করোনা ভাইরাস (#কোভিড_১৯)

0 6
Avatar for alma45
Written by
3 years ago

#করোনা ভাইরাসে (#কোভিড_১৯) একমাত্র প্রতিষেধক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।

#ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা :

-ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম বেশি আমাদের সকলেরই আছে। বয়সের সাথে সাথে যা কমতে থাকে। বয়স বৃদ্ধির ফলে আমাদের দেহে পুষ্টির অভাব দেখা দেয়। যার কারণে বয়স্ক ব্যক্তিদের রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায় বেশি।

- শিশু ও কম বয়সী মানুষদেরও মাঝেমাঝে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কম থাকে। ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই জরুরি।

- রোগ প্রতিরোধ করার জন্য পর্যাপ্ত শক্তি না থাকলে যে কোন রোগেই জর্জরিত হয়ে যেতে পারেন আপনি। ভাইরাস ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণও তখন বেশি হয়।

-ইমিউন সিস্টেমে ঘাটতি দেখা দিলে সারা বছরই রোগে ভুগতে হয় মানুষদের। পর্যাপ্ত শক্তি না থাকার ফলে দৈনন্দিন কাজেও ব্যাঘাত ঘটতে পারে।

-নানান কারণে আমাদের দেহের শক্তি বা রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কমে যেতে পারে। তখন দেহে নানান ঘাটতি দেখা দেয়।

#প্রাইমারী ইমিউনোডেফিসিয়েন্সী একটি নির্দিষ্ট রোগ নয় বরং কতগুলো বিরল রোগের সমষ্টি। প্রায় বারোশো জনে একজনের মধ্যে এই সমস্যা দেখা যায়। ছোট বড় নির্বিশেষে প্রাইমারী ইমিউনোডেফিসিয়েন্সী হতে পারে, আর এর লক্ষণও প্রায় একই।

দ্রুত রোগ নির্ণয়ের জন্য এই লক্ষণগুলোকে চেনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই দেখে নিন এরকম জরুরী কতগুলো লক্ষণ -

#শিশুদের লক্ষণ

১. #এক বছরের মধ্যে চার বা তার চেয়ে বেশী বার কানের ইনফেকশন হওয়া।

২. এক বছরের মধ্যে দুই বা তার চেয়ে বেশী বার সাইনাসের সমস্যা হওয়া।

৩. দুই মাস বা তার বেশী সময় অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার পরও কাজ না করা।

৪. এক বছরের মধ্যে দুই বা তার বেশী বার নিউমোনিয়া হওয়া।

৫. বার বার চামড়ার গভীরে বা দেহের ভেতরে পুঁজ জমা।

৬. শিশুর ওজন এবং শারীরিক বৃদ্ধি ঠিকভাবে না হওয়া।

৭. মুখের ঘা বা ত্বকের ছত্রাক সংক্রমণ সহজে ভালো না হওয়া।

৮. #জীবাণু সংক্রমণ থেকে মুক্তির জন্য বার বার অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন প্রয়োগের প্রয়োজন হয়।

৯. দুই বা তার বেশী বার রক্তে কিংবা দেহের ভেতরে জীবাণু সংক্রমণ হয়।

১০। পরিবারে আর কারো প্রাইমারী ইমিউনোডেফিসিয়েন্সী হবার ইতিহাস থাকা।

#বড়দের লক্ষণ

১. এক বছরের মধ্যে চার বা তার চেয়ে বেশী বার কানের ইনফেকশন হওয়া।

২.অ্যালার্জির সমস্যা না থাকা সত্ত্বেও এক বছরের মধ্যে দুই বা তার চেয়ে বেশী বার সাইনাসের ইনফেকশন হওয়া।

৩. প্রতি বছর অন্তত একবার নিউমোনিয়া হওয়া।

৪. দীর্ঘদিন ধরে ডায়রিয়া এবং ওজন কমে যাওয়া।

৫. বার বার ভাইরাসের সংক্রমণ যেমন সর্দিকাশি, হার্পিস ইত্যাদি।

৬. জীবাণু সংক্রমণ থেকে মুক্তির জন্য বার বার অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন প্রয়োগের প্রয়োজন হওয়া।

৭. বার বার চামড়ার গভীরে বা দেহের ভেতরে পুঁজ জমা।

৮. মুখের ঘা, ত্বক বা অন্যান্য স্থানের ছত্রাক সংক্রমণ সহজে ভালো না হওয়া।

৯. সাধারণত ক্ষতি করে না এমন জীবাণু দিয়ে সংক্রমণ সৃষ্টি হওয়া।

১০. পরিবারে আর কারো প্রাইমারী ইমিউনোডেফিসিয়েন্সী হবার ইতিহাস থাকা।

এগুলোর মধ্যে যে কোন দুটি বা তার বেশী লক্ষণ দেখতে পেলে দেরী না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। আসলে আমাদের অসুস্থ হওয়ার মূল কারণ হল- শরীরে সঠিক পরিমাণে পুষ্টির অভাব। আর, এই পুষ্টির অভাব বা ঘাটতি হয় মূলত সঠিক খাদ্যাভ্যাস না থাকলে।

#রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কেন কমে।

খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনলে ও কায়িক পরিশ্রম করলে এই ঘাটতি পূরণ হতে পারে। তবে আগে আমাদের জানা উচিত কেন আমাদের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কমে যায়। চলুন তাহলে জেনে নেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউন সিস্টেমে ঘাটতি কেন দেখা দেয়!

#অতিরিক্ত চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাদ্য আপনার রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কমিয়ে দেয় খুব জলদি। বাইরের কোমল পানীয়, টমেটো সস ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে। তাই খাদ্য তালিকা থেকে এসব বাদ দিতে হবে।

#অতিরিক্ত স্ট্রেস বা দুশ্চিন্তা খুব বাজেভাবে আপনার রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কেড়ে নেয়। তাই প্রয়োজনের অতিরিক্ত টেনশন করে দেহের ক্ষতি করবেন না।

#অতিরিক্ত পরিশ্রম কখনোই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। অতিরিক্ত কাজের চাপ আপনাকে মানসিকভাবে ভেঙ্গে দেয়। ফলে অচিরেই আপনি রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন।

#ধূমপান বন্ধ করুন

সিগারেটের বক্সেই লেখা থাকে ধূমপান মৃত্যু ঘটায়। সুতরাং ধূমপানের অপকারিতা আমাদের না বললেও চলবে। ধূমপান করলে, আপনার দেহ রোগ জীবাণুর জন্য অভয়াশ্রমে পরিণত হবে। দেহকে রোগ জীবাণু থেকে মুক্ত রাখতে হলে আজকে থেকে ধূমপান পরিহার করুন আর দেখুন আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কতখানি বেড়ে গিয়েছে।

#মাদকদ্রব্য পরিহার করুন

মাদকদ্রব্য কোন খাদ্য নয়, মাদকদ্রব্য হল বিষ। দীপক সরকার, এম ক্যাথরিন জং, এইচ জো ওয়াং এই তিনজন বিখ্যাত বিশেষজ্ঞ মাদকদ্রব্য রোগ প্রতিরোধে কোন প্রভাব ফেলে কিনা; তার গবেষণা করেন। গবেষণায় মাদকদ্রব্যর কোন উপকারিতা আসেনি, বরং বিভিন্ন রোগের কারণ হিসাবে দেখা গেছে। মাদকদ্রব্য নিউমোনিয়া, লিভারের রোগ এমনকি ক্যান্সরের কারণ।

#পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমান

ঘুমের অভাবে শরীরে টি কোষের কার্যকলাপ হ্রাস হয়ে যায়। ফলে, আপনার দেহে থাকা কোষগুলো রোগ জীবাণুর সাথে যুদ্ধ করে জয়ী হতে পারে না। আপনার রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ দুর্বল করে দেয় কম ঘুম বা পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব। প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন, এটা সকলের জন্যেই প্রয়োজন।

#ওজন ঠিক রাখুন

অতিরিক্ত ওজন শরীর ও মন দুটোর জন্যই মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। বেশি বা অস্বাভাবিক ওজনের কারণে ডায়াবেটিস, হার্টে রোগ, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, অস্টিওআর্থ্রাইটিস নামক রোগ হয়ে থাকে। বুঝতেই পারছেন এ-সব রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে, যখন আপনার ওজন বৃদ্ধি পায়।

#ভেষজ ঔষধকে গুরুত্ব দিন

অসুস্থ্য হলে আমরা সাধারণত যে সকল ঔষধ খেয়ে থাকি, সেগুলোর প্রায় প্রতিটিরই কোন না কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। বিশেষ করে, এন্টি-বায়োটিক জাতীয় প্রায় সকল ঔষধের সাইড ইফেক্ট আছে। আর সবচেয়ে বড় ইফেক্টিই হচ্ছে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে দূর্বল করে দেয়া।

কাজেই, অসুস্থ হলে ভেষজ ঔষধ খাওয়ার চেষ্টা করুন। ভেষজ ঔষধের কোন পার্শপ্রতিক্রিয়া থাকে না। ফলে, আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হওয়ার কোন সুযোগ থাকে না। তাই, সব সময় ভেষজ ঔষধকে প্রাধান্য দিন।

#রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কিভাবে বাড়ানো যায়?

আরো নানা কারণে আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কমে যেতে পারে। যে কারণেই হোক না কেন, রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বা ইমিউন সিস্টেম বারানোর জন্য কিছু সামান্য পরিবর্তনই আমাদের জন্য যথেষ্ট হবে। তাহলে চলুন জেনে নেই কী কী উপায়ে আমরা আমাদের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বাড়াতে পারবো।

#প্রোটিন

+প্রোটিন গ্রহণ করা খুবই প্রয়োজন। প্রোটিন আমাদের দেহের বিভিন্ন ঘাটতি পূরণ করে। বিভিন্ন রোগ বালাই মোকাবেলা করতে প্রোটিনের জুড়ি নেই।

+ শরীরের অভ্যন্তরীণ শক্তি বাড়াতেও প্রোটিন বেশ কার্যকরী।

+রোগ বালাই, ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঠেকাতে উন্নত মানের প্রোটিন গ্রহণ করা অতীব জরুরি।

+ ডিম, মুরগীর মাংস, সামুদ্রিক মাছ, কচু শাক ও বিভিন্ন প্রকার ডালে রয়েছে ভালো মানের প্রোটিন।

তাই আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন সমন্বিত খাদ্য রাখুন।

#ভিটামিন সি

+ভিটামিন সি দেহের ইমিউন সিস্টেম বাড়াতে বেশ কার্যকরী। এটি মানব দেহের জন্য অনেক জরুরি একটি মাইক্রো নিউট্রিয়েন্ট।

+আমাদের দাতেঁর গোঁড়া শক্ত করতে, ত্বক উজ্জ্বল করতে ও চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

+ ভিটামিন সি-তে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। যা ত্বকের বলিরেখা দূর করতে ও বয়সের ছাপ লুকাতে সাহায্য করে।

+এটি ক্যান্সার, হৃদরোগ, কিডনি, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়বেটিসের মতো রোগ মোকাবেলা করতে সাহায্য করে।

+ দেশীয় কিছু ফলে আপনি খুব সহজেই ভিটামিন সি পেতে পারেন। যেমন- আমড়া, পেয়ারা, জাম্বুরা, আমলকী, বরই, বাতাবী লেবু ও কমলালেবু ইত্যাদি। সবুজ শাক সবজী যেমন- কাঁচা পেঁপে, কাঁচা মরিচ, পুঁইশাক ও পালং শাকেও প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে।

#জিঙ্ক

জিঙ্ক রক্তের শ্বেত রক্তকণিকার ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। শ্বেত রক্তকণিকার ক্ষমতা হ্রাস পেলে দেহের ইমিউন সিস্টেমে ব্যাঘাত ঘটে। দৈনিক খাদ্যতালিকায় কাঠ বাদাম, চীনাবাদাম, কাজু বাদাম, শিমের বিচি, দুধ, মাখন ও পনির রাখলে জিঙ্কের অভাব পূরণ হয়।

#ভিটামিন বি-১২

দ্রুত রোগ থেকে মুক্তি পেতে ভিটামিন বি-১২ বেশ কার্যকরি। এর পাশাপাশি এটি রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে। দুগ্ধজাত খাদ্যে ও ডিমের কুসুমে প্রচুর পরিমাণে ভিতামিন বি-১২ রয়েছে।

#ব্যায়াম

ঘরে সামান্য ব্যায়াম, যোগাসন ও ধ্যানের মাধ্যমেও ইমিউন সিস্টেম বৃদ্ধি পায়। ব্যায়াম করতে না পারলে রোজ ৪০-৪৫ মিনিট হাঁটার চেষ্টা করুন। এতেও আপনার রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। কেননা রোজকার এই সামান্য ব্যায়াম আপনার দেহের রক্ত চলাচল করার ক্ষমতাকে সচল রাখে। যা রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বৃদ্ধিতে বেশ সহায়ক।

তাছাড়া নিয়মিত পুষ্টিকর খাদ্যগ্রহণ, পরিমিত ঘুম মানসিক প্রশান্তি বয়ে আনবে আপনার জন্য।

মনে রাখবেন সুস্থ থাকার জন্য হাসিখুশি থাকাটা অত্যন্ত জরুরি। তাই সুষম খাদ্য গ্রহণ ও মানসিক চাপ এড়িয়ে বাড়িয়ে ফেলুন আপনার দেহের ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং দূরে রাখুন রোগ বালাই, ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণকে।

#কিভাবে তা বাড়াবে

: একেক খাবারের রয়েছে একেক গুণ। এমন কিছু খাবার আছে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

:শরীরের সুস্থতা এবং রোগের আক্রমণে দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়া থেকে টিকে থাকতে প্রয়োজন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার রক্ষা কবচ। কিছু খাবার আছে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে শরীর সুস্থ রাখে।

এমন কিছু খাবারের তালিকা এখানে দেয়া হলো। দেখে নিন-

#পালংশাক

পালংশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও আয়রন। আয়রন এমন একটি খনিজ উপাদান যা লোহিত রক্তকণিকা উত্‍পাদনের জন্য জরুরি তো বটেই, এটা রক্তস্বল্পতাও প্রতিরোধ করে। পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধের কোষ বৃদ্ধির জন্যেও এটা জরুরি।

#ভিটামিন ই ও ভিটামিন সি জাতীয় সব্জিগুলোতে আছে শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা ইনফেকশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। প্রতিদিনের খাবারে টমেটো, লেবু, নারকেল, পেয়ারা, কালোজামের মতো খাবার রাখুন।

#মিষ্টি আলুঃ গাজরের মতো মিষ্টি আলুতেও থাকে বিটা-ক্যারোটিন। মানুষের শরীরে ঢুকে এটি হয়ে যায় ভিটামিন এ। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। এমনকি বুড়ো হয়ে যাওয়া ঠেকাতেও কাজ করে বিটা-ক্যারোটিন।

#চিকেন স্যুপঃ বাসায় বানানো চিকেন স্যুপ মানুষের শরীরের জন্য খুব উপকারী। এতে থাকে কারনোসিন নামের একটি রাসায়নিক পদার্থ। এটি ভাইরাসজনিত জ্বরের সংক্রমণ থেকে মানুষের শরীরকে বাঁচাতে ভূমিকা রাখে।

#রসুনঃ রসুন থাকে সবার বাসায়ই। রান্না করা খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে দেয় রসুন। কাঁচা রসুন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও ছত্রাকজনিত আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। বিশেষ করে, ত্বকের সংক্রমণ নিরাময়ে ভালো কাজ করে রসুন। শরীরের কোলেস্টরলের পরিমাণ কমাতেও কাজ করে এটি।

#আদাঃ খাবারের ঝাঁজ বাড়াতে আদার তুলনা নেই। এছাড়াও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টেরও ভালো উৎস আদা। আর ফলমূল বা সবজি থেকে পাওয়া অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরে কাজও করে তাড়াতাড়ি।

#তরমুজঃ তরমুজে থাকে গ্লুটাথায়োন নামের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এটি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয়। এতে বিভিন্ন সংক্রমণের বিরুদ্ধে শরীরের লড়াই করার সক্ষমতা বাড়ে।

#মাছঃ ওমেগা ৩ ও ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার যেমন মাছ ইমিউন সিস্টেম বাড়াতে সাহায্য করে। সপ্তাহে অন্তত ৩-৪ দিন মাছ খান।

#দুধ ও দইঃ জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার যেমন দুধ ও দই রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। দুধ হজম না হলে দুধের তৈরি খাবার খান। দিনে অন্তত ১০০ গ্রাম দই অথবাআর ১ কাপ দুধ খাবার চেষ্টা করুন।

#ক্যারোটিন সমৃদ্ধ খাবার রোগ প্রতিরোধে খুব সাহায্য করে। গাজর, টোমাটো, কুমড়া বেশি করে খান। সারাদিনে ১ কাপ গাজরের জুস খেতে পারলে দারুন উপকার পাবেন। গাজরের জুস দুধের থেকে সহজপাচ্য ও পুষ্টিকর।

#মধু ও দারুচিনিঃ মধু ও দারচিনি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

#আমলকীঃ আমলকীর সাথে অল্প আদা ও খেজুর বেটে নিন। ভিটামিন সিতে ভরপুর আমলকীর এই চাটনি শরীরের জন্য দারুন উপকারী।

#পানিঃ মানবদেহের প্রায় ৭৫ ভাগ পানি। সুস্থ থাকতে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে প্রতিদিন অন্তত আট গ্লাস পানি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।এছাড়া হারবাল চাও খেতে পারেন, কেননা তা শরীরকে নীরোগ রাখতে সহায়তা করে। সফট ড্রিঙ্ক কম খান।

#গ্রিন টি : তুলসি ও গ্রিন টি দেহের জন্য দারুণ উপকারী। এগুলো অর্গানিক, ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী, হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী, ক্যালোরি অনেক কম এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর। গ্রিন টি খেলে দেহের রোগ প্রতিরোধীব্যবস্থা শক্তিশালী হয়।

#টক দইঃ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসহ অন্যান্য খনিজ। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে দারুণ কার্যকর। টকদইয়ে ভাল কিছু ব্যাকটেরিয়া রয়েছে যা দেহের জীবাণু দূর করতে সাহায্য করে।

#কাঠবাদামঃ কাঠবাদামে রয়েছে ভিটামিন ই যা খুবই শক্তিশালী একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি ঠাণ্ডার সমস্যা ও কাশি প্রতিরোধ করে। এর স্বাস্থ্যকর ফ্যাট শরীরে শক্তি প্রদান করে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বজায়।

2
$ 0.00
Avatar for alma45
Written by
3 years ago

Comments