মহাশূণ্য অথবা মহাকাশ বলতে সাধারণভাবে মাথার উপরকার অনন্ত আকাশ বোঝানো হলেও বস্তুত পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলসমৃদ্ধ আকাশকে পৃথিবীর আকাশ বলা হয়। তাই পৃথিবীর প্রেক্ষাপটে মহাকাশ হলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বাইরের অনন্ত স্থান। এ আকাশসীমায় অতি অল্প ঘনত্বের বস্তু বিদ্যমান। অর্থাৎ শূন্য মহাশূন্য পুরোপুরি ফাঁকা নয়। প্রধানত, অতি অল্প পরিমাণ হাইড্রোজেন প্লাজমা, তড়িৎচুম্বকীয় বিকিরণ, চৌম্বক ক্ষেত্র এবং নিউট্রিনো এই শূন্যে অবস্থান করে। তাত্ত্বিকভাবে, এতে কৃষ্ণবস্তু এবং কৃষ্ণশক্তি বিদ্যমান।মহাশূন্য এমন অনেক কিছু আছে যা মানুষ এখনও কল্পনা করতে পারেনি।
মহাকাশ আমাদের সব সময় টানে। কত রহস্য লুকিয়ে আছে এখানে। কোথা থেকে কীভাবে এর উদ্ভব? রাতের আকাশে কীভাবে উল্কাবৃষ্টি হয়, কেন হ্যালির ধূমকেতু প্রতি ৭৬ বছর পর একবার করে সূর্যকে ঘুরে যায়। সুপারনোভার মধ্যে লুকিয়ে আছে কত অজানা রহস্য। এসব জানার আগ্রহ আমাদের সবার।
আর এই আগ্রহকেই প্রাধান্য দিয়ে লেখক "অচেনা মহাকাশ ভেতরের কথা"বইটি লিখেছেন।আর যেখানে মহাকাশের জানা অজানা সব বিষয়কে খুব নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।বইটি ঠোটদের জন্য হলেও যারা মহাকাশের একদম শুরু থেকে জানতে চান তাদের জন্য খুবই উপকারী হবে বইটি।
লেখক বিজ্ঞান গ্রন্থ লিখে পাঠকের কাছে বেশি জনপ্রিয়।আর এই বইটিও জনপ্রিয় বিজ্ঞান গ্রন্থ সিরিজের একটি গ্রন্থ।অচেনা আকাশ নিয়ে জানার তৃষ্ণা মেটাতে এই বইটি খুবই উপকারী হবে বলে মনে হয়েছে।