ভার্সিটির-BOSS।
পর্ব :০১
মা আসি (আমি)। শোন বাবা কলেজে কারও সাথে মারামারি করিস না (মা)। আচ্ছা মা ঠিক আছে (আমি)। বাইকের চাবি টা নিলাম Start দিচ্ছি start হচ্ছে না। কি ব্যাপার start হচ্ছে না কেনো। বাইকের ট্যাংক টা খুললাম দেখি এক ফোটাও তেল নেই। বুঝলাম ফাহাদ ছাড়া এই কাজটা কেও করেনি।😈😈😈
মা ফাহাদ কোথায়? (আমি)😠
কেনো রে কি হয়েছে (মা)।দেখো ফাহাদ আমার বাইকের সব তেল শেষ করে ফেলেছে ঐ গেছে কোথায় ডাক দাও আজ ওরে পেদাবো (আমি)।
না না বাবা এইসব করিস না ফাহাদ ছোট মানুষ কিছু বোঝেনা ওকে মারিস না (মা) । তো কি করবো বলো এখন ভার্সিটিতে যাবো কিভাবে (আমি)। 😩😩😩
আচ্ছা এই নে ১০০ টাকা আজ কোনো একটা CNG দিয়ে চলে বাবা (মা)। তোমার ছেলেকে বলো রেডি হয়ে থাকতে আসছি ভার্সিটি থেকে (আমি)। আচ্ছা এখন যা তো দেরি হয়ে যাচ্ছে যা (মা)। হুম যাচ্ছি (আমি)। ১০০ টাকা নিয়ে বের হয়ে পরলাম। ধ্যাত আজ মেজাজটাই খারাপ এখন CNG দিয়ে যেতে হবে। এই মামা যাবেন (আমি)। হুম উঠেন (CNG)। ভার্সিটির দিকে চললাম।😊😊😊
Sorry sorry আপনাদের তো পরিচয় দিতে ভুলে গেছি। আমি ফাহিম, অনার্স ১ম বর্ষ। পরিবারে বাবা, মা আর ছোট একটি ভাই আছে ফাহাত। ফাহাত দশম শ্রেণীতে পড়ে। মেয়েদের সাথে লাইন মারার ১ নাম্বারের ওস্তাদ। বাবা একজন পুলিশ অফিসার। একটু ঘুষ খায়, তা আমি জানি তবে মনটা অনেক ভালো। 😂😂
আমার কিছু অতীত আছে? যা আগেই আপনাদের মাঝে শেয়ার করি। তাহলে গল্পের মূল চরিএ, মূল ভাব বুঝতে আপনাদের সহজ হবে। গত ২ বছর আগে আমি ছিলাম অপরাধ জগতের মাফিয়া। এক কথায় বলতে গেলে ফাহিম ভাই এর উপরে কোনো মাফিয়া কাজ করতে পারতো না। রাজনীতি আর অপরাধ জগতের চরম সীমানায় ছিলাম। ১৫-২০ বারের মতো জেলে গিয়েছি তবে, বাবার জন্য বার বার বেচেঁ গিয়েছি। বাইক নিয়ে যখন কোনা এলাকায় প্রবেশ করতাম? আমার পোলাইপান এর অভাব ছিলো না। বন্দুক ছিলো শ্রেষ্ঠ সঙ্গি। যেখানেই যেতাম সাথে ২ টা বন্দুক নিয়ে যেতাম। কারণ বুঝেনই তো নেতাদের শত্রুর কোনো শেষ নেই। মা বাবা সব অনেক বুঝাতেন তবু আমি কারও কথা শোনতাম না। একদিন মা আমার জন্য বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। ৭দিন হয়ে যায় তবু মা আন্টির বাসা থেকে আসতে চায় না। আমার এইসব কাজকর্ম মায়ের খুব অপছন্দনীয় ছিলো। মা চাইতো আমি যেনো মানুষের মত মানুষ হই। আমি গেলাম আন্টির বাসা থেকে মা কে আনতে কিন্ত?মা কোনোমতেই আসতে চায় না?যাবো তবে একটা শর্তে (মা)। তুমি বলো তোমার যেকোন শর্তে রাজি আছি (আমি)। আমার মাথা ছুয়ে তুই প্রতিঙ্গা কর কোনোদিন তুই রাজনীতি করবি না,কোনোদিন তুই মারামারি করবি না (মা)। মায়ের কথা শোনে খুবই অবাক হলাম,,,, এখন কি করবো ভাবতে পারছি না। ১০ মিনিট চিন্তা করার পর আচ্ছা তুমি যা বলবে আমি তাই করবো (আমি)। এই বলে মায়ের মাথা ছুয়ে প্রতিঙ্গা করে ফেললাম। আর মা কে নিজের বাসায় নিয়ে আসলাম। ২ দিন পর মায়ের কথা আবার ভুলে যাই। আর রাজনীতিতে আবার চলে যাই। আমার মনে হতো রাজনীতি যেনো আমার রক্তের সাথে মিশে গেছে। কোনোমতে মা? আমি রাজনীতিতে জড়িয়েছি এটা টের পেয়ে গেলো। এবং মা বিষ খেয়ে আত্নহত্যা করতে চাইলো। আমি তখন বাসার বাইরে। সন্ধ্যার সময়? 😦😦😦
হ্যালো ভাইয়া তুই কোথায় মা বিষ খেয়ে ফেলছে কেঁদে কেঁদে (ফাহাদ)। কি বলিস তোরা এখন কোথায় (আমি)। আমরা মেডিকেলে আছি তুই তাড়াতাড়ি আয় (ফাহাদ)। কি করবো বুঝতে পারছি না,,,, মনে হচ্ছিল পাগল হয়ে যাবো এমন অবস্থা,,,, বাইকে ফেলে রেখে দিলাম এক দৌড়ঁ মাথা কাজ করছে না। অবশ্য হাসপাতালটা কাছেই ছিলো। 😞😞😞
১০মিনিটে পৌছে গেলাম। দেখি বাবা আর ফাহাদ বসে বসে কাদঁছে। ভয়ে আমার গলা শুকিয়ে গেলো।😶😶😶
ফাহাদ মা কোথায়? (আমি)। কেঁদে কেঁদে ভাইয়া মা মনে হয় আর বাচঁবে না (ফাহাদ)। এখন ভয়ে হাত পা ঠাণ্ডা হতে লাগলো। আগে বল মা কোথায় (আমি)। মা কে ICU তে নিয়ে গেছে ডাক্তার (ফাহাদ)। তুই এখান থেকে চলে যা, তোর জন্য তোর মায়ের আজ এই অবস্থা, তোর মত ছেলে থাকার চেয়ে না থাকা অনেক ভালো (বাবা)। বাবাকে কি বলবো কোনো ভাষা নেই? মাথা নিচু করে দাড়িঁয়ে রইলাম। নিজেকে আজ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ অপরাধী বলে মনে হচ্ছে। 😭😭😭
মা যদি মারা যায়? তাহলে আমি বেচেঁ থেকে কি করবো। মনে মনে ভাবছিলাম আমিও চিরবিদায় নিয়ে নিবো। বাহিরে দাড়িয়ে দাড়িঁয়ে কাদছি। রাত ১০টার সময় খবর আসলো মা একটু সু্স্থ আছে। আমার সব অঙ্গ প্রতঙ্গ যেনো নতুন জীবন ফিরে পেলো। মাকে দেখার জন্য পাগল হয়ে গেলাম? বাবা আর ফাহাদ আগেই দৌড়েঁ ডুকে পরলো। আমি ডুকবো এসময়? তোমার ছেলেকে বলে দিয়ো ও যেনো আমার সামনে না আসে (মা)। এবং সাথে সাথে বাবা আমাকে ভিতরে ডুকতে দিলো না। মা কে একটু দেখবো সেই সুযোগটাও নেই। বুকের ভেতরটা যেনো জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে। তবুও আমি বাহিরে দাড়িঁয়ে আছি যদি মাকে একবার দেখতে পারি। এভাবে প্রায় ৩দিন হয়ে গেলো তবুও আমি এক পা এদিক সেদিক হয়নি। না খেয়ে না ঘুমিয়ে দাড়িঁয়ে আছি মা কে একটি বার দেখবো বলে। 😔😔😔
অবশেষে মা আমাকে ডাকছে? ফাহিম বাবা এইদিকে আয় (মা)। মায়ের ডাক শোনে আমি পাগলের মতো ছুটে গেলাম। মায়ের সামনে মাথা নিচু করে দাড়িঁয়ে রইলাম কোনো কথা বের হচ্ছে না। এইদিকে আয় বাবা (মা)। মা তুমি আমাকে মাফ করে দাও আমি আর কখনো তোমার কথার অবাধ্য হব না (আমি)। 😫😫😫
মায়ের মন সব সময় নীরিহ থাকে, সহজেই সন্তানকে হ্মমা করে দিতে পারে।
দেখ বাবা তোরা দুই ভাই যদি ভালো মানুষ না হতে পারিস তাহলে আমি মরেও,শান্তি পাবো না (মা)। ঐ দিন মায়ের কাছে প্রতিঙ্গাবদ্ধ হলাম জীবনে আর কোনো খারাপ কাজ করবো না।
তারপর আমরা সবাই ঐ শহর ছেড়ে চলে আসি। যেনো কেউ খুজে না পায়। একধম রাজনীতির মূল কেন্দ্র ছেড়ে। আর কেউ খুঁজে পায় নি আমায়। 😖😖😖
এখন একটা ভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছি । আজ ১০তম দিন ভার্সিটিতে যাচ্ছি। 😋😋😋
পরিচয় পর্ব শেষ। আসা করি গল্পটা এখন আপনারা বুঝতে পারবেন। আমি সত্যিই দুঃখিত এতো বড় পরিচয় পর্বের জন্য। তবে আমি চাই আপনারা যেনো গল্পের সব অংশ বুঝতে পারেন।
তবে আমার লেখা স্বার্থক হবে।💚💚💚
এবার মূল গল্প। একটাCNG দিয়ে ভার্সিটিতে পৌছালাম। মাএ ১০ দিন হয়েছে ভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছি তেমন কোনো বন্ধু-বান্ধব নেই। তবে মাএ একজন বন্ধু আছে পিয়াস। প্রথমদিন ওর সাথে আমি পরিচিত হই। আর ঐ আমার একমাএ বন্ধু। ক্লাস শেষ করে আবার বাসায় চলে আসলাম।💪💪💪
তারপর থেকে আমি একটু অসুস্থ ছিলাম ৪-৫ দিন ভার্সিটিতে যেতে পারি নি। একটু সুস্থ হলাম। আবার ভার্সিটিতে বের হবো এমন সময়? হ্যালো দোস্ত কই তুই (পিয়াস) । আমি তো বাসায় ভার্সিটিতে যাচ্ছি? তুই কোথায় (আমি)।
দোস্ত আমি বাসায় কয়েকদিন ভার্সিটিতে যাবো না (পিয়াস) । 👽👽👽
যাবি না কেনো,কি হয়েছে? (আমি)।
আরে বেটা আর বলিস না ভার্সিটিতে একজন Bossএসেছে তাও আবার মেয়ে
চলবে..👇👇👇