😍পাঠিকা যখন প্রেমিকা❤
পর্বঃ১ম!
.
ফারিয়া :- হ্যালো ভাইয়া। আসসালামু আলাইকুম।কেমন আছেন আপনি......?????
পিয়াসঃ- আলহামদুল্লিাহ্ ভালো আছি আপনি...???
ফারিয়া ঃ- আপনার নাম কি পিয়াস ভাইয়া.....????
পিয়াসঃ- জি আমার নাম পিয়াস।
ফারিয়া ঃ- আসলে আপনার নামটা খুব সুন্দর।
পিয়াসঃ- শুকরিয়া।
ফারিয়া ঃ- আচ্ছা ভাইয়া আপনি যদি কিছু মনে না করেন তাহলে কি আমি আপনাকে মেসেঞ্জারে ফোন দিতে পারি।
।
কেন জানি মানা করতে পারলাম না।
পিয়াসঃ- ওকে দেন।
।
এভাবেই পিয়াস আর ফারিয়ার মেসেঞ্জারে প্রথাম কথা হয়।একসময় তাদের মাঝে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
।
আপনাদের তো আমার পরিচয়টাই দেওয়া হয় নাই। আমি হলাম পিয়াস। সবে মাত্র HSC দিব। আর যার সাথে এতক্ষণ কথা বলছিলাম সে হলো আমার জীবনের সবচেয়ে দামি জিনিস। তার নাম হলো ফারিয়া। চলুন এখন গল্পে ফেরা যাক।
।
পিয়াসঃ- হ্যালো। কেমন আছেন.....???
ফারিয়াঃ- আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি আপনি....???
পিয়াসঃ- আপনাকে একটা কথা বলবো যদি কিছু মনে না করেন.....????
ফারিয়া ঃ- হুমমম বলেন.....???
( অনেক আগ্রহ নিয়ে বললল)
পিয়াসঃ- আসলে কেন জানি আপনার সাথে কথা বলতে আমার খুব ভালো লাগে। একটি দিন যদি আপনার সাথে কথা না বলি তাহলে কেন জানি খুব খারাপ লাগে।😥😥😥
ফারিয়াঃ- ওওওহ তাই। একটা সত্যি কথা বলব.....???
পিয়াসঃ- হুমমম বলেন.......☺☺☺
ফারিয়াঃ- আসলে আমারো কেন জানি খুব ভালো লাগে আপনার সাথে কথা বলতে। আপনার সাথে কথা না হইলে আমারো খুব খারাপ লাগে আমার।
পিয়াসঃ- তাই বাবু........?????
( ভয়ে ভয়ে বাবু বললাম)
ফারিয়াঃ- ওই বাবু কে হুমমমম......????? 😁😁😁
পিয়াসঃ- আসলে আপনাকে কেন জানি বাবু বলতে মন চাইলো তাই বললাম। 😥😥😥
।
এভাবেই তারা অনেকদিন কথা বলতে থাকে। একসময় তাদের দুজনের মনে ভালোবাসার জন্ম হয়। কিন্ত তারা কেউ যানে না যে তারা দুজন দুজনকে খুব ভালোবাসি। কেউ কারো কাছে তা প্রকাশ করেনা। কারণ দুজনেই একই ভয় পায় যদি ও আমাকে ছেড়ে চলে যায়। এইরকমি একদিন পিয়াস ফারিয়াকে বললো....
।
পিয়াসঃ- বাবু তোমাকে একটা কথা বলবো। তুমি যাদি রাগ করো তাহলো কিন্তু বলবো না.......😥😥😥
ফারিয়াঃ- না আপনি বলেন......???? ☺☺☺
( ফারিয়া এখনো মাঝে মাঝে আমাকে আপনি বলে ডাকে)
পিয়াসঃ- আসলে আমি আপনাকে ভালোবাসি... 💗💗
ফারিয়াঃ- আমিও তো আপনাকে ভালোবাসি।
পিয়াসঃ- সত্যি বলছেন......???🙂🙂🙂
( অনেক আগ্রহ নিয়ে)
ফারিয়াঃ- হুমমম তবে ভালো বন্ধু হিসেবে।
।
এই কথাটা শুনার পর পিয়াসের মন খুব খারাপ হয়ে গেলো সে কত কিছু ভেবেছিলো। কিন্তু সেগুলো কিছুই হলো না। পিয়াস আর ফারিয়া আরো কিছুক্ষণ কথা বললো তারপর পিয়াস বিছানায় গিয়ে শুয়ে শুয়ে ভাবতে লাগলো।
।
ফারিয়াকি আমাকে শুধু বন্ধু মনে করে ভালোবাসে....???।কিন্তু আমিতো তাকে সত্যি খুব ভালোবাসি। কিন্তু ফারিয়াকে যদি বলি যে আমি তোমাকে সত্যি ভালোবাসি তাহলে যদি ফারিয়া আমাকে ছেড়ে চলে যায়। তখন আমি কী করবো। আমি কাকে নিয়ে বাচব।ফারিয়া এখন আমার জীবনের একটি অংশ হয়ে গিয়েছে
তাকে ছাড়া যে আমি কিছু ভাবতে পারি না। তবে কি আমি কখনো ফারিয়াকে আমার মনের কথাটি বলতে পারবো না। আল্লাহ আমাকে তুমি সাহায্য করো। আমি যে ফারিয়াকে খুব ভালোবাসি। আমি যে ওকে নিজের জীবন সঙ্গী হিসেবে চাই। আমি ওকে হারাতে চাই না আল্লাহ।
।
পিয়াস এসব ভাবছে আর কান্না করতেছে। পিয়াস কান্না করতে করতে তার বালিশ ভিজিয়ে ফেলেছে।
।
আর এদিকে ফারিয়া ভাবতেছে.........
।
আমিতো পিয়াসকে ভালোবাসি তাহলে কেন ওকে বলতে পারি না। আমি যে ওর সাথে কথা না বলে থাকতে পারি না। আচ্ছা পিয়াস কি আমাকে ভালোবাসে যেমনটা আমি ওকে ভালোবাসি। তবে কি আমি ওকে বলে দিব যে আমি ওকে ভালোবাসি।কিন্তু ও যদি আমাকে খারাপ মনে করে। না না আমি বলবো না।
( মন খারাপ করে বললো)
।
এভাবেই তাদের কথা চলতে থাকে। কেউ কারো সাথে কথা না বলে থাকতে পারেনা। মনে হচ্ছে যতদিন যাচ্ছে তাদের ভালোবাসে বারতেছে। তারা একে ওপরের থেকে দূরে থাকলেও তাদের মাঝের ভালোবাসাটা কোনদিন কমেনি বরং বারতেছ......
এভাবেই দেখতে দেখতে ১ টি মাস কেটে গেলো। কেউ কাউকে ভালোবাসার কথা বলেনা। কিন্তু দুজনের মাঝেই প্রিয়জনকে হারানোর ভয় কাজ করতেছে।
।
এমন একদিন ফারিয়া আর পিয়াস কথা বলতেছিলো তখনি হঠাৎ করে ফারিয়া বললো.......
।
ফারিয়াঃ- আচ্ছা পিয়াস তুমি কি আমাকে শুধু বন্ধু মনে করে ভালোবাসো না প্রেমিক আর প্রেমিকার মতো....??
প্লিজ তুমি সত্যি করে বলো.....?????
।
আমি কি বলবো ভাবে পাচ্ছি না। কিন্তু একনা একদিনতো
সত্যি কথাটা বলতেই হবে। না আমি আজকে ফারিয়াকে সব সত্যি কথা বলে দিব। আমি ওকে হারাতে চাই না।
।
পিয়াসঃ- আসলে আমি তোমাকে বন্ধু মনে করে ভালোবাসি না। আমি তোমাকে একজন প্রেমিক আর প্রেমিকার মতো ভালোবাসি। আমি তোমাকে হারাতে চাই না তাই কোন দিন তোমাকে ভালোবাসি কথাটা বলার সাহস পাইনি। জানো প্রতি রাতে আমি তোমার কথা মনে করে কান্না করি। আর আজকে তুমি যখন বললা যে আমি তোমাকে কি মনে করি ভালোবাসি তাই আমি আর নিজেকে আটকে রাখতে পারলাম না। তোমাকে সব সত্যি কথা বলে দিলাম। এখন তুমি যেইটা বলবা সেইটাই হবে।
।
( ভয়ে ভয়ে সব বলে দিলাম )
।
ফারিয়াঃ- না তুমি আমাকে ফোন দেও তাহলে আমি তোমাকে আমার মনের কথা বলবো।
।
ফারিয়াকে ফোন দেওয়ার পর...........
।
ফারিয়াঃ- আসলে আমিও তোমাকে খুব ভালোবাসি। কোনদিন বলিনি যদি তুমি আমাকে ছেড়ে চলে যাও।
পিয়াসঃ- কেন তুমি কি আমাকে বিশ্বাস করো না.....???
ফারিয়াঃ- তোমাকে আমি নিজের থেকেও বেশি বিশ্বাস করি। আচ্ছা তুমি আমাকেই কেন ভালোবাসো আর আমি তো দেখতে বেশি ভালো না.....?????
পিয়াসঃ- তুমি একজন পর্দাশীল মেয়ে। সবচেয়ে বড় কথ হলো তুমি নিজের পরিবারের সদস্যদের খুব ভালোবাসো আর সেবা যত্ন করো। তারপর তুমি নামাজ পরো। কুরআন শরীফ পরো। আরো অনেক বিষয় আছে।আর সবচেয়ে বড় কথা হলো ভালোবাসতে কোন কারণ লাগেনা এটি হলো মনের আর বিশ্বাস করার বিষয়। যদি এ দুটো থাকে তাহলেই হবে বাবু।
ফারিয়াঃ- আচ্ছা বুঝলাম। কিন্তু আমিতো দেখতে খারাপ।
পিয়াসঃ- শুনো ভালোবাসতে হলে মনের প্রয়োজন। মুখ দিয়ে কি হবে। আমি তোমাকে ভালোবাসি। এখন তুমি যেইরকমি দেখতে হওনা কেন আমার তাতে কোন সমস্যা নাই। আমি তোমাকেই ভালোবাসি আর তোমাকেই বিয়ে করবো।
ফারিয়াঃ- আই লাভ ইউ বাবু। তুমি খুব ভালো। তবে আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করব যেন আমি তোমাকেই নিজের জীবন সঙ্গী হিসেবে পাই।
পিয়াসঃ- আই লাভ ইউ টু বাবু। আচ্ছা তুমি এখন কি করতেছো....??????
ফারিয়াঃ- বাবু আমিতো এখন কাজ করতেছি। আচ্ছা বাবু আমার কাজ করা শেষ হলে আমি তোমাকে ফোন দিব। এখন রাখি আল্লাহ হাফেজ।
পিয়াসঃ- ওকে বাবু আল্লাহ হাফেজ।
।
এই বলে ফারিয়া ফোন কেটে দিলো। আজকে আমি খুব খুশি। কারন আমি আমার মনের মানুষকে পেয়েছি। আমার যে কি খুশি হচ্ছে তা বলে বুঝাতে পারবো না। এভাবেই শুরু হলো আমাদের ভালোবাসা।
।
বিকেলে ফারিয়া ফোন দিলো। তারপর........
•
•
•
#চলবে_
।
গল্পটি ভালো লাগলে লাইক আর কমেন্ট করবেন এবং পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন।
।
সকলের সুস্থতা কামনা করে আজকের পর্বটি এখানেই শেষ করছি ধন্যবাদ।
।
বিঃদ্রঃ :- ভূলত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন.......🙏🙏🙏
_
0
6