ্রহ করে একটি বাটিতে রাখবেন। সর ভরা বাটিটি ফ্রিজে বেশ কয়েক দিন ভালো থাকবে।
৩. সরগুলো কয়েক দিন রাখলে জমে শক্ত হয়ে যাবে। এক বাটি সর হলে সেগুলো নিয়ে পিষে ফেলুন। শিলপাটায় বা ব্লেন্ডারে এ কাজ করা যাবে। এ অবস্থায় একে বাটারমিল্ক বলে। এটি নানা খাবারে ব্যবহার করা যায়। তবে তা থেকে ঘি বানাতে হলে আপনাকে আরও কিছু কাজ করতে হবে।
৪. একটি ভারি তলাযুক্ত পাত্রে অল্প আঁচে বাটা সরগুলো দিন। এতে তা ধীরে ধীর গলতে থাকবে। এটি ক্রমাগত নাড়াতে হবে।
৫. অল্প আঁচে নাড়াতে থাকলে কিছুক্ষণ পর সোনালি বর্ণের তেলের মতো তরল পাত্রের ওপর ভাসতে থাকবে। এটিই ঘি। রং পরিবর্তন হলে ও পাত্রে বুদবুদ উঠতে থাকলে তা নামিয়ে নিন। লক্ষ রাখবেন যেন পুড়ে না যায়।
৬. একটি পরিষ্কার ছাকনি ব্যবহার করে পাত্র থেকে তরল ঘি আলাদা করুন। অবশিষ্ট অংশগুলোও ফেলনা নয়। সেগুলো মিষ্টিসহ বিভিন্ন খাবারে ব্যবহৃত হয়।
৭. আলাদা করার পর ঘি ঠাণ্ডা করে পরিষ্কার বোতলে ঢেলে ঢাকনা লাগিয়ে রাখুন।
8
24
ঘি আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী একটি খাবার।ঘি দিয়ে আমরা অনেক মজার মজার খাবার তৈরি করি।