* ব্ল্যাকহোলকে বাংলায় কৃষ্ণগহ্বর বলা হয়।
*একে বিতর্কের এক নামও বলা হয়।
* ব্ল্যাকহোলের অস্তিত্ব সম্পর্কে প্রথম প্রস্তাব করা হয় অষ্ট দশ শতাব্দীতে।
* ব্ল্যাকহোলের অস্তিত্ব সম্পর্কে প্রথম প্রস্তাব করা হয় অষ্ট দশ শতাব্দীতে প্রচলিত মাধ্যাকর্ষণ সূত্রগুলোর উপর ভিত্তি করে।
* 1783 সালে John Michell , Dark Star সিরো নামে একটি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ করেন। তিনি বলেছিলেন যদি একটি বস্তুর আকার যথেষ্ট ছোট ও ভর যথেষ্ট হয় কোনো কিছুর পক্ষে তার আকর্ষন বল হতে বাঁচা সম্ভব নয় এমনকি আলোও চিরকালের জন্য আটকে যেতে পারে।
* John Micher এর মতো একই রকম ভাবনা আসে Marquis De Laplace এর মাথায়ও। তিনি তার বই ' The System of The World ' এ তার ধারণাটি প্রকাশ করেন।
* 1967 সালে John Wheeler ব্লাকহোল নামটির সাথে আমাদের পরিচয় করিয়ে দেন।
* Albert Einstein এর আপেক্ষিক তত্ত্ব প্রকাশের পর Karl Schwarzschild এ ধরনের বস্তুর জন্যে একটি গাণিতিক সমাধান বের করেন।
* এর বেশ কিছুদিন পরে 1930 এ দশকের দিকে ওপেন - হাইমার ভলকক সিনডার মহাবিশ্বে এ ধরনের বস্তু থাকার সম্ভাবনা নিয়ে গভীরভাবে ভাবতে থাকে। পরে এ তিন গবেষক প্রমাণ করে দেখান যে ' একটি যথেষ্ট ভর যুক্ত নক্ষত্র যখন তার সব জ্বালানি হারিয়ে ফেলে তখনই এতে নিউক্লীয় বিক্রিয়ার বহির্মুখী চাপ থাকে না বলে এটি এর নিজস্ব অভিকর্ষের চাপে চুপসে যেতে থাকে। এভাবেই বিকর্ষিত হয় ব্ল্যাকহোলের ধারণা।
*নাম ব্ল্যাকহোল হলেও এর নামের সাথে এর কোন মিল নেই।
*ব্লাকহোল হল মহাবিশ্বের এমন একটি বস্তু বা জায়গার নাম যা আয়তনে খুবই ছোট কিন্তু এর ভর এত বেশি যে ব্ল্যাকহোলের নিজস্ব মহাকর্ষীয় শক্তি কোনোকিছু - কেই তার ভেতর থেকে বাইরে আসতে দেয় না। এমন কি তড়িৎ চৌম্বকীয় বিকিরণ যেমন আলোকেও না।
*প্রকৃত পক্ষে এর বা এর স্থানের সাধারণ মহাকর্ষীয় বলের মান এত বেশি যে এটি মহাবিশ্বের অন্য সকল ভরকে অতিক্রম করে।ফলে এর থেকে কোন কিছুই বের হয়ে আসতে পারে না।
*ব্ল্যাকহোল হতে কোন আলোই বের হয়ে আসতে পারে না বলে আমরা আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়েও একে দেখতে পারি না।
*ব্ল্যাকহোল তার নিকটবর্তী বস্তুসমূহ কে আকর্ষন করে। এর আকর্ষন বলের ফলে ব্ল্যাকহোলের নিকটবর্তী নক্ষত্র হতে কিছু অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে ব্ল্যাকহোলের দিকে ধাবিত হয়। যতই ওরা কাছে যেতে থাকে এদের তাপমাত্রা, উজ্জ্বলতা ও গতিবেগ বেড়ে যায়।
*ব্ল্যাকহোল তৈরি হয় মৃত্যু মুখী তারাদের দ্বারা।
* আমাদের সূর্যের ভরের ২০ গুন ভরবিশ্ষিস্ট কোন একটি তারা তার জীবনী শেষ পর্যায়ে কোন একটি ব্ল্যাকহোল এ পরিণত হয়।
*সাধারণত একটি নক্ষত্রে হাইড্রোজেন গ্যাস এর বিক্রিয়ার ফলে পরস্পরের সাথে মিশে হিলিয়াম গ্যাস এ উৎপন্ন হয়।এ বিক্রিয়ার ফলে নক্ষত্রে প্রচুর তাপ ও চাপ উৎপন্ন হয়। উৎপন্ন তাপ নক্ষত্রকে উজ্জ্বল করে এবং উৎপন্ন চাপ নক্ষত্রের কেন্দ্রে বহির্মুখী চাপের সৃষ্টি করে। যা মহাকর্ষীয় বলের কারণে নক্ষত্রের কেন্দ্রে সংকোচন ধর্মী চাপ সৃষ্টি হয় এবং এক সময় এই নক্ষত্রের জ্বালানি সৃষ্টি হয়। এতে সংকোচন ধর্মী চাপ বহির্মুখী চাপের উপর বিজয় লাভ করে এতে সকল কিছু কেন্দ্রের দিকে যেতে থাকে এবং এতে ব্ল্যাকহোল তৈরি হয়।