১) ষোড়শী হওয়া মাত্রই আত্মীয়স্বজনের সাথে দেখা সাক্ষাত কমিয়ে দিন। উনিশ বছর থেকে একদম বন্ধ করে দিন। পারতপক্ষে তাদের সামনে যাবেন না। এ নিয়ম সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ব্লকলিস্টে তাঁদের থাকবার জায়গা করে দিন৷
এতে করে তাঁরা আস্তে আস্তে আপনার অস্তিত্বই ভুলে যাবে। আপনার কথা তাঁদের কম স্মরণ হবে, এবং আসন্ন বিবাহ নিয়ে আপনার পিতা মাতার কাছে প্রশ্নের ঝুড়ি খুলবেন না।
২) রান্নাবান্না পারলেও তা জনসম্মুখে প্রকাশ করবেন না। কাউকে রেঁধে খাওয়ানো নিতান্তই প্রয়োজনীয় হলে সেখান অস্বাভাবিকভাবে উপাদানের (যেমনঃ লবণ, মরিচ, এলাচ ইত্যাদি) তারতম্য করুন যাতে কেউ বিয়ে দেবার সাহস না করতে পারে।
৩) বিবাহবিমুখ কিন্তু ভালো রাঁধুনীদের জন্য ফেসবুক অত্যন্ত নিগ্রহের জায়গা। এখানে ওঁত পেতে থাকেন নানা রাঘব বোয়াল। আপনি নিজেও জানেন না আপনার ভোজনরসিক ভবিষ্যৎ শ্বাশুড়িই হয়তো আপনার পোস্টে কমেন্ট করছে, "বাহ চমৎকার রাঁধো তো!" আর মনে মনে বুয়ার হদিস পেয়ে ঠিকই খুশি হচ্ছেন। সুতরাং, সাবধান৷
৪) দর্শন, রাজনীতি, শাস্ত্র, ইতিহাস, কিংবা পরিবারের যাবতীয় সমস্যাবলির আলোচনায় থাকবেন না। বরং ছোটো বাচ্চাদের সাথে পুতুল কিংবা গাড়ি গাড়ি খেলুন। এতে করে আপনার মানসিক অপরিপক্কতা প্রমাণ পাবে।
৫) ছোটো বাচ্চা নিয়ে বেশি রঙঢঙ করবেন না। বরং আড়ালে যেয়ে দুই তিনটা কষে চড় দেবেন যাতে করে বাচ্চা কান্নাকাটি করে আপনার কোলে থাকতে না চায়। বাচ্চারা আপনাকে দেখতে পারে না— এমন পরিবেশ সৃষ্টি করুন এবং সবার মাঝে এই ধারণা ছড়িয়ে দিন।
৬) বয়োজ্যেষ্ঠদের সাথে সবজান্তাস্বরে কথা বলবেন না। কথা দিয়ে মানুষকে মুগ্ধ করার অভ্যাস খুবই বাজে অভ্যাস। আপনার অমায়িক এবং মধু মিশানো কথাতেই পাগল হয়ে চলে আসতে বিয়ের প্রস্তাব।
৭) শাড়ি পড়ে ঘনঘন বের হবেন না। খুব ইচ্ছা করলে ওড়না পেঁচিয়ে শাড়ি পড়ার মতো ভঙ্গি করে আয়নায় নিজেকে দেখবেন। নেহাৎ শাড়ি পড়ে কোনো আত্নীয়স্বজন দেখে ফেললে, না চেনার ভাব করে এগিয়ে যাবেন। কথা বলতে আসলে সুন্দর করে বলবেন, "আপনি হয়তো চিনতে ভুল করছেন। আমি অমুক নই।"
৮) বাসায় আসলে প্রচুর পড়াশোনা করবেন। পড়ালেখা ছাড়া জগৎ সংসারের কিছুই আপনার সাথে যায় না— এমন ধারণা বাবা-মার মাঝে ছড়িয়ে দিন। সাবলম্বী সফল নারীদের গল্প পেপার থেকে কেটে আব্বা-আম্মার রুমের দেয়ালে সেটে রাখুন। নিজেকে গুছিয়ে নেওয়ার জন্য কিছু সময় দরকার এভাবে ভাবতে শেখান।
৯) নিজ বান্ধবীর বিয়েতে যোগদান করা বন্ধ রাখুন। কিংবা অনুষ্ঠানে গেলেও সেটা কাউকে জানতে দিবেন না। পাত্রীই যে আপনার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী সেটা আপনার পরিবারকে বিশেষ করে মা,খালাকে জানানো থেকে অব্যহত থাকুন। এই মস্ত বড় ভুলের জন্য আপনাকেও একই দড়িতে ঝোলানো হতে পারে।
১০) পরিচিত মানুষের বৈবাহিক ঝক্কি ঝঞ্ঝাটের কথা বারবার আওড়ান যাতে তাঁদের মনে ভয়ের সৃষ্টি হয়। দরকার হলে নিজে কিছু সৃষ্টি করে তাঁদের সামনে উপস্থাপন করুন৷ এবং উপসংহারে বলতে ভুলবেন না —"আজ একটু দেরিতে বিয়ে হলে এ সমস্যাগুলো হতো না।"
যেখানে আমি চাচ্ছি আমার বিয়ে হোক সেখানে আপনি বিয়ে রোধের উপায় বলছেন?? আপনার পোস্ট দেখে আমি নিরাশ 🙄🙄কিভাবে বাবা মা বিয়ের কথা ভাববে সেটা নিয়ে নেক্সট আর্টিকেল লিখবেন ভাইয়া। 🤣🤣