মেডামের প্রেমে
2nd part...
২য় ক্লাস ছিল একজন স্যার এর। ওনি খুব রাগী ছিলেন। কিন্তু বদলী হয়ে যাওয়ায় আজ নতুন স্যার আসবে।
কিছুক্ষন পর প্রিন্সিপাল স্যার আসল,,, তার পেছনে কেউ একজন প্রবেশ করল। আমি ভয়ে পেয়ে গেলাম,,
সে আর কেউ নয় লাল শাড়ি পড়া মেয়েটি। দেখেই ভয় পেয়ে গেলাম।
তাহলে কি মেয়েটি প্রিন্সিপাল স্যার এর কাছে নালিশ জানিয়েছে। যে আমরা তাকে টিজ করেছি। আজব কাহিনি গান ধরলাম আমরা মজা করার জন্য। আর ওনি ভেবে নিলেন ওনাকে ডিস্টার্ব করার জন্য। যাই হোক আমিও ছাড়ব না। আমরা তো কোনো দোষ করিনাই।
এমন সময়েই প্রিন্সিপাল বলা শুরু করল।
প্রিন্সিপালঃও হচ্ছে অবনী। এখন থেকে তোমাদের গনিত ক্লাস নিবে। তোমরা তো জানোই যে শাহাজাহান স্যার ব্যাক্তিগত কারনে বাহিরে আছে। তাই এখন থেকে অবনী তোমাদের ক্লাস নিবে। অবনীও তোমাদের মতো একজন স্টুডেন্ট । ও এবার অনার্স ফাইনাল ইয়ারে। যাহোক ওরে ক্লাস নিতে সাহাজ্য করবা। কোনোরকম ডিস্টার্ব করবানা। আর অবনী কোনো সমস্যা হলে আমাকে জানাবা৷
এই বলে প্রিন্সিপাল স্যার চলে গেলেন।
আর আমি হ্যা হয়ে গেলাম। বিচার দেয়নি তা তো বড় কথা নয়। বড় কথা হলো এ যদি মেডাম হয় তাহলে আমার কি হবে। আমি তো প্রেমে পড়ে গেছি। কি যে করি এখন। মেডামের চোখ দুটো যেমন সুন্দর তেমন মায়াভরা। ইচ্ছে করে ছুয়ে দেই।
এমন সময়েই আমার ভাবনার দেয়াল ছেদন ঘটালো মেডামের ডাক।
মেডামঃ হে হেলো
আমি বাস্তবে ফিরলাম।
আমিঃ জ্বী বলুন
মেডামঃ বলুন মানে। এতক্ষন সবাই কি করতেছিল তুমি দেখনি।
আমিঃ কি করে বলব?আমি তো আপনাকে নিয়া ব্যস্থ ছিলাম। ভালোবেসে ফেলছি আপনাকে ( মনে মনে)
মেডামঃ নিজের পরিচয় দাও
আমিঃজ্বী আমি সুমন এবং
মেডামঃ এবং ক্লাসের সব থেকে বাজে স্টুডেন্ট এবং বেয়াদব।
আমিঃ আসলে মেডাম আপনি যা ভাবছেন তা নয়। আমরা তখন ফ্রেন্ডরা মজা করে গান করতেছিলাম। আমাদের কোনো খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না। কিন্তু আপনি ভূল বুঝে শুধু শুধু আমাকে
মেডামঃ থাক আর বলতে হবেনা। ক্লাসে মনোযোগী হও।
আমিঃ জ্বী মেডাম।
যাহোক ক্লাসে মনোযোগ দিলাম। ক্লাসে মনোযোগ ঠিক তা নয়। সারাটাক্ষন মেডামের দিকেই তাকিয়ে ছিলাম। ক্রাশ খেয়ে বাকা হয়ে গেছি।
ক্লাস শেষ হলো। ক্যানটিনে বসলাম।
তুষারঃ কিরে কিছু বুঝলাম না। তুই সারাটাক্ষন ম্যামের দিকে ওভাবে তাকিয়ে ছিলি কেন? ব্যাপারটা কি?
আমিঃ বন্ধু প্রেমে পড়ে গেছি।
পার্থঃ কি কি কি বললি তুই?
তুষারঃ থাম বাকিটা আর বলিস না। ওরে বলতে দে।
আমিঃ বিশ্বাস কর একপ্রেমে পড়ে গেছি ওনার। ওনার চোখ ওনার চেহারা আমার মন কেড়ে নিয়ে চলে গেছে।
তুষারঃ বুঝলাম কিন্তু ওনি যে সিনিয়র আমাদের ।
আমিঃ ভালোবাসা জাত পাত বয়ষ দিয়ে হয় না রে পাগলা মন দিয়ে হয় মন।
তুষারঃ তাইলে পটিয়ে দেখাও।
আমিঃ তুরা সাহাজ্য করলে অবশ্যই অবনীই হবে তুদের ভাবি।
পার্থঃ শালা না হইতেই অবনি ডাকিস।
আমি একটা ভেটকি দিলাম।
তারপর বাসায় আসলাম। মেডামের কাছে ভালো হবার জন্য ওনার পড়া ভালো করে পড়লাম।
পরদিন ক্লাসে পড়া দিলাম। মেডাম বাহবা দিল।
এভাবেই চলতে লাগল। আমি মেডামকে ফলো করতে লাগলাম।
একদিন
তুষারঃ কিহ এভাবে ফলো করলেই চলবে খালি?
আমিঃ কি করতাম আর?
তুষারঃপ্রপোজ করবি কবে
আমিঃসাহস হচ্ছেনা। যদি খারাপ কিছু হয়ে যায়
তুষারঃ শালা ভিতু। আমি আগেই জানতাম তুই ভিতু।
এমন সময়েই শরিফ আসল,,
শরিফঃ বন্ধু দোয়া করিস গালফ্রেন্ড কে নিয়ে একটু বাইরে যাব।
তুষারঃ যাহ। খালি প্যান্ট শার্ট টা হারাইছ না।
শরীফ চলে গেল।
আমিঃ ওকে বন্ধু কালকেই প্রপোজ করব।
তুষারঃ সত্যি তো
আমিঃ হুম ১০০% সিউর কালকেই প্রপোজ করব।
তুষারঃ সাবাশ বেটা। এগিয়ে যা আমরা আছি পেছন পেছন।
আমিঃ হুম।
পরদিন সকালে তারাতারি ঘুম থেকে উঠলাম।
রুম থেকে বের হতেই আব্বু। আব্বু আমার দিকে এমন ভাবে তাকিয়ে আছে যেন ভূত দেখেছে
আমিঃ এভাবে তাকিয়ে আছ কেন?
আব্বুঃ সূর্য কোনদিকে উঠেছে আজ
আমিঃ কেন যেদিকে উঠে প্রতিদিন সেদিকেই উঠেছে। নাকি আজকে পশ্চিমে উঠছে। তাহলে কেয়ামত হয়ে যাবে।
আব্বুঃ কই গো সুমনের মা দেখো কাহিনি
।আম্মু আসল।
আম্মুঃ কি হয়েছে কি
আমার দিকে তাকিয়ে আম্মুও হা হয়ে গেল।
আমিঃ কি হলো কি এভাবে তাকিয়ে আছ কেন?
আম্মুঃ তুর শরীর ঠিক আছে তো নাকি?
আমিঃ হুম ঠিক আছে কেন?
আম্মুঃ তাহলে এত সকাল সকাল কিভাবে উঠলা?
আমিঃ ওহ আচ্ছা। এই ব্যাপার। ভার্সিটি যেতে হবে তো। তাই উঠছি। এখন বেশি কথা না বলে খাবার দাও।
আম্মুঃ হ্যা দিচ্ছি।
তারপর আমি ফ্রেশ হয়ে খাইয়া ভার্সিটি চলে আসলাম।মেডাম মানে অবনীর জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। কি যে হবে আল্লাহ জানে। প্রপোজ করলে না জানি কি হয়।
অনেকক্ষন পর অবনী আসল। আমিও প্রপোজ করার জন্য ফুল নিয়ে আগাইতে লাগলাম। হঠাৎ চোখে পড়ল। অবনীর সাথে একটা ছেলে। কলিজায় আগুন লেগে গেল।
চলবে ........????
0
11