ম্যাডাম বউ
পর্বঃ৭
জান্নাতের সাথে পিছু হাটতে হাটতে নিজেই
ক্লান্ত হয়ে গেছি।তবুও মহারানীর থামার কোনো
নাম গন্ধ নেই।
জান্নাতঃঠাসসস কুত্তার বাচ্চা এটা তোর প্রতিশোধ
ছিলো?ভেবেছিলাম তোর থেকে সরি বলে নিবো
কিন্তু কখনো ভাবতে পারিনি আমাকে এইভাবে
বিয়ে করতে বাধ্য করবি।
আমিঃআমি তোমাকে বিয়ে করতে বাধ্য করছি
মানে,কি বলতে চাইছো তুমি?
জান্নাতঃএকদম ন্যাকামি করবি না।সেদিন কি
বলেছিলি আমায় ভুলে গেছিস?
আমিঃকি বলেছিলাম?
জান্নাতঃঠাসসস সেদিন বিয়ে করার জন্য চ্যালেঞ্জ
করেছিলি আর সেটা তুই এভাবে ঠাসসস
আমিঃদেখো আমার কথাটা শুনো একবার
জান্নাতঃতোকে দেখলেই কেমন একটা ঘৃণা হচ্ছে
জেরি চল আমার সাথে।
আমাদের কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়েই
জান্নাত চলে গেলো।জেরি আগে থেকেই ঘাবড়ে
ছিলো তাই আর না করলাম না।সালার বুড়োর
দল তোদের যদি এখন কাছে প্রতাম সামনে রেখে
হাজার বার সালাম দিতাম।আপনাদের জন্য
বিয়েটা হয়ে গেলো।যদিও কয়েকটা থাপ্পড় খেয়েছি
তবে ভালোবাসার মানুষটা বউ হয়েছে সেটাই
অনেক বড় পাওয়া😍
জয়ঃসালা পাগল হলি নাকি?
আমিঃপাগল হবো কেনো?
জয়ঃতাহলে হাসছিস কেনো?
আমিঃআবেগের ঠেলাই
রাগিঃথাপ্পড় খেয়ে কেউ হাসে?
আমিঃএটা থাপ্পড় খাওয়ার হাসি না রে পাগল।
এটা ভালোবাসার থাপ্পড়। এখন চল।
—হ্যা চল
তারপর সবাই মিলে ক্যাম্পে চলে আসলাম।খুব
বেশি রাত হয়নি।বাসে গিয়ে আগে ব্যাগ থেকে
ফোনটা বের করে নির্জন স্থানে চলে গেলাম।
ধরে ফেলছেন কি করবো তাই না,হ্যা জান্নাতকে
কল দেয়ার জন্য এখানে এসেছি।কল দেয়ার
সাথে সাথে কেটে দিলো।আরো কয়েকবার দিলাম
বাট প্রতিবারই কেটে দিলো।একটা মেসেজ লিখে
পাঠালাম“তুমি কি চাও,এখান থেকে তোমাকে
জোড় করে তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করি?"
মেসেজটা সেন্ট করার পর মনে পড়লো জান্নাতের
ফোনে টাকা নাই।তাই আবার কল দিলাম।
এবার রিং হওয়ার সাথে সাথে রিসিভ করলো।
আমিঃবার বার কেটে দেওয়ার মানে কি?
জান্নাতঃমানে খুব সিম্পল, আমি আপনার সাথে
কথা বলতে একদম বিরক্তি ফিল করি।
আমিঃকিন্তু আমি করি না।আর শুনো,ঐ ব্যাটা
নিলয়ের সাথে আর কখনো যেনো না দেখি
জান্নাতঃআপনি জানলেন কি করে আমি আজ
নিলয়ের সাথে ছিলাম।
আমিঃসেটা তোমার না জানলেও চলবে।এরপরেও
যদি ওর সাথে দেখি তাহলে তোমার আগে ওকে
খুন করবো...😈
জান্নাতঃকরলে আমারই ভালো হবে।বদজাতটা
সব সময় আমাকে প্যাড়া দেয়।
আমিঃমেরে দেয় ওকে?
জান্নাতঃজানিনা আমি,আর প্লিজ আমাকে আর
কল দিবেন না🙏
আমিঃতাহলে কাকে কল দিবো?
জান্নাতঃযাকে খুশি দেন বাট আমাকে না
আমিঃতাহলে তোমার বোনকে আবার কিডন্যাপ
করি,কি বলো ডিয়ার হবু বউ(থুক্কু বউ)
জান্নাতঃধুর,আমি আপনার প্রায় সব কথাই শুনছি
তারপরেও কেনো আমার সাথে এমন করছেন?
আমিঃভালোবাসি তাই
জান্নাতঃকিন্তু আমি আপনাকে ভাসি না
আমিঃতোর ঐ ফয়সালের সাথে ব্রেকআপ করিসনি?
জান্নাতঃকরিনি আর কখনো করবোও না
আমিঃঠিক আছে আমিও দেখবো
আর কোনো কথা না বলে সিমটা বন্ধ করে সবার
সামনে চলে আসলাম।
জয়ঃকি কোথায় গেছিলি?
আমিঃএকটু কাজ ছিলো
রাহুলঃকি কাজ?
আমিঃ২ নাম্বার আর কিছু বলবি?
রাহুলঃনা ঠিক আছে।
আমিঃজান্নাত কোথায় আর কোনো মেয়েকে
এখানে দেখছি না কেনো?
রাফিঃমেয়েদের জন্য বাসের মধ্যে জায়গা করেছে
আমিঃওহ
জয়ঃহুম এখন চল খেয়ে নেই
আমিঃহ্যা চল
তারপর সবাই মিলে রাতের খাবার খেয়ে নিলাম।
খাওয়া শেষ করে কয়েকটা বড় বড় ক্যাম্প
করা হয়েছিলো সেটাতেই ঘুমাতে হলো।
-----------------------------------------------------
পরেরদিন,,,,,,,
ঘুম থেকে উঠে পাশের ছোট একটা পুকুর থেকে
মুখ ধুয়ে ঘুরতে বের হলাম।এখনো সবাই ঘুমিয়ে
আছে।চারপাশে নিস্তব্ধতা বিরাজ করছে।মাঝে
মাঝে পাখিদের কলরবে মনটাকে ব্যাকুল করে
দিচ্ছে।রাতের অন্ধকারে খেয়াল করিনি তবে
এলাকাটা অনেকটাই পাহাড়ি এবং অপরূপ
সুন্দরতা দিয়ে ফুটে উঠেছে।এখনো সূর্য ওঠেনি।
তাই অনেকটা দৌড়ের মতো করে পাশের একটা
পাহাড়ের উপরে উঠলাম।।পাহাড়ের উপরে
উঠে যেনো এলাকাটা আরো বেশিই সুন্দর দেখাচ্ছে
সূর্য উদয় হওয়া দেখে ক্যাম্পের দিকে রওনা
দিলাম।
ক্যাম্পের সামান্য একটু দূর থেকে লক্ষ্য করলাম
সবাই একসাথে দাঁড়িয়ে আছে।জয়,রাফি, রাহুল
কাকে যেনো বার বার কল করছে।কি হয়েছে
সেটা জানার জন্য সবার কাছে গিয়ে বললাম...
আমিঃকি হয়েছে আর কাকে কল দিচ্ছিস?
এটা বলার পর নিজেকে ভিনগ্রহের প্রাণী মনে
হতে লাগলো।সবাই আমার দিকে হা করে
তাকিয়ে আছে।
আমিঃঐ হালা বলিস না কেনো?
রাহুলঃসালা তোকেই কল দিচ্ছি।কোথায় গেছিলি
আর তোর ফোন বন্ধ কেনো?
আমিঃভোর বেলার প্রকৃতির দৃশ্যপট দেখছিলাম
জয়ঃতাহলে ফোন বন্ধ কেনো?
আমিঃহয়তো বন্ধ হয়ে গেছে।
সবার সাথে টুকটাক কথা বলছিলাম হঠাৎ করে
জান্নাত কোথায় থেকে এসে কলার ধরে সবার
আড়ালে নিয়ে গেলো।চেহারাটা দেখে মনে
হচ্ছে অনেক রেগে আছে।দাতের উপর দাত চেপে
আমার দিকে রাগান্বিত চেহারা নিয়ে তাকিয়ে আছে।
আমিঃকি হয়েছে ম্যাডাম?
জান্নাতঃঠাসসস,অচেনা জায়গায় কোথাও ঘুরতে
বের হলে সাথে কাউকে নিয়ে যেতে হয় সেটা
কি ভুলে গেছিস?
আমিঃসবাই ঘুমিয়ে ছিলো তাই কাউকে ডাকা
হয়নি।(গালে হাত দিয়ে)
জান্নাতঃযদি কিছু হয়ে যেতো?
আমিঃআপনার জন্য ভালোই হতো।কেউ আর
আপনাকে বিরক্তি করতো না।
জান্নাতঃহু,এখন থেকে তুই আমার সাথে থাকবি?
আমিঃবর হিসাবে মেনে নিয়েছো?
জান্নাতঃএকদম না,৬ মাস পর ডিভোর্স দিয়ে দিবো
কিন্তু এই কয়েকদিন আমি যেটা বলবো তুই সেটাই
করবি।যদি অবাধ্য হয়েছিস তো গাল ফাটিয়ে দিবো
আমিঃহুম আমিও
জান্নাতঃতুইও কি?
আমিঃতোমার কথা শুনবো(আমি কি মোসারফ নাকি😁)
জান্নাতঃগুড।এখন হয়তো সবাই নাস্তা করবে
তাই তুই নিজেও করে নে।আর এখানে কোথাও
একা বের হবি না।সব সময় বন্ধুদের সাথে থাকবি
আমিঃবন্ধুদের gf আছে।আমার তো আর সেটা
নেই।যা একটা বউ জুটলো সেউ আমাকে মেনে
নিতে নারায।
জান্নাতঃতুই চিট করে বিয়ে করেছিস এটার শাস্তি
তুই অবশ্যই পাবি
আমিঃহোপ,আমি মোটেও চিট করেনি।
জান্নাতঃতোর এসব আজাইরা কথা বাদ দে।এখন
যাতো গিয়ে নাস্তা কর
আমিঃআচ্ছা #ম্যাডাম বউ
জান্নাতঃহারামজাদা👿
আমিঃহিহিহি
সেখান থেকে চলে এসে নাস্তা করে নিলাম।
--------------------------------------------------
সবাই ঘুরতে বের হচ্ছে।বন্ধুরা উনাদের gf নিয়ে
ঘুরতে ব্যস্ত তাই সেখানে আমার না যাওয়াটাই
উত্তম। ক্যাম্পের বাহিরে একটা গাছের নিচে বসে
গান বাজিয়ে গেম খেলতে লাগলাম।কিছু সময়
পর জেরি এসে পাশে বসলো...
জেরিঃকি করেন দুলাভাই?
আমিঃপাগল হয়েছিস?
জেরিঃপাগল হবো কেনো?
আমিঃএই যে দুলাভাই আর আপনি করে বলছিস
জেরিঃবোনের বরকে তো দুলাভাই বলেই তো
ডাকতে হয় তাই না,আর দুলাভাইদের আপনি
করে বলতে হয়।
আমিঃএকটা কথা রাখবি?(গেম খেলতে খেলতে)
জেরিঃহুম বলো
আমিঃকখনো যেনো কেউ জানতে না পারে আমার
আর জান্নাতের বিয়ে হয়েছে
জেরিঃকেনো?
আমিঃঅনেক কষ্ট পাবে।
জেরিঃভাইয়া তুমি এতো ভালো কেনো?
আমিঃমোটেও ভালো না আমি।আর তুই এখানে
কেনো,জান্নাত দেখলে বকা দিবে
জান্নাতঃদেয়ার হলে আগেই দিতাম।
আমিঃআপনি এখানে?
জান্নাতঃঘুরতে বের হবো তাই তোকে সাথে নিয়ে
যেতে আসলাম।একাই তো বসে আছিস
আমিঃহুম বাট যেতে পাড়বো না
জান্নাতঃকেনো পারবি না?
আমিঃআপনার সাথে গেলে আবার যদি অন্য
কেউ আমাদের আবার ধরে বিয়ে দিয়ে দেয়
জেরিঃকতোবার বিয়ে করবে শুনি,একবার তো
বিয়ে হয়েই গেছে।
আমিঃএকটু আগে কি বললাম তোকে?
জেরিঃমনে আছে।তবে অন্যদের বলবো না
আমিঃহুম গুড।আপনারা বরং যান
জান্নাতঃঐ এতো কথা বলিস কেনো,যেতে বলছি
যাবি।চল আমাদের সাথে।
আমিঃহু
জান্নাতঃকি হু চল বলছি
আমিঃঠিক আছে চলেন।
তিনজন মিলে ঘুরতে বের হলাম।তবে আজ গত
কালকের থেকে বিপরীত দিকে।জান্নাতের সাথে
তেমন কোনো কথা বলিনি।তবে ওকে ইমপ্রেস
করার সব রকম কাজ করেছি।কিছু সময় ঘুরাঘুরি
করার পর বড় একটা নদীর সামনে বসে স্রোত
দেখতে বসে গেলাম।সেখানে কিছু সময় আড্ডা
দেয়ার পর ক্যাম্পে চলে আসলাম।কারণ,সবাইকে
দুপুর অবধি ঘুরাঘুরি করার সময় দেয়া হয়েছিলো।
সবাই মিলে দুপুরের খাবার খেয়ে বাসে উঠে
পড়লাম।সকল স্টুডেন্টসদের চেক করে নিয়ে
গাড়ি স্টার্ট করলো।
---------------------------------------------
জান্নাতের এমন ব্যবহার কিছুটা ভাবাচ্ছিলো আমায়।
অন্যান্য দিনের চেয়ে আজকের কথা বলা ছিলো
অন্যরকম। অনেকটা সময় বাস চলার পর
ছোট একটা ব্রেক নেয়।সেই সুযোগে সবাই গাড়ি
থেকে নেমে যার যার প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করতে
ব্যস্ত হয়ে পরে।রাত হওয়ার কারণে আমিও
বাস থেকে নেমে একটু দূরে গিয়ে জান্নাতকে কল দিলাম...
আমিঃহাই ডিয়ার
জান্নাতঃকি বলবেন সেটা বলেন
আমিঃএতো রাগ কেনো তোমার শুনি?
জান্নাতঃসেটা আমার ইচ্ছা
আমিঃবাইরে থেকে কিছু কেনার দরকার নেই।
আমি তোমার সিটের উপর কিছু খাবার রেখে
দিয়েছি।সেটাই খেয়ে নিও
জান্নাতঃআপনার জিনিষ আমি খেতে পাড়বো না
আমিঃআমিও দেখবো না খেয়ে কি করো
টুট টুট টুট
কিছু না বলেই কল কেটে দিলো।বাস থেকে নামার
পরপরই রেস্টুরেন্ট থেকে ২টা বিরিয়ানির প্যাকেট
রেখে দেয়।যেনো জান্নাত জেরি খেতে পারে।
বাইরে থেকে একটা সিগারেট খেয়ে বাসে উঠতে
একটু দেড়ি হয়ে যায়।
জান্নাতঃকোথায় গেছিলি?
আমিঃবাইরে
জান্নাতঃকি করছিলি?
আমিঃ১নাম্বার চেপেছিলো(মিথ্যা কথা)
জান্নাতঃএতো সময় লাগে?
আমিঃসিরিয়াল দিয়ে করতে হয়
জান্নাতঃহয়েছে আর বলা লাগবে না।যা গিয়ে বস
আমিঃহুম
সিটে বসে জান্নাতের দিকে আড়ালে তাকিয়ে আছি
দেখতে চাইছিলাম ও এখন কি করে।কিছুটা সময়
তাকিয়ে থাকার পর আমি যে দুটো প্যাকেট
রেখেছিলাম সেগুলো জানালা দিয়ে ফেলে দিলো।
ইচ্ছা করছিলো গিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয়।
আর তাকিয়ে না থেকে ঘুমানোর চেষ্টা করলাম।
অনেকটা সময় হলো কিন্তু ঘুম ধরছে না।সবাই
ঘুমিয়ে গেছে শুধু জান্নাত জেরি ছাড়া।তারা এখন
গেম খেলতে ব্যস্ত।জান্নাতকে এখন দেখতে ইচ্ছা
করছিলো না।তাই পাশ ফিরে চোখ বন্ধ করে আছি
কিছুটা সময় যাওয়ার পর কারো ডাকে তাকাতে
দেখলাম জেরি দাঁড়িয়ে আছে।
আমিঃতুই এখানে কেনো?
জেরিঃআপু ডাকছে তোমাকে
আমিঃকেনো?
জেরিঃআমি কি জানি..
আর কোনো প্রশ্ন না করে জেরির সাথে আসলাম।
আমিঃকি হয়েছে,ডাকছেন কেনো?
জান্নাতঃএটা কি তোর কলেজ?
আমিঃনা কেনো?
জান্নাতঃতাহলে আপনি করে বলছিস কেনো?
জেরিঃস্ত্রী কে কি কেউ আপনি করে বলে?
আমিঃবর কে কি কেউ তুই করে বলে?
জেরিঃহুম রাইট,আপু তুমি দুলাভাইকে তুমি করে
বলো আর দুলাভাই তোমাকে তুমি করে বলবে
জান্নাতঃথাপ্পড় দিয়ে গাল ফাটিয়ে দিবো।চুপচাপ
বসে থাক।বড়দের সামনে কথা বলতে নাই
জেরিঃওকে
জান্নাতঃজেরি তুই এদিকে চেপে বস,নিলয়কে
একটু বসার জায়গা করে দে
আমিঃকেনো?
জান্নাতঃখাবার খাবো তাই
আমিঃআমার ইচ্ছা নাই
জান্নাতঃকিন্তু তুই এখন খাবি ব্যস
আমিঃআমি খেতে পাড়বো না
জান্নাতঃতুই খেতে পারবি না মানে,তোর চোদ্দ গুষ্টি খাবে
অনেকটা জোড় করেই খাইয়ে দিলো।খাবার শেষ
করে নিজের সিটে এসে বসলাম।জান্নাতের দিকে
তাকিয়ে থাকতে থাকতে কখন যে ঘুমিয়ে গেছি
একদম টের পাইনি।
রাফির ডাকাডাকিতে ঘুম থেকে উঠতে হলো।
আমিঃসালা এভাবে চিল্লাচিল্লি করছিস কেনো
রাফিঃচলে এসেছি তাই।নাম এখন বাস থেকে
চলবে................
0
3