গল্পঃ রোমান্টিক সিনিয়র চাচাত বোন
part:03
আমিঃ হ্য রানা বল। রানাঃ আজকে কলেজে আসলি না যে। আমিঃ আপু আসতে দেয় নি। রানাঃ ওহ। ওকে আজকে বিকেলে গুঁড়তে যাবো। আমিঃ আচ্ছা। রানাঃ মনে থাকে জানি। আমিঃ হুম থাকবে।
তারপর আমি শুয়ে পড়লাম,, চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছি কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি নিজেও জানি না।।
বিকালে আপু আমার রুমে আসলো দেখল যে আমি ঘুমিয়ে আছি।।
আপুঃ এই নীল উঠ না। আমিঃ কেন? আপুঃ বাসায় বোরিং লাগছে বাহিরে যাবো। আমিঃ ত যাও আপুঃ আমি কি একা যাবো নাকি???? আমিঃ ত। আপুঃ তুই ও আমার সাথে যাবি। আমিঃ পারব না। আপুঃ দেখ তর জন্য আজকে কলেজে যেতে পারি নি তাই আমাকে বাহিরে তুই ই নিয়ে যাবি। আমিঃ আসলে আপু আজকে জয়দের সাথে ঘুরতে যাওয়ার কথা ছিলো। আপুঃ আমার চাইতে ওরা তর কাছে বড় হলো। আমিঃ ওদের সাথে না গেলে ওরা রাগ করবে আপু।। আপুঃ করুক তাতে আমার কি। আমিঃ আপু একটু বুঝতে চেষ্টা করো। আপুঃ না তুই রেডি হ আমি রেডি হয়ে আসতেছি।।
এই বলেই নিধী আপু চলে গেলো,, এখন কিছু করার নাই আমাকে যেতেই হবে। না গেলে মাথা খারাপ করে দিবে। আমি বিছানা থেকে উঠে ওয়াশরুমে চলে গেলাম। ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে রুমে চলে আসলাম। তারপর আমি কাপর চেঞ্জ করলাম।। আমার রেডি হওয়া শেষ আপুর জন্য ওয়েট করতে লাগলাম।। অনেক সময় ধরে আপুর জন্য ওয়েট করতেছি এখন ও আসার কোনো খবর নাই। আমি আপুর রুমে চলে গেলাম। গিয়ে দেখি নিধী আপু আয়নার সামনে বসে চোখে কাজল দিচ্ছে ।।
আমিঃ আপু চোখের কাজল টা একটু গারো করে দিও প্লিজ।
এই কথা শুনে আপু চোখের কাজল অনেকটা গারো করেই দিলো। তারপর আপু ঠোঁটে লিপস্টিক দিলো,, এই লিপস্টিক টা আমার একদম পছন্দ না। এমনিতে আপুর ঠোঁট জোড়া অনেক সুন্দর আর গোলাপি। লিপস্টিক দিলে আপুর ঠোঁটের সুন্দর টা নষ্ট হয়ে যায়।।।।
আপুঃ আমি রেডি । আমিঃ হয় নাই এখনো। আপুঃ আর কি করতে হবে? আমিঃ তোমার লিপের লিপস্টিক টা পরিষ্কার করো বাজে দেখা যায়৷। আপুঃ তুই পরিষ্কার করে দিলেই ত হয়। আমিঃ সবসময় শুধু ফাজলামো। আপুঃ ওকে এতে রাগার কি আছে,, এখনি পরিষ্কার করে দিচ্ছি।।। আমিঃ হুম।
আপু টিস্যু দিয়ে লিপস্টিক পরিষ্কার করে ফেলল।
আমিঃ এখন আয়নার সামনে দাড়িয়ে দেখো কতো সুন্দরী লাগতেছে,, এমনিতেই তোমার লিপ আমার ভালো লাগে আর কখনো লিপস্টিক দেওয়ার দরকার নাই।।।। আপু শুদু মুচকি হাসি দিয়ে মাথা নাড়াল।।
আপুঃ এখন চল। আমিঃ ওকে।
তারপর আমি আর আপু বাসার সবাইকে বলে বের হলাম। আমি গিয়ে গাড়িতে বসলাম।
আপুঃ দে না আমি ড্রাইভ করি। আমিঃ আমি চাই না আমার বউ বিয়ের আগেই বিদবা হক। আপুঃ মানে? আমিঃ তুমি গাড়ি চালালে আমার মরন নিশ্চিত । আপুঃ কিসব ফালতু কথা বলিস। এসব আর বলবি না প্লিজ আমিঃ ওকে ওকে আর বলব না।।। আমি ড্রাইভ করতে লাগলাম। আমিঃ আপু জয়দের ও ডেকে নেই আমরা একসাথে ঘুরতে যাবো। আপুঃ না দরকার নেই আমি তর সাথে একা সময় কাটাতে এসেছি। আমিঃ ওকে কুল কুল এতো রেগে বলার কি আছে? আপুঃ এমন কথা বলস যে রেগে কথা বলতেই হয়। আমিঃ আচ্ছা এসব রাখো বলো কই যাবে। আপুঃ মানুষ যেখানে গিয়ে প্রেম করে আমরা সেখানে যাবো। আমিঃ আজব আমরা কি প্রেমিক প্রেমিকা নাকি। আপুঃ হ্য আমিঃ কখনোই না আমরা ভাই-বোন। আপুঃ দেখ এই কথা টা যদি আরেকবার বলিস তাহলে কিন্তুু খুব খারাপ হয়ে যাবে। আমিঃ আচ্ছা আর বলব না। চলো কফি শপে যায়। আপুঃ ওকে।
তারপর আমরা কফিশপে চলে গেলাম।। ওয়েটার আসলো।
ওয়েটারঃ স্যার কফি খাবেন?
আপুঃ দুইটা হট কফি দেন খেতে জানি এক ঘন্টা সময় লাগে।
ওয়েটারঃ ওকে ম্যম।
ওয়েটার চলে গেলো।
আপুঃ নীল একটা জিনিস খেয়াল করেছিস প্রেম করার জন্য কিন্তুু কফি শপ পারফেক্ট।
আমিঃ আমি কি কখনো করছি নাকি, জানব কি করে?
আপুঃ দেখস না সবাই সবাই গালফ্রেন্ড বয়ফ্রেন্ড নিয়ে ব্যস্ত।
আমিঃ হ্য।
ওয়েটার এসে কফি দিয়ে গেলো,, আমরা খেতে লাগলাম আপু অনেক রোমাঞ্চকর চাহনিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে আর কফি খাচ্ছে। তখনি আমার ফোনটা বেজে উঠলো, পকেট থেকে বের করে দেখি রানা কল দিছে।
রানাঃ হ্যলো কই তুই,? আমিঃ একটু মার্কেটে আসছি। রানাঃ আজকে না আমাদের ঘুরতে যাওয়ার কথা। আমিঃ আপুকে নিয়ে আসছি শপিং করবে আপু। রানাঃ ওহ বুজতে পারছি। আমিঃ কি বুজলি। রানাঃ এই যে তরা দুজন শপিং করতে গেছিস। আচ্ছা রাখি। আমিঃ বাই।
আপুঃ কে কল দিছিলো । আমিঃ রানা। আপুঃ ভালো কথা মনে করেছিস আমার শপিং এ যেতে হবে।। আমিঃ মনে হয়ছে এখন। আপুঃ হুম আমিঃ আমি যাবো না তোমার সাথে শপিংয়ে গেলে আমি বিরক্ত হয়ে যায়। আপুঃ আই আজকে আর বিরক্ত করব না।। আমিঃ তোমার শপিং এর ব্যগ গুলো তোমার হাতেই রাখবে। আপুঃ আচ্ছা চল এখন।
আমি আর আপু বিল মিটিয়ে কফি শপের বাহিরে আসলাম। বিলটা আপুই দিছে আমাকে কখনো দিতে দেয় না।
আমি আর আপু শপিংমলে চলে গেলাম,, আপু কেনাকাটা করতে লাগলো। আমিও আপুর পিছনে পিছনে ঘুরতে লাগলাম। আপুর হাতে অনেক গুলা ব্যগ, ওটা দেখে আমার মায়া হলো তাই ব্যগ গুলো নিজের হাতে নিলাম, আপু মুচকি একটা হাসি দিলো।। আপু শপিং করা শেষ।
আমরা শপিংমল থেকে বের হতে যাবো তখন একটা মেয়ে এসে আমাকে জড়িয়ে দরলো। আমি ত শেষ আজকে আপুর হাত থেকে আমাকে কেউ বাঁচাতে পারবে না। সাথে সাথে আপুর চোখ মুখ রাগে লাল হয়ে গেলো।।
Your post is vert good brother. Your story is too much