খাদ্যই ওজনের প্রধান নির্ধারক

0 4
Avatar for alma45
Written by
3 years ago

ওজন বৃদ্ধি বা কমানোর জন্য প্রধান নির্ধারক হলো ক্যালরি, যা খাদ্যের মাধমে আমরা গ্রহণ করি।শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়ামকে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ নির্ধারক হিসেবে গণ্য করা হয়।এছাড়াও বংশগতি, থাইরয়েড রোগ, মানবদেহের বিপাক হারের উপরও ওজন বাড়া বা কমা নির্ভরশীল। কিন্তু, বর্তমানে জীবনাযাত্রার ধরন খুবই যান্ত্রিক হয়ে গেছে। মানুষ এতোটাই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে যে, সারাদিনে হয়তো সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট হাঁটা বা ব্যয়ামের জন্য বের করতে পারে। কিন্তু, এতে মাত্র ২০০ ক্যালরি খরচ হয়, যা কিনা ৩ টি ছোট রুটি বা ১ পিস মিষ্টির ক্যালরির সমান। এমনকি, ২০ গ্রাম বাটার এবং সবুজ চাটনির সাথে ১ পিস স্যান্ডউইচ গ্রহণেও এই ২০০ ক্যালরি পূরণ করে ফেলা সম্ভব।অবশ্যই সাওল আপনাকে হাঁটতে এবং শারীরিক পরিশ্রম করতে উৎসাহিত করে। কিন্তু, শুধুমাত্র শারীরিক পরিশ্রম এবং ব্যায়াম আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে না, যেমনটা বিনা তেলে খাবার গ্রহণে করা সম্ভব। ভারতে একজন বিখ্যাত ব্যবসায়ী সপ্তাহে ১০০ কিলোমিটার দৌড়িয়ে ৩৫ কেজি ওজন কমাতে সক্ষম হয়েছেন। কিন্তু, সত্যিকারভাবে কতোজন এভাবে পরিশ্রম করতে সক্ষম হবেন?

আবার, আপনি যদি একেবারেই না খেয়ে থাকেন, তবেও হয়তো আপনার ওজন কমতে পারে। উপবাস বেশ অনেকের ক্ষেত্রেই ওজন কমাতে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু, তা খুব স্বল্প সময়ের জন্য স্থায়ী হয়। যখনই তারা আবার খাওয়া শুরু করে, অতিরিক্ত এবং ভুল খাদ্য গ্রহনের কারণে আরও বেশি ওজন ধারণ করে। ডাঃ বিমল ছাজেড় ভারতে একটি সম্প্রদায়ের কিছু ব্যাক্তিকে একটানা উওপবাসে থেকে ৩০ দিনে প্রায় ২৫ কেজি ওজন কমাতে দেখেছিলেন । কিন্তু, ৬ মাস পর যখন আবার তাদের সাথে সাক্ষাৎ করলেন, তখন তাদের ওজন পূর্বের চেয়েও আরও বেড়ে গিয়েছিলো। কিছু সম্প্রদায়ের মানুষ একদিন পরপর রোজা রাখেন বা উপবাসে থাকেন। কিন্তু মাঝের দিনগুলোতে তারা প্রায় দৈনিক চাহিদার দ্বিগুণ ক্যালরি গ্রহণ করে ফেলেন।

খাদ্যই একমাত্র মাধ্যম, যার মাধ্যমে বেশি বা কম ক্যালরি গ্রহন করে ওজন বৃদ্ধি করা বা কমানো যায়। সাওল ডায়েটের মাধ্যমে খাদ্য তালিকা থেকে অতিরিক্ত তেল বাদ দিয়ে এটি খুব সহজেই করা সম্ভব। সেইসাথে শরীরের জন্য সঠিক ক্যালরি বন্টনও নিশ্চিত করতে হবে। যদিও বংশগতিকে ওজন বৃদ্ধির খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, কিন্তু সঠিক খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে এটিও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এছাড়া, যদি বাবা-মা খুব বেশি তেল-চর্বিযুক্ত খাবার, উচ্চ ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ায় অভ্যস্ত থাকেন, তবে তাদের সন্তানদেরও একই অভ্যাস গড়ে উঠে। প্রত্যেকেরই অতিওজনের পেছনে তাদের পরিবারগত অস্বাস্থ্যকর খাদ্যভাস গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসেবে পাওয়া যায়। বংশগতির উপর যে কারো উচ্চতা, গায়ের রং, চেহারা ইত্যাদি নির্ভর করতে পারে, কিন্তু ওজন নয়। এটি সবচেয়ে বেশি নির্ভর করে খাদ্যের মাধ্যমে ক্যালরি গ্রহণের উপরই।

থাইরয়েড রোগের কারণে অতিওজন হতে পারে। শরীরে থাইরয়েড হরমোন কমে গেলে বিপাক হারও কমে যায়। ফলে শরীরে ক্যালরি শোষণও কমে যায়। তাই, হাইপোথাইরয়েড রোগীদের ওজন বেড়ে যায়। কিন্তু, যখন তাদের থাইরয়েড হরমোন দিয়ে চিকিৎসা করানো হয়, তখন তাদের থাইরয়েডের অভাব পূরণ হয়ে যায়। কিন্তু, সাওল এমন অনেক রোগী পেয়েছে, যাদের ভুল উচ্চ ক্যলরিযুক্ত খাদ্যাভাসের কারণে ওজন বৃদ্ধি পেয়েছে। তবুও তারা থাইরয়েড রোগকেই শুধুমাত্র এর জন্য দায়ী করছে, যা সঠিক নয়।

সুতরাং, শুধুমাত্র সঠিক খাদ্যাভাসের মাধ্যমেই ওজন নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।এর জন্য সাওল পদ্ধতিই সর্বোত্তম।

1
$ 0.02
$ 0.02 from @TheRandomRewarder
Avatar for alma45
Written by
3 years ago

Comments