গল্পঃ পাবে কী পূর্নতা ???
অন্তু পাঁচদিন আগে এসেছে বাংলাদেশে।সে ইউ এস এ থাকে।একটা বড় সফটওয়্যার কোম্পানিতে ইন্জিনিয়ার হিসেহে কাজ করে।তবে বাংলাদেশে আসার পিছনে একটা কারন আছে,কারনটা হইল বিয়ে্।বিয়ে করার জন্য অন্তু দুই মাসের জন্য এসেছে।উঠেছে ঢাকার উওরার নিজেদের ফ্লাটে।অন্তুর আসার পর পরই অবশ্য অন্তুর পরিবার আত্বীয় স্বজন মেয়ে দেখার কাজটা শুরু করে দিয়েছে।যদিও অন্তুর নিজের কোনো পছন্দ নাই।তাই পরিবার যে মেয়েকে সিলেক্ট করবে অন্তু তাকেই......................................
যাইহোক আসি মূল ঘটনায়------
অন্তুরা ২য় তলায় থাকে।অন্তু ঢাকায় আসার পরপর মোটামুটি অলস সময়ই কাটাচ্ছে।অন্তু সে দিন কফি খাচ্ছিল হঠাৎ সে দেখল,জানালা দিয়ে যতটুকু দেখা য়ায় আর কি,যদিও স্পষ্ট ভাবে দেখা যাচ্ছিলনা..পাশের বাসায় নিচে গাড়ি পার্কিং যেখানে করা হয়,সেখানে একটা মেয়ে নিজের হিজাব ঠিক করছিল।অন্তু ব্যাপারটা পাওা দিলনা অতটা।পরপর কয়েকদিনই ঐই হিজাব পড়া মেয়েকে দেখতে পেল এবং দেখল মেয়েটি একই কাজ করছে,হিজাব ঠিক করছিল।অন্তু দেখে একটু হাঁসল। যাইহোক অন্তু সেদিন সন্ধায় বাইরে যাবে বলে মাএ মেইন গেট পার হয়েছে।ঠিক তখনই দেখে সেই হিজাব পড়া মেয়েকে যদিও অন্তু মেয়েটিকে পেছন থেকে এটা সেই মেয়ে না....যাইহোক অন্তু যে মেয়েকে দেখতে যায় সেই মেয়েকে অন্তুর পছন্দনা তেমন একটা।আর বাসার সবাই যখন অপছন্দের কারন যানতে চাইল,অন্তুর একটাই কথা মেয়েটার চোঁখ তার পছন্দ না..কথা শুনে সবাই হতভাগ।আর এই চোখের কথা মনে আসতেই,অন্তুর মনে ভেসে ওঠে হিজাবের আড়ালে থাকা সেই দুটি চোখ।যদিও অন্তু ওই দুটি চোখ ছাড়া দরজার ফাক দিয়ে আর কিছুই ঠিকমত দেখতে পাই না।অন্তু ঠিক তখনই একটু কৌতুহলি হয়ে ওঠে যে,"আচ্ছা ঐ মেয়েটা রোজ ঐ বাসায় ঢোকার পর এটকা নির্দিষ্ট জায়গায় দাড়িয়ে হিজাব ঠিক করে কেন"??? তবুও ঠিক প্রতিদিন একই জায়গায়?? এসব কথা ভাবতে ভাবতে অন্তু জানালার দিকে তাতাকায়,এবং লক্ষ্য করে মেয়েটি পাশের বাসার দরজার সামনে দাড়িয়ে আছে,উপর থেকে কে জানি চাবিটা ফেলে দিলে মেয়েটি তা কুড়িয়ে তালা খুলে ভিতরে প্রবেশ করল এবং আবারও ঐ নির্দিষ্ট জায়গায় নিজের হিজাব ঠিক করে সিড়ি দিয়ে উপরে ওঠে গেল।কেন জানিনা অন্তুর ঐ মেয়েকে জানার একটা আগ্রহ সৃষ্টি হলো।অন্তু কফি খেতে খেতে বার বার জানালার দিকে তাকিয়ে ছিল যে কখন বের হবে ? আবার মনে মনে এটাও ভাবছে যেযে বের হলেও বা কী? কী বলব আমি? এসব ভাবতে ভাবতে অন্তু জানালার দিকে তাকাতেই দেখলো যে মেয়েটি দরজা দিয়ে বাহিরে বের হচ্ছে।অতটা কৌতুহল ছিলনা অন্তুর।দুজন দুই দিকে চলে গেল। পরদিন অন্তু আবার চা খাচ্ছিল এবং জানালার দিকে তাকায় ছিল তখন দেখল ঐ হিজাব পরা বোরখা পরা মেয়েটি দাড়ায় আছে। আর কিছুক্ষন পর পর কলিংবেল চাপছে। কিছুক্ষন পর ২য় তলার বেলক্যানি থেকে একজন মাঝ বয়সি মহিলা বলছে, আজ আফারা বাড়িত নাই।আপামনি আপনি চলে যান। আরশিকে নিয়ে আফা মার্কেটে গেছে।দাড়ান আনতাসি?তাই বলে ভিতরে চলে গেল।এবং একটু পর উপর থেকে টাকাটা ফেলে দিল। অন্তু খেয়াল করলো মেয়েটি টাকাটা মাঠি থেকে তুলে নিল। কাঁধে ব্যাগ ছিল সেই টাকাটা রাখল।রেখে হাটতে লাগল।এদিকে অন্তুর ছোট বোন অন্তুকে ডাক দিল,ভাইয়া তাড়াতাড়ি রেডি হয়েনে। মেয়ে দেখতে যাবে তোর জন্য।হিজাবপরা সেই মেয়েটির নাম নয়নতারা।আরশিকে আজ পরাতে হবে না বলে হাতে সময় ও আছে অন্যদিকে বেতনের টাকাটাও আছে এটা ভাবতে ভাবতে নয়নতারা হাটতে লাগল,রাস্তার পাশে ফুটপাতের দোকানের সামনে ভ্যানে কাঁচের চুরি দেখছিল।ঠিক সেই সময় অন্তু ও তার পরিবারের সবাই গাড়িতে চড়ে মেমেয়ে দেখার উদ্দেশ্য যাচ্ছিল।অন্তু জানালার দিকে তাকিয়ে ছিল।আর হঠাৎ সে সেই হিজাপ পরা মেয়ে নয়নতারা কে দেখতে পায়।আর মনে মনে ভাবে.............................
পর্বঃ ০১
চলবে ......................
0
3