মৃত্যুহারের সঙ্গে ভিটামিন ‘ডি’র যোগসূত্র খুঁজে পাচ্ছেন গবেষকরা

1 9
Avatar for alma45
Written by
3 years ago

#করোনা ভাইরাসে (#কোভিড_১৯) মৃত্যুহারের সঙ্গে ভিটামিন ‘ডি’র যোগসূত্র খুঁজে পাচ্ছেন গবেষকরা।@😷😷

#ভিটামিন_ডি

ইহা এমন এক প্রকার ভিটামিন যা সূর্যালোক এর উপস্থিতিতে মানবদেহের চর্মে উৎপন্ন হয়।

উৎস:

-সুর্য আলোক রশ্মির উপস্থিতিতে মানবদেহের চর্মে উৎপন্ন হয়।

-ভোজ্য তেল, দুগ্ধ ও দুগ্ধ জাতীয় খাদ্য, বিভিন্ন মাছের তেল, ডিমের কুসুম, মাখন,ঘি, চর্বি এবং ইলিশ মাছের তেলে পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়।

কাজ:

+অস্থি ও দাঁতের কাঠামো গঠন।

+অন্ত্রে ক্যালসিয়াম এর শোষণ বাড়ায়।

+রক্ত প্রবাহে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

#অভাবজনিত রোগ

রিকেটস্

#লক্ষণসমূহ:

+ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম এর অভাবে শিশুর হাড় নরম হয়ে যায় এবং বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।

+পায়ের হাড় ধনুকের মত বেঁকে যায় এবং দেহের চাপে অন্যান্য হাড়গুলোও বেঁকে যায়।

+হাত ও পায়ের অস্থিসন্ধি বা গিট ফুলে যায়।

+বুকের হাড় বা পাজরের হাড় বেঁকে যায়।

#প্রতিরোধ:

+শিশুকে ভিটামিন “ডি” সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ানো।

+ শিশুকে কিছুক্ষণের জন্য সূর্যের নরম আলোয় বিশেষ করে সকাল ও বিকাল বেলা খেলাধুলা করতে দেওয়া।

#অস্টিও #ম্যালেশিয়া

বয়স্কদের রিকেটস্ অস্টিও ম্যালেশিয়া নামে পরিচিত।

#লক্ষণসমূহ:

+অন্ত্রে ক্যালসিয়াম শোষণে বিঘ্ন ঘটে।

+ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস এর সঞ্চয় কমতে থাকে।

+থাইরয়েড গ্রন্থির কাজের পরির্বতন ঘটে।

+অস্থি দূর্বল ও কাঠিন্য কমে যায় ফলে হালকা আঘাতে +অস্থি ভেঙে যাওয়ার সম্ভবনা অনেক বেশি।

#প্রতিরোধ:

উপযুক্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন “ডি” যুক্ত খাবার গ্রহণ করা।

#ভিটামিন ডি এর অভাব

ভিটামিন ডি এর অভাব অনেকের মাঝেই দেখা যায়। অনেক সময় দেখা যায় বেশিরভাগ মানুষই এর সম্পর্কে সচেতন নয় বা বুঝতেও পারেন না যে তাদের মাঝে এর অভাব রয়েছে কিনা। তাই আশা করছি এই লেখাটি পড়ার পর অনেকেই হয়তো বুঝতে পারবেন। যদি উল্লেখিত লক্ষণগুলোর কোনোটি কারো মাঝে প্রকাশ পায় তবে অবিলম্বে ভিটামিন ডি এর মাত্রা পরীক্ষা করা প্রয়োজন। ভিটামিন ডি এর অভাবজনিত কয়েকটি লক্ষণ-

#হাড়_ও_পেশীর_দুর্বলতা:

ভিটামিন ডি দাঁত, হাড় ও পেশীর জন্য খুবিই প্রয়োজনীয় তাই এর অভাবের ফলে হাড়, পেশী বা দাঁত দুর্বল হয়ে যেতে পারে।

#বিষন্নতায়_ভোগা:

গবেষণায় দেখা যায় মনমরা থাকা ও বিষন্নতায় ভোগা নারীদের মাঝে ভিটামিন ডি এর মাত্রা কম থাকে।

#প্রচণ্ড ব্যাথা থাকা:

দেহে অপর্যাপ্ত ভিটামিন ডি এর কারণে দীর্ঘস্থায়ী ব্যাথা থাকে শরীরে।

#দীর্ঘস্থায়ী মাড়ির রোগ:

ভিটামিন ডি এর অভাবগ্রস্থ মানুষের মাঝে মাড়ি ফুলে যাওয়া, লাল হয়ে থাকা এবং রক্তপাত হওয়া বেশি দেখা যায়।

#উচ্চ_রক্তচাপ থাকা:

হাড়, পেশী ও দাঁত ছাড়াও হার্ট ও ভিটামিন ডি এর উপর নির্ভরশীল। তাই যদি রক্তচাপের মাত্রা বেড়ে যায় তাহলে তা ভিটামিন ডি অভাবে হতে পারে।

#ক্লান্তবোধ ও বেশি ঘুম পাওয়া:

দিনের বেলা কাজের শক্তি না পাওয়া বা ঘন ঘন একটানা ক্লান্তিবোধ কারো মাঝে দেখা গেলে বুঝতে হবে তার দেহে ভিটামিন ডি এর মাত্রা কম।

#আচমকা মেজাজের পরিবর্তন:

সেরোটোনিন বা সুখবোধের হরমোন আমাদের মেজাজ নিয়ন্ত্রনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে আর এই হরমোনের উৎপাদন ভিটামিন ডি এর দ্বারা প্রভাবিত।

#সহ্যশক্তি কমে যাওয়া:

গবেষণায় দেখা গেছে যে, ভিটামিন ডি এর অভাব থাকা ক্রীড়াবিদরা সন্তোষজনক ফলাফল করতে পারেন না এবং অন্যান্য ক্রীড়াবিদের তুলনায় তাদের শক্তির মাত্রাও কম থাকে।

#ওজনাধিক্য:

মানুষের দেহের চর্বি কোষে সঞ্চিত ভিটামিন ডি হচ্ছে চর্বিতে দ্রবনীয় ভিটামিন। তাই বেশি ওজনের বা স্থূল মানুষের বেশি ভিটামিন ডি এর প্রয়োজন হয়।

#আন্ত্রিক_জটিলতা:

ভিটামিন ডি মাত্রা যাদের মাঝে কম রয়েছে তাদের অন্ত্রে চর্বির শোষণ, সেলিয়াক ও নন সেলিয়াক গ্লুটেনের সংবেদনশীলতা এবং প্রদাহ জনক পেটের রোগ ইত্যাদি সমস্যায় ভুগতে হয় বেশি।

#মাথা_ঘামা:

ভিটামিন ডি এর একটি প্রাথমিক ও সাধারণ লক্ষণ হচ্ছে অতিরিক্ত মাথা ঘামা।

#অ্যালার্জি:

দেহে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি থাকলে উল্লেখযোগ্য হারে অ্যালার্জির মাত্রা কমে যায়। প্রায় ৬০০০ মানুষের উপর পরিচালিত একটি সমীক্ষায় দেখা যায় ভিটামিন ডি এর মাত্রা যাদের কম থাকে তারা বেশি অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হোন। ভিটামিন ডি এর উৎস।

#সূর্য_রস্মির_ভিটামিন:

ভিটামিন ডি হচ্ছে সূর্য রস্মির ভিটামিন। সূর্যের আলোতে থেকে পর্যাপ্ত পরিমান ভিটামিন ডি পাওয়া সম্ভব। বয়স, ত্বকের রঙ, ঋতু, দিনের সময় সহ বেশ কিছু কারণ এবং সেই সঙ্গে সানস্ক্রিনের ব্যবহারই নির্ধারণ করে যে সূর্যের আলো আমাদের কতটুকু দরকার। তবে দেহে ভিটামিন ডি তখনই তৈরি হয় যখন দেহ অরক্ষিত থাকে অর্থাৎ সানস্ক্রিন দেয়া না থাকে বা অন্য কোনো ভাবে রক্ষিত না থাকে। তাই যদি প্রতিদিনের ডোজ সূর্য রস্মির ভিটামিন থেকে নিতে হয় তাহলে কমপক্ষে ১০-১৫মিনিট রোদে থাকতে হবে। চাইলে এর চেয়ে বেশিও থাকা যায় (দিনে ২০-৩০ মিনিট) যদি ত্বকের সমস্যা না হয় তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে ত্বক যেন রোদে পুড়ে না যায়।

ভিটামিন ‘ডি’র অভাব:

ভিটামিন ‘ডি’র উপসর্গ বিভিন্ন রোগের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। বোঝা মুশকিল। আমরা সবকিছু করলাম। ভিটামিন ডি ২৫ হাইড্রোক্সি লেভেলটা আমরা মাপি। দেখা যাচ্ছে, অনেকের ১৮/১০-এ নেমে এসেছে বা আরো কমে গেছে। সাধারণত ২০ থেকে ৫০ পর্যন্ত থাকলে সেটি স্বাভাবিক। সেটি যখন ২০-এর নিচে চলে যায়। দেখা যায় খুব ক্লান্ত লাগে। আর যাঁরা বয়স্ক হয়ে গেছেন, মেনোপজাল এইজ, তাঁদের ভিটামিন ডি নিয়মমাফিক মাপি। আর সবার হয়তো সেভাবে মাপি না। অন্য সবকিছু যদি ঠিক থাকে, এরপরও যদি সমস্যা হয়, তখন এটি মাপি।

#কোন সময়ের রোদে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।

+সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত রোদ সবচেয়ে ভালো। এই সময় সূর্যের যে আলো আসে, সেটি ভালো। কেবল শীতকাল নয়, সব ঋতুতেই যদি আমরা কিছুক্ষণ রোদে বসি, পাঁচ মিনিট থেকে আধা ঘণ্টা পর্যন্ত সপ্তাহে দুবার, তাহলে উপকৃত হওয়া যায়।

##সূর্যের আলোতে কি আসলেই ভিটামিন ডি থাকে?🤔🤔

আমার ধারণা এখনো অনেক মানুষ মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন সূর্যের আলো হল ভিটামিন ডি এর উৎস বা সূর্যের আলোতে ভিটামিন ডি থাকে। এ ধারণার উৎস মনে হয় প্রাথমিকের সাধারণ বিজ্ঞান বই। আমি জানিনা এখন এ তথ্যটি সংশোধন করা হয়েছে কিনা,

তবে আমার ভালো মনে আছে আমাদের সময়ে কোন এক ক্লাসের বিজ্ঞান বইতে লিখা ছিল “সূর্যের আলোতে ভিটামিন ডি থাকে”।

যারা এখনো এটি জানেন এবং বিশ্বাস করেন তাদের জন্য দুঃসংবাদ হল, এটি একদম ভুল তথ্য। 😱😱

😐সঠিক তথ্য হল, সূর্যের আলোতে থাকা অন্যান্য অনেক উপাদানের মধ্যে একটি হল “অতিবেগুনী রশ্মি” বা আল্ট্রাভায়োলেট লাইট যার তরঙ্গ দৈর্ঘ্য হল ২৭০-৩০০ ন্যানোমিটার। এই রশ্মিটি আমাদের ত্বকে থাকা ৭- ডি হাইড্রোকলেস্টেরল কে ভিটামিন ডি৩ তে রুপান্তর করে। তার মানে ভিটামিন ডি তৈরির আসল উপাদান ৭- ডি হাইড্রোকলেস্টেরল আমাদের শরীরেই থাকে, সূর্যের আলোতে নয়। সূর্যের আলোর আল্ট্রাভায়োলেট লাইট শুধুমাত্র প্রভাবক হিসাবে কাজ করে ৭- ডি হাইড্রোকলেস্টেরলকে ভিটামিন ডিতে রুপান্তর করার জন্য।

এখন প্রশ্ন হল সূর্যের আলোকে ব্যবহার করে ভিটামিন ডি তৈরি করতে আমাদের দিনে/সপ্তাহে কতক্ষণ সূর্যের আলোতে থাকা উচিত এবং কোন সময়ের আলোতে বেশী আল্ট্রাভায়োলেট লাইট থাকে?

#শুনে অবাক হবেন, মাত্র ৫-৩০ মিনিট সূর্যের আলোই যথেষ্ট। এভাবে সপ্তাহে দুবার সূর্যের আলোর সংস্পর্শে থাকলেই হবে । 🌞🌞

#যাদের গায়ের রঙ কালো তাদের এই রেঞ্জের শেষের দিকে থাকতে হবে।🖤🖤

#তবে সানস্ক্রিন মেখে আলোতে থাকলে কোন লাভ নাই। সানস্ক্রিনের কাজ হল আপানার ত্বককে আল্ট্রাভায়োলেট লাইট থেকে সুরক্ষা দেয়া।

তার মানে সানস্ক্রিন মাখা ত্বকে ভিটামিন ডি তৈরি হবেনা। 🤦‍♀

#জানালার কাঁচ দিয়ে যে আলো আসে সে আলোতে আল্ট্রাভায়োলেট লাইট থাকেনা কারণ কাঁচ প্রায় সব আল্ট্রাভায়োলেট লাইট শুষে নেয়।🏫

#তাই, আপানার ত্বকে ভিটামিন ডি তৈরি করতে হলে আপনার মুখ, হাত ও পা কোন আবরণ বা সানস্ক্রিন ছাড়া কিছুক্ষন সূর্যের আলোতে রাখলেই আপনি পেয়ে যাবেন আপনার জন্য যতটুকু দরকার ভিটামিন ডি।

#তবে খুব সকালের এবং শেষ বিকেলের আলোতে আল্ট্রাভায়োলেট লাইট কম থাকে বলে এই সময় ভিটামিন ডি কম তৈরি হয়।

#সবচেয়ে ভালো সময় হল সকালের শেষ দিক থেকে দুপুরের সময়টা। তবে সাবধান, আল্ট্রাভায়োলেট লাইট আপনার ভিটামিন ডি তৈরিতে সাহায্য করলেও, এর অতিরিক্ত এক্সপোজার আপনার ত্বকের ক্যান্সার তৈরি করতে পারে। তাই বেশিক্ষণ সূর্যে আলোতে থাকতে হলে হাত, পা ঢেকে রেখে বা সানস্ক্রিন মেখে কাজ করা ভালো।

#শীতের দিনেও সূর্যের আলোতে কম আল্ট্রাভায়োলেট লাইট থাকে, তাই শরীরে কম ভিটামিন ডি তৈরি হয়।

@@ভিটামিন ডির উৎস যাই হোক, এই ভিটামিন খুব জরুরী এবং এর ঘাটতি খুব মারাত্মক সমস্যা তৈরি করে।

@@ভিটামিন ডি ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে। তাই এই ভিটামিনের ঘাটতি হলে ক্যালসিয়াম শোষণ হয়না, ফলে হাড়ের রোগ যেমন বাচ্চাদের রিকেটস এবং বড়দের অস্টিওম্যালাসিয়া দেখা দেয়। তাই সাপ্লিমেন্ট হিসবে ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম একসাথে বাজারজাত করা হয়। এদের একটি ছাড়া আরেকটি অচল।

ভিটামিন ডি হলো ফ্যাট সলিউবল। সে জন্য চর্বিযুক্ত মাছে ভিটামিন ডি থাকে। স্যামন, ম্যাকারল, মাংসের লিভার, মাছের তেল, পনির, সয়া, কমলার জুস ইত্যাদিতে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। এ ধরনের খাবার যারা নিয়মিত নিতে পারে না, তাদের জন্য সাপ্লিমেন্ট দরকার। প্রতিদিন যদি ১০০ থেকে ৪০০ ইন্টারন্যাশনাল লিমিট দিয়ে থাকি, বাচ্চা থেকে ৭০ বছর বয়স পর্যন্ত, তাহলে সেই রোগ হবে না। সেটা হলো স্বাভাবিক সাপ্লিমেন্ট। যখন ভিটামিন ‘ডি’র অভাব হয়ে যায়, তখন এর চেয়ে বেশি বাড়িয়ে দিতে হয়। অনেক সময় দেখা যায়, পাঁচ হাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিট আমরা দিই। ভিটামিন ‘ডি’র অভাব হলে হাড়গুলো নরম হয়ে যায়। তাই ভিটামিন ডি খুব দরকার।

ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার:

ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খুব কম। যদি দেখা যায় ভিটামিন এর অপর্যাপ্ততা বেশি বেড়ে জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে তবে কয়েকটি খাবার মিলিয়ে ভিটামিন ডি কে শক্তিশালী করে খেতে হবে।

প্রাকৃতিক উৎস:

ডিমের কুসুম-চিংড়ী মাছ-স্যামন মাছ-সারডিন মাছ-কড লিভার অয়েল🍣🍤🍳

সম্পুরক উৎস:

দই-দুধ-পনির-কমলার জুস-মাশরুম-সিরিয়াল ইত্যাদি।ভেজিটারিয়ানদের জন্য সবচেয়ে ভালো অপশন হল মাশরুম। মাশরুমে প্রচুর ভিটামিন ডি২ থাকে। আর একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে দেহের ভিটামিন ডি এর পরিমান বাড়াতে হলে খাবারের সঙ্গে যথেষ্ট পরিমাণ ভিটামিন কে গ্রহণ করা প্রয়োজন। তাই উপরোক্ত লক্ষণ গুলোর মাঝে কোন একটি যদি দেখা যায় তবে অবশ্যই ভিটামিন ডি এর মাত্রা পরীক্ষার জন্য ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। আর যখন দেহে ভিটামিন ডি এর মাত্রা বজায় রাখার প্রয়োজন হয় তখন রোদের মাধ্যমে,খাবারের মাধ্যমে বা সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করে হলেও ভিটামিন ডি এর পরিমান বাড়াতে হবে। তবে সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার যদি প্রয়োজন হয়ই সেক্ষেত্রে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে ভালো মানের সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার। বিভিন্ন ধরনের সাপ্লিমেন্ট বাজারে পাওয়া যায় সবগুলো ভালোমান সম্পন্ন নয় তাই সতর্ক ভাবে দেখে কিনতে হবে।🍶🍰

@@শরীরে অতিরিক্তমাত্রায় ভিটামিন ‘ডি’

প্রাকৃতিক খাদ্যাভ্যাস মেনে চলার মাধ্যমেই শরীরে ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হয়। কিন্তু এই ভিটামিন যদি শরীরে অতিরিক্ত মাত্রায় হয় তাহলে শরীর আর সুস্থ থাকে না। ভিটামিন ‘ডি’ শরীরের জন্য খুব প্রয়োজন। কেননা ‘ডি’ এর অভাবে শরীরে রিকেট রোগ দেখা দিতে পারে। সে কারণেই অনেকেই বেশি পরিমাণে ভিটামিন ‘ডি’ সংযোজন করে ফেলেন। যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই খারাপ।

শরীরে অতিরিক্তমাত্রায় ভিটামিন ‘ডি’ হলে যেসব সমস্যা দেখা দেয়-

১) ক্যালসিয়ামের মাত্রা বেড়ে যাবে

ভিটামিন ‘ডি’ আপনার শরীরের মধ্যে ক্যালসিয়াম শোষণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন ‘ডি’ শরীরে বেশি পরিমাণে গেলে ক্যালসিয়ামের মাত্রাও বাড়বে। যার ফলে ঘন ঘন প্রস্রাব, বমি বমি ভাব, হজমের সমস্যা, অত্যধিক তৃষ্ণার সমস্যা হতে পারে।

২) হাড়ের ঘনত্ব হ্রাস

ভিটামিন ডি-র উচ্চ মাত্রা হাড়ের ঘনত্বের ক্ষতি হতে পারে। অতিরিক্ত ভিটামিন ‘ডি’ ভিটামিন কে-এর পরিমাণ কমায়। ভিটামিন কে রক্ত ​​থেকে ক্যালসিয়াম নিয়ে হাড়ের মধ্যে তা সঞ্চারণ করে। তাই যদি ক্যালসিয়াম দেহে প্রবেশ করলেও যতক্ষণ না তা হাড় দ্বারা শোষিত হচ্ছে এটি আপনার রক্তেই থেকে যায়।

৩) কিডনির সমস্যা

রক্তে উচ্চ ভিটামিন ‘ডি’ আপনার কিডনিকেও প্রভাবিত করতে পারে। রক্তে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম কিডনিতে পাথর তৈরি করতে পারে।

৪) হজমের কষ্ট

শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার 80% নির্ভর করে পাচনতন্ত্রের উপর। ভিটামিন ‘ডি’ বেশি হলেই পেটে মোচড় হতে পারে, বমি বমি ভাব এবং হজমের অন্য সমস্যাও দেখা যেতে পারে। হঠাৎ ওজন কমে যাওয়াও এর লক্ষণ।

৫) দুর্বল এবং ক্লান্ত পেশী

ভিটামিন ‘ডি’–র উচ্চমাত্রা ক্লান্তির সাথে সম্পর্কযুক্ত। হাড়ের বদলে রক্তে ক্যালসিয়ামের উচ্চ মাত্রার কারণেই এমনটা হয়। আয়রন ও প্রোটিন না পাওয়ার কারণে পেশীর পুষ্টি হয় না।

৬) কোষ্ঠকাঠিন্য

ভিটামিন ‘ডি’ বেশি হলে মলত্যাগে কষ্ট হয়। পেটে ব্যথাও হতে পারে।

৭) খাওয়ার রুচি কমিয়ে ‍দিবে

শরীরে অতিরিক্ত ভিটামিন ‘ডি’ খাওয়ার রুচি কমিয়ে আনে। এতে শরীরে পানিশূন্যতা ও পুষ্টির অভাব দেখা দেয়।

3
$ 0.03
$ 0.03 from @TheRandomRewarder
Avatar for alma45
Written by
3 years ago

Comments

Vitamin D jemon Amader soril ayrjonno vlo temon e khoti kore tai.. amader ai dike jibon onno dike mourner karon hoay gese...

$ 0.00
3 years ago