History of islam

13 22
Avatar for Tabassum
3 years ago

*ইসলামী শিক্ষা দিবসের ইতিহাসঃ*

১২ই আগস্ট, ১৯৬৯ তৎকালীন পাকিস্তানের শিক্ষা উপদেষ্টা সাবেক এয়ার ভাইস মার্শাল নূর খান একটি সেমিনারের আয়োজন করেন। সেমিনারের বিষয় ছিলো শিক্ষা ব্যবস্থার নৈতিক ভিত্তি কি হবে। সেমিনারের স্থান নির্ধারিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি)। যথা সময়ে সেমিনার শুরু হয় । সেমিনারে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের বক্তারা বক্তব্য দেন নিজ নিজ সংগঠনের আদর্শের পক্ষে । শেষ দিকে বক্তব্য দিতে স্টেজে উঠেন তৎকালীন ইসলামী ছাত্র সংঘের আব্দুল মালেক ।

আব্দুল মালেক মঞ্চে ওঠার সাথে সাথেই বাম ধারার (কম্যুনিস্ট) লোকজন হট্টগোল ও চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করে দেন। উদ্দেশ্য একটাই- মালেক যেন তাঁর বক্তব্য দিতে না পারে । মালেকের মাত্র ৫ মিনিটের বক্তব্যকে তারা এতটাই ভয় পেয়েছিল যে যেকোন মূল্যে মালেকের বক্তব্যকে থামিয়ে দিতে তৎপর হয় । কারন মালেক তুখোর মেধাবী, মালেকের বাগ্মীতার কারনেই তার বক্তব্য সরকারের কাছে গৃহীত হয়ে যেতে পারে ।

আব্দুল মালেক তাঁর বক্তব্য প্রদান শুরু করেন । বক্তব্যের এক পর্যায়ে পুরো দৃশ্যপটই পাল্টে যায় । কিছুক্ষন আগে যেখানে ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থাকে সেকেলে বলে প্রমানিত মনে হচ্ছিল তখন উপস্থিত সকলে নতুন করে উপলব্ধি করতে শেখেন- না, ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থাই সর্বাধুনিক, আল্লাহই শ্রেষ্ঠ । এখানেই শেষ নয়, বক্তব্যের শেষ দিকে বাম ধারার ছাত্রসংগঠন গুলো চেয়ার ছুড়োছুড়ি শুরু করলে পুরো অনুষ্ঠান পন্ড হয়ে যায় । প্রান বাঁচাতে আব্দুল মালেক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে ছুটে যান । প্রায় আট-নয়জন ছাত্র মালেককে ঘিরে হকিস্টিক দিয়ে আঘাত শুরু করে ।

নির্মমভাবে হকিস্টিক দিয়ে ক্রমাগত শুধুমাত্র মাথায় আঘাত করা হতে থাকে।

এরপর অনেক পরে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয় । তাঁর মাথা ফুলে ২টা ফুটবলের সমান হয়ে গিয়েছিল আঘাতের ফলে । এর তিনদিন পর, ১৯৬৯ সালের ১৫ই আগস্ট পাকিস্তানের শ্রেষ্ঠ ব্রেন স্পেশালিস্ট ড. জুম্মা তাঁকে দেখে এসে বলেন যে তিনি আর বেঁচে নেই । পবিত্র মদীনা শরীফের ইমাম মোস্তফা আল মাদানী তাঁর নামাজের জানাজার ইমামতি করেন।

ইসলামী শিক্ষার পক্ষে কথা বলতে গিয়েই ইসলামবিদ্বেষী সেকুলারপন্থীদের হামলায় মারাত্মকভাবে আহত হয়ে ১৫ আগস্ট শাহাদত বরণ করেন ইসলামী শিক্ষা আন্দোলনের অগ্রপথিক শহীদ আবদুল মালেক। শহীদ আবদুল মালেকের শাহাদতের তাৎপর্য ছাত্রসমাজের কাছে তুলে ধরা এবং তাঁর আত্মত্যাগ থেকে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের অনুপ্রাণিত করার নিমিত্তে এ দিনটিকে ‘ইসলামী শিক্ষা দিবস’ হিসেবে প্রতি বছর পালন করা হয়।

Valo lage like comment and share korte vhulben nah.

R subscribe o Kori pashe thakiyen.new new article likhbo.valo lgle obboshoi ❤️ comment koriyen....

Keep in touch all of you..

6
$ 0.01
$ 0.01 from @TheRandomRewarder
Avatar for Tabassum
3 years ago

Comments

ইসলামী শিক্ষা দিবসের ইতিহাসঃ

১২ই আগস্ট, ১৯৬৯ তৎকালীন পাকিস্তানের শিক্ষা উপদেষ্টা সাবেক এয়ার ভাইস মার্শাল নূর খান একটি সেমিনারের আয়োজন করেন। সেমিনারের বিষয় ছিলো শিক্ষা ব্যবস্থার নৈতিক ভিত্তি কি হবে। সেমিনারের স্থান নির্ধারিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি)। যথা সময়ে সেমিনার শুরু হয় । সেমিনারে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের বক্তারা বক্তব্য দেন নিজ নিজ সংগঠনের আদর্শের পক্ষে । শেষ দিকে বক্তব্য দিতে স্টেজে উঠেন তৎকালীন ইসলামী ছাত্র সংঘের আব্দুল মালেক ।

আব্দুল মালেক মঞ্চে ওঠার সাথে সাথেই বাম ধারার (কম্যুনিস্ট) লোকজন হট্টগোল ও চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করে দেন। উদ্দেশ্য একটাই- মালেক যেন তাঁর বক্তব্য দিতে না পারে । মালেকের মাত্র ৫ মিনিটের বক্তব্যকে তারা এতটাই ভয় পেয়েছিল যে যেকোন মূল্যে মালেকের বক্তব্যকে থামিয়ে দিতে তৎপর হয় । কারন মালেক তুখোর মেধাবী, মালেকের বাগ্মীতার কারনেই তার বক্তব্য সরকারের কাছে গৃহীত হয়ে যেতে পারে ।

আব্দুল মালেক তাঁর বক্তব্য প্রদান শুরু করেন । বক্তব্যের এক পর্যায়ে পুরো দৃশ্যপটই পাল্টে যায় । কিছুক্ষন আগে যেখানে ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থাকে সেকেলে বলে প্রমানিত মনে হচ্ছিল তখন উপস্থিত সকলে নতুন করে উপলব্ধি করতে শেখেন- না, ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থাই সর্বাধুনিক, আল্লাহই শ্রেষ্ঠ । এখানেই শেষ নয়, বক্তব্যের শেষ দিকে বাম ধারার ছাত্রসংগঠন গুলো চেয়ার ছুড়োছুড়ি শুরু করলে পুরো অনুষ্ঠান পন্ড হয়ে যায় । প্রান বাঁচাতে আব্দুল মালেক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে ছুটে যান । প্রায় আট-নয়জন ছাত্র মালেককে ঘিরে হকিস্টিক দিয়ে আঘাত শুরু করে ।

নির্মমভাবে হকিস্টিক দিয়ে ক্রমাগত শুধুমাত্র মাথায় আঘাত করা হতে থাকে।

এরপর অনেক পরে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয় । তাঁর মাথা ফুলে ২টা ফুটবলের সমান হয়ে গিয়েছিল আঘাতের ফলে । এর তিনদিন পর, ১৯৬৯ সালের ১৫ই আগস্ট পাকিস্তানের শ্রেষ্ঠ ব্রেন স্পেশালিস্ট ড. জুম্মা তাঁকে দেখে এসে বলেন যে তিনি আর বেঁচে নেই । পবিত্র মদীনা শরীফের ইমাম মোস্তফা আল মাদানী তাঁর নামাজের জানাজার ইমামতি করেন।

ইসলামী শিক্ষার পক্ষে কথা বলতে গিয়েই ইসলামবিদ্বেষী সেকুলারপন্থীদের হামলায় মারাত্মকভাবে আহত হয়ে ১৫ আগস্ট শাহাদত বরণ করেন ইসলামী শিক্ষা আন্দোলনের অগ্রপথিক শহীদ আবদুল মালেক। শহীদ আবদুল মালেকের শাহাদতের তাৎপর্য ছাত্রসমাজের কাছে তুলে ধরা এবং তাঁর আত্মত্যাগ থেকে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের অনুপ্রাণিত করার নিমিত্তে এ দিনটিকে ‘ইসলামী শিক্ষা দিবস’ হিসেবে প্রতি বছর পালন করা হয়।

$ 0.00
User's avatar pro
3 years ago

Yes

It is..

$ 0.00
3 years ago

thanks

$ 0.00
User's avatar pro
3 years ago

Welcome 😌

$ 0.00
3 years ago

welcome too

$ 0.00
User's avatar pro
3 years ago

বাহ!অনেক কিছু শিখলাম।

$ 0.00
3 years ago

Thanks

$ 0.00
3 years ago

Joss😍

$ 0.00
3 years ago

Thank you

$ 0.00
3 years ago

Like comment sub back appi

$ 0.00
3 years ago

Done

$ 0.00
3 years ago