রমজান মাস

0 13
Avatar for alma45
Written by
3 years ago

রমজান মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস সকল মুসলমানের জন্য। এসময় পরিবর্তন হয় খাবারের ধরন এবং সময়সূচি। সারাদিন রোজা রাখার ফলে আমরা অনেকেই অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হই।খাদ্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে একটু সচেতন হলেই আমরা সমস্যা গুলো থেকে বেরিয়ে আসতে পারবো।

তাই আজকে আমরা জানবো রমজান মাসে কী কী খাবার গ্রহণ ও বর্জন করা উচিত -

আমরা সারাদিন রোজা রেখে নানারকম ইফতার করি।ছোলা,পেয়াজু, বেগুনী, জিলাপি ইত্যাদি মুখরোচক খাবার থাকে আমাদের ইফতারের প্লেটে।

কিন্তু এইসব মুখরোচক খাবার খেয়ে আমাদের কী হতে পারে তা আমাদের ভাবা উচিত।

স্বাভাবিক ভাবেই সারাদিন রোজা রাখার পর রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা কমে যায়।

সে জন্য আমাদের শরীর, ব্রেইন ও স্নায়ু কোষ ইফতারের খাবারের মাধ্যমে শক্তির জোগান চায়।তাই ইফতারের খাবার হতে হবে ঠান্ডা ও সহজে হজম হয় এমন।

✅যে সব খাবার গ্রহণ করা উচিত -

১.প্রচুর পানি পান করা। ইফতার থেকে সেহেরি-এর মাঝের সময় তাতে কমপক্ষে ৩ লিটার পানি গ্রহণ করা। মানে ৮-১০ গ্লাস পানি প্রতিদিন।

২. ইফতারে একটি সুষম খাবার প্লেট সাজানোর চেষ্টা করা, যে প্লেট-এ থাকবে রমজানের মিষ্টি (খেঁজুর), ফল, ১টি ভারী খাবার, সালাদ, স্যুপ ইত্যাদি।

৩. জটিল শর্করা গ্রহণ করা সেহেরিতে। কারণ, তা অনেক্ষণ সময় লাগে হজম হতে। ফলে সারাদিন ক্ষুধা অনুভব হতে দেয় না। জটিল শর্করার মধ্যে আছে বিভিন্ন শাক-সবজি, শিম, বাদামি চাল, গমের আটা, বীজ জাতীয় খাবার ইত্যাদি।

৪. বাদাম গ্রহণ করা যেতে পারে যা আমিষের উন্নত একটি উৎস।

৫. ইফতার শুরু করা যে খাবার গুলোতে আঁশ, সুগার ও ভিটামিন/মিনারেলস আছে। ফলের রস এই ক্ষেত্রে উৎকৃষ্ট খাবার।

৬. খাবারে সেই খাবারগুলো রাখা যা সচরাচর খাওয়া হয় এবং সেহেরিতে এমন খাবারগুলোকে প্রাধান্য দিতে হবে যে খাবারগুলো আপনার সারা দিনের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে পারে, তাই পর্যাপ্ত পরিমাণ শর্করা, আমিষ, এবং চর্বি গ্রহণ করা। মনে রাখবেন খাবার হতে হবে হালকা। খুব ভারী খাবার শরীরকে ভারী করে এবং পরবর্তীকালে ক্ষুধাও বেশি লাগে।

❎যে সব খাবার বর্জন করা উচিত -

-চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন।চিনি খুব তাড়াতাড়ি রক্তে চিনির মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং ওজন বাড়ায়।

-চা কফির মাত্রা কম হতে হবে।

-লবন পরিমাণ মতো খেতে হবে। বেশি খেলে পানির তৃষ্ণা বেশি লাগবে।শরীরে পানিশূন্যতা বেড়ে যাবে।

-তেলে ভাজা মুখরোচক খাবার বর্জন করুন।

সারাদিন রোজা রেখে আমাদের পাকস্থলী খুব ক্ষুধার্ত ও দুর্বল হয়ে যায়।এমন অবস্থায় যদি আমরা তেলে ভাজা মুখরোচক খাবার গ্রহণ করি তাহলে আমাদের অনেক রকম সমস্যা হতে পারে।

🔴যেসব সমস্যা হয়-

-অতিরিক্ত ভাজা পোড়া খাওয়া,পানি কম খাওয়া ও মেনুতে আঁশযুক্ত খাবার না রাখার কারনে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়।

-তরল খাবার কম গ্রহণের ফলে লো ব্লাড প্রেশার হয়।

-সারাদিন অভুক্ত থাকায় এসিডিটি হতে পারে।অতিরিক্ত তেল মশলা যুক্ত খাবার তা আরো বাড়িয়ে দেয়।এতে আলসার হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।

-অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ, বেশি তেল,চর্বি,মশলা যুক্ত খাদ্য গ্রহণের ফলে হজমে সমস্যা দেখা দেয়।

✅টিপস-

রোজায় প্রতিদিন দুটি গুরুত্বপূর্ণ ফল আপনার মেনুতে রাখুন।

কলা ও খেঁজুর।

খেঁজুরের মতো অলরাউন্ডার ফল খুব কমই আছে।এই ফলটি একই সাথে আঁশযুক্ত এবং চিনি,পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ।

কলাতে আছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং কার্বোহাইড্রেট।

3
$ 0.02
$ 0.02 from @aminul
Avatar for alma45
Written by
3 years ago

Comments