বেলুনে চড়ে মহাকাশ ভ্রমণের মতো আশ্চর্য কল্পনাকে বাস্তবে রূপ দিতে চায় "স্পেস পারস্পেকটিভ" নামের বেসরকারী একটি মার্কিন সংস্থা৷ "স্পেসশিপ নেপচুন" নামের একটি উন্নতধরনের বেলুন ব্যবহার করে ২০২১ সালের প্রথমদিকে পরীক্ষামূলক ভাবে এটি চালু করা হবে৷
নিগেল গুড এবং পল প্রিস্টম্যান এর নেতৃত্বে লন্ডন ভিত্তিক ডিজাইন সংস্থা প্রিস্টম্যানগুড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক স্পেস পারস্পেকটিভের সাথে প্রকল্পটিতে কাজ করছে৷
প্রিস্টম্যানগুডের ডিজাইনার টিম মহাকাশযানটির অগ্রভাগে বসা যাত্রীদের অভিজ্ঞতা কল্পনা করে "ভিতরে থেকে বাইরে" কন্সেপ্ট নিয়ে নকশা করেছেন বলে জানিয়েছেন প্রিস্টম্যানগুডের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নাইগেল গুড। গুডের মতে ডিজাইন টিমটি নিশ্চিত করতে চেয়েছিল যাত্রীরা যাতে ভ্রমণের সময় ৩৬০॰ ভিউ পায় এবং ভ্রমণের সময় যাত্রীরা চারপাশ ঘুরে দেখতে পারার মত পর্যাপ্ত জায়গা পায়৷ নাইগেল গুড আরো বলেন মহাকাশযানটির ওজন হ্রাস সহ ভিতরে পাইলটের জন্যে কার্যকরী পরিবেশের ব্যবস্থা করাটাও জরুরী ছিল৷ তাই সবকিছু ভেবেই বেলুনটির এমন নকশা করা হয়েছে৷ গেটওয়ে ফাউন্ডেশন এই মহাকাশযানে বিশ্বের প্রথম বাণিজ্যিক স্পেস হোটেল ডিজাইন করছে। ভন ব্রান স্পেস স্টেশন নামেও পরিচিত এই হোটেলটি ১৯০ মিটার ব্যাসের একটি চাকা নিয়ে গঠিত যা চাঁদে অনুভূত হওয়ার মতো মহাকর্ষ শক্তি তৈরি করতে ঘুরবে৷
আলাস্কার প্যাসিফিক স্পেসপোর্ট কমপ্লেক্স থেকে এই উচ্চ প্রযুক্তির বেলুনটিকে মহাকাশের উদ্দেশ্যে পাঠানো হবে৷ যেকোন বাণিজ্যিক বিমানের চেয়ে তিনগুন বেশি উপরে মানুষকে নিয়ে যেতে পারবে এই বিরাট বেলুন৷ ভূপৃষ্ঠ থেকে এক লাখ ফুট উপরের দুনিয়া কেমন সে আনন্দ উপভোগ করতে পারবে বেলুনে উঠা যাত্রীরা৷ বিশাল এই বেলুনে একসাথে আটজন করে পর্যটক উঠতে পারবে৷ এটি ঘন্টায় ১২ মাইল বেগে উড়ে যাবে মহাশূন্যের দিকে৷ ছয়ঘন্টা এই ভ্রমণ উপভোগ করতে পারবেন তারা৷ মহাকাশে বেলুনটি ঠিক আটলান্টিক মহাসাগরের উপরে গিয়ে অবস্থান করবে৷ স্পেসশিপ নেপচুন বেলুনে বার ও রেস্টরুমসহ নানা সুযোগ সুবিধা থাকবে৷
এখনো এই বেলুন সফরের টিকেটের দাম ঠিক করেননি তারা তবে অনুমান করা হচ্ছে একাক টি টিকেটের দাম পড়বে প্রায় ১,২৫,০০০ মার্কিন ডলার৷