🚫👉যারা ভেবেছিলেন ১২ তারিখের পর, দেশে করোনো থাকবে না, তারা ভুল ছিলেন🙇 যারা ভেবেছিলেন বেশি তাপমাত্রায় করোনা বাঁচে না তাঁরাও ভুল ছিলেন। যারা ভেবেছিলেন রমজানের পর করোনা থাকবে না তাঁরাও ভুল ছিলেন। এই ভুল গুলো এখন প্রমাণিত এবং সত্য।
👉এখন যারা ভাবছেন এক দুই মাসের মধ্যে করোনা চলে যাবে তাঁরা ভুলের মধ্যে আছেন। যারা ভাবছেন শীঘ্রই করোনার টিকা বের হয়ে যাবে তাঁরাও ভুলের মধ্যে আছেন। যারা ভাবছেন শুধু ঘরের মধ্যে থেকেই করোনা কাল পার করে ভাইরাস মূক্ত থাকবেন তাঁরাও আছেন মহা ভুলে।
🚫👉সত্যটি হচ্ছেঃ👇👇
অন্তত এক বছরের আগে করোনা পুরোপুরি যাচ্ছে না তা মোটামুটি নিশ্চিত। এক বছরের আগে কোনো টিকাই আপনার হাতে আসছে না তাও প্রায় নিশ্চিত। এমন কোনো বেহুলার বাসর ঘর সুস্থ মানুষের পক্ষে তৈরী করা সম্ভব না যেখানে করোনা প্রবেশ করবে না। আপনি মানুষ; অনন্তকাল ধরে কাজের বুয়া ছাড়া, বাহিরের বাজার ছাড়া, মানুষের সংস্পর্শ ছাড়া, সূর্যের রোদ ছাড়া বাঁচতে পারবেন না। এভাবে বাঁচতে পারতে চাইলে আপনি বদ্ধ উন্মাদ হবেন, ১০০% গ্যারান্টি।
🚫👉তাহলে উপায় কি?
একসময় সংক্রামক কলেরা রোগে গ্রামের পর গ্রাম উজার হয়ে যেতো। মানুষ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যেতো, কারণ তারা জানতো না কেন কলেরা হয়? পানি ফুটিয়ে জীবানুমুক্ত করা যায় সহজেই। এখন আর কলেরা মহামারী হয় না, কারণ মানুষ জানে ফুটিয়ে বিশুদ্ধ পানি খেলে কলেরা হয় না।
🚫👉আমরা এখন জানি করোনা কোন মাধ্যমে ছড়ায়। করোনা রোগীর থুতু, কাশি, লালা কিংবা চোখের পানি দিয়ে করোনা ছড়ায়। এগুলো আপনার নাক, মুখ চোখের পথ দিয়ে না ঢুকতে দিলে করোনা হবার নয়।শুধুমাত্র নাক, মুখ, চোখে বাহিরের লালা, থুতু, চোখের পানির সাথে যাওয়া ভাইরাস থেকে প্রতিরোধ গড়ে তুলেই আপনি করোনা মুক্ত থাকতে পারেন।
🚫👉এটি বলতে খুব সহজ আবার করতে খুবই কঠিন। অনেক বছরের অভ্যাসের দাস আপনার হাতকে বশে রাখতে হবে। হাত যেন সাবানে পরিষ্কার না হয়ে কোনভাবেই নাক, মুখ, চোখ না ছোঁয়। অন্যের কাছে থেকে উড়ে আসা থুতু, লালা বা পানি মাস্ক এবং চশমা দিয়ে প্রতিরোধ করতে হবে। কথার মাঝে ছাড়ানো থুতু, লালা কে বক্তা বা শ্রোতা উভয়ের পরিধান করা মাস্কের সাহায্যে প্রতিরোধ করা খুব সহজেই সম্ভব।
🚫👉জুতা আবিষ্কারের গল্পের মতো সারা পৃথিবী চামড়া দিয়ে না ঢেকে আপনার পা খানি ঢাকলেই যেমন চলে; তেমনি আপনার নাক মুখ চোখ ঢাকুন আর হাতকে সংযত করুন। এই অল্প কিছু অভ্যাস পরিবর্তন করেই আপনি করোনা প্রতিরোধ করতে পারবেন ৯৫%.... বাঁকি পাঁচ শতাংশের জন্য ডাক্তারের উপর ভরসা রাখুন। পরামর্শ মতো ঔষধ খান, বিশ্রাম নিন, আলাদা থাকুন।
🚫👉ভীত হয়ে মানসিক রোগী হবেন না। মৃত্যুর চেয়ে সত্য কিছুই নাই; পৃথিবীতে জন্ম নিলে আপনাকে মরতে হবেই। করোনা থেকে বাঁচতে জীবনে একবারই মরুন; ভয়ে বারবার না।
সচেতনতা অবলম্বন করুন, নিজ ও পরিবারকে সুস্থ রাখুক।
💞💞
0
10