সিনিয়ার রাগী মেয়ে যখন gf
.
#২য় পর্ব
.
.
.
হঠাৎ একদিন দেখলাম একটা ছেলের সাথে বসে আছে।মিমরে ওই ছেলের সাথে দেখে বুকের ভিতর চিনচিন ব্যাথা করতেছে। আমি কাছে গেলাম। ওরে প্রপোজ করতেই যা করল................তা হলো....
-মিম এই ছেলের সাথে এভাবে বসে আছো কেন???
-তোরে বলতে হবে??
-তো কাকে বলবা???কারন আমি তোমাকে ভালোবাসি.....আই লাভ ইউ মিম....
-ঠাস ঠাস কইরা দুইটা থাপ্পর মারল।আর বললল.....
-তুই এত ছ্যাচরা আর ছোটলোক হবি জানতাম না তো.?তোরে আমি ভালোবাসি না কতবার বলব।তোরে দেখলেই আমার অসহ্য লাগে।আর এইটা আমার বি এফ।প্লিজ তোর দুইটা পায়ে ধরি। তুই আমাকে আর ডিস্টার্ব করিস না।কান্না করে করে বলল..
.
-কিছু বললাম না সেখান থেকে মাথা নিচু করে চলে আসলাম।মনে মনে একটাই প্রতিজ্ঞা করলাম। ওর সামনে আর কোনোদিন যাব না।যে আমাকে দেখতে পারেনা আমাকে অসহ্য লাগে তার কাছে না জাওয়াটাই ভালো।আর ওর তো বি এফ আছে ভালোই থাকবে।প্রিয় মানুষটা ভালো থাকুক সবাই চায়।যাব না আর কোনোদিন ওর সামনে..
.
-এসব ভাবতে ভাবতে একটা টং দোকানে এলাম।দেখি রাফিও সেখানে বসে আছে।ডাক দিলাম.....
-রাফি এদিকে আয় তো???
-কাছে এসে বলল...কিরে তোর চেহারা এরকম লাগছে কেন???
-আরে এমনি। আচ্ছা দোস্ত যা দুইটা সিগারেট নিয়ে আয়?
-আকাশ থেকে পড়ল..আলভী অনি সূর্য আজকে কোনদিক দিয়ে ওঠছে????আমি সিগারেট খাইতাম বলে কত বকা দিতি। আর আজকে তুই নিজেই চাইছিস।বলতো কি হইছে???
-আগে সিগারেট আন পরে বলতাছি.??
-রাফি সিগারেট নিয়ে আসল....এই নে সিগারেট???? এখন বল কি হইছে???
-সিগারেট ধরলাম প্রথম টানে অনেক কাশি ওঠল।দুই তিন টান দেওয়ার পর ঠিক হয়ে গেল.।তারপর ওকে সব খুলে বললাম।ও আমাকে বলল...
-ও এরকম না করলেও পারত।সমস্যা নাই একটা গেছে ১০ টা আসব.
-হাহাহা।কষ্টের মাঝেও হাসি ওঠে।আর একটা সত্যি কথা হলো...নিকোটিনের ধোয়ার সাথে আমার কষ্টগুলোও কেমন উড়ে যাচ্ছে........
.
-রাফির সাথএ আরো কিছুক্ষণ কাটিয়ে বাসায় এসে পড়লাম।সাথে কতগুলা সিগারেট ও নিলাম।রাতের বেলায় মিমের জন্য অনেক কষ্ট হচ্ছে। ওর কথা খুব মনে পরছে।ওর কথা মনে পড়তেই কান্না চলে আসল।সিগারেটগুলো নিয়ে ছাদে চলে গেলাম।বাহ চাদঁটাও আজকে ভালো কিরন দিচ্ছে। সিগারেটগুলো একে একে সব শেষ করে দিলাম।কষ্ট কিছুটা কমছে।একা বসে রাতের আকাশটা দেখতেছি।আর ভাবতেছি কালকে নানুর বাসায় চলে যাব। আর ওদিকে মিম ভাবতেছে সাথে সাথে এরকম না করলেও পারতাম দেখা হলে কালকে সরি বলে দিব।
.
পরদিন সকালে আম্মুকে বললাম...
-নানুর বাসায় যাব...?
-কবে??
-আজকে.।কেন সমস্যা আছে??
-না। আচ্ছা তোর কি কিছু হইছে??
-নাতো?
-তোরে এতবার বলার পরেও তুই তের নানুর বাসায় যাস না। আজকে তুই একেবারে পাগল হয়ে গেলিযে???
-এমনি.. যেতে দিবা কিনা?
-আচ্ছা যা
.
বাসা থেকে নানুর বাসায় চলে আসলাম।আর ফোন নিয়ে আসিনি।আসার সময় রাফিরে বলে আসছিলাম।নানুর বাসায় আসার পরে তারা আমাকে পেয়ে অনেক খুশি। কয়েকটা দিল থাকলাম।১৫ দিনের মত হবে।একটা মামাতো বোন আছে ওর সাথে ভালোই মিল হয়ে গেছে।ওরে আমার সব খুলে বললাম।আর এদিকে আমার আর থাকতে বেশি ভালো লাগছিল না। তাই বাসায় চলে আসলাম।সাথেও মামাতো বোন টা আসলো।ও কয়েক দিন থেকে চলে যাবে......।আর ওর নাম নিলিমা।
.
বাসায় এসে ফ্রেশ হলাম।তারপরে রাফির সাথে দেখা করতে যাচ্ছি।ভাবছেন???এত সহজে মিমকে ভূলে গেলাম???আরে না মরে যাওয়ার আগে ওকে ভূলা সম্ভব না।আমার প্রত্যকটা রাত জানে কতটা কষ্টে ছিলাম আমি।ওর কথা যখন খুব মনে পড়ত। সিগারেটের ধোয়ার সাথে উড়িয়ে দিতাম কষ্টগুলোকে।
.
-যাক বাবা চলে আসলাম রাফির কাছে....
-কিরে কেমন আছোস??
-ভালো।তুই???
-আছি কোনোরকম...
-আচ্ছা অনি শুন?
-কি??
-মিম তো তোরে খুজে প্রায় পাগল হয়ে যাইতেছে??
-কেনরে আমাকে খুজে কেন???
-তুই ই জিজ্ঞেস করিস???
-আচ্ছা বাদ দে। সিগারেট নিয়ে আয়.......
-ও সিগারেট আনল....
.
সিগারেট টা খাইতে যাব তখন দেখলাম মিম আসতেছে।তার চেহারা কেমন মলিন হয়ে গেছে।চোখের নিছে কালি পরে গেছে। আর আমার কাছে এসে যা করল..........
চলবে কী??
.
.
.