#করোনা_হারবে_শক্তিশালী_ইমিউনিটির_কাছে
✔️WHO এর মতে কোভিড ১৯ ফুসফুসকে আক্রান্ত করে শরীরের অক্সিজেন সরবরাহ করতে ব্যাঘাত ঘটায়।তাই যারা ডায়েবেটিস,উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।করোনার টিকা আবিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বৃদ্ধির উপর বেঁচে থাকতে হবে,যাকে সহজে বলা যায় শক্তিশালী ইমিউনিটি।প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ভিটামিন সি,ডি,বি৬ এবং মিনারেলস জিংক,ম্যাগনেসিয়াম আপনাকে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করবে শক্তিশালী ইমিউনিটি হয়ে।
আসুন জেনে নেয়া যাক সহজলভ্য ও স্বস্তায় পাওয়া যায় এমন খাবারের নাম যাতে এসকল পুষ্টি বিদ্যমান রয়েছে।
⭕আমেরিকান ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশানের সুপারিশ অনুযায়ী প্রাপ্তবয়স্ক নারী ও পুরুষের ক্ষেত্রে ভিটামিন সি’র দৈনিক গ্রহণমাত্রা যথাক্রমে ৯০ ও ১০০ মিলিগ্রাম।ভিটামিন সি কে বলা হয় রোগ প্রতিরোধের রাজা।সি শুধু লেবুতে নয়,নানরকম শাকসবজিতেও বিদ্যমান।
যথা-
ফলমূল
আমড়া,আমলকি,জাম্বুরা,কমলা,জাম,বরই,পাকা পেঁপে,লেবু ইত্যাদি।
সবজি
কাঁচা মরিচ,করলা,কাকরোল,সজনে পাতা,মিষ্টি আলু,পাট শাক,কালো কঁচুশাক,পুঁইশাক,আলু ইত্যাদি।
প্রাণিজ খাবার
কলিজা, মাছের ডিম, ডিমের কুসুম ইত্যাদি ভিটামিন সি এর স্বল্প মাত্রার উৎস।।
⭕মজার তথ্য- সি যুক্ত ফলের মধ্যে লেবুতে সবচেয়ে কম ও আমলকিতে সবচেয়ে বেশি ভিটামিন সি রয়েছে।
⭕আমাদের দেশের জনগনের ৯০ শতাংশই ভিটামিন ডি এর অভাবজনিত সমস্যায় ভোগেন। বিশেষ করে মেয়েরা। প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি৩ পেতে সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ৩টার মধ্যে বারান্দায় কিছুক্ষণ রোদ গায়ে লাগিয়ে নিলেন এবং সম্ভব হলে ভিটামিন ডি৩ সাপ্লিমেন্টস নিতে পারেন, তবে তা শরীরের ঘাটতি অনুযায়ী চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে।
⭕ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার যথা-
কড লিভার অয়েল, মাছের তেল, জায়ফল, লবঙ্গ, এলাচি, পোস্তদানা, গাজর, গোলমরিচ, হলুদ, জিরা, আদা, কাঁচামরিচ, রসুন, ডিমের কুসুম, দুধ, আখরোট, কাজু বাদাম ইত্যাদি।
⭕বি৬ জাতীয় খাবার
সোলা,ডিম,গরুর কলিজা,মাছ,পালংশাক ইত্যাদি।
⭕জিংক
ভাত, আটা, চিড়া, ডাল, ছোলা, পালংশাক, লালশাক, ডাল, বরবটি, আলু, খেজুর, ডিম, চিংড়ি, তেলাপিয়া, ছোটো মাছ, এলাচ, মিষ্টিকুমড়ার বিচি, সয়াবিন,কাজুবাদাম, সরিষা, পোস্তদানা, জিরা, আম, তেজপাতা, আনার ইত্যাদি।
⭕ম্যাগনেসিয়াম
পালংশাক, কলা, কুমড়োর বিচি, শীম, লাল আটা, ছোলা, কাজু বাদাম, কাঠ বাদাম, চীনাবাদাম, সূর্যমুখী বীজ, অ্যাভোকাডো ইত্যাদি।
⭕✔️সবশেষে এসকল খাবারের পাশাপাশি প্রতিদিন ৬-৭ ঘন্টা ঘুম ও ৩০মিনিট ঘাম ঝড়িয়ে ব্যায়াম আপনাকে এই ধরনের সকল ভাইরাস হতে সুরক্ষিতো রাখতে সাহায্য করবে।তাই আসুন আমরা সাবধানে থাকি ও নিজেদের শক্তিশালী ইমিউনিটি তৈরি করি।