স্কুল জীবনে অবজ্ঞার স্বীকার মেয়েটিই আজ বিশ্বখ্যাত গবেষক – ছবির এই মেয়েটিকে হয়তো অনেকেই বাংলাদেশ টেলিভিশনে ডিবেট করতে দেখেছেন। তার নাম রেবেকা শাফি। ছোটবেলায় তার সঙ্গে কেউ মিশতে চাইত না চেহারা ভালো নয় বলে। সবাই তাকে অবজ্ঞার চোখে দেখত।
আপনি কি জানেন এই মেয়েটিই এখন বিশ্ববিখ্যাত বায়োমেডিক্যাল গবেষক।
চলুন তার পরিচয়টা একটু জেনে নেয়া যাক। আন্ডারগ্র্যাডঃ CGPA 4.00 out of 4.00 পদার্থবিজ্ঞান, ক্যালটেক।স্নাতকোত্তরঃ এস্ট্রোফিজিকস হার্ভার্ড। পিএইচডিঃ হার্ভার্ড (ব্ল্যাকহোলের ঘুর্ণন বিষয়ে)। এক সময় রাজধানীর ধানমন্ডিতে থাকতেন রেবেকা শফি। রেবেকার বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরা অধ্যাপক আহমেদ শফি, মা অধ্যাপিকা
সুলতানা শফি। রেবেকা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাচীনতম হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে জেনেটিকস নিয়ে পোস্ট ডকটরাল রিসার্চ করছেন। রেবেকার ছোট বেলার একটি ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটি রীতিমতো হৈচৈ ফেলে দিয়েছে। ২৬ বছর আগের সেই ভিডিও প্রশংসায় ভাসাচ্ছে তাকে। ভিডিওর ঘটনা ১৯৯৩ সালের। তখন স্কুলের একটি বিতর্ক প্রতিযোগিতার ফাইনালে বক্তব্য দেন রেবেকা। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে পুরস্কার দেন। ‘ছেড়ে দিয়েই জিতে যেতে চায়’ গত দুই দিন ধরে এই ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেউ কেউ একাধিকবারও শুনছেন সেই ভিডিও। সাধারণ মেয়ের স্কুলের অনুষ্ঠানের একটা বক্তব্য বলে মনে হলেও, তার গলায় যেন জাদু লুকিয়ে রয়েছে। তার কণ্ঠস্বর, তার উচ্চারণে মোহিত বাঙালি। মাত্র আড়াই মিনিটের বক্তব্যে রেবেকা বলেছেন, কীভাবে জীবনে সে একটার পর একটা ইচ্ছে বিসর্জন দিয়েছে, সে কথাগুলোরই উল্লেখ আছে। খুব সাধারণ কথায় জীবনটা বুঝিয়ে দিয়েছে মেয়েটি। সব শেষে বলেছে, ‘একজন সৎ, পরিশ্রমী বিবেকবান মানুষ হতে পারলেই আমি খুশি। ছেড়ে দিয়ে আমি জিতে যেতে চাই।’
এখন রেবেকা জেনেটিকসের একজন রিসার্চ ফেলো। এনডিমিয়া নামে এক পুত্র সন্তানের মা তিনি। নিউরোসায়েন্সের ইন্টারসেকশন নিয়ে তিনি কাজ করছেন হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলে। দীর্ঘ
দিন পর ভিডিওটি দেখে চমকে যান রেবেকাও। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, নিজের ১৫ বছর বয়সের ভিডিও দেখে আমি অবাক, পুরনো দিনে ফিরে যাচ্ছি।