দধি বা দই হল এক ধরনের দুগ্ধজাত খাদ্য যা দুধের ব্যাক্টেরিয়া গাঁজন হতে প্রস্তুত করা হয়। ল্যাক্টোজের গাঁজনের মাধ্যমে ল্যাক্টিক এসিড তৈরি করা হয়, যা দুধের প্রোটিনের ওপর কাজ করে দইয়ের স্বাদ ও এর বৈশিষ্ট্যপূর্ণ গন্ধ প্রদান করে। মানুষ ৪৫০০ বছর ধরে দই প্রস্তুত করছে এবং তা খেয়ে আসছে।
সারা পৃথিবীতেই এটি পরিচিত। পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু খাদ্য হিসেবে এর সুনাম আছে।
+দই প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, রাইবোফ্ল্যাভিন, ভিটামিন B6 এবং ভিটামিনB12 এ অত্যন্ত সমৃদ্ধ। এক গবেষণা প্রতিবেদনে ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অনটারিও-এর মাইক্রোবায়োলজিস্ট ও লৌসন হেলথ রিসার্চ ইনস্টিটিউট-এর হিউম্যান মাইক্রোবায়োলজি এন্ড প্রোবায়োটিকসের সভাপতি গ্রেগর রেইড দাবী করেছেন গাঁজন প্রক্রিয়ায় প্রস্তুত খাদ্য যেমন দই খেলে মানব দেহে পাকস্থলীর উপকারী ব্যাকটেরিয়ার বা প্রোবায়োটিক্স-এর পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, যার ফলে বিষাক্ত রাসায়নিকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শরীর সুরক্ষিত থাকবে।
দই, পূর্ণ ননী
প্রতি ১০০ g(৩.৫ আউন্স) পুষ্টিগত মান
শক্তি -২৫৭ kg (৬১ kcal)
শর্করা--4.7 g
চিনি--4.7 g (*)
স্নেহ পদার্থ--3.3 g
সুসিক্ত স্নেহ পদার্থ--2.1 g
এককঅসুসিক্ত--0.9 g
প্রোটিন--3.5 g
ভিটামিনসমূহ
রিবোফ্লাভিন (বি২)--(12%)0.14 mg
চিহ্ন ধাতুসমুহ
ক্যালসিয়াম--(12%)121 mg
(*) Lactose content diminishes during storage.
একক
μg = মাইক্রোগ্রামসমূহ
• mg = মিলিগ্রামসমূহ
IU = আন্তর্জাতিক এককসমূহ
(Percentages are roughly approximated using US recommendations for adults.
Source: USDA Nutrient database)
#টক দইয়ের উপকারিতা:
এতে আছে প্রচুর পরিমান ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি, যা হাড় ও দাঁতের গঠনে সহায়ক। মহিলাদের টক দই বেশী প্রয়োজন,কেননা তারাই ক্যালসিয়ামের অভাবে বেশী ভোগেন।
টক দইয়ের ব্যাকটেরিয়া অত্যন্ত উপকারী,এটা শরীরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে এবং উপকারী ব্যাকটেরিয়া বাড়িয়ে হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।
√√টক না মিষ্টি- কোনটা বেশি উপকারী?
ডাক্তার বা পুষ্টিবিদেরা সবসময়ই টক দই খেতে পরামর্শ দেন| বাইরের দেশগুলোতে যেমন ভারতে খাবার পরে সব সময় টক দই খায়| টক দই একটি lactic fermented খাবার|
টক দই একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর ও হেলদি খাবার, কারণ এতে আছে দরকারী ভিটামিন, মিনারেল, আমিষ ইত্যাদি| এটি দুগ্ধ যাত খাবার ও দুধের সমান পুষ্টিকর খাবার| এমনকি এটি দুধের চেয়েও বেশি পুষ্টিকর খাবার হিসাবে গণ্য করা হয়| কারণ দুধের চেয়েও বেশি পুষ্টি উপাদান রয়েছে।
টক দই খাওয়ার উপকারিতাগুলো হচ্ছে:
১. এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়| ঠাণ্ডা লাগা, সর্দি ও জ্বর না হওয়ার জন্য এটি ভালো কাজ করে।
২. টক দইয়ের উপকারী ব্যাকটেরিয়া ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে এবং শরীরের উপকারী ব্যাকটেরিয়াকে বাড়িয়ে হজম শক্তি বাড়ায় বা ঠিক রাখে।
৩. lactic acid থাকার কারণে এটি কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া ও কোলন cancer এর রোগীদের জন্য উপকারী।
৪. দইয়ের ব্যাকটেরিয়া হজমে সহায়ক| তাই এটি পাকস্থলী/ bowel র ও জ্বালাপোড়া কমাতে বা হজমের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে|
৫. এতে প্রচুর calcium, riboflavin, vitamin B6, B5 ও vitamin B12 থাকার কারণে এটি খুব দরকারী একটি খাবার|
৬. এতে প্রচুর calcium ও vitamin D থাকার কারণে হাড় ও দাঁতের গঠনে ও মজবুত করতে সাহায্য করে।
৭. তাই Osteoporosis, Arthritis এর রোগী রা নিয়মিত টক দই খেলে উপকার পান।
৮. কম ফ্যাটযুক্ত টক দই রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল এলডিএল কমায়| যাদের দুধ সহ্য হয় না বা lactose intolerance আছে, তারা টক দই দুধের বিকল্প হিসেবে খেতে পারেন| কারণ দইয়ের ব্যাকটেরিয়া lactose কে ভেঙ্গে lactic acid তৈরি করে|
৯.যারা দুধ খেতে পারেন না বা দুধ যাদের হজম হয় না, তারা অনায়াসেই টক দই খেতে পারেন। কারন টক দইয়ের আমিষ দুধের চেয়ে সহজে ও কম সময়ে হজম হয়।
১০. টক দই রক্ত শোধন করে।
১১. উচ্চ রক্ত চাপের রোগীরা নিয়মিত টক দই খেলে রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন।
১২. ডায়বেটিস, হার্টের অসুখ এর রোগীরা নিয়মিত টক দই খেলে এসব অসুখ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন।
১৩. নিয়মিত টক দই খেলে তা অন্য খাবার থেকে পুষ্টি নিয়ে শরীরকে সরবরাহ করে|
১৪. কম ফ্যাটযুক্ত টক দই একটি ভালো স্ন্যাকস। কারণ এটি খেলে পেট ভরা বোধ হয়| তাই পুষ্টিহীন খাবার বা বেশি ক্যালরিযুক্ত junk food না খেয়ে পুষ্টিকর টক দই খেলে ওজন কমাতে সাহায্য করে| কারণ এতে আমিষ থাকে, যেহেতু আমিষ হজম হতে সময় লাগে, তাই পেট ভরা বোধ হয় ও শক্তি পাওয়া যায়| অতিরিক্ত খাবারও খেতে ইচ্ছা করে না|
১৫. এর পুষ্টি উপাদানগুলো হজমের সময় তাড়াতাড়ি শরীরে শোষিত হয়ে দ্রুত শরীরকে শক্তি দেয়।
১৬. এটা ব্রেইনকে tyrosine সরবরাহ করে, যা মানসিক প্রশান্তি দেয় এবং ক্লান্তি কমায়|
১৭. প্রচুর calcium থাকার কারণে এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে| সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা গেছে, শরীর যখন প্রচুর calcium পায়, তখন তা ওজন কমাতে সাহায্য করে| আর যখন calcium পায় না, তখন শরীরে ফ্যাট জমতে থাকে|
১৮. টক দই শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে| তাই গ্রীষ্মকালে টক দই খেলে ভালো|
১৯. টক দই শরীরে টক্সিন জমতে বাধা দেয়| তাই অন্ত্রনালী পরিষ্কার রেখে শরীরকে সুস্থ রাখে ও বুড়িয়ে যাওয়া রোধ বা অকালবার্ধক্য করে| শরীরে টক্সিন কমার কারণে ত্বকের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায়।
২০. স্ট্রেস থেকে মুক্ত থাকে আপনার পেট। স্ট্রেস কি শুধুই মনের ব্যাপার? তা কিন্তু নয়। শরীরেও পড়ে স্ট্রেসের নেতিবাচক প্রভাব আর যাদের পেট একটু স্পর্শকাতর, স্ট্রেসে থাকলে তাদের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। মাঝারি মাত্রার স্ট্রেসেই তাদের হয় বারবার বাথরুমে ছুটতে হয় অথবা বেশ কিছুদিন ধরে স্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে। দীর্ঘস্থায়ী স্ট্রেসের ফলে দেখা দেয়া উপসর্গের উপশম করতে পারে প্রোবায়োটিকস।
২১. পেট খারাপের উপশম। পেট খারাপ মানে সেটা হতে পারে ডায়রিয়া, আমাশয়, কোষ্ঠকাঠিন্য, ফুড পয়জনিং, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ইত্যাদি।
২২.টক দই ওজন কমাতেও সাহায্য করে। এর আমিষের জন্য পেট ভরা বোধ হয় ও শরীরে শক্তি পাওয়া যায়। ফলে অতিরিক্ত খাবার গ্রহন করতে ইচ্ছে করে না। আর অতিরিক্ত খাবার না খেলে সহজেই ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখা যায়।
++
শত শত উপকারি উপাদানে ঠাসা দই। খাবারটির দাম মাত্র গুটি কয়েক টাকা। তবে চাইলে একটা পয়সা খরচ না করে বাড়িতেই তৈরি করে ফেলা যায়। তবু যুব সমাজের সিংহভাগই দই খেতে প্রস্তুত নন। বরং পকেট হালকা করে ফাস্ট ফুড সেন্টারের ব্যবসা বাড়াতে এরা এক পায়ে খাড়া। কিন্তু এই সব ভাজাভুজি খেতে খেতে যখন শরীরটা ঝাঁজরা হয়ে যবে, তখন দেহটাকে সুস্থ রাখতে কিন্তু সেই দইয়েরই প্রয়োজন পরবে। কেন জানেন? বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, গত দশ বছরে যে যে মারণ রোগ বেশি মাত্রায় থাবা বসিয়েছে যুব সমাজের উপরে, এই যেমন ধরুন-ডায়াবেটিস, হার্ট অ্যাটাক, ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ প্রভৃতি রোগের প্রকোপ কমাতে দইয়ের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। শুধু তাই নয়, রোজের ডায়েটে একবাটি দইকে জায়গা করে দিলে আরও নানাবিধ উপকার পাওয়া যায়। যেমন ধরুন-
#ভেজাইনাল ইনফেকশের মতো রোগ দূরে থাকে
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, দইয়ে উপস্থিত ল্যাকটোব্যাসিলাস অ্যাসিডোফিলাস নামক একটি ব্যাকটেরিয়া শরীরে প্রবেশ করে এমন খেল দেখায় যে ক্ষতিকর জীবাণুরা সব মারা পরে। ফলে ভেজাইনাল ইনফেকশনের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। এই কারণেই তো নারীদের নিয়মিত দই খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।
#মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টসের ঘাটতি দূর হয়
দইয়ে প্রচুর মাত্রায় মজুত রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং জিঙ্কের মতো উপকারি উপাদান। তাই তো নিয়মিত একবাটি করে দই খাওয়া শুরু করলে শরীরে নানাবিধ মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টসের ঘাটতি দেখা দেওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। ফলে শরীর এতটাই চাঙ্গা হয়ে ওঠে যে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।
#স্ট্রেস এবং অ্যাংজাইটির প্রকোপ কমে
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, দই খাওয়ার পর আমাদের মস্তিষ্কের ভেতরে এমন কিছু পরিবর্তন হয় যে মানসিক চাপ এবং অ্যাংজাইটি কমতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, বর্তমান সময়ে যে সব মারণ রোগগুলোর কারণে সব থেকে বেশি সংখ্যক মানুষের প্রাণ যাচ্ছে, তার প্রায় সবকটির সঙ্গেই স্ট্রেসের যোগ রয়েছে। তাই তো নিয়মিত দই খাওয়ার প্রয়োজনয়ীতা যে বেড়েছে, সে বিষযে কোনও সন্দেহ নেই।
#পুষ্টিকর উপাদানের চাহিদা মেটে
নিয়মিত দই খাওয়া শুরু করলে শরীরে পটাশিয়াম, ফসফরাস এবং আয়োডিনের ঘাটতি দূর হতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ভিটামিন বি৫ এবং বি১২-এর মাত্রাও বাড়তে থাকে। আর এই সবকটি উপাদানই যে নানাভাবে শরীরের উপকারে লেগে থাকে, তা কি আর বলে দিতে হবে! এই যেমন ধরুন ভিটামিন বি১২ লোহিত রক্ত কণিকার উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি নার্ভাস সিস্টেমের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
#হার্টের ক্ষমতা বাড়ে
রক্তে খারাপ কোলেস্টরল বা এল ডি এল-এর মাত্রা কমানোর পাশাপাশি রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা নেয় দই। তাই তো নিয়মিত এই দুগ্ধজাত খাবারটি খেলে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় থাকে না বললেই চলে। তাই তো পরিবারে যদি কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজের ইতিহাস থাকলে দইকে সঙ্গ ছাড়ার ভুল কাজটি করবেন না যেন!
#ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়
দইয়ে পরিমাণ মতো বেসন এবং অল্প করে লেবুর রস মিশিয়ে যদি মুখে লাগাতে পারেন তাহলে ত্বক নিয়ে আর কোনও চিন্তাই থাকে না। আসলে দইয়ে থাকা জিঙ্ক, ভিটামিন ই এবং ফসফরাস এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পলন করে থাকে। প্রসঙ্গত, এই ফেস প্যাকটি সপ্তাহে কম করে ২-৩ বার লাগালে দারুন উপকার মেলে।
#ক্যান্সারের মতো রোগকে দূরে রাখে
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, দইয়ে উপস্থিত ল্যাকটোব্যাসিলাস এবং স্ট্রেপটোকক্কাস থ্রেমোফিলাস নামক দুটি ব্যাকটেরিয়া শরীরের ভেতরে ক্যান্সার সেলের জন্ম আটকে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না।
#হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে
বেশি কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, দইয়ে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা পাকস্থলিতে হজমে সহায়ক ভাল ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। সেই কারণেই তো বদ-হজম এবং গ্যাস-অম্বলের সমস্যা কমাতে দই খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। প্রসঙ্গত, পৃথক একটি গবেষণায় দেখা গেছে পেপটিক আলসার হওয়ার পিছনে দায়ি এইচ পাইলোরি নামক ব্য়াকটেরিয়াকে মেরে ফলতেও দইয়ের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। সেই কারণেই তো পেপটিক আলসারের চিকিৎসায় দইয়ের অন্তর্ভুক্তির পিছনে সাওয়াল করে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।
#দুধের বিকল্প হিসেবে চলতেই পারে
এমন অনেকই আছেন যারা একেবারে দুধ খেতে পারেন না। কারও গন্ধ লাগে, তো কারও বমি পাই। এই ধরনের সমস্যাকে ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স বলা হয়। প্রসঙ্গত, দুধ থেকে দই হওয়ার সময় ল্যাকটোজ, ল্যাকটিক অ্যাসিডে রূপান্তরিত হয়ে যায়। ফলে দই খেলে না গা গোলায়, না বমি পায়।
#ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে
অতিরিক্তি ওজনের কারণে কি চিন্তায় রয়েছেন? তাহলে নিয়মিত এক বাটি করে দই খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন দারুন উপকার মিলবে। বিশেষত ভুঁড়ি কমাতে দইয়ের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। প্রসঙ্গত, ইউনিভার্সিটি অব টেনেসির গবেষকদের করা একটি পরীক্ষায় দেখা গেছে, নিয়মিত দই খাওয়া শুরু করলে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে। সেই সঙ্গে কর্টিজল হরমোনের ক্ষরণও কমে যায়। ফলে ওজন হ্রাসের সম্ভাবনা প্রায় ২২ শতাংশ বেড়ে যায়।
#হাড় এবং দাঁতের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে
দুধের মতো দইয়েও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস এবং ক্যালসিয়াম। এই দুটি উপাদান দাঁত এবং হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই বুড়ো বয়সে গিয়ে যদি অস্টিওআর্থ্রাইটিসের মতো রোগ আক্রান্ত হতে না চান, তাহলে এখন থেকেই নিয়মিত দই খাওয়া শুরু করুন। এমনটা করলে দেখবেন উপকার মিলবেই মিলবে।
#রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে
দইয়ে উপস্থিত উপকারি ব্যাকটেরিয়া শরীরে প্রবেশ করার পর রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে এতটাই শক্তিশালী করে দেয় যে সংক্রমণ থেকে ভাইরাল ফিবার, কোনও কিছুই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। ফলে সুস্থ জীবনের পথ প্রশস্ত হয়।