💝এন্টি-অক্সিডেন্ট এক ধরনের এনজাইম বা জৈব অনু, যা অত্যন্ত নিরাপদ কোষকে ফ্রি রেডিক্যাল কর্তৃক ধ্বংসের হাত থেকে সুরক্ষা করে এবং ফ্রি রেডিক্যালকে ধ্বংস করে।
💝মানব জীবনে এন্টি-অক্সিডেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । কারন এগুলো অক্সিজেন বিক্রিয়া দমন করে ফ্রি রেডিক্যাল সমূহকে নির্মূল করে এবং যে কোনো প্রকার ক্ষতি থেকে ফ্রি রেডিক্যালকে বিরত রাখে।
💝ফ্রি রেডিক্যাল হামলা থেকে রক্ষার জন্য দিন দিন এন্টি-অক্সিডেন্টের কদর বেড়েই চলছে। তবে খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে নিত্যদিনের ফ্রেশ, টনশন, ধূমপান সবকিছুই শরীরের নিজস্ব এন্টি-অক্সিডেন্টদের নষ্ট করে দেয়।
তাই আমরা প্রতিদিন যা খাবার খাই, তাতে যদি প্রয়োজনীয় এন্টি-অক্সিডেন্ট থাকে তাহলে আর সমস্যা হয় না। তবে দুষন ও ভেজালের যুগে এটা নিশ্চিতভাবে বলা মুশকিল যে আমরা যথেষ্ট পরিমান এন্টি-অক্সিডেন্ট খাচ্ছি।
+গবেষনায় দেখা যায়, প্রানিজ খাবারের চেয়ে উদ্ভিদজ খাবারে এন্টি-অক্সিডেন্ট এর পরিমান বেশী থাকে। এন্টি-অক্সিডেন্টের মধ্যে পলিফেনোলিক গ্রুপ অধিক কার্যকারী। এন্টি-অক্সিডেন্টের সঙ্গে খাদ্য শরীরকে নানা রকম রোগ এবং বার্ধক্যের বিবাদ প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তোলার জন্য শক্তিযোগায়।
# বিভিন্ন প্রকার এন্টি-অক্সিডেন্ট যুক্ত খাদ্য ও উপাদানঃ
👉এন্টি-অক্সিডেন্ট পলফেনোলিক এসিডযুক্ত খাদ্য-
#ব্লুবেরী,
আঙ্গুর বীজ,
দেবদারু,
গাছের,
গ্রীন টী ইত্যাদি।
👉এন্টি-অক্সিডেন্ট ভিটামিন সি বিটা-ক্যারোটিন যুক্ত খাদ্য-
#পালংশাক,
পুঁইশাক,
লাউ,
কুমড়া শাক,
লাল শাক,
ধনিয়া পাতা,
পুদিনা পাতা,
সজনা,
ডাটা শাক,
ঢেড়শ,
গাঁজর,
মটরশুঁটি ইত্যাদি।
👉এন্টি-অক্সিডেন্ট ভিটামিন সি যুক্ত খাদ্য-
#আমলকী,
পেয়ারা,
আনারস,
লেবু,
কমলালেবু,
কাঁচা আম,
টমেটো,
ডালিম,
আমড়া ইত্যাদি টক জাতীয় ফল।
👉এন্টি-অক্সিডেন্ট ক্রিপটোজেনথিন যুক্ত খাদ্য-
#পাকা পেঁপে,
পাকা আম,
পাকা কুমড়ো,
কালো জাম ইত্যাদি।
👉এন্টি-অক্সিডেন্ট লিউটিন যুক্ত খাদ্য-
#কালোজাম।
👉এন্টি-অক্সিডেন্ট ফাইটোইষ্টোজেন যুক্ত খাদ্য-
#সয়াবিন,
বরবটি,
সিম,
মটরশুঁটি,
গাঁজর,
বিট,
লেটুস,
হলুদ,
সরিষা,
আম,
কালো আঙ্গুর ইত্যাদি।
👉এন্টি-অক্সিডেন্ট ভিটামিন ই যুক্ত খাদ্য-
#সয়াবিন,
ছোলা বাদাম,
আটা,
বিভিন্ন প্রকার ডাল ইত্যাদি।
👉এন্টি-অক্সিডেন্ট কপার যুক্ত খাদ্য-
#চাল,
ডাল,
গম,
শুকনো কিসমিস,
শুকনো খেজুর,
বাদাম ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকার খাদ্যশস্য।
👉এন্টি-অক্সিডেন্ট সিলোনিয়াম যুক্ত খাদ্য-
#দুধ,
মাংস,
সামুদ্রিক মাছ ইত্যাদি