#একটা_বাস্তব_জীবন_কাহিনীঃ 😥 প্লিজ ২মিনিট সময় নিয়ে পড়বেন।
২ সপ্তাহ আগে আমার গার্লফ্রেন্ড এর বিয়ে ছিল!
কিন্তু বিয়ে টা হয়নি।
কারন বিয়ের দিন আমি তাকে তুলে নিয়ে আসছিলাম।
এবং কোর্ট ম্যারেজ করে ফেলি দুইজন।
.
আমার বাবা মা বিষয়টা
মেনে নিল না!
বিধায় আমাকে বাসা থেকে বের করে দিল।অসহায় দুইটা প্রাণ ঘুরতেছিলাম.....!
.
আমি ভাবলাম যত কষ্টই হোক,মেঘাকে একটা থাকার ব্যবস্থা আমাকে করে দিতেই হবে!
.
হাতে কিছু টাকা ছিল।ঐই টাকা দিয়ে মেঘা কে একটা
মহিলা মেসে তুলে দিলাম!
আমার কাছে প্রায় সব টাকা শেষ।কথায় আছে বিপদে পড়লে বন্ধু চেনা যায়।একজন ও আমার পাশে এসে দাঁড়ায় নাই!
কিনা করছি তাদের জন্য। যাই হোক,এটাই হয়ত পৃথিবীর নিয়ম।বড্ড স্বার্থবাদী এই পৃথিবীটা!
.
এই দিকে রাত হয়ে গেল।হাতে একটা টাকাও
নাই।
সখের মোবাইল ফোনটা বেঁচে দিলাম রাস্তার টোকাই এর কাছে!
টাকা হাতে আছে,কিন্তু খাইতে ইচ্ছা করছে না!
ভাবছিলাম আমি যদি একটু কষ্ট করি,তাহলে মেঘা ভাল থাকবে।এরমধ্যে আমি একটা থার্ড ক্লাস মেসে উঠলাম!
অন্তত আকাশের উপর ছাদ টা পেয়েছিলাম!
খুব কষ্টে একটা হোটেলে ওয়েটারের চাকরী পেলাম!
নিজেকে প্রশ্ন করলাম টাকাই কি সব কিছু?
.
একদিন দুপুরে,হোটেল এ ১০ জন ফরেনার আসল!
কিন্তু কেউ তাদের খাবারের অর্ডার নিতে পারলনা!
.
আমি BBA তে অধ্যায়নরত ছাত্র।তাই ইংরেজিতে কথা বলার কৌশল টা আমার অনেক আগে থেকেই জব্দ করা ছিল।তাদের সাথে কথা বলে হোটেল ম্যানেজারকে
সন্তুষ্টি করে ফেললাম। ফলে আমাকে ফ্লোর ম্যানেজার করে দিল।
বেতন ও ১৮ হাজার টাকা!
.
মেঘাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য নতুন বাসা
ভাড়া নিলাম।দুইজন একসাথে থাকব,মনে ঝড় উঠতে লাগল!
.
মেঘার মেসে গিয়ে জানতে পারলাম,মেঘা তার বাবার সাথে বাসায় চলে গিয়েছে!
একটা ছোট্ট মেয়ে আমাকে বলল ভাইয়া,মেঘা আপু আপনাকে এই চিঠিটা
দিতে বলছে!
চিঠিটা এমন ছিলো:
আশিক,যখন তুমি আমাকে বিয়ে করে সুখী করতে পারবে না,তবে কেনো আমায় সুখের রাজ্য থেকে নিয়ে এসেছিলে?
তোমার অবস্থা এখন আর পাঁচটা সাধারণ ঘরের থার্ডক্লাস ছেলেদের মত। যাই হোক তোমার বাসায়
ডিভোর্স এর পেপার চলে যাবে।প্লিজ আমাকে যদি একটুও ভালবাসো,তাহলে সাইন টা করে দিও!
.
-নির্বাক দৃষ্টি দিয়ে তাকিয়েছিলাম চিঠির দিকে।মাত্র ১০ টা দিন কষ্ট
করতে পারল না!
ব্যর্থতা আমারই ছিল। আমি একটা অপদার্থ ছেলে যে,মেঘাকে ভালবেসে নিজের জন্মদাতা পিতা-মাতাকে ছেড়ে তার কাছে চলে এসেছিলাম..........+
0
11