বৈধ

0 2

৩৭

ও বৈধ

প্রতীকী যুক্তিবিদ্যা

যুক্তিবিদ্যা সম্পূর্ণরূপে আকারগত। এ জন্য প্রতীকী যুক্তিবিদ্যার ক্ষেত্রে যথাসম্ভব সাধারণ

ভাষার শব্দ বা বাক্য ব্যবহার না করে প্রতীক ব্যবহার করা হয়। উল্লেখ্য যে, আকারগত

বিজ্ঞানমাত্রই অমূর্ত (abstract)। এদিক থেকে প্রতীকী যুক্তিবিদ্যাও অমূর্ত। বস্তুত কোনাে

বিজ্ঞান অমুর্ত হয় তখনই, যখন তা বাস্তব ঘটনাবলির বিবরণ বা ব্যাখ্যা না হয়ে কতগুলাে

সাধারণ ও মূলগত নিয়ম বা সুত্রের সমষ্টি হয়। যেহেতু অবৈধ যুক্তির সাধারণ আকার বা

নিয়মাবলি প্রতীকী যুক্তিবিদ্যার মূল আলােচ্য বিষয় এবং এসব আকার বা নিয়মাবলি হচ্ছে

অমুর্ত। এ জন্য প্রতীকী যুক্তিবিদ্যাকেও অমৃর্ত বলা হয়।

যটি ব্যাখ

এয়া

প্রতীকী যুক্তিবিদ্যার বৈশিষ্ট্য

রলে

Characteristics of Proposition

প্রতীকী যুক্তিবিদ্যার স্বরূপ-বিশ্লেষণ থেকে এ বিষয়টি সুস্পষ্ট যে, প্রতীকী যুক্তিবিদ্যার

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যটি হচ্ছে এর আকারগত দিক। আর এই আকারগত বৈশিষ্ট্যের

জন্যই প্রতীকী যুক্তিবিদ্যায় প্রচলিত ভাষার পরিবর্তে কেবল প্রতীক ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

অর্থাৎ প্রতীকী যুক্তিবিদ্যার প্রবর্তনগণ যুক্তির বৈধতা বা অবৈধতা প্রমাণের ক্ষেত্রে উচ্চতর

প্রজ্ঞার সাহায্য ব্যতিরেকে যান্ত্রিকভাবে প্রতীক ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব আরােপ করেন।

এদিক থেকে গণিতের সাথে প্রতীকী যুক্তিবিদ্যার যথেষ্ট মিল রয়েছে। কারণ প্রতীকী

যুক্তিবিদ্যার মতাে গণিতও সম্পূর্ণরূপে আকারগত বিদ্যা। এ অর্থে প্রতীকী যুক্তিবিদ্যাকে

গাণিতিক যুক্তিবিদ্যাও বলা যায়। বস্তুত কোনাে বিশেষ যুক্তি বা চিন্তার বৈধতা বা অবৈধতা

প্রতীকী যুক্তিবিদ্যার আলােচ্য বিষয় নয়, বরং বৈধ বা অবৈধ যুক্ত বা চিন্তার আকার বা

নীতিমালাই প্রতীকী যুক্তিবিদ্যার মূল আলােচ্য বিষয়। একইভাবে গণিতের ক্ষেত্রেও এ

বিষয়টি সমভাবে প্রযােজ্য। কারণ গণিতও কতিপয় নিয়মাবলির প্রয়ােগে গাণিতিক আকার

নিয়ে আলােচনা করে।

প্রতীকী যুক্তিবিদ্যার আকারগত দিকের প্রাধান্য অনুধাবনের প্রেক্ষিতে আধুনিক যুক্তিবিদ

সি. আই. লুইস প্রতীকী যুক্তিবিদ্যার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করে এগুলাোর

1
$ 0.00

Comments