চুলের স্বাস্থ্যে মেথি আর পেঁয়াজ তেলের যৌথ কর্ম
চুল পড়ে যাওয়া নারী-পুরুষ সবার জন্যই ক্ষতিকর। কারণ চুল মানুষের দৈহিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। চুল না থাকলে অনেক পুরুষ মাথায় ক্যাপ পরেন। ক্যাপ দিয়ে অনেক ক্ষেত্রে রক্ষা পান। তবে নারীদের জন্য ঘন কালো রেশমি চুলের বিকল্প নেই। নারীদের সৌন্দর্যের অন্যতম নিদর্শন হচ্ছে চুল।তাই চুলের স্বাস্থ্য রক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ। আর এই গুরুত্বপূর্ণ কাজের ভার কিন্তু নিশ্চিতে চাপিয়ে দেওয়া যায় মেথি এবং পেঁয়াজের উপর।
পেঁয়াজ আর মেথি চুলের জন্য কতটা উপকারী তা আমরা কমবেশি সবাই ই জানি।মেথি চুলের জন্য উপকারী একটা উপাদান তা আমরা অনেকেই জানি। মেথিতে রয়েছে ভিটামিন, প্রোটিন, পটাশিয়াম, লেসিথিন আরও অনেক উপকারী উপাদান। এসব উপাদান চুলের বৃদ্ধি ঘটায় আর হেয়ার ফলিকলকে মজবুত রাখে। এছাড়াও মেথিতে আছে নিকোটিন অ্যাসিড যা পাতলা চুল ঘন করতে সাহায্য করে। এছাড়াও মেথিতে আছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুনাগুণ, যা স্ক্যাল্পের ইনফেকশন রোধ করে এবং এটি প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসাবেও কাজ করে। তাহলে বুঝতেই পারছেন কতটা উপকারী হবে মেথির তেল আপনার চুলের জন্য।
অন্যদিকে,পেঁয়াজে থাকা সালফার হেয়ার ফলিকেলে রক্ত চলাচল বাড়িয়ে দিয়ে নিমেষে চুল পড়া কমিয়ে ফেলে। তবে এখানেই শেষ নয়, পেঁয়াজের রসে রয়েছে বিপুল পরিমাণে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপার্টিজ, যা স্কাল্পে ঘর বেঁধে থাকা জীবাণুদের মেরে ফেলে। ফলে স্কাল্প ইনফেকশনের সঙ্গে সঙ্গে চুল পড়ার অশঙ্কাও হ্রাস পায়।
তাহলে ভাবুন এই দুই উপাদানের যৌথ ব্যবহারের ফলাফল কতটা চমৎকার হতে পারে।
আমরা অনেকেই প্রচন্ড অলস,পেয়াজ গুড়ো বা রস,মেথি প্যাক চুলে লাগিয়ে রাখতে বিরক্ত বোধ করি অথচ এদের উপকারীতাও পেতে চাই তাদের জন্যই পেঁয়াজ আর মেথি অয়েল😍।
❤ব্যবহার পদ্ধতি ❤
মেথির তেল, পেঁয়াজ তেল।
১ টেবিল চামচ পেঁয়াজ তেল নিন। এতে ১ টেবিল চামচ মেথির তেল নিন। ভালো করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি গরম করে নিন। হালকা ঠাণ্ডা হলে ভালো ভাবে চুলে ম্যাসাজ করে নিন।
সারা রাত রেখে পরেরদিন শ্যাম্পু করে, চুলে কন্ডিশনার দিন। এভাবে সপ্তাহে দুই বার এই তেলটি ব্যবহার করুন।
💗ফলাফলঃ
চুল পড়া বন্ধ হয়। চুলের গোড়া মজবুত হয়।অকালে চুল পাকা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।আগের তুলনায় চুলের রুক্ষতা কমে, তাতে কোমলতা ফিরে আসে ও স্ক্যাল্পের চুলকানি কমে ও খুশকি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
নিয়মিত এই পদ্ধতি দুই টির যে কোন একটি নিয়মিত ব্যাবহার করবেন তাহলে ভালো ফলাফল পাবেন।
বেশি করে পানি পান করুন এবং প্রচুর পরিমানে শাক সবজি খান।