♥ ভাতের মাড়ের উপকারিতা অনেক,তা আমরা আমার আগের পোষ্টে জেনেছি।শিশুর পরিপূরক খাবার হিসেবে ভাতের মাড় ব্যবহার করা যেতে পারে।
♥ ভাতের মাড় তৈরির পদ্ধতি :
উপাদান -
★চাল - ২ টেবিল চামচ
★ পানি - ১ কাপ
পদ্ধতি - ★চাল বিশুদ্ধ পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন।
★একটি পাতিল বা সসপ্যানে চাল ও পানি দিয়ে সিদ্ধ করুন। যতক্ষণ না চাল নরম ও নমনীয় না হয়।
★ভাত ছেঁকে নিন এবং একটি কাপে ফ্যান/মাড় সংগ্রহ করুন।
★ভাতের মাড় প্রস্তুত।
[ বি.দ্র - ১২ মাসের বেশি বয়সের বাচ্চাদের স্বাদের জন্য ১ চিমটি লবণ যোগ করা যেতে পারে।শিশুকে খাওয়ানোর আগে ভাতের মাড় পাতলা করে নিন ]
♥ ভাতের মাড় গ্রহণে সাবধানতা :
★ ভাতের মাড়ে ভাতে থেকে দ্রবীভুত পুষ্টি থাকে।তাই ডায়রিয়ার সময় পর্যাপ্ত ক্যালরি সরবরাহ করে না।শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের অভাবের কারণে,এটি শুধু মাত্র ডায়রিয়ার চিকিৎসার জন্য ORS -এর সাথে ব্যবহার করা যেতে পারে।
★ভাতের মাড় শিশুর জন্য দুধ বা ফর্মুলা দুধের প্রতিস্থাপন হিসেবে কাজ করতে পারে না।কারণ এতে শিশুর প্রয়োজনীয় সমস্ত পুষ্টি নেই।
★শিশুরা যদি ওট এবং বার্লিতে অ্যালার্জি হয়,তবে চালের সাথে অ্যালার্জিক হবে।অ্যালার্জির উপসর্গের মধ্যে- ফোলাভাব,পেট ব্যথা,বমি,শ্বাস - প্রশ্বাস সমস্যা,শ্বাস কষ্ট,রাস ইত্যাদি রয়েছে।