যদি এমন করতাম,তাহলে এমন হত,যদি এমন না করতাম,তাহলে এমন হতোনা🍂- এ ধরনের কথা বলা নিষেধঃ-
কোন কিছু অর্জন করতে ব্যর্থ হলে তিনি এ কথা বলতে নিষেধ করেছেন যে,যদি এমন করতাম তাহলে এমন হত।কেননা এরূপ ক্ষেত্রে 'যদি' কথাটি শয়তানের কাজকে সহজ করে দেয়। তিনি এর চেয়ে উত্তম কথা শিক্ষা দিয়েছেন এবং এ কথা বলার আদেশ দিয়েছেন যে, এটি ছিল আল্লাহর ফয়সালা,তিনি যা চান তাই করেন।
কেননা মানুষের কথা,আমি যদি এ রকম করতাম, তাহলে এ বস্তুটি আমার হাত ছাড়া হতনা, এমনটি না করলে আমি এই বিপদে পড়তামনা। এ জাতীয় কথায় উপকার নেই। কেননা যা চলে গেছে তা পুনরায় ফেরত আসবেনা এবং 'যদি' কথাটি ব্যবহার করে ভবিষ্যতেও কোন উপকার পাওয়া যাবেনা।
মানুষ মনের মধ্যে যে সমস্ত বিষয় স্থির ও নির্ধারণ করে, তা যদি সেভাবেই সংঘটিত হয় তাহলে এমন জিনিস সংঘটিত হওয়াকে আবশ্যক করবে যা আল্লাহর নির্ধারনের (তাকদীরের) বাইরে। অথচ আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত বিষয়ের বিপরীত হওয়া অসম্ভব। সুতরাং মিথ্যা, মূর্খতা এবং অসম্ভব বিষয়ের উপর ভিত্তি করেই এ রকম চিন্তার উদ্ভব হয়। এরূপ ক্ষেত্রে তাকদীরকে অস্বীকার করার দোষ থেকে মুক্ত হলেও 'যদি' বলার অপরাধ থেকে মুক্ত পাবেনা।
যদি বলা হয় 'যদি' কথাটি বলার মাধ্যমে যে সমস্ত বিষয় কামনা করছে,তাও তো তাকদীরেরি নির্ধারিত??? উত্তরে বলা হবে যে, এ কথা সঠিক।কিন্তু নির্ধারনকৃত অপছন্দনীয় বিষয়টি সংঘটিত হওয়ার পূর্বে বললে লাভ হতো।সংঘটিত হয়ে যাওয়ার পর তা বললে অপছন্দনীয় বিষয়টি দূর হবেনা বা তার প্রভাব কমানোও সম্ভব নয়। বরং এ অবস্থায় বান্দা ভবিষ্যতে এমন কাজ করবে, যার মাধ্যমে সে অপছন্দনীয় বিষয়টি দূর করতে পারবে এবং তার ক্ষতিকারক প্রভাবগুলো কমানো সম্ভব হবে। যা সংঘটিত হওয়া সম্ভব নয়,তা সংঘটিত হয়ার আশা করাতে কোন লাভ নেই। কেননা এটি শুধু অপারগতার দিকেই নিয়ে যাবে।আল্লাহ তায়ালা অপারগতা-অক্ষমতা প্রকাশ করাকে অপছন্দ করেন এবং সতর্কতা অবলম্বন ও কর্মঠ হওয়াকে ভালোবাসেন। যা করলে কল্যানের পথ খুলবে তিমি তা করার আদেশ দিয়েছেন। আর 'যদি' বলা অপারগতা ও অক্ষমতা প্রকাশ করা শয়তানের কাজকেই সহজ করে দেয়।কেননা উপকারী কাজ থেকে বিরত থাকলে বান্দা বাতিল ও অস্পষ্ট আশা-আকাঙ্ক্ষার দিকে ধাবিত হয়। এই জন্যই নবী(সাঃ) অপারগতা-অক্ষমতা ও অলসতা থকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চেয়েছেন। এ দুটিই সকল অকল্যানের দ্বারকে উন্মুক্ত করে। এ থেকেই দুশ্চিন্তা, হতাশা, পেরেশানি, কাপুরুষতা,কৃপণতা, ঋণগ্রস্ত হওয়া, পুরুষের পরাজয় ইত্যাদি দোষণীয় বিষয়ের সূচনা হয়।
যদি এমন করতাম,তাহলে এমন হত,যদি এমন না করতাম,তাহলে এমন হতোনা🍂- এ ধরনের কথা বলা নিষেধঃ-
কোন কিছু অর্জন করতে ব্যর্থ হলে তিনি এ কথা বলতে নিষেধ করেছেন যে,যদি এমন করতাম তাহলে এমন হত।কেননা এরূপ ক্ষেত্রে 'যদি' কথাটি শয়তানের কাজকে সহজ করে দেয়। তিনি এর চেয়ে উত্তম কথা শিক্ষা দিয়েছেন এবং এ কথা বলার আদেশ দিয়েছেন যে, এটি ছিল আল্লাহর ফয়সালা,তিনি যা চান তাই করেন। কেননা মানুষের কথা,আমি যদি এ রকম করতাম, তাহলে এ বস্তুটি আমার হাত ছাড়া হতনা, এমনটি না করলে আমি এই বিপদে পড়তামনা। এ জাতীয় কথায় উপকার নেই। কেননা যা চলে গেছে তা পুনরায় ফেরত আসবেনা এবং 'যদি' কথাটি ব্যবহার করে ভবিষ্যতেও কোন উপকার পাওয়া যাবেনা। মানুষ মনের মধ্যে যে সমস্ত বিষয় স্থির ও নির্ধারণ করে, তা যদি সেভাবেই সংঘটিত হয় তাহলে এমন জিনিস সংঘটিত হওয়াকে আবশ্যক করবে যা আল্লাহর নির্ধারনের (তাকদীরের) বাইরে। অথচ আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত বিষয়ের বিপরীত হওয়া অসম্ভব। সুতরাং মিথ্যা, মূর্খতা এবং অসম্ভব বিষয়ের উপর ভিত্তি করেই এ রকম চিন্তার উদ্ভব হয়। এরূপ ক্ষেত্রে তাকদীরকে অস্বীকার করার দোষ থেকে মুক্ত হলেও 'যদি' বলার অপরাধ থেকে মুক্ত পাবেনা। যদি বলা হয় 'যদি' কথাটি বলার মাধ্যমে যে সমস্ত বিষয় কামনা করছে,তাও তো তাকদীরেরি নির্ধারিত??? উত্তরে বলা হবে যে, এ কথা সঠিক।কিন্তু নির্ধারনকৃত অপছন্দনীয় বিষয়টি সংঘটিত হওয়ার পূর্বে বললে লাভ হতো।সংঘটিত হয়ে যাওয়ার পর তা বললে অপছন্দনীয় বিষয়টি দূর হবেনা বা তার প্রভাব কমানোও সম্ভব নয়। বরং এ অবস্থায় বান্দা ভবিষ্যতে এমন কাজ করবে, যার মাধ্যমে সে অপছন্দনীয় বিষয়টি দূর করতে পারবে এবং তার ক্ষতিকারক প্রভাবগুলো কমানো সম্ভব হবে। যা সংঘটিত হওয়া সম্ভব নয়,তা সংঘটিত হয়ার আশা করাতে কোন লাভ নেই। কেননা এটি শুধু অপারগতার দিকেই নিয়ে যাবে।আল্লাহ তায়ালা অপারগতা-অক্ষমতা প্রকাশ করাকে অপছন্দ করেন এবং সতর্কতা অবলম্বন ও কর্মঠ হওয়াকে ভালোবাসেন। যা করলে কল্যানের পথ খুলবে তিমি তা করার আদেশ দিয়েছেন। আর 'যদি' বলা অপারগতা ও অক্ষমতা প্রকাশ করা শয়তানের কাজকেই সহজ করে দেয়।কেননা উপকারী কাজ থেকে বিরত থাকলে বান্দা বাতিল ও অস্পষ্ট আশা-আকাঙ্ক্ষার দিকে ধাবিত হয়। এই জন্যই নবী(সাঃ) অপারগতা-অক্ষমতা ও অলসতা থকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চেয়েছেন। এ দুটিই সকল অকল্যানের দ্বারকে উন্মুক্ত করে। এ থেকেই দুশ্চিন্তা, হতাশা, পেরেশানি, কাপুরুষতা,কৃপণতা, ঋণগ্রস্ত হওয়া, পুরুষের পরাজয় ইত্যাদি দোষণীয় বিষয়ের সূচনা হয়।