♥♥কমিশনারের গুন্ডি মেয়ের সাথে প্রেম♥♥
পব্<<০১
ওই কাব্য ঘুম থেকে ওঠ। কলেজে যাবি না।
মা আর একটু ঘুমাতে দাও না।
আজ তিন মাস কলেজে যাস না আর এভাবে কতদিন ঘরে থাকবি।তোর বাবা জানলে কিন্তু রাগ করবে।
মা আমি তো আমার অসুস্থতার জন্য কলেজে যেতে পারি না। এটা আমার দোষ।
আমি আর তোর কোন কথা শুনতে চাই না।আমি যাবলেছি সেটাই হবে।
ঠিক আছে।
ফ্রেশ হয়ে আয় আমি খেতে দিচ্ছি।
হুম ঠিক আছে।
ফ্রেশ হতে হতে আমার পরিচয় দিয়ে দেই। আমি রিমন আহমেদ কাব্য মাবাবার ২য় সন্তান।আমার বড় ভাই বিজনেসের কারনে বাইরে আছে।আর আমার বাবা নাম করা বিজনেস ম্যান।
এবার আসা যাক মূল গল্পে।
আমি খাওয়ার পর মায়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে কলেজে রওনা হলাম।
আসলে আমি তিন মাস আমার অসুস্থতার জন্য কলেজে যেতে পারিনি।আর আজ মা জোর করে পাঠাইছেন।
কি আর করার গাড়ি নিয়ে কলেজে যাচ্ছি। কিছু দূরে যেতেই পরে গেলাম জ্যামে।
প্রায় এক ঘন্টা জ্যামে পরছি ছারানোর কোন নাম গন্ধ নাই।
এবার গাড়ির গ্লাস নামিয়ে বাইরে তাকাইলাম। ঠিক আমার পাশের গাড়ির পাশে গাড়িতে একটা মেয়ে বসে আছে।মনে হচ্ছে কোন পরি বসে আছে। না একটু চেতাইয়া দেখি।
আমি আসলেই ওর মোহে পড়ে গেছি।
আমার এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে মেয়েটি বলল ওই মিষ্টার এ ভাবে কি দেখছেন?
কি বলেন শুনতে পায় না।
কাল নাকি এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন এদিকে?
আমি আবার কার দিকে তাকাইলাম?
আমার দিকে তাকাইলেন যে।
ওই খালাম্মা নিজের চেহারা কখনো আয়নায় দেখছেন?আপনার দিকে তো কোন ক্ষ্যাত ছেলে ও তাকাবে না। আর আমার মতো হ্যান্ডসাম ছেলে তো দূরের কথা।
কি আমারে খালাম্মা বললেন আমি দেখতে কোন দিকতে আপনার খালাম্মার মতো।আর আমার চেহারা খারাপ তাইনা।
আপনি দেখতে একদম পেত্নীর মতো।
কি আমি পেত্নির মতো দেখতে তোরে যদি আমি আজকে না খায়ছি তো আমার নাম তিথি না।
আপনি তো ভারি বজ্জাত মেয়ে ছেলেদের সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় জানেন না।বাড়ি থেকে এটুকু শিক্ষা ও দেয় নি।
আমার কথা শুনে তিথি রেগে বেলুনের মতো ফুলে গেছে।মনে হচ্ছে কোন সময় আমার গায়ে এসে ফুটবে।
আমি সুবিধা ভালো না দেখে কেটে পরলাম।সামনে জ্যাম ও নাই।
বড় বাচাবেচে গেছি আর একটুখানি থাজলে যে কি করতো আল্লাহ ভালো জানে।
তবে মেয়েটা দেখতে কিন্তু সেই।এ জিএফ হতো।
ভাবভাবতে কলেজে গিয়ে গাড়ি পাকিং করে দেখি সেই গাড়িটা ও কলেজে ঢুকলো। আমি ভয় পেয়ে গেলাম।
আমাকে অনুসরণ করে কি গাড়িটা এলো।
আমি সেখান থেকে ক্লাসে চলে গেলাম।
আমার বান্ধবী দিয়া বললো এতো দিনে আমাদের কথা মনে পড়ছে?
কি যে বলিস আমি কি তোদের ছাড়া থাকতে পারি।
আমার শরির ভালো ছিল না তাই আসতে পারিনি।
কথা বলতে ক্লাসে স্যার আসলো। ক্লাস করলাম।
ক্লাস শেষে সোজা বাড়িতে চলে গেলাম।আর গাড়ির চাবি আমার বন্ধু সাকিবের কাছে দিয়ে এলাম।
আমি বললাম গাড়িটা আসার সময় নিয়ে আসিস আমি চলে গেলাম।
বাড়িতে এসে ফ্রেশ হয়ে এসে দুপুরের খাবার খেয়ে শুয়ে পরলাম। এক ঘুমে বিকাল। বিকালে আমার আবার ক্রিকেট খেলার অভ্যাস তাই খেলার মাঠে চলে গেলাম।
সন্ধার সময় বাড়িতে চলে গেলাম।
বাড়িতে যাওয়ার পরে দিলাম এক ঘুম।হঠাৎ রাত বারোটার পরে ফোন বেজে উঠলো।
এতো রাতে আবার কে ফোন দিলো।
ফোন কানে দেওয়ার পরপরি শুনলাম,,,,,
চলবে
0
17