এ বছরের শুরুতে এলন মাস্কের বহুল আলোচিত একটি প্রজেক্ট ছিলো “প্রজেক্ট নিউরালিংক”। এবং আমাদের ধারণার চেয়েও দ্রুততম সময়ে হয়েছে এই ডিভাইসটির আপডেটেড ভাসর্নের প্রথম লাইভ ট্রায়াল।
২০১৬ সালে এলন মাস্ক তার এই প্রজেক্ট নিউরালিংক এর কথা সর্বপ্রথম জনসম্মুখে আনেন। এ বছরের শুরুতে বিষয়টি আবার আলোচনায় আসে ও চলতি বছরের জুলাইতে তিনি আগস্টের শেষে এই প্রজেক্টের আপডেট আসার কথা জানান।
আগস্ট ২৬ এ তিনি তার টুইটারে রিটুইট করা একটি ভিডিওতে বিশ্বকে জানান, এই সূক্ষ্ম ডিভাইসটি মানব মস্তিষ্কে স্থাপন করার জন্য তারা একটি ২য় জেনারেশনের রোবটও তৈরি করেছে, যা ডিভাইসটিকে মস্তিষ্কের সাথে সংযুক্ত করবে।
কি এই নিউরালিংক? প্রশ্ন জাগতেই পারে। নিউরালিংক হলো এমন একটি ডিভাইস যা মানুষ ও কম্পিউটারকে পরস্পর সংযুক্ত করবে। আর এই সংযুক্ত করার প্রক্রিয়াটি যা-তা মাধ্যমে নয় বরং সরাসরি মস্তিষ্কের সাথে একটি চিপ, যা নিজেই একটি মিনি কম্পিউটার, যুক্ত করা হবে।
ডিভাইসটি মস্তিষ্কের সাথে যুক্ত থাকবে সূক্ষ্ম সুতার মতো ইলেক্ট্রোড দিয়ে। ইলেক্ট্রোড গুলো করোটির ভেতর দিয়ে মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের সাথে যুক্ত থাকবে ও এর মাধ্যমে করোটির উপরে স্থাপন করা এই ক্ষুদ্র ডিভাইসটি দিয়ে মস্তিষ্কের কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
এই ডিভাইসটির ব্যাপারে এলন মাস্ক জানিয়েছিলেন, এই ব্রেইন কম্পিউটারটি আমাদের মস্তিষ্কের সাথে সরাসরি সংযুক্ত থাকবে, যার মাধ্যমে এটি মানবদেহের হরমোনাল ব্যাল্যান্স, ব্রেইন ইনজুরি, ট্রমা বা ডিপ্রেশন সবটা নিয়েই কাজ করতে পারবে। মাস্ক বলেন, “এক কথায়, এটি মস্তিষ্ক সম্পর্কিত যেকোনো সমস্যাই ঠিক করতে পারবে”।
শুধু কি বিভিন্ন সমস্যা ঠিক করাই এই ডিভাইসের মূল কাজ? মোটেই না। এই ডিভাইসটি কম্পিউটার সিস্টেমের সাথে আমাদের ওয়্যারলেস কানেক্টিভিটি তৈরি করবে যার মাধ্যমে মানুষ চিন্তার মাধ্যমেই শারীরিক কোনো একশন বা নড়চড়া ছাড়াই কম্পিউটার কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। এর মাধ্যমে মস্তিষ্কের ভেতরেই গান প্লে করাও সম্ভব হবে, এমনটাই জানিয়েছিলেন তিনি।
এখন প্রশ্ন হলো, মস্তিষ্কের সাথে সরাসরি সংযুক্ত করা কি ঝুঁকি পূর্ণ নয়? এটারও উত্তর দিয়েছেন মাস্ক। তিনি জানান, প্রায় ৩০ মিনিটের ছোট একটি রোবটিক অপারেশনের মাধ্যমে তারা ইলেক্ট্রোডগুলো মস্তিষ্কে স্থাপন করে দিতে সক্ষম। এটা LASIK এর মতোই নিরাপদ ও ব্যথাহীন।
সর্বশেষ আজকের লাইভ ট্রায়ালে নিউরালিংক ডিভাসটি একটি শূকরের উপরে লাইভ ইমপ্ল্যান্ট এর প্রেজেন্টেশন দেখেছে বিশ্ববাসী। এই প্রেজেন্টেশনটি শেষ করা হয় ইউ এস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন থেকে পাওয়া একটি ডিভাইস ডেজিগনেশন স্বীকৃতিপত্র দিয়ে।
বর্তমানে নিউরালিংক কাজ শুরু করতে যাচ্ছে এর প্রথম হিউম্যান ইমপ্ল্যান্টেশন নিয়ে, যা হয়ত কিছুদিন পরেই দেখতে পাবো। এই ট্রায়ালের পরবর্তী Q&A তে তিনি বলেন, “আশা করছি এই ডিভাইসের মাধ্যমে পরবর্তীতে মানুষ স্মৃতি সংরক্ষণ ও পুনরায় তা অনুভবও করতে পারবে”।
🟢অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মনোযোগ সহকারে আমার পোস্ট টি পড়ার জন্য।
PLEASE LIKE COMMENT & SUBSCRIBE@Suvankar
🟢পোস্ট টি পড়ে যদি আপনি নতুন কিছু শিখতে পারেন এবং উপকৃত হয়ে থাকেন,তাহলে অবশ্যই এই পোস্ট টিতে একটি লাইক দিবেন এবং অবশ্যই কমেন্ট করে আপনার মতামত জানাবেন ।
আর এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ সুন্দর সুন্দর পোস্ট সবার আগে পড়তে চাইলে ,অবশ্যই আমার আইডি @Suvankar SUBSCRIBE করতে ভুলবেন না।
Wow excellent 😮😮. Please visit my article ♥️♥️.