আজ প্রায় আড়াই মাস হল ঘরে বন্দী হয়ে বসে আছি। কারন, কারন বাইরে লক ডাউন। এই কোভিড-১৯ নামক মহামারিটি এই ছয়মাস আগে চিন দেশে হানা দিয়েছিল। অনেক মানুষ মারাও গেছে বলে শুনেছি। তারপর যেভাবে ছড়ালো.....কি জানি কি হবে। চিন থেকে পাশাপাশি দু-চারটা দেশে হচ্ছিল। তারপর, তারপর হঠাৎ বাংলাদেশে। বাংলাদেশে তারপর ঢাকাতে আর তার কিছু দিন পর আমাদের পাশের এলাকাতে হানা দিবে যেটা কখনো ভাবি নি। বড়ই আতঙ্কে থাকি। এই বুঝি আমাদেরও হল। দিন দিন যে হারে সংখ্যাটা বেড়েই চলেছে তাতে অস্বাভাবিক কিছুই না। ইতোমধ্যে এই ভাইরাসে আত্রুান্ত হয়ে এমপি, মন্ত্রী, ডাক্তার, সাংবাদিক, ভাষা সৈনিক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মারা গেছে। ভেবেছিলাম চিন তো বহু দুরে । তারপর যখন ঢাকাতে জলো তাতেও মনে শান্তনা দিয়েছি দুরে বলে। যখন পাশের এলাকাতে আঘাত হানলো করোনা তখন থেকে বড়ই আড়ষ্টতায় কাটছে দিন। আজ সকালে খবর দেখে একটু ভালো লাগলো। এতোদিন শুনে ছিলাম দিন দিন বেড়েই চলেছে করোনা আত্রুান্তের সংখ্যা। আজ শুনলাম আত্রুান্ত হচ্ছে, মৃত্যু হচ্ছে কিন্তু তার সাথে সাথে সুস্থ হচ্ছে বেশির ভাগ মানুষ। মৃত্যুর থেকে সুস্থতার সংখ্যা বেশি। আশার আলো দেখা দিয়েছে, একদিন এ মৃত্যু মিছিল থামবে। দেখা দিবে নতুন সূর্য, নতুন করে আবার সকাল হবে। তখন দেখবে সবাই আশার আলো। আবার সব কাজকর্ম স্বাভাবিক হবে। আবার রাস্তাঘাটে, বাসে, ট্রেনে ভিড় জমবে। ছাত্র-ছাত্রীরা আবার স্কুল, কলেজে যাবে, স্কুল, কলেজের প্রাঙ্গন হৈ চৈ তে ভরে উঠবে। আবার মানুষ দেশ থেকে দেশে দেশান্তরে ঘুড়তে যাবে। আবার সবাই সুস্থ হয়ে এক নতুন সকালের আলো দেখবো।
10
15
করোনা ভাইরাসের কথা ভাবলেই আমি যেন কাল কেমন হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ি। আদেও কি ক্যাম্পাসে কলেজে স্বাভাবিক জীবনে আমরা কোনদিনই ফিরতে পারব।