#
Tomai ridmajare rakbo
#Extra_part
খাটের মাঝে বসে আছি এটা জয়ের রুম যেটা বাসর ঘরের মতো ফুল দিয়ে সাজিয়ে দিয়েছে আর আমার দুপাশে দুজন বসে আছে। এক নুপুর আরেক সীমা এখানে এসে নুপুর কে দেখে তো আমি ৪৪০ ভোল্টেজের শক খেয়েছি ও এখানে কেন কিন্তু সবার সামনে কিছু বলতে পারি নি এখন জয়ের রুমে আছি তিনজন আমি সন্দেহ চোখে নুপুরের দিকে তাকিয়ে আছি।
- কি হলো তুই এখানে কি করসিস তোর মা না বলে ব্যাথা পাইছে তাই চলে এলি।
- সরি রে দোস্ত তোকে মিথ্যে বলেছিলাম আম্মুর কিছু হয় নি।
- কি তুই আমাকে মিথ্যা বলে এসেছিস তুই জানিস তুই চলে আসার পর কতোটা ভেঙে পরেছিলাম আমি। আর জ য়ের সাথে তোর কি সম্পর্কে তুই এখানে কেন?
- বলছি শুন।
জয় আমার মামাতো ভাই। সেই কারণে আমি এখানে আর সকালে তোকে মিথ্যে বলতে জ য় ভাইয়াই বলেছে। আমার নাম্বার দিয়ে তুই জয় কে কল করেছিলি কিন্তু এটা দেখেস নি নাম্বার আগে থেকেই সেভ। সকালে তুই উঠার আগে কল আসে ভাইয়ার নাম্বার দেখে অবাক হয় কারণ সহজে ভাইয়া আমাকে ফোন দেয় না। সাথে রিসিভ করি।
- ভাইয়া তুমি এতো সকালে কোন দরকার নাকি।
- নুপুর তুই আমাকে কিসের মেসেজ দিচ্ছিস ওইটা তুই কেন দিলি আমি বুঝলাম না।
- কই কখন আমি তো কোন মেসেজ দেয় নি।
- দেখ আমি মেসেজ টা পেয়ে খুশি ছিলাম কিন্তু তোর নাম্বার থেকে দেখে অবাক হয়েছি।
- আমি তত কিছু বুঝতে পারছি না কি বলছো ওয়েট আমি দেখে বলছি।
আমি মেসেজ দেখে অবাক সত্যি তো কিন্তু কে দিলো হঠাৎ তোর কথা মনে পরলো তুই তো দিয়েছিলি কিন্তু ভাইয়া কেন আমি দৌড়ে এসে তোর খাতা থেকে নাম্বার চেক করি আর অবাক হয়ে যায় কারণ নাম্বার মিলে গেছে।
ভাইয়াকে সব বলার পর জানতে পারি তুই যাকে ভালোবাসিস সি ভাই। তারপর ভাইয়া বলে ওকে নাকি এক্মিডেন্ট করার পর রুমে বন্ধি রাখে কিছুতেই বের হতে দেবে না আমাকে সাহায্য করতে বলে। আমি তাই রওনা হয়ে যায় সকালেই ভাইয়া আমার অপেক্ষা করে না বাড়ি থেকে লুকিয়ে চলে আসে আমি দশটার দিকে পৌঁছে দেখি ভাইয়া নেয় ফোন দিয়ে জানতে পারি সে বেরিয়ে গেছে মামা মামি রেগে আছে তাদের সব খুলে বলি আর বউ বরণ করার প্রস্তুতি নিতে বলি। তারপর একটু আগে আপনাদের বাসর সাজিয়েছি।
এক দূমে কথা বলে থামলো নুপুর।
আমি কিছু বলতে যাবে তার আগেই জ য় রুমে চলে আসে। এসে ওদের রুমে থেকে বের করে দেয়।
- তুমি ওদের বের করে দিলে কেন?
- তো কি ওদের সাথে নিয়ে বাসর করবো নাকি।
- অসভ্য কি বলো এসব আমার ওদের কাছে অনেক কিছু জানার ছিলো।
- কি জানার ছিলো জানপাখি।
বলে জয় আমার পাশে খাটে এসে বসে পরলো।
- এই যে নুপুর এখানে কি করছে আর আপনার মাথায় ওই বাচ্চা পেটে এই বুদ্ধি কে দিয়েছে এসব।
জয় আমার পেছনে গিয়ে বসে আর দুহাত আমার পেটে রেখে কাদে থুতনা ডেকিয়ে বলতে লাগলে,,,
- এতো কিছু জেনে কি করবে জানপাখি। তোমাকে যে আমি আমার করে পেয়েছি এটা কি বড় না নিলা তুমি খুশি হও নি আমার বউ হয়ে।
আমি কথা বলতে পারছি না জয়ের গরম নিশ্বাস আমার গারে পরছে অদ্ভুত শিহরিত হচ্ছে। আমি কেপে উঠছি বারবার আমি কথা বলছি না দেখে জয় আমাকে ডাকতে লাগল। পেটে থেকে হাত উঠিয়ে গারের চুল সরিয়ে আচমকা ঠোট বুলাতে লাগল আমি চোখ বন্ধ করে আছি।
- জ য় আমার সহ্য হচ্ছে না প্লিজ ছারু।
এমন কথা হয়তো জয় আশা করে নি সঙ্গে সঙ্গে আমার থেকে দূরে সরে যায়।
- সরি আমার এতো তারাতারি করা উচিত হয়নি। তুমি রাগ করো না প্লিজ আমি তোমাকে কষ্ট দিতে চাইনা আসলে এতো দিন পর তোমাকে এতো কাছে পেয়ে নিজের কন্টেন্ট হারিয়ে ফেলেছিলাম।
জয় মুখটা ছোট হয়ে গেছে খুব খারাপ লাগছে আমার কিন্তু আমি তো জ য় কে কষ্ট দেওয়ার জন্য বলি নি। মুখ দিয়ে কথা টা বের হয়ে গেছে আমি তো জয় কে ভালোবাসি তাহলে কেন?
- জয় আমি তোমাকে কষ্ট দেবার জন্য বলি নি তুমি কাছে আসলে আমার অদ্ভুত অনুভূত হয় যা আমি সহ্য করতে পারি না মনে হয় এতো সুখ কি আমার জন্য আমার ভ য় হয় মা আমাকে এতো কিছু বলে দিলো সত্যি কি আমি সুখি হবো না জয়। আমার তোমাকে হারানো ভয় হয়।
- কিছু হবে জান তুমি চিন্তা করো না তো।
বলেই জ য় আমাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জরিয়ে ধরে।
আমি ও ধরে রাখি যেন ছারলেই হারিয়ে যাবে।
মার কথাটা কানে বাজছে,,, তুই কখনো সুখি হতে পারবি না কখনো না এভাবে আমাকে ঠকালি।
জয় শার্ট ভেজা পেয়ে আমার মাথা বুকে থেকে উঠিয়ে।,
- আবার কাদছো তোমাকে বলছি না কাদবে না তোমার চোখের জল আমি সহ্য করতে পারি না।
- এতো কেন ভালোবাস জয় আমাকে তুমি আমি কি এর যোগ্য।
- চুপ করো তুমি সব কিছুর জন্য যোগ্য।
আমি মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে আছি এতো ভালো কেন জ য় একটু আগেই তো কাছে আসা থেকে আটকালাম তোমায় এত একটু ও অভিযোগ নাই তোমার।
আমি আচমকা জয়ে ঠোঁটে ঠোঁট মিশিয়ে দিলাম জ য় হয়তো এটার আর জন্য প্রস্তুত ছিলো না ও বড় ব ড় চোখ করে তাকিয়ে আছে আমি চোখ বন্ধ করে আছি জয়ের দিক থেকে সারা না পেয়ে সরে আসতে নিলাম এবার জ য় আমার কোমর জরিয়ে আরো কাছে টেনে রুডলি কিস করতে লাগলো কতোক্ষণ এভাবে ছিলাম জানি না।
আমি জয়ের বুকে মাথা রেখে শুয়ে আছি জ য় আমার মাথায় বিলি কেটে দিচ্ছে প্রচুর ব্যাথা করছে মাথা।
- জানপাখি তোমার ভালো লাগছে এখন। নাকি ডাক্তার ডাকবো।
জ য়ের দিকে তাকালাম চিন্তা হয়ে আছে না এখন আর চিন্তায় ফেলা ঠিক না এমনিতেই এক্মডেন্ট করে ওর শরীর র্দূবল।
আমি মাথা নেরে না জানালাম। জয় মুচকি হেসে আমার মাথা বুকে আর ও চেপে ধরে চোখ বন্ধ করে ফেলল।
চলবে....
ছোট করে দেয় বলে এক্মটা পার্ট দিলাম এবার সবাই খুশি তো।