#দরিদ্র_হওয়ার_উপকারিতা
👇
👇
👉একদিন ক্লাসে এক ছাত্র তার শিক্ষককে প্রশ্ন করলো, ‘হুজুর!
কিয়ামতের দিন হিসাব হবে কীভাবে?’🥰
ছাত্রের প্রশ্ন শুনে শিক্ষক কিছুক্ষণ নিশ্চুপ বসে রইলেন। 🥴🤔
এরপর জুব্বার পকেট থেকে কিছু টাকা বের করে ছাত্রদের মধ্যে বণ্টন করে দিলেন। বণ্টনের ধারা ছিলো এমন-🤔
১ম জনকে ১০০ টাকা,🤔😅
২য় জনকে ৭৫ টাকা,
৩য় জনকে ৫০ টাকা,😒🤔
৪র্থ জনকে ২৫ টাকা,
৫ম জনকে ১০ টাকা, 😒😅
৬ষ্ঠ জনকে ৫ টাকা
এবং যে ছাত্র প্রশ্ন করেছিলো তাকে দিলেন ১টাকা।
প্রশ্নকারী ছাত্র শিক্ষকের এমন বণ্টনে
অত্যন্ত মনঃক্ষুণ্ণ হলো ও ভীষণ কষ্ট পেলো।
সে ভাবলো, 😁
শিক্ষক তাকে সবার সামনে অপমানিত করেছেন। শিক্ষক মুচকি হেসে ছাত্রদেরকে বললেন,
‘আজ তোমাদের ছুটি। 😡🙄
তোমরা এই টাকা পুরোপুরি খরচ করবে
এবং 🤔
আগামীর শুক্রবার মাদ্রাসার রান্নাঘরে সকাল ১০ টায় এসে খরচের হিসাব দিবে।🤔😅
শুক্রবার ছাত্ররা মাদ্রাসার রান্নাঘরে উপস্থিত হলো। শিক্ষক ছাত্রদেরকে চুলায় চড়ানো গরম তাওয়া দেখিয়ে বললেন,
‘তোমরা একজন একজন করে এই তাওয়ায় দাঁড়িয়ে আমার দেয়া টাকার হিসাব দিবে।’
প্রথমে এগিয়ে এলো 😄🙄
যে ছাত্রকে ১০০ টাকা দিয়েছিলেন।
সে তাওয়ায় দাঁড়ানোর পর শিক্ষক বললেন,
‘আমার দেয়া টাকার হিসাব দাও।’🙈😁
এমনিতে আগুনে উত্তপ্ত গরম তাওয়া,
তার উপর খালি পা।
ছাত্র এক পা নামায় তো এক পা তোলে।😡🙄
এভাবে অনেক কষ্টে তাওয়ায় দাঁড়িয়ে খরচের হিসাব দিতে লাগলো
- ৫টাকা দিয়ে এটা কিনেছি😁
, ১০টাকা দিয়ে ওটা খেয়েছি,😁
২০ টাকা দিয়ে ঐ জিনিস কিনেছি।😁
এভাবে অনেক কষ্ট সহ্য করে খরচের সম্পূর্ণ হিসাব দিলো।
এরপর এলো যাকে ৭৫ টাকা দিয়েছিলেন সে।😅🥴
এভাবে ধারাবাহিকভাবে একে একে সবাই নিজেদের খরচের হিসাব উত্তপ্ত তাওয়ায় দাঁড়িয়ে দিয়ে গেলো।
সবার শেষে এলো সে প্রশ্নকারী ছাত্র,
যাকে ১ টাকা দেয়া হয়েছিলো। 😁😨
সে এক পলকে দৌড়ে এসে তাওয়ায় দাঁড়িয়ে তার ১ টাকা খরচের হিসাব দিয়ে শিক্ষকের সামনে দাঁড়ালো।
বাকিরা যখন তাওয়ায় গরম হওয়া পায়ে পানি ঢালছে, তখন সে দাঁড়িয়ে হাসছে।
🙈😬
সবার হিসাব দেয়া শেষ হলে শিক্ষক ছাত্রদের উদ্দেশ্য করে বললেন,
‘এই হলো কিয়ামতের হিসাব-নিকাশের ছোট একটি নমুনা। যার ক্ষমতা ও সম্পদ যতো কম, তার হিসাব হবে ততো সহজ। যার বেশি হবে, তার কষ্টও তত বেশি হবে।’😄😒
প্রশ্নকারী ছাত্র ছলছল নয়নে শিক্ষকের দিকে তাকিয়ে মনে মনে তার প্রতি উস্তাদের ভালোবাসার কথা ভাবতে লাগলো এবং শিক্ষকের প্রতি নিজের আগের ধারনার জন্য অনুতপ্ত হলো।🥴🥴😚