মাস্তানের সম্রাট
পার্ট:২য়
আজ এখানে অনেক কিছুই সবার জানার আছে, নিলাদ্রী একদম চুপ করে রয়েছে সে রহস্য টা বুঝে ওঠতে পারছে না মনে হয়,
ঐ বখাটে গুলো কে মেরে হাসঁপাতালে পাঠিয়ে দিল,,
এদিকে নীল কলেজ এর সবার দিকে রাগি চোঁখে চোঁখ ভুলিয়ে নিচ্ছে, নীল ভাবছে এরা কী মানুষ নাকি অন্য কিছু, আজ যদি এরা একে অন্যের বিপদে এগিয়ে আসতো তাহলে আর ওদের মতো গুন্ডা রা কোন মেয়ের সাথে খারাপ আচারন করতে পারতো না,
নীলাদ্রী সামনে এসেই একটা হ্যান্ডকাপ পড়িয়ে দেয় নীল কে,
নীল হাঁসছে মনে হয় এটা নিলের কাছে অস্বাভাবিক কিছুই না,
নীলাদ্রী: আমি কে জানো?
নীল: ইয়েস, মিস নয়না
নীলাদ্রী একটু অবাকই হয়ে গেল,
কারন তার এ নাম টা কেউ জানে না,
নীল: আমি ভালোই করেই জানি তুমি নীলকে মানে আমাকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়েছ,, কিন্তু তুমি এটা জানো না আমি সব খবরই রাখি,, মনে আছে একদিন রেস্টুরেন্ট এ তোমার গায়ে আমি ভুল করে কপি ডেলে দিয়েছিলাম? আসলে ঐ দিন ইচ্ছা করেই দিয়েছিলাম আমার তোমার উপর আগে থেকেই সন্দেহ ছিল, ত এরপর তোমার ব্যাগ থেকে তোমার কার্ড টা দেখতে পাই তুমি C.I.D এই যে দেখছো বাদশাহ্ ওরে বলেছিলাম তোমার খবর নিতে, বাকি সব ঐ মেনেজ করে দেয়,,
আমি নিজ থেকেই তোমার ভালোবাসার ফাঁদে পা দিয়েছি, কেন যেন অভিনয় করতে গিয়ে সত্যিই তোমাই ভালোবেসে ফেলেছি,,
আমি কিন্তু ভালো হতে চেয়েছিলাম আমাকে ভালো হতে দিলা না,,
নয়না: কিছু করার নাই তুমি একজন অপরাধী, আর আমি একজন আইনি লোক আমার তোমাকে এরেস্ট করতেই হবে,, তার আগে বলো তুমি কেনো এই লাইনে আসলে,,
নীলয় :কেন এই লাইনে আসলাম তো শুনো,, দিনটি ছিলো সোমবার, ২০১৪ সালের জুন মাস,ছিলাম সাধারন এক ছেলে কোন ঝগড়া-ঝামেলায় যেতাম না,
ঐ দিন কলেজ গেলাম, কলেজ থেকে আসতে আসতে দেখলাম ৫ টা বেজে গেছে, বাসার সামনে এসে কলিং বেল দিয়েই যাচ্ছিলাম প্রায়ই ৩০ মিনিট কিন্তু কেউ দরজা খুললো না, তারপর দরজা টা ডাক্কা দিতেই খুলে গেল, বুকের মধ্যে তখন অজানা কোন এক ভয় কাজ করেছিল,
বোনের রুমের সামনে গিয়ে দেখলাম বোন নগ্ন অবস্থায় পড়ে রয়েছে বিছানায়, তার গলায় কেউ ছুড়ি চালিয়েছে,বাকরুদ্র হয়ে গিয়েছিলাম চিৎকার দিয়ে কেদে উঠি কিন্তু সে কান্না কেউ শুনতে পাইনি, কেউ একবার এসে দেখেওনি, বাবা -মা দুজনেই মনে করেছিলাম মারা গেছে বোন, বাবা, মা, ভাইয়া সবাই কে হাসপাতালে নিয়ে গেলাম, ডাক্তার মা ছাড়া সবাই কে মৃত ঘোষনা করল, অনেক ভেঙ্গে পড়েছিলাম, নিজেকে ও শেষ করে দিতে ইচ্ছে করেছে, কিন্তু মার জন্য পারলাম না, মার চিকিৎসা করিয়ে সু্স্থ করে তুললাম,,
মা প্রায় ১ মাসের মতো কথা বলতে পারে নি,, এরপর একদিন হঠাৎ করেই খোকা বলে ডাক দেয় , মা আমার হাত মার মাথায় নিয়ে কসম করিয়ে বলে যারা বাবা-ভাই আর বোন কে মেরেছে তাদের মারতে,,
তখন মাকে বলেছিলাম কী করে চিনবো মা আমি ওদের, মা বললো সিসি টিভি তে দেখতে, বাসায় গোপন ক্যামেরা ছিল সেটা আমি ভুলেই গিয়েছিলাম, মা আমাকে জড়িয়ে ধরেই ইন্তেকাল করেন,, তারপর মাকে কবর দিয়েই বাসায় গিয়ে, ল্যাপটপ নিয়ে বসলাম, দেখতে লাগলাম সব,,প্রথম ৬/৭ টা ছেলে ডুকলো, একটা ছেলে গিয়েই বোনের চুল ধরে দরজা আটকে দেয়, মা বাবা বাধা দিলে সবাই এসে মা বাবা কে মারতে থাকে, ভাইয়া কে ছুড়ি দিয়ে হাতের রক কেটে দেয়,,
ঐ দিকে বোনের সাথে খুব খারাপ কিছু হচ্ছে এগুলো দেখতেই পারি নি, সবার চেহারা মনের মধ্যে গেথে গেল, কিন্তু এক পর্যায়ে এসে চোঁখ আটকে যায় নিজের চাচাতো ভাই ও আসছে, চাচা ও আসলো, কিছুটা মাথায় আসলো সব কিছু সম্পতির লোভে, নিজের প্রানের চেয়ে বেশি ভালোবাসতো আব্বু তার ভাইকে আর সে ভাই আজ তাকে কঠিন একটি উপহার দিল,,
বিছানায় শুয়ে ভাবতে ভাবতে চোঁখ লেগে আসলো,,
কিছু পরার শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেল, কেউ একজন আছে কিন্তু কে সে এতো রাতে ডুকলোই বা কি করে, আমি ঘাটের তোলায় গিয়ে শুয়ে থাকি হঠাৎ বিছানার উপর আক্রমন হলো একজন লাইট জ্বালালো, তার মনে এখানে অধিক, -কোন একজন না,,
তার পর তারা অন্য রুমে খুজতে চলে গেল আমি আস্তে করে বাহির হয়ে আব্বু লাইসেন্স ওয়ালা পিস্তল টি নিলাম ডয়ার থেকে,, ওরা ৪ জন ছিলো চার জন কেই গুলি করলাম, আমি জীবনে প্রথম গুলি করলাম কিন্তু নিশানা ভুল হয় নাই, আমি নিজেই অবাক হয়ে গেলাম,,
এটা কী ভাবে সম্ভব,, আমি তো জীবনে পিস্তল হাতে ও নি নাই, আমার ভাইয়া পারতো কারন ও পুলিশ ছিল, ও ট্রেনিং নিয়েছে, তাহলে আমি কী ভাবে এত নিঁখুত ভাবে চালালাম পিস্তল?
পার্ট:৩য়
এটা কী ভাবে সম্ভব,, আমি তো জীবনে পিস্তল হাতে ও নি নাই, আমার ভাইয়া পারতো কারন ও পুলিশ ছিল, ও ট্রেনিং নিয়েছে, তাহলে আমি কী ভাবে এত নিঁখুত ভাবে চালালাম পিস্তল,
তাহলে কী ভাইয়ার শক্তি আমার কাছে?আসলে এটা একটা সিনেমায় দেখিছিলাম যমজ ভাই হলে একজন এর কিছু হলে দ্বীতিয় জন ২ জনেরই শক্তি পাই,তাহলে কী এটাই সত্যি? হবে হয়ত এটাই তা না হলে আমি কী ভাবে এত নিঁখুত ভাবে পিস্তল চালাতে জানি, আর আগের চেয়ে আমার শক্তি এখন বেশি লাগছে?
যায় হোক তারপর একদিন বাদশাহ্ এর সাথে কথা বলে সিদ্ধাত্ব নিলাম একটা গ্যাং তৈরি করব, আমাদের শুধু একটাই উদ্দেশ্য যারা খারাপ তাদের সাথে খারাপ করব, এর পর চাচার ছেলেকে মারার প্ল্যান করি,
চাচা আর চাচার ছেলে রা বুঝতে পারে নাই যে আমি বুঝে গেছি তাদের মুখোশের আড়ালের রুপ টা,
সেদিন( সিয়াম)চাচার ছেলের নাম ওকে কল দিয়ে বলি চল একটু ঘুরে আসি মন টা ভালো নেই,
সিয়াম:তুই এখন কই?
আমি:এইতো বাসায় তুই বাসার নিছে আয়,
সিয়াম:আচ্ছা আসতেছি,
তারপর আমি বাদশাহ্ আর গ্যাং এর কিছু বন্ধুদের বলি তোরা এই যায়গায় থাক আমি সিয়াম কে নিয়ে আসব,,
তারপর আমি বাইকটা বের করে সিয়াম কে নিয়ে একটু ঘুরলাম, একটা রেস্টুরেন্ট এ গেলাম ওর জন্য অনেক খাবার ওর্ডার দিলাম আজ যে ওর শেষ খানা, খেয়ে দেয়ে বাদশাহ্ রা যে যায়গায় ঐ খানে নিয়ে গেলাম সবাই আড়াল থেকে বেরিয়ে আসলো, তারপর। হাত-পা বেধে বাদশাহ্ এর মাইক্রো তে উঠালাম, তারপর আব্বুর পুরানো বাংলো বাড়িতে নিয়ে আসলাম,
একটা চেয়ারের সাথে বাদলাম সিয়াম কে,তারপর মুখের কাপড় টা খুলে দিলাম,
সিয়াম: ভাই কী করছিস তুই?
আমি:হা হা হা (ভয়ংকর হাসি)কী ভেবেছিস আমি কিছু জানি না?আমার সুখের সংসার টা তোরা সম্পত্তির লোভে তজনজ করলি কেন রে আমরা কী তোদের কম ভালোবাসতাম,নাকি তোদের দরকারে পাশে ছিলাম না? আমার বোনটাকে ও ধর্ষন করলি, কী করেছিল আমার বোন টা? ও যদি তোর আপন বোন হত পারতি করতে ধর্ষন? আরে পারতি পারতি তোদের মত নিমখারাম রা সব পারে,,,
সিয়াম: ভাই আমার ভুল হয়ে গেছে মাপ করে দে,,
আমি:মাপ করতে পারি তবে একটা শর্তে
সিয়াম:কী শর্ত?
আমি: যারা আমার বোনকে ধর্ষন করেছে তাদের সবাইকে কল করে এখানে আসতে বল,বলবি আমাকে এখানে বেধে রেখেছিস আজকো আমাকে মারবি,
সিয়াম:তাহলে আমাকে ছেড়ে দিবি তো?
আমি:হুম তোকে মুক্ত করে দিব,,
সিয়াম: হ্যালো রানা তোরা কই?
রানা: এইতো আড্ডা দিচ্ছি তুই কই?
সিয়াম :আজকে প্রিন্স কে ও মারব আয় তোরা,
রানা:কোথায়
সিয়াম: আমুক জায়গায়,,
রানা :আচ্ছা আসতেছি
আমি:বাদশাহ্ এলার্ট,
বাদশাহ্:ওকে দোস্ত
আমি: তোরা ও এলার্ট জিতু,রুপক,
জিতু:জ্বী ভাই
তারপর ওরা বাড়িতে পা রাখা মাত্রই সবাই ওদের ধরে ফেললো আর বেধে ফেললো,,,
ঠিক যে ভাবে সিয়ামম কে বেধে রেখেছি সেই ভাবে সবাই কে বাধলাম এবার হবে আসল খেলা,, হা হা হা
আমি:বাদশাহ্ একটা ব্লেট নিয়ে আয় তো
বাদশাহ্:এই নে পকেটেই আছে,
আমি:দে এদিকে দে,
বাদশাহ্:নে,
ওরা মোট ৫ জন ছিল আমরা ছিলাম প্রায়৫০ জনের উপরে ভিতরে ছিলাম আমরা ৫জন সবাইকে বাইরে দাড়াতে বলেছিলাম যেন পুলিশ বা অন্য কেউ এদিকে আসলে আমাদের খবর দেয়,
তার আমি আস্তে আস্তে গিয়ে রানার হাতে ব্লেট দিয়ে দাগ দিতে থাকি আর রানা চিৎকার দিতে থাকে তারপর ওদের সবাই কে উলঙ্গ করে ফেলি,, পুরো শরীরে রানার ব্লেট এর দাগ দিতে থাকি, আর সিয়ামরা সবার চোঁখ দিয়ে পানি ঝড়ছে,আকুতি মিনতি করছে? কিন্তু কে শোনে কার কথা বাদশাহ্ আর জিতু ওদের মধ্যে দুজন কে ব্লেট দিয়ে দাগ দিতেছে আর সবাই গলা ফাটানো চিৎকার করছে,,
তারপর আমি লবন মরিচ নিয়ে আসি রানার গায়ে লাগাতে থাকি আর ও চিৎকার করতে থাকে বার বার ক্ষমা করে দেও ক্ষমা করে দেও বলছে,
রানা:ভাই আমাকে মাপ করে দিন আমি আর জীবনে ও এমন ভুল করব না,
আমি:বল কী দোস করেছিল আমার ৯ পড়ুয়া ছোট বোন টা? তোদের মত কিছু নিচু লোকের জন্য আজ আমরা ছেলে জাতি কলঙ্ক,বলেই ওর গোপনাঙ্গে ব্লেট দিয়ে দাগ দিচ্ছি
ও এমন ভাবে চিৎকার দিল যে কানের পর্দা একটু নড়ে উঠল, মনে হয় আর একটু হলে ফেটে যেতে,,
এগুলো দেখে সিয়াম কান্না করতেছে ওকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য
রানা:ভাই আর কষ্ট দিয়েন না ভাই, একে বারে মেরে ফেলুন ভাই,
আমি:হা হা হা হা খেলাতো মাত্র শুরু দেখ আগে আগে কী হয় 😆😆
(চলবে)
পরবর্তী পার্টের জন্য অপেক্ষা করুন
বিঃদ্রঃ ২য়-তয় পার্ট একসাথে, পার্ট গুলো ছোট করে লিখেছিলাম তাই একসাথে দুই পর্ব করে দিলাম,
0
12