আমাদের নিত্যদিনের একটা শব্দ। চারিদিকে হাজারো ধর্ষন হচ্ছে প্রতিদিন। অনেকেই কারন দেখাচ্ছে পর্দা না করা, ইসলামিক উপায়ে না চলা। আবার অনেকে পুরুষদের পশুত্ব, ধর্ষনের বিচার না হওয়া, সরকারের এর বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা না নেওয়া এগুলাকে দায়ী করেছেন। তাদের প্রশ্নের কিছু জবাব হল। পর্দা না করলেই রেপ, টিস করা আপনার জন্যে কি ফরজ হয়ে গেছে? তাহলে তো আপনার নিজের মা বোনও আপনার কাছে নিরাপদ না। আর পুরুষ মানুষ মানে এটা না যে একটা মেয়েকে দেখে তার ফিল আসবে না। তাহলে তার ডাক্তার দেখানো দরকার আগে। অবশ্যই আসবে। কিন্তু ইসলামের ভিত্তিতে আপনার চক্ষু সংযত রাখতে হবে। এক গায়রে মারহাম(যার সাথে আপনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবেন) নারীর দিকে দুইবার তাকানো চোখের জিনা। আপনার মধ্যের সয়তানকে দমন করতে হবে। যদি নিজেকে প্রতিরোধ করতে পারেন যে আমারো মা বোন আছে, তাদের দিকে কেউ এভাবে তাকালে আমার কেমন ফিল হবে, তাহলেই পরিবর্তন সম্ভব।
।
কিন্তু আবার অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা জিনিস সবার আড়ালে পরে গেছে। Nepotism বা স্বজনপ্রীতি। আমরা সবাই ধর্ষনকে ছি ছি করি। আবার নিজের আত্নীয় যখন সেটা করে তাকে বাচানোর চেষ্টা করি। টাকা-পয়সা, পাওয়ার সব ব্যাবহার করি নিজের সন্তানকে বাচাতে যে কিনা অন্য আরেক মায়ের বুক খালি করেছে তার কামনা মেটানোর জন্যে। আগে নিজের সন্তানকে মানুষ করুন। যদি না পারেন, তাহলে তাকে শাস্তি পেতে দিন বা নিজে গুলি করে মেরে ফেলুন। এক সন্তান হারালেও আরোও হাজার সন্তানের ভালবাসা পাবেন। এ দেশে উকিলও পাওয়া যায় ধর্ষকের। আর বিচারব্যবস্থার কথা নাই বা বললাম। আগে নিজে নিশ্চিত হোন নিজের সন্তান, ভাই, বাবা, চাচা, মামারা ধর্ষক হলে আপনি তার পাশে দাড়াবেন না, পারলে লাইভে এসে বুকে গুলি করে সাহসিকতার পরিচয় দিবেন। কোটি কোটি বাঙালি আপনাকে সেলাম করবে। যেদিন ধর্ষককে সামনে এনে ধর্ষিতার হাতে রামদা দিয়ে বলা হবে কুপিয়ে মেরে ফেল সবার সামনে, সেদিন আসবে পরিবর্তন। সেদিন বোনটা অনেক কাদবে হয়ত, কিন্তু সে পাবে তার উপর করা অত্যাচারের বিচার। সেদিন হয়ত তার ইজ্জত সে বোন ফিরে পাবে না। কিন্তু জয়ী হবে হাজারো মা বোন যারা এখনো পায় নি বিচার, বেচে থেকে অথবা কোন নরপিশাচের হাতে বলি হয়ে। সেদিন সোনার বাংলাদেশে ধর্ষনের কথা শুনলেও নরপিশাচরদের যৌবনদন্ড কেপে উঠবে। রাত ১২ টায় নিজের মায়ের জন্যে ঔষধ কিনতে গেলে নারীরা ভয় পাবে না। রাতে অফিস বা অন্য কোন কাজ করে আসতে গেলে আপনজনকে এটা বলতে হবে না যে আমার ভয় করছে। তুমি এগিয়ে আস। সেদিন বাবা মাকে পাড়ার বখাটে ছেলেদের ভয়ে মেয়ের বিয়ে তাড়াতাড়ি দিতে হবে না। সেদিন সবাই বুক ফুলে নিশ্বাস নিয়ে বলতে পারবে দেশটা সত্যিই আমাদের।
Yes I appreciate it