তোমরা অনেকেই হয়তো ভাবছো মরীচিকা আবার কি ? তাই না? চলুন জেনে নেয়া যাক ৷ যতটুকু বলা আমার পক্ষে সম্ভব আমি চেষ্টা করব শেয়ার করার ৷
মরীচিকা হলো এক ধরনের দৃষ্টিভ্রম ৷
যখন খুব বেশি গরম পড়ে মরুভূমিতে তখন মরুভূমির বিভিন্ন স্থানে জলাশয় কিংবা গাছপালা দেখা যায় ৷ কিন্তু বাস্তবে সে জায়গায় কোন গাছ বা জলাশয় ই নেই । এই দৃষ্টিভ্রমের ঘটনাই হলো মরীচিকা ।
আমরা জানি আলো সরল পথে চলে ৷ কিন্তু আলো যখন কোন মাধ্যমে বাধা পায় তখন এর প্রতিফলন প্রতিসরণ বা বিচ্ছুরণ ঘটতে পারে ৷ যেমন , আলো যখন কোন দর্পণের উপর পড়ে তখন আলোর প্রতিফলন ঘটে ৷ আবার আলো যখন বায়ু মাধ্যম থেকে পানিতে প্রবেশ করে তখন আরো কিছুটা বেঁকে যায় । কেননা বায়ুর ঘনত্ব পানির চেয়ে বেশি ৷ এ ঘটনাকে আলোর প্রতিসরণ বলে ৷
এগুলো ছাড়াও আলোর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায় , যাকে বলে পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন। অতি উত্তপ্ত দিনে মরুভূমির মাঠের তাপমাত্রা বেশি থাকে । তখন মাটির সংস্পর্শে থাকা বায়ুর তাপমাত্রাও বেড়ে যায় এবং বায়ুর একটি হালকা স্তর তৈরি হয় । কিন্তু উপরের দিকে তুলনামূলক ঠান্ডা শীতল বাতাস থাকে এবং সেখানকার স্তরটা নিচের স্তর থেকে তুলনামূলকভাবে ঘন ৷ একই মাধ্যমে আলোর সাধারণত সরল পথে চলে ৷ সূর্যের আলো উপরের ঘন মাধ্যম থেকে নিচের হালকা মাধ্যমে প্রবেশ করে ' এই প্রবেশের সময় আলোকরশ্মি যদি একটি নির্দিষ্ট কোনের চেয়ে বড় কোণে আপতিত হয় তাহলে ভিন্ন একটি ঘটনা ঘটে। আলো তখন সরাসরি ওই মাধ্যম অতিক্রম না করে আগের মাধ্যমেই ফিরে যায় । এই ভিন্ন ঘটনাটিকে পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন বলে এবং সেই নির্দিষ্ট কোনটি হল ক্রান্তি কোণ । যখন এই প্রতিফলিত আলো আমাদের চোখে এসে পৌঁছায় তখন আমাদের চোখ এটিকে সরলরেখা বরাবর কল্পনা করে৷ আলোর উৎস আকাশ হলে প্রতিফলিত আকাশকে আমরা মাটিতে দেখতে পাই আর বায়ু প্রবাহের ফলে সেই দৃশ্যটি কাঁপতে থাকে ৷ তাতে কি আমাদের মস্তিষ্ক মনে করে সেখানে পানি কিংবা জলাশয় আছে ৷ আর এভাবেই মরীচিকা তৈরি হয় ৷
মরীচিকা শুধু মরুভূমিতেই দেখা যায় না ।মরুভূমি ছাড়াও পিচঢালা রাস্তায় মরীচিকা দেখতে পাবে ৷ আবার সমুদ্রের মধ্যে ও এই ঘটনা দেখতে পাওয়া যায় ৷ তাই বলা হয় মরীচিকা এক ধরনের দৃষ্টিভ্রম এবং পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন এর একটি প্রাকৃতিক উদাহরণ |
Good article about physics. Well done dear.subscribe done.