💞রোমান্টিক বিয়াইন 💞
⏩⏩পর্ব: 01
লেখক,কামাল
মাঝ রাতে ঘুম ভাঙ্গতেই মনে হল কেই আমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে। উঠে দেখি একটা একটা মেয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে। লাইট নিভানো তাই বুঝা যাচ্ছে না কে। মেয়েতাকে এমন ভাবে জড়িয়ে ধরা দেখে আমার অনেক রাগ উঠে। আর তার থেকেও বেশি অবাক হয়ে যাই।
- এই যে কে আপনি উঠুন। কি হল উঠুন ?
- ............(কোন সারা পাচ্ছি না মেয়েটি আমাকে জড়িয়ে ধরে এখনো ঘুমিয়ে আছে। ডাকতেছি কিন্তু কোন সারা দিচ্ছে না এখন কি করি। আমার গা থেকে হাত দিয়ে সরিয়েও দিতে পারতেছি না)
- সাহস করেই মেয়েটির হাত আমার গা থেকে সরিয়ে দিলাম। কিন্তু মেয়েটি...
- ভুত ভুত ভুত করে জোরে জোরে চিল্লানি দিতে থাকলো
- আমি দৌড়ে গিয়ে লাইটটা জ্বালিয়ে দিলাম। দেখি বিয়াইনসাব
- আপনি এখানে কেন?
- আপনি এখানে কেন? আমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাইছেন মানে কি?
- অ্যা... এক ঘুসি মাইরা দাঁত ভেঙ্গে দিবো। এইটা আমার রুম, আপনি এরুমে ঘুমাইছেন কেন?
- মাওয়াই ঘুমাইতে বলছে।
- আম্মু ঘুমাইতে বলল আর আপনি এসে আমার রুমে ঘুমাইছেন।
- আপনি কি কানা যে আমি ঘুমাইছি দেখেননি। অন্য রুমে ঘুমালে ও তো পারতেন।
- আমি তো ঘুমাতে এসে আপনাকে দেখিনি।
- দেখবেন বা কি করে আপনি তো দিন কানা+রাত কানা=পুরাই কানা
- মাঝ রাতে বাজে বকবেন না বলে দিলাম। অন্য রুমে গিয়ে ঘুমান।
- আমি এই রুমেই ঘুমাব আপনি অন্য রুমে যান।
আমি বিছানায় উঠে শুয়ে পড়লাম। বিয়াইনসাব রাগে লুছির ফুলছে মনে হচ্ছে আমাকে জ্যান্ত চিবিয়ে খেয়ে ফেলবে। বিয়াইনসাব কে এই রাগি অবস্থায় দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। তাছাড়া বিয়াইন দেখতেও সুন্দর ক্রাস না খেয়ে কি আর থাকা যায়। বিয়াইন এ রুম থেকে অন্য রুমে ঘুমাতে চলে গেল। বিয়ের দিন ও মার্কেটে যা কাহিনী করেছিল এর শোধ তো আমি নিয়েই ছাড়বো।
#তা হলে চলুন জেনে আসি আমার পরিচয় ও বিয়ের দিনের কাহিনী............
আমার নাম সাব্বির। ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ৬ষ্ট সেমিস্টারে পরি। আমাদের বাসা গ্রামে হওয়ায় খালার বাসায় থেকে পড়াশুনা করি। ৩ দিন আগেই খালাতো ভাইয়ের বিয়ে হয়েছে।
#বিয়ের_আগের_দিন
অনেকদিন পর কোন বিয়ে বাড়িতে যাবো তাও খালাতো ভাই বিয়ে। কেনাকাটার জন্য বাসা থেকে টাকা নিলাম। মার্কেটে গেলাম। সিরি দিয়ে উঠে সামনে যেতেই কার সাথে ধাক্কা খেয়ে একটা মেয়ের গায়ে পড়ে গেলাম। সরি বলার সুজক ও দিলো না ঠাসসসসসসসস। কানের নিছে দিলো একটা একে তো ব্যাথা তার উপর আবার থাপ্পর কেমন দা লাগে লকজন সবাই এদিয়ে চাইয়া দেখতেছে।
- চোখে দেখতে পান না( মেয়েটি যে বর্তমান বিয়াইন)
- আপনি চোখে দেখতে পান না।
- আমার পা থেকে মাথা অব্দি দেখে ... পাবলিকের মাইর খাওয়ার ইচ্ছা আছে নাকি?
কিছু না বলে চলে এলাম কারন দেশের আইন এখন ওদের পক্ষে। তারপর কেনাকাটা করে চলে এলাম বাসায়। সবাই অনেক আনন্দ করতে আমি ও আনন্দ করলাম। সাউন্ড বক্সে DJ গান বাজানো হচ্ছে আর এক এক করে সবাই ড্যান্স দিচ্ছে। সবাই মিলে অনেক আনন্দ করলাম। ২ আগে থেকে হদুল মাখা, ফটকা ফুটানো হচ্ছে।
আজকে বিয়ের দিন তাই সবাই রেডি হয়ে গারিয়ে উঠে কনের বাসায় যাচ্ছি। আমরা ১০ টা গাড়িতে যাচ্ছি। বরের গাড়িতে আমি, খালাতো ভাই মানে বর, নীলয় ও দুলাভাই। কনের বাসায় যেতে অনেক ফাজলামো করলাম।
- ভাইয়া বিয়া করছ ঠিক আছে বাসর কিন্তু আমি করমু (নীলয় আমার অন্য খালাতো ভাই)
- তুই পারবি না সাব্বির ভাল পারবো। (দুলাভাই)
- কি বল দুলাভাই, জীবনে বাসর রাত একবারেইক আসে। আর ভাইয়ার সেই হক কি আর আমরা নিতে পারি। দুলাভাই তুমি যে কি বল না। আমার হবু বউ বিয়ের পর এ কথা শুনলে আমারে মাইরা ফেলব।
অনেক শয়তানি করা শেষে এখন আমরা কনের বাসার কাছে এসে গেছি। সন্ধ্যা হয়ে গেছে বিশাল বড় একটা গেট দিয়েছে আর মরিচ বাতি দিয়ে সুন্দর করে সাজিয়েছে। চোখগুলো সবার ঝলমল করতেছে। গাড়ি নেমে সামনে আরও একটা গেট আর গেটের সামনে অনেক লকজন দাড়িয়ে আছে। বুঝতেই পারলাম ভিতরে জাওয়ার জন্য টাকা দিতে হবে। সবাই মিলে সামনে যেতেই মার্কেটের সেই মেয়েটিকে দেখে চমকে যাই। আর সেদিনের চর খাওয়ার কথা মনে পড়ে। তোরে তো পাইছি চর মারা বুঝিয়ে দিবো। মেয়েটি ও আমাকে দেখে চমকে যায়। গেটের টাকা দেয়া হল অনেক ঝগড়া করার পরে। বর/নয়ন ভাইকে শরবত খাওয়াচ্ছে আমাকে ও দিলো কিন্তু দুলাভাই ও নীলয় দিলো না। আমি গ্লাসটা ওদের দিতে চাচ্ছি কিন্তু ওরা খেল না। জানি খেতে হলে টাকা দিতে হবে। উপায় না পেয়ে খেয়ে নিলাম আমার ২০০ টাকা গচ্ছা গেল। একটু পর পেতের মধ্যে ভূমিকম্প হতে শুরু করলো পেটটা মছর দিয়ে উতছে এখুনি কাপড় বুঝি নষ্ট হয়ে যায়।
একটা ছোট ছেলেকে বলে টয়লেট টা দেখিইয়ে নিলাম। ১ ঘণ্টা পর নেজেহাল হয়ে বরের স্টেজে আসলাম। এদিকে এতক্ষণে বিয়ে শেষ হয়ে গেছে। সবাই খাওয়ার জন্য বসে গেছে।
- কিরে কই গেছিলি তোকে সবাই এতক্ষণ ধরে খুজছে। (নীলয়)
- তুই তো এখানে বসে থাকার জন্য এসেছিস। আমি ভাবির সাথে দেখা করে এলাকাটা একটু ঘুরে দেখে আসলাম । (আমি)
- আমাকে বললে হতো না আমি ও যেতাম (নীলয়)
- চল সবাই খেতে বসছে আমরাও যাই (আমি)
- চল (নীলয়)
শরীরে এক ফোঁটা শক্তি নাই খাওয়া দাওয়া করে শক্তি সঞ্চয় করলাম। আমার সাথে ফাজলামি আমি ও কম না দেখাই দিবো কত ধানে কত চাল।
- নীলয় চল তো মেয়েটি বারবার আমাদের দিকে তাকাচ্ছে।
- আমাদের দিকে তাকাবে কেন?
- চলতো , পড়ে বুঝিস
- এই মেয়ে চোখ মারলেন কেন? ভদ্র ছেলে দেখলে বুঝি চোখ মারতে ইছা করে।
- কিহহহহহহ... আমি আপনাকে চোখ মারতে যাবো কেন? (বিয়াইন)
এমন সময় বিদ্যুৎ চলে যায়। বিয়াইনের ঠোঁটে আমার ঠোঁট .........।
।
#চলবে.......?
।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন
।
0
11