#গল্প :: #ভালাবাসার_প্রতিশোধ
👇............................👇..................................👇
👇............................👇..................................👇
👇.................………...👇………………..................👇
ও ছেড়ি,ও ছেড়ি রে তুই,অপরাধী রে,
আমার যত্নে জমানো টাকাগুলো
দে ফিরাই দে,
আমার টাকার ফুসকা খাওয়ার
অধীকার দিল কে?
ছেড়ি তুই বড় ফইন্নি ,
তোর ক্ষমা নাই রে
গানটা গাচ্ছি আর তখনই৷কানটা ছিড়ে যাচ্ছে মনে হয়,
,
--ওরে বাবারে,কোন শালারে?(আমি)
--চুপ শালা৷এগুলো কি কস?(পিছনের কেউ)
পিছনে তাকাইয়া ২কেজি বোল্টের শকড খাইছি৷চাইয়া দেহি আমার আযরাইল৷শালার যার নির্যাতনে গান গাইতাছি৷এটা তো দেখি সে৷আরে ভাই কিছুই কি বুঝতে পারছেন না?আমি একটা ডাইনীর কথা বলছি৷আমার পকেট ফাকা করার মেশিন আর কি,
,
--ওই শালা আবুইল্লার মত তাকাইয়া আছছ কেন?(ডাইনী)
--আরে তু তু তু তুই?
--হুম৷আমি
--একটু কানটা ছাড় না৷আমার না খুব লাগছে
--চূপ কর৷লাগার জন্যই তো ধরছি
--কানটা ছাড় না প্লীজ,তুই না আমার কইতর,আমার বুলবুলি কাওয়া
--ঠাসস৷ শালা ফাজলামী পাইছোছ?
--আরে না রে ৷তোর সাথে ফাজলামি আমি করতে পারি?
--চুপ কর৷চল ফুসকা খামু,
--হুম খাবিই তো৷এই শুন আমার কাছে না টাকা নাই৷আজকের বিল টা তুই দেইস৷
--আচ্ছা চল৷
হা হা হা৷খুশি মনে যাইতাছি ৷আজকে ও বিল দিব আর আমি আজকে ইচ্ছা মত খামু৷আর অনেক টাকা বিল উঠামো৷তারপর বুঝামু অন্যের টাকায় খাইলে কেমন লাগে৷,
,
ওপস,ওই মিয়ারা আপনাদের কি আমাদের পরিচয়টা জানতে ইচ্ছে করেনা৷করুক বা না করুক আমি নিজে থেকেই বলছি৷আমি হলাম বিশ্ব ভদ্র পোলাগো লিডার৷
"" আরমান হোসেন হিমেল"""৷একদম ভদ্র পোলা৷ আর যে ডাইনিটার কথা বলছিলাম ওর নাম অজান্তা৷কথায় আছে না যেটা না জানা,সেটা হল অজানা৷আর এই হারামী মাইয়াটা অজানার চেয়েও অজানা৷এজন্যই বুঝি বাপ মা নাম রাখছে অজান্তা৷একদম হাচা একটা নাম দিছে৷আমরা দুজনে একসাথে একই ভার্সিটিতে পড়ি৷অজান্তা কোটিপতি বাবার বড় মেয়ে৷কথায় আছে বড় মেয়েরা অনেক ভাল হয়৷আর শালার এমন এক মাইয়ার কাছে পড়ছি কিপটার চেয়েও কিপটা৷
থাক ভাই এত কথা বলে লাভ নাই৷যদি অজান্তা এগুলো শুনে তাহলে আমাকে তেজপাতা বানাইবো৷আরে মিয়ারা কথা বলতে বলতে খাওয়ার কথা ভুলে গেছি৷আজকে ও খাওয়াবে৷
এটাই ও আমাকে প্রথম খাওয়াবে৷তাই খামু ইচ্ছা মত৷হি হি হি
,
--কিরে শালা,ছাগলের মত দাঁত বের রাখছিস কেন৷আর ভির ভির কইরা কি বলতাছোছ?(অজান্তা)
--আরে কিছু না রে(আমি)
--হুম৷যা অর্ডার করে আয়,
--তুই খাওয়াবি৷তুই অর্ডার কর,
--ঠিক আছে৷
,
বলেই অজান্তা অর্ডার করল৷আমি ইচ্ছামত ফুসকা খাওয়া শুরু করলাম৷একসময় দোকানদারও হাপিঁয়ে পড়ল ফুসকা বানাতে বানাতে আর দিতে দিতে৷খাওয়ার পর বিল আসল ২০৫০টাকা৷হা হা হা এত ফুসকা খাইছি ৷দে এবার বিল৷একটু হাসি দিয়ে পিছনে তাকিয়ে দেখি অজান্তা হাওয়া৷
হায় ! হায়! ও গেল কই?এইডা কি হইল?অজান্তা বলেই চেয়ার থেকে উঠলাম৷আর তখনই ফুসকাওয়ালা মামা বলল,
,
--মামা,কই যান(ফুসকাওয়ালা)
--অজান্তাকে খুজতে(আমি)
--বিলটা দিয়ে তারপর যান
--আমি বিল দিব মানে?বিল দিবে অজান্তা
--ওই মিয়া রাখেন ফাজলামি,বিল দিবেন নাকি বাজারের গন ধোলাই খাবেন
--বি বি বি৷হ্যা বিল তো আমিই দিব৷
মানিব্যাগে হাত দিয়ে দেখি ৮২৩টাকা আছে৷এবার কি হবে আমার?টাকা পামূ কই৷এমনিতে ফুসকা খাইয়া পেট ফুটবল হইয়া গেছে৷আর এখন টাকার জন্য যদি আমাকে মাইর দেয়,তাহলে তো আমি ব্রাষ্টো হইয়া যামু৷আল্লাহ বাঁচাও আমারে৷নয়ত ওপর থেকে কিছু একটা পাঠাও৷আমি ওপরে ওইঠা যাই৷কিন্তু তা আর হল না৷মুহুর্তেই কানে আওয়াজ আসল
,
--মামা শুরু করমু নাকি?
আমি আবুলের মত কইলাম
--মামা আমার কাছে মাত্র ৮২৩টাকা আছে৷আর কোনো টাকা নাই
--আচ্ছা টাকা দেন।
একটু সস্তি ফিরে পেলাম৷হয়ত এই টাকা নিয়ে আমাকে ছেড়ে দিবে৷আপাতত আমি বাইচা নেই৷তারপর অজান্তার ১৩টা বাজামু৷কিন্তু দোকানদার মামু আমাকে ছাড়ল না৷টাকাগূলো নেওয়ার পর আমার ২হাজার টাকার ঘড়িটা রেখে দিল৷আর বলছে টাকা দিয়ে তারপর নিতে৷আমি তখন আবুইল্লার মত বেক্কল হইয়া শার্টের হাতায় চোখ মুছতে মুছতে চলে আসলাম৷অনেক কষ্ট লাগছিল৷আর ভাবলাম এমন কিপটা মাইয়ার সাথে কেন গেলাম৷আমার এত সাধের ঘরিটা চলে গেল৷আর আমার টাকাগুলোও শেষ করছে৷এর একটা হিসাব নিকাশ করতেই হবে৷
বলেই চলে আসলাম৷আর সারারাত ভাবলাম, কিভাবে অজান্তাকে শায়েস্তা করমু৷কিন্তু শালার কিছুই ভাবতে পারলাম না৷বাসায় গিয়া মাথায় পানি ডালতে শুরু করলাম৷আমার এত দামী ঘড়ি বলে কথা৷মাথায় পানি ঢালতে ঢালতে দেখি বালতির পানি শেষ হইয়া টাংকির পানিও শেষ করে ফেলছি৷হঠাৎ আমার আমার ফ্রেন্ড (আমার পাসের রুমেই থাকে) তন্ময় এসেই দিল এক লাথি,
,
--ওরে বাবারে,কোন শালায় লাথি মারলি রে?
--শালা না বল দুলাভাই বল
--আরে শালা তুইও ওই অজান্তার মত হারামি হইয়া গেছছ
?
--আরে ,আব্বে হালায় কয় কি?কই অজান্তা?কই আমি?ওই মাইয়ার সাথে আমার তুলনা দিবি না
--ধুরর শালা৷তুই যেমন আমার সাথে এমন করতাছোছ,অজান্তাও তেমন করতাছে
--আজান্তা আবার কি করছে?
তারপর তন্ময়কে সব খুলে বললাম৷বলার পর তো শালায় হেব্বি হাসাহাসি শুরু করে দিছে৷আর আমাকে অনেক রাগানো শুরু করল৷রাগ কইরা বাইরে বের হইয়া গেলাম৷রাতের বেলায় বাইরে একা একা হাটতাছি৷হঠাৎ পাগলা কুত্তার ডাক শুনতে পেলাম৷
পিছনে তাকাইয়া দেহি পাগলা কুত্তাগুলো আমার দিকেই মে মে মে থুক্কু ঘেউ ঘেউ করতে করতে আসতাছে৷আমি চুপ কইরা দাড়াইয়া আছি৷ভাবলাম দৌড় দিলেই আমার অবস্থা শেষ৷কুত্তাগুলো আমার কাছে এসেই দাড়াল৷আর আস্তে আস্তে ডাকতে লাগল৷আমার মনে হয় এগুলোর খিদে পাইছে৷তাই আমি বললাম,,
,
--ভাই কুত্তা,আমার কাছে ঘেউ ঘেউ কইরা লাভ নাই৷টাকা পয়সা কিছু নাই৷সব ওই অজান্তা কিপাটা মাইয়াটা শেষ করে দিছে রে৷
,কিছুই বুঝলাম না৷কুত্তাগূলো আমার দিকে তেড়ে আসতেছে কেন৷এগুলো কী অজান্তার মত হারামী নাকি?৷বুঝলাম আমারে এখনি ওই অজান্তার মত শেষ করব৷তাই দিলাম ভো দৌড়৷অনেক কষ্টে বাসায় আসলাম৷বুঝলাম না,আজকের দিনটা এত কুফা কেন?কোনো রকম রাতটা পার করলাম৷কিন্তু সকাল বেলা আর ঘুম থেকে উঠেতে পারছিনা৷এত শীত করছে৷তাই আমি শুয়েই রইলাম৷আগের মত যথা সময়ে তন্ময় আমাকে ডাকতে লাগল৷কিন্তু উঠতে পারলাম৷আর তখনই আমার মাথায় হাত দিয়ে বলল,
,
--এই আরমান,তোর কি হইছে ভাই?তোর শরীর তো জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে৷
বলেই আমার মাথায় অনেকক্ষন পানি ডালল৷আর একটু পরই ডাক্তার ডেকে আনল৷ডাক্তার আমাকে দেখে৷তারপর ঔষধ দিয়ে চলে গেল৷আর তন্ময় আমার এত সেবা করছে৷হয়ত নিজের ভাইও এমন করত না৷তন্ময় আমার সাথে মাঝে মাঝে খারাপ ব্যবহার করলেও এখন মনে হচ্ছে ও আমার ফ্রেন্ড না,ও আমার ভাই,আর ভাইয়ের ওপরে কিছু থাকলে সেটা৷সেদিন তন্ময়ের এমন কীর্তি দেখে নিজের অজান্তেই চোখে পানি এসে গেল৷,
,
দুদিন পর,
,
এখন অনেকটাই সুস্থ আছি,তন্ময়ের সেবা অনেক কাজে এসেছে৷হঠাৎই অজান্তার আগমন৷আর এসেই বলল
,--কিরে আরমান,তোর এই অবস্থা,আর তুই আমাকে একবারও বললি না৷
বলেই আমাকে কি আদর!
--নারে তেমন কিছুনা বাদ দে৷এইত আমি সুস্থ
-তুই বললেই হবে নাকি?
--আচ্ছা বাদ দে
--চল,আমাকে ফুসকা খাওয়াবি৷
কথাটা শুনে শালার,সাথে সাথে জ্বর গা থেকে চলে গেল৷আর ৬কেজি রাগ উঠল৷হারামি বলে কি?
--ওই তুই চুপ কইরা এখান থেকে যা৷নাহলে তোরে বাথরুমের বদনার ভিতরে চুবাইয়া মারমু
--কি বললি তুই?
--আমি হাচা কথাই কইছি
--এই নে শালা,তোর টাকা আর ঘরি।
আমি তাকাইয়া দেখি আমার ঘরি৷
--দে আমার ঘরি
--তুই আমার সাথে এমন ব্যবহার করতে পারলি?
-চুপ কর তুই৷তুই ওইদিন ঐভাবে চলে গিয়েছিলি কেন?ওই দিন এমনিতেই ফুসকা খাইয়া পেট ফুটবল বানাইছিলাম৷ভাগ্য ভাল পকেটে কিছু টাকা আর ঘরি ছিল৷নয়ত আমাকে গনধোলাই খেয়ে ব্রাষ্ট হইয়া যাওয়া লাগত
--হি হি হি
-ওই হাসস কেন?
--তোর কথা শুনে
--আমি হাসার মত কিছু বলি নাই৷তুই এখন যা
-আমি চলে গেলি খুশি হবি?
-হুমু মানে৷১০০%হমু
-আচ্ছা আমি চলে যাচ্ছি,
,
বলেই এই কিপটা মাইয়া চলে গেছে৷আর আমার সাথে কোনো যোগাযোগ করেনি কয়েকদিন৷ আমিও করিনি৷কিছুদিন পর কলেজে গেলাম৷দেখি অজান্তা একা একা বসে আছে৷তাই ওর সামনে গেলাম
,
-কিরে ডাইনি মন খারাপ?
--চুপ কর৷আর আমার সামনে থেকে যা
-না গেলে কি করবি?
--তোরে লাত্তি মাইরা ফালাই দিমু
--কি কইলি তুই?
--হুম ঠিকই বলছি
-তুই জানছ এই কয়দিন তোর সাথে কোনো যোগাযোগ না করে কি করছি?
--কি করছছ?
--একটা উড়াধুরা গান বানাইছি
-কি গান?
-শুনবি?
-হুম
--তাহলে বলছি তুই সুন,
"ও আমার ডাইনি গো?
চির পেতনি পথ চলার,,,
তোর ফুসকা খাওয়ার বিল দিতে দিতে,
পকেট খালি আমার,,,,,
--শালাআআআআ,,,আরম্মম্মম্মম্মম্মমান
---আআআআআআআআআ,,,বলেই ভো দৌড়।
ওই মিয়ারা দৌড় না দিলে তো আলুর ভর্তা বানাইতো৷,
,
বিকেলবেলা মনের সুখে নদীর পার বসে বসে গান শুনতাছি৷হঠাৎ আমার শরীরে প্রচন্ড জোড়ে ধাক্কা অনুভব করলাম৷ধাক্কা অনুভব করতে করতে আর পিছনে তাকানোর সুযোগ পেলাম না৷সরাসরি নদীতে পড়ে গেলাম৷
ও মারে ডুবে গেলাম রে৷ডুবে গেলাম৷ওপরে তাকাইয়া দেখি শালার অজান্তা৷আমার জীবনটা বানাইয়া ফেলছে ভাতের মত পান্তা৷খিলখিল করে হাসছে৷দেখেই ২৫০কেজি রাগ উঠল৷আর আমাকে বলা শুরু করল
,
--কিরে আরমান্নন্নন্না,কেমন লাগছে?
.
--অজান্তা কাজটা ভাল করলি না৷আমার এত সুন্দর একটা সময় তুই জাহান্নাম করে দিলি৷আল্লাহ এটা সইবে না৷তোর ওপর আল্লাহ ৫কেজি কষ্ট দিব
.
--আব্বে হালায় কয় কি?কষ্ট আবার কেজিতে মাপলি কেমনে?
.
--চুপ কর৷
বলেই আমি নদি থেকে উপরে উঠব ৷ঠিক সেই সময় অজান্তা হাসতে হাসতে চলে গেল৷উপরে উঠার পর আরও একটা শকড খাইলাম৷আমার ফোন শেষ৷পানি গেছে ভিতরে৷আমার দাদার এত কষ্টের নোকিয়া ১১০০মডেলের ফোনটা আজ মনে হয় শেষ৷
মনের কষ্টে চোখ দিয়ে একফোটা পানি না পড়লেও নাক দিয়ে ২কেজি পানি বের হইছে৷ওই মিয়ারা একদম হাসবেন না৷আমার অনেক রাগ হইল৷আমি প্রতিশোধ নিমু৷প্রতিশোধ৷চরম প্রতিশোধ নিমু৷তাই অপেক্ষা করতে লাগলাম৷,
,
কিছুদিন পর,
,
অজান্তা এসে বলল
,
--বল তো আরমান কাল কি?
.
--কাল আবার কি?
.
--একটু ভেবে বল
.
--কাল শুক্রবার৷সো কলেজ বন্ধ৷তো আরকি হতে পারে?তোর বিয়ে টিয়ে নাকি?
.
দেখলাম অজান্তা হেব্বি রেগে গেছে,
--দেখ ফান করবি না৷কাল কি তুই সেটাও জানিস না
,
--হয়ত তোর দাদার মৃত্যু বার্ষিকি৷যাক ভালই হলো ফ্রি তে খেতে পারব৷হিহিহি
.
--শালা তোর ফ্রি তে খাওয়ার গুষ্টি কিলাই৷কাল আমার জন্মদিন৷আর আমার জন্য ভাল কিছু নিয়ে যাবি
.
--কি বলছিস কাল তোর জন্মদিন?
.
--হুম৷তুই আমার স্পেসাল বন্ধু৷তাই স্পেশাল কিছু নিয়ে যাবি৷যেন আমিসহ সবাই এটা মনে রাখতে পারি৷
.
--হুম তাই হবে৷চিন্তা করিস না৷তুই আমার বন্ধু ৷আর জন্মদিন বলে কথা৷এমন জিনিস দিব এমনিতেই ইতিহাস হয়ে থাকবে
.
--হুম৷তাহলে এখন যাই"কাল ঠিক সময়ে চলে আসবি৷
.
বলেই অজান্তা চলে গেল৷আমিও ভাবতে লাগলাম ইতিহাস করমু৷ বাসায় আইসা ভাবতে লাগলাম কিভাবে ইতিহাস করমু৷তন্ময়কে ডাক দিলাম৷
--কিরে শালা ডাকস কেন(তন্ময়)
.
--দোস্ত কাল তো ইতিহাস করমু রে
.
--কি ইতিহাস করবি?
.
--দোস্ত তুই অনেক ভাল দেখে একটা গিফ্টের বাক্স নিয়ে আয়৷শুধু বাক্সটার দামই যেন ২-৩হাজার টাকা হয়৷অনেক ভাল একটা বাক্স আনবি
.
--আরে শালায় কয় কি?খালি বাক্স এত টাকা দিয়ে আনবি,মাথা ঠিক আছে তোর
.
--আছে রে দোস্ত৷তুই শুধু আগে আন
.
--শালা,বাক্স দিয়ে চা খাবি?
.
--আরে তুই নিয়ে আয়৷এইনে টাকা,
,
তন্ময় বকবক করতে করতে চলে গেল৷মনে হয় আমাকে পাগল ভাবছে৷আপনারাও হয়ত ভাবছেন আমি কেন এমন করছি৷আরে ভাই ইতিহাস করমু তো৷একটু তো ত্যাগ স্বীকার করতে হবেই তাই না?
ভালো লাগলে আর নেক্সট প্রাট পেতে ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট দিয়ে,,, সাথে থাকেন।
তন্ময় গেছে বাক্স আনতে আর আমি বাইরে বের হয়ে গেলাম লাইট হাতে নিয়ে৷আর হাতে একটা ব্যাগও নিয়ে গেলাম৷ পুকুরপাড়ে গেলাম৷অনেক গুলো ব্যাঙ ধরলাম৷তারপর বাসায় এসে ওই গুলো ভাল একটা জায়াগায় রাখলাম যেন৷ সবগুলো একদম সতেজ থাকে৷তারপর ঘর থেকে অনেক খুজে অনেকগুলো তেলাপোকা অনেক গুলো টিকটিকি ধরে পাত্রে আটকিয়ে রাখলাম৷একটু পরই তন্ময় আসল৷হাতে একটা গিফ্টের বাক্স
,
--ওয়াও দোস্ত৷বাক্সটা হেব্বি হইছে রে দোস্ত
(আমি)
,
বলেই তন্ময়কে জড়াইয়া ধরলাম৷তন্ময় আমাকে বলল।
--দোস্ত এইবাক্স দিয়া কি করবি?
(তন্ময়)
.
--দোস্ত ইতিহাস করমু
.
--দুর শালা,,খালি বাক্স দিয়া আবার কেমনে ইতিহাস করবি
--তাহলে শুন
,
তারপর তন্ময়কে সব খেলে বললাম৷
তন্ময় শুনে তো হাসতে হাসতে শেষ৷
দুজনে সারা রাত অনেক মজা করলাম৷লুঙ্গী ড্যান্স এমন ভাবে শুরু করলাম৷লুঙ্গি ড্যান্স দিতে গিয়ে কয়বার যে লুঙ্গি খুলে..........
থাক আর বলা লাগব না৷
,
পরেরদিন ,
,
অজান্তার ফোন আসল
--কিরে আরমান কই তুই?আর আমার গিফ্টের কি অবস্থা?
.
--তোর স্পেশাল গিফ্টের দুর অবস্থা(ভির ভির করে বললাম)
.
--কি বললি?
.
--কই না তো
.
---তাহলে ভালই ভালই বল কি বলছোছ?আর গিফ্টের কি অবস্থা?
মনে মনে বললাম কি খাচ্ছর মাইয়ারে ৷খালি অন্যের টাকা শেষ করতে চায়৷আমিও বুঝামু
.
--কিরে আরমান চুপ কেন?
.
--দোস্ত তোর গিফ্টের জন্যই তো এত দেড়ি৷আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড বলে কথা
.
--হুম৷স্পেশাল গিফ্ট নিয়ে আসবি
.
শালার কি রকম খচ্ছরের খচ্ছর৷নিজের জন্মদিনের গিফট আবার নিজে চায়৷তাও আবার স্পেশাল৷ঠিক আছে স্পেশালই দিমু
.
--কিরে আরমান চুপ কেন
.
--হুম৷স্পেশালই পাবি৷পরে কথা
বলছি৷আর আমি সন্ধার দিকেই এসে পড়ব৷
বলেই ফোন কেটে দিলাম৷
দুপুরে খাওয়া দাওয়ার পর৷ব্যাঙ ,তেলাপোকা,আর টিকটিকি গুলো খুব যত্ন সহকারে বাক্সে প্যাকেট করলাম৷প্যাকেট করার পর আমারই মন চাচ্ছে খুলে দেখি৷এত নিখুত ভাবে প্যাকেট৷হঠাৎ তন্ময় আসল
.
--ওয়াও দোস্ত,অনেক সুন্দর হইছে৷দে আমার জিএফ রে দিমূ নে
.
--আরে শালা কালকের কথা ভুলে গেলি নাকি?এটার ভিতর তো ...
.
--থাক ভাই আর বলিস না৷কিন্তু এমন করার মানে কি?
.
--স্পেশাল + ইতিহাস
.
--হা হা হা৷শালা তুই মানুষই একখান
.
--তো দুইখান হমু নাকি৷
,
সন্ধার সময় আমি আর তন্ময় অজান্তার বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম৷যাওয়া পরই অজান্তা দৌড়ে আসল৷এসেই বলল,
.
--ওহ আরমান,তুই জানস তোর জন্য আমি কত ওয়েট করছি?সবাই আমার জন্য এখনও কেক কাটছে না
.
--তো কেক কাটতে বল
.
--আরে না৷তুই তো আমাকে স্পেশাল গিফ্ট দিবি৷ তাই তোর স্পেশাল গিফ্ট সবাইকে দেখাবো ৷যে আমার ফ্রেন্ড ......
.
--আর বলতে হবে না
.
-হুম৷এখন আমি সবাইকে আগে দেখাবো
.
-হায় হায় দেখালে আমি তো শেষ৷ভিতরে এত কিছু(মনে মনে)
.
--কিরে আরমান চুপ কেন?এখন সবাইকে দেখামু
.
আমার চোখ বড় বড় হইয়া গেল৷এখন তো দেখি আরেক ইতিহাস হইয়া যাইব৷আমি তন্ময়কে ইশারা দিলাম কিছু বলতে,তন্ময় বলল
.
-আরে অজান্তা আপু,এখন খোলার দরকার নেই
.
--কেন তন্ময় ভাই
.
--আরে ওইটার ভিতর ব্যা ব্যা
.
আর বলতে দিলাম না৷তন্ময়ের মুখ চেপে ধরলাম৷আর কথাটা ঘুরিয়ে বললমা
.
--কিছুনা অজান্তা
.
--ওই আরমান তুই ছাড়৷তন্ময় ভাইয়া আপনি বলুন??
.
--আরে ও আসলে বলতে চেয়েছে ব্যা না ভাল গিফ্ট তো৷তাই তোমাকে এত মানুষের সামনে না দেখতে৷
ঠিক না তন্ময়?তন্ময় বলল
,
--হুম আরমান৷এটাই৷আর তুই এত স্পেশাল বন্ধুর জন্য স্পেশাল গিফ্ট আনছিস!ওইটা মনে হয় অজান্তা আপু একা একা দেখলে সব চাইতে ভাল হবে
,
(মনে মনে বললাম,শালায় একটু হইলেই তো ফাসাইয়া দিত,আর এখন একটা কাজের কথা বলছে,এটাকে নিয়ে এগুতে থাকি)
আমি একটু ঢং করে বললাম
,
--হুম অজান্তা ,তোর জন্য এমন স্পেশাল গিফ্ট,আর তুই সেটা সবাইকে দেখাবি?একা দেখলে আমার গিফ্ট দেওয়াটা স্বার্থক হইত(আমি)
,
--ঠিক আছে রে৷তুই এত করে বলছিস৷আমি একাই দেখব(অজান্তা)
,
--হু হু ,একাই দেখ,আর নতুন করে হতিহাস গড়৷হুহু(মনে মনে)
,
এরপর যা হল তা আর বলে বুঝাতে পারব না৷কারন..........
👇
👇
#চলবে......
0
3