🔴নিম্ন রক্তচাপ (Hypotension)হাইপোটেনশন🔴
মানব দেহের রক্ত সংবাহন তন্ত্রের এমন একটি অবস্থা যেখানে রক্তের সিস্টোলিক চাপ ৯০ মি.মি. পারদের নিচে এবং ডায়ালস্টিক চাপ ৬০ মি.মি. পারদের নিচে থাকে ক্লিনিক্যালি তখনই নিম্ন রক্তচাপ (Low Blood Pressure) বলে।
এটি সচরাচর রোগের থেকে স্বাভাবিক শারীরতান্ত্রিক অবস্থা।যাদের রক্তচাপ (Blood Pressure) অস্বাভাবিক হারে কম,তাদের হৃদক্রিয়া, অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি, কিংবা মস্তিষ্কজাত সমস্যা থাকতে পারে।এই রক্তচাপ বজায় থাকলে মস্তিষ্ক এবং অন্যান্য অত্যাবশকীয় (Vital) অঙ্গে রক্ত সরবরাহ কম থাকার কারণে সেখানে অক্সিজেন ও পুষ্টির অভাব হতে পারে।যা জীবনের জন্য হুমকির কারণ হতে পারে,এরুপ অবস্থাকে শক(Shock) বলে।
♦লক্ষণ ♦
▪মাথা ঘোরা, দুর্বল লাগা,চোখে ঘোলা দেখা,কাজে অমনোযোগী হওয়া।
▪নাড়ি বা পালস্ এর গতি অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়া।
▪খুব বেশি পানি তৃষ্ণা।
▪বুকে ব্যাথা, মাথা ব্যাথা।
▪ঘন ঘন বা দ্রুত শ্বাস প্রশ্বাস নেয়া।
🔶কারণ🔶
🔸শরীরে রক্তের পরিমাণ কমে যাওয়া /রক্তস্বল্পতা।
🔸ঠিক মতো না খাওয়া বা দীর্ঘসময় উপোস থাকা।
🔸অপর্যাপ্ত পানি পান, বমি, ডায়রিয়া সহ যে কোন কারণে পানি শূন্যতা।
🔸অতিরিক্ত পরিশ্রম, দুশ্চিন্তা, ভয়।
🔸হরমোনের তারতম্য।
🔸হার্ট এ্যাটাক হওয়া বা হার্ট পাম্প করতে না পারা।
🔸ঔষধের পার্শ্ব -প্রতিক্রিয়া।
🔷নিম্নরক্তচাপ বা লো -ব্লাড প্রেসারের ( Hypotension /Low Blood Pressure) হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা 🔷
🌿থেরিডিয়ন
🌿জেলসিমিয়াম
🌿ক্যালিফস - সহ আরো বহু ঔষধ রয়েছে লক্ষণ ভেদে।
তবে প্রাথমিক ভাবে কারো যদি ব্লাড প্রেসার কমে যায় তাহলে➡ 🔹দ্রুত তাকে গাঁয়ের কাপড় ঢিলা করে বাতাস আছে এমন জায়গায় বসাতে হবে
🔹পানি, শরবত, ডাবের পানি, ফলের জুস এসব তরল পানীয় খাওয়াতে হবে তাহলে শরীরে তরলের ঘাটতি পূরণ হয়ে অনেকটাই সুস্থ্য বোধ করবে।
🔹এবং নিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপন ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস নিশ্চিত করতে হবে সব সময়। তাহলেই নিম্ন রক্তচাপ /লো ব্লাড প্রেসার (Hypotension) এর সমস্যা থেকে দূরে থাকা সম্ভব।