গল্পঃ একটু রাগি বাট বেশিই রোমান্টিক😍
পর্বঃ ৭
লেখকঃ তাসরিফ আহমেদ নীল।
নিধীঃ হুম আপু ফোন এ কথা বলতাছে।
আমিঃ ওকে।
তখনি আমার ফোনে একটা অফিস থেকে ফোন আসলো।।।।
আমিঃ রানা তরা কথা বল একটু কথা বলে আসি।
নিধীঃ কে ফোন দিছে?
আমিঃ অফিস থেকে।
তারপর আমি সাইটে এসে কথা বলে ওদের কাছে
গিয়ে দেখি ইভা। ইভা এখানে কি করছে। তাহলে
ইভাই কি নিধীর চাচাত বোন।
আমিঃ ইভা তুমি এখানে?
ইভাঃ হুম নিধীর সাথে আসলাম।
আসলে আপনারা বুজতে পারতেছেন তনা ইভা কে? ইভা হলো রানার এক্স গার্লফ্রেন্ড। ভার্সিটি
লাইফের প্রেম ছিলো। কিছু ভুলবুঝাবুঝি
তে অদের রিলেশনের ইতি ঘটে।
রানার দিকে তাকিয়ে দেখি রানা নিচের দিকে
তাকিয়ে আছে। রানার চোখ থেকে পানি পড়ছে
অসম্ভব ভালোবাসত ইভাকে এখনো বাসে।
নিধীঃ আপু তুমি নীল কে চিনো।
ইভাঃ হুম ভার্সিটি তে আমাদের এক ব্যচ
ছিনিয়র ছিলো।
নিধীঃ ওহ।
ইভাঃ তা কেমন আছো নীল ভাইয়া?
আমিঃ ভালো, তুমি?
ইভাঃ ভালো।
তারপর ইভা রানার সামনে গেলো।
রানাকে বললো।
ইভাঃ কেমন আছেন?
রানা ইভার কথা শুনে আর এক সেকেন্ড ও এখানে
দাড়ালো না। ইভার কথার কোনো উত্তর না দিয়েই
হাটা দরলো।
ইভা ও রানার পিছনে পিছনে যেতে লাগলো।
নিধীঃ এটা কি হলো?
আমিঃ কোনটা?
নিধীঃ আপু কে দেখে রানা ভাইয়া চলে গেলো কেনো আবার দেখলাম তার চোখে পানি।
আমিঃ ওদের ব্যপার ওদের বুঝতে দেন।
নিধীঃ ওকে আসেন বসি।
তারপর আমরা দুজন ঘাসের উপড় বসে পড়লাম।
ওদিকে রানা আর নিধীর কথাপকোথন।
নিধীঃ কথা বলবে না?
রানাঃ স্যরি কে আপনি?
নিধীঃ প্লিজ আগের সব কিছুর জন্য ক্ষমা করে দাও। তোমাকে অনেক খুজেছি বাট কোথাও
পাই নি।
রানাঃ বাই।
নিধীঃ প্লিজ আমার কথা টা শুনো।
রানা আর কোনো কথা না বলে বাসায় চলে গেলো।
ইভা ও কাঁদতে কাঁদতে বাসায় চলে গেলো।
নিধী শুনেন কিসের জন্য আপনাকে ডাকলাম।
নিধীঃ আমি বিয়েতে রাজি।
আমিঃ সত্যি।
নিধীঃ হুম বাট কিছু শর্ত আছে।
আমিঃ কি শর্ত?
নিধীঃ আমরা দুইমাস পড়ে বিয়ে করবো?
আমিঃ কেন?
নিধীঃ আমার অনেক ইচ্ছা ছিলো আমি লাভ মেরেজ করবো বাট মনের মতো ছেলে পাইনি।
তাই ভাবলাম আগে দুইমাস প্রেম করবো। এই
সময়টাই দুজন দুজনাকে ভালো করে চিনবো।
পছন্দ অপছন্দ জানবো।
আমিঃ আমার কোনো প্রবলেম নেই।।
নিধীঃ রাজি ত আপনি?।
আমিঃ হুম।।।
নিধীঃ আরেকটা কথা আমরা দুজন দুজনাকে
তুমি করে বলবো?
আমিঃ আচ্ছা।
নিধীঃ তুমি বলে সিগারেট খাও?
আমিঃ না মানে?ইয়ে আর কি?
নিধীঃ শুনো আজকে থেকে খাবে না তাহলে
বিয়ে কেনসেল।
আমিঃ না না আর খাবো না।
নিধীঃ হুম গুড বয়।
আমিঃ আপনি বললেন যে,,,
নিধীঃ আবার আপনি?😡
আমিঃ আচ্ছা স্যরি।
তুমি বললে যে মনের মতো ছেলে পাও নাই তাই
প্রেম করো নাই তাহলে আমি কি তোমার মনের
মতো।
নিধীঃ কিছুটা মনের মতো আর বাকিটা আমি বানিয়ে নিবো।
আমিঃ হুম।
নিধীঃ সত্যি কথা বলতে যখন আব্বু তোমার কথা
আমাকে এসে বললো। আমি পিক চাইলাম দিলো না বললো সামনা সামনি দেখা করবি। তখন আমি তোমার ডিটেইলস নিয়ে তোমার খুজ করতে লাগলাম ভাগ্যবসত তুমি যে ভার্সিটি তে পড়ছো
আমিও ওটাই পড়ি। ভার্সিটি তে এক নামে চিনে
তোমাকে সবাই। সবাই বললো তুমি অনেক ভদ্র ছেলে মেয়েদের সম্মান করো। তাই ভাবলাম তোমার মতো হাসবেন্ড কইজনের কপালে থাকে।
আমিঃ ওহ। এতো কিছু খুজ নিছো।
তা শুধু ভালো দিক ই পাইছো খারাপ দিক কিছু পাও নাই।
নিধীঃ হুম পাইছি ত।
আমিঃ কি?
নিধীঃ তুমি একটুও রোমান্টিক না। ভার্সিটিতে
তোমাকে অনেকেই ভালোবাসত বাট তুমি
কাউকে এক্সেপট করো নাই।
আমিঃ হুম।
নিধীঃ সমস্যা নেই আমি রোমান্টিক বানিয়ে নিবো।
আমিঃ হুম।
নিধীঃ এখন বলো ইভা আপু কে দেখে রানা
ভাইয়া চলে গেলো কেনো?
আমিঃ সেটা ইভার কাছেই জিঙ্গাস কইরো।
নিধীঃ ওকে।।
আমিঃ চলো আজকের মতো উঠি দেখি রানা আবার কোথায় গেলো।
নিধীঃ হুম।
তারপর আমি আর নিধী পার্কে থেকে বাহিরে চলে আসলাম।
আমি গিয়ে গাড়িতে বসলাম। তারপর
নিধী এসে আমার পাশে বসলো।
নিধী আমাকে রাস্তা চিনাচ্ছে আর আমি সে দিকে যাচ্ছি কিছু খন যাওয়ার পড়েই নিধীর বাসা চলে আসলো।
নিধীঃ এটাই আমার বাসা।।
আমিঃ ওহ।
তারপর নিধী নেমে পড়লো,
নিধীঃ কি হলো নামো?।
আমিঃ নেমে কি করবো?।
নিধীঃ বাসায় যাবা।
আমিঃ না আজকে না অন্য একদিন।
নিধীঃ আর শুনো আজকে গিয়েই আন্টিকে বলবা কালকে এসে জানি বিয়ে ঠিক করে রেখে যায়।
আমিঃ তুমি না বললে দুইমাস পড়ে বিয়ে করবে।।
নিধীঃ বিয়ে ঠিক করে রাখতে ত প্রবলেম নেই।
নাকি বিয়ে করার দান্দা নেই।
আমিঃ কি যে বলো না আমার ইচ্ছে করছে এখনি বিয়ে করে ফেলি।।
নিধীঃ এখন কি ডাইরেক্ট বাসায় যাবা।।
আমিঃ না আগে রানার বাসায় যাবো তারপর বাসায় যাবো।
নিধীঃ ওহ আচ্ছা।
তারপর নিধী যা বললো তা শুনে ত
আমার হার্টবির্ট লাফাতে লাগলো।
#চলবে